মঙ্গলবার, 24 জুন 2025
Logo
  • মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫

অশান্তির জেরে ঘর ছেড়েছিলেন, ২০ বছর বছর পরে ফিরে এলেন জলপাইগুড়ির নিতাই

রক্তের টান। ২০ বছর পর বাবাকে ফিরে পেয়ে আবেগে ভাসল ছেলে। ছেলের মুখশ্রী অনেকটাই পাল্টে গিয়েছে। কিন্তু তাকে দেখে এক লহমায় চিনতে পারেন বাবা!

অশান্তির জেরে ঘর ছেড়েছিলেন, ২০ বছর বছর পরে ফিরে এলেন জলপাইগুড়ির নিতাই

নিজস্ব সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি: রক্তের টান। ২০ বছর পর বাবাকে ফিরে পেয়ে আবেগে ভাসল ছেলে। ছেলের মুখশ্রী অনেকটাই পাল্টে গিয়েছে। কিন্তু তাকে দেখে এক লহমায় চিনতে পারেন বাবা! দু’জন দু’জনকে খুঁজে পাওয়ায় তাঁরা ধন্যবাদ জানিয়েছেন পুলিসকে। ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির বেলাকোবায়। 

বেলাকোবা পুলিস ফাঁড়িতে এসে বৃহস্পতিবার নিতাইচন্দ্র দাসকে জড়িয়ে ধরেন তাঁর ছেলে। এর আগে ১০ বছর বয়সি ছেলেকে শেষবার দেখেছিলেন নিতাইবাবু। তখন ছেলে ক্লাস ফাইভে পড়ে। এখন ছেলের বয়স ৩০। তবুও একেবারেই তিনি চিনতে পারেন সন্তানকে। ছেলে নবজিৎ দাসও নিজেকে ধরে রাখতে পারেননি। আনন্দে আত্মহারা হয়ে বাবাকে জড়িয়ে ধরেন তিনি। নবজিতের কথায়, ‘আমরা ২০০৬ সালে প্রথম থানায় নিখোঁজ সংক্রান্ত অভিযোগ দায়ের করি। এত বছর ধরে বাবাকে খুঁজেছি। এক থানা থেকে অন্য থানায় বাবার ছবি নিয়ে ঘুরেছি। অবশেষে বেলাকোবা ফাঁড়ির পুলিসের উদ্যোগে প্রায় ২০ বছর পর বাবাকে ফিরে পেলাম।’

বেলাকোবা ফাঁড়ির ওসি অরিজিৎ কুণ্ডু বলেন, ‘নিতাইচন্দ্র দাস নামে বানারহাটের বাসিন্দা ওই ব্যক্তি পারিবারিক ঝামেলার কারণে ২০০৫ সালে বাড়ি ছেড়ে চলে যান। ওই ঘটনার অনেক পরে বানারহাট থানায় মিসিং ডায়েরি করে তার পরিবার। ছেলে বড় হয়ে বাবাকে খুঁজছিলেন। থানায় থানায় বাবার ছবি নিয়ে ঘুরছিলেন তিনি। এদিকে ওই ব্যক্তিও আর বাড়ি ফিরে যাননি। এখানে সেখানে কাটিয়ে দিয়েছেন এতগুলো বছর। আমাদের এক সিভিক ভলান্টিয়ারের তৎপরতায় ওই ব্যক্তিকে খুঁজে পাওয়া যায়। ছেলের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে তাঁকে।’