শোলা অমিল, থার্মোকলে মহরমের তাজিয়া
একটা সময় পুকুর ও জলাশয়ে মিলত প্রচুর শোলা। তবে এখন সেটা অমিল। তাই মহরমের তাজিয়া তৈরি করতে ভরতপুর ১ ব্লকের মালাকাররা ব্যবহার করছেন থার্মোকল।

বর্তমান ওয়েবডেস্ক
জুলাই ৬, ২০২৫
সংবাদদাতা, কান্দি: একটা সময় পুকুর ও জলাশয়ে মিলত প্রচুর শোলা। তবে এখন সেটা অমিল। তাই মহরমের তাজিয়া তৈরি করতে ভরতপুর ১ ব্লকের মালাকাররা ব্যবহার করছেন থার্মোকল। মহরমের দিনে কয়েক হাজার তাজিয়ার চাহিদা থাকবে ভেবে একমাসেরও বেশি সময় ধরে তাজিয়া বানাচ্ছেন শোলা শিল্পীরা।
প্রসঙ্গত, মহরম ও তার পরদিন এলাকার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ কার্যত প্রতিটি পরিবার তাজিয়া ক্রয় করেন। সেই হিসেবে ওই দু’দিনে কয়েক হাজার তাজিয়া বিক্রি হয়। শিল্পীরা জানিয়েছেন, তাজিয়া হল অনেকটা কুঁড়েঘরের মতো। সেটা তৈরির করতে লাগে শোলা, পাটকাঠি, নারকেল পাতার কাঠি, রঙিন কাগজ ও আঠা। বিভিন্ন সাইজের ও বিভিন্ন রংয়ের তাজিয়া তৈরি করা হয়। সাধারণত ২০ থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত তাজিয়া বিক্রি হয়ে থাকে। তবে অর্ডার মতন এর থেকেও বেশি দরে তাজিয়া কিনতে পাওয়া যায়।
ভরতপুরের বাসিন্দা আনসার শেখ, কিবরিয়া শেখ, নজরুল শেখ প্রমুখ জানিয়েছেন, মহরমের দিন থেকে পরদিন মঞ্জুর মাটির আগে পর্যন্ত পরিবারগুলি তাজিয়া কেনেন। তাজিয়া কেনার পর মসজিদের কাছে বড় তাজিয়ায় তা রেখে আসেন। বড় তাজিয়াগুলি হোসেন ও হাসানের নামে করা হয়ে থাকে। মানসিক বা মানত করলে তাজিয়া কেনার পর হোসেন হাসানের তাজিয়ায় রেখে আসতে হয়।
তবে তাজিয়া তৈরির ক্ষেত্রে শোলা শিল্পীরা আর শোলার ব্যবহার করতে পারছেন না। মালাকারদের সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় দু’ দশক আগেও এই এলাকায় জলাশয় ও বড় পুকুরগুলিতে প্রচুর শোলা পাওয়া যেত। কয়েকবছর আগেও অল্প কিছু শোলা মিলত। কিন্তু এখন কার্যত তা উধাও। তাই বাধ্য হয়ে শিল্পীরা তাজিয়া বানাতে থার্মোকল ব্যবহার করছেন। ভরতপুরের শোলা শিল্পী শ্যামলী মালাকার বলেন, শোলা আর কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না। তাই থার্মোকল ব্যবহার করতে হয়। তবে শোলা পাওয়া গেলে উৎপাদন খরচ অনেকটা কম হতো। অপর শিল্পী নিতাই মালাকার বলেন, এটা মাত্র দু’দিনের ব্যবসা হলেও এর জন্য মাসভর আমাদের প্রস্তুতি নিতে হয়। কয়েক হাজার তাজিয়া তৈরির জন্য আগে থেকেই মাপ করে পাটকাঠি কাটা, রঙিন কাগজ কেটে রাখা হয়। তবে এটা শুধু ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে নয়। এতে আমাদের ঐতিহ্যের ব্যাপারও রয়েছে। তাই বিক্রির সময় লাভের ব্যাপারটা অতটা দেখা হয় না। জজান গ্রামের শিল্পী সনাতন মালাকার বলেন, প্রায় ৩০ বছর ধরে তাজিয়া তৈরি করে আসছি আমরা। এই এলাকায় কয়েক হাজার তাজিয়ার প্রয়োজন পড়ে মহরমের দিন। তাই অনেক আগে থেকেই আমাদের প্রস্তুতি নিতে হয়।
related_post
অমৃত কথা
-
অভাব
- post_by বর্তমান
- জুলাই 20, 2025
আজকের দিনে
-
ইতিহাসে আজকের দিনে
- post_by Admin
- জুলাই 19, 2025
-
ইতিহাসে আজকের দিনে
- post_by Admin
- জুলাই 20, 2025
এখনকার দর
-
ইউরো
- post_by Admin
- জুলাই 17, 2025
-
পাউন্ড
- post_by Admin
- জুলাই 17, 2025
-
ডলার
- post_by Admin
- জুলাই 17, 2025
-
রুপোর দাম
- post_by Admin
- জুলাই 20, 2025
-
সোনার দাম
- post_by Admin
- জুলাই 20, 2025
-
নিফটি ব্যাঙ্ক
- post_by Admin
- জুলাই 18, 2025
-
নিফটি ৫০
- post_by Admin
- জুলাই 18, 2025