রবিবার, 20 জুলাই 2025
Logo
  • রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫

মালদহ: ব্যয় ১৩ শতাংশ, অর্থ কমিশনের টাকা খরচে পিছিয়ে জেলা পরিষদ

পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকায় মালদহ জেলা পরিষদে কাজ হয়েছে মাত্র ১৩ শতাংশ। উন্নয়নে গতি আনতে কড়া বার্তা জেলাশাসকের। এর জেরে জেলা পরিষদে পড়ে থাকা ৪৩ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকার টেন্ডার ডেকে কাজ শুরু হয়েছে মালদহ জেলাজুড়ে।

মালদহ: ব্যয় ১৩ শতাংশ, অর্থ কমিশনের টাকা খরচে পিছিয়ে জেলা পরিষদ

সন্দীপন দত্ত, মালদহ: পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকায় মালদহ জেলা পরিষদে কাজ হয়েছে মাত্র ১৩ শতাংশ। উন্নয়নে গতি আনতে কড়া বার্তা জেলাশাসকের। এর জেরে জেলা পরিষদে পড়ে থাকা ৪৩ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকার টেন্ডার ডেকে কাজ শুরু হয়েছে মালদহ জেলাজুড়ে। এই মুহূর্তে সবকটি কাজ চলছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। মালদহের জেলাশাসক নীতিন সিঙ্ঘানিয়া বলেন, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা খরচ করতে সংশ্লিষ্টদের কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে। 
জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদহ জেলায় চলতি আর্থিক বছরে পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের ১৭৪.৯৫ কোটি টাকা ছিল। ইতিমধ্যেই ৫৫.১১ কোটি টাকার কাজ হয়েছে। এখনও পড়ে আছে ১১৯.৪৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিতে পড়ে আছে ৬৩ কোটি টাকা,পঞ্চায়েত সমিতিগুলিতে ১৩.৫৫ কোটি এবং জেলা পরিষদে ৪৩.৩৭ কোটি টাকা। শতাংশের হিসেবে গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি খরচ করেছে ৩৯ শতাংশ, পঞ্চায়েত সমিতিগুলি ৩৮.৩৫ শতাংশ এবং জেলা পরিষদ মাত্র ১৩ শতাংশ টাকা খরচ করেছে। 
প্রশাসনের এক কর্তা জানান, জেলা পরিষদ সাধারণত গ্রামোন্নয়নে বড় বড় কাজগুলি করে থাকে। জেলা পরিষদের এক একটি কাজ ১০-১২ লক্ষ টাকা থেকে শুরু হয়। একইভাবে জেলা পরিষদের টাকা খরচেও সময় লেগে যায়। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে ১৩ শতাংশ টাকা খরচ খুব একটা কম নয়। 
কিন্তু কেন জেলা পরিষদে পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের এত টাকা পড়ে আছে? সূত্রের খবর, পঞ্চদশ অর্থ কমিশন শুরু হয়েছে ২০২০-২১ অর্থবর্ষ থেকে। পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা বছরে দু’টি কিস্তিতে দেওয়া হয়। এক বছরে সম্পূর্ণ টাকা খরচ করতে না পারলে পড়ে থাকা টাকা পরের বছরের প্রাপ্ত টাকার সঙ্গে যোগ হয়ে যায়। এদিকে, ২০২০-২১ আর্থিক বছরে তৎকালীন জেলা পরিষদের সভাপতি কয়েকজন সদস্যকে নিয়ে দল পরিবর্তন করেন। সেসময় মালদহ জেলা পরিষদের তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত বোর্ড না ভাঙলেও কাজের গতি কিছুটা থমকে যায়। প্রায় এক বছর পরে নতুন সভাধিপতি নির্বাচন করে তৃণমূল। যা পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা পড়ে থাকার পিছনে অন্যতম বড় কারণ বলে মনে করছেন জেলা প্রশাসনের আধিকারিক থেকে শুরু করে সদস্যদের একাংশ। 
তবে প্রশাসনের লাগাতার পর্যালোচনা ও বর্তমান বোর্ডের সদিচ্ছায় পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকায় উন্নয়নমূলক কাজে অনেকটা গতি এসেছে বলে প্রশাসনের এক কর্তা জানিয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রশাসনের ওই কর্তা বলেন, জেলা পরিষদে এই মুহূর্তে কোনও টেন্ডার বাকি নেই। ৪৩ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। বর্তমানে সমস্ত কাজই চলছে।  নিজস্ব চিত্র। 

রাশিফল