নিম্নচাপের ভ্রূকুটি, উল্টোরথেও ভিড় নেই, আশাহত নবদ্বীপ-মায়াপুরের ব্যবসায়ীরা
নিম্নচাপে দফায় দফায় বৃষ্টি। তার উপরে পর্যটকরা এবার নতুন মন্দির দেখতে দীঘামুখী। সবমিলিয়ে মানুষের ভিড় দেখা গেল না নবদ্বীপ ও মায়াপুরের উল্টো রথে। চরম হতাশ ছোট-বড় ব্যবসায়ী থেকে হোটেল মালিকরা।

বর্তমান ওয়েবডেস্ক
জুলাই ৬, ২০২৫
সংবাদদাতা, নবদ্বীপ: নিম্নচাপে দফায় দফায় বৃষ্টি। তার উপরে পর্যটকরা এবার নতুন মন্দির দেখতে দীঘামুখী। সবমিলিয়ে মানুষের ভিড় দেখা গেল না নবদ্বীপ ও মায়াপুরের উল্টো রথে। চরম হতাশ ছোট-বড় ব্যবসায়ী থেকে হোটেল মালিকরা।
শনিবার সকাল থেকেই আকাশের মুখ ভার ছিল। মাঝেমধ্যে মুষলধারে, কখনও আবার ঝিরিঝিরি বৃষ্টি হয়েছে। এরইমধ্যে মাসিরবাড়ি থেকে ফিরলেন জগন্নাথদেব। ইসকন থেকে এলেন রাজাপুরের জগন্নাথ মন্দিরে। তাঁর এই যাত্রাপথে অন্যবারের মতো ভক্তদের লুটোপুটি নজরে পড়ল না। আর পাঁচটা ছুটির দিনে দুই বৈষ্ণবতীর্থে যেমন ভিড় থাকে, তেমনটাই ছিল উল্টোরথের দিন। এর থেকে বেশি কিছু নয়। বাইরের ভক্তরা একপ্রকার আসেননি বলেই মত মঠ-মন্দির কর্তৃপক্ষের।
শ্রীমায়াপুর হোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক প্রদীপকুমার দেবনাথ বলেন, বাজার একেবারে ফাঁকা। একদম লোক নেই। সপ্তাহের শেষে শনি-রবিবার যেমন লোক হয়, ঠিক তেমনটাই। মানুষ এখন দীঘামুখী, তার উপর দোসর নিম্নচাপ। মায়াপুরে হুলোরঘাট থেকে ইসকন মন্দির পর্যন্ত ৪০-৫০টি হোটেল আছে। সেগুলি পুরো ফাঁকা। আমরা খুবই হতাশ।
ইসকনের সামনে দোকান অরূপ দাসের। তিনি বলেন, উল্টোরথে যে পরিমাণ ভক্ত সমাগম হয়, তা এবার নেই বললেই চলে।
গত ২৭ জুন, শুক্রবার ছিল রথযাত্রা। মায়াপুরের রাজাপুর মন্দির থেকে প্রায় পাঁচ কিমি রাস্তা অতিক্রম করে সপরিবারে জগন্নাথদেব এসেছিলেন ইসকন চন্দ্রোদয় মন্দিরে। নবদ্বীপেও একাধিক মঠ-মন্দির থেকে রথ বের হয়েছিল। বিভিন্ন জায়গায় মেলাও বসেছিল। কিন্তু, ভক্ত সমাগম সেভাবে না হওয়ায় মন ভালো ছিল না কারও। সবাই আশায় ছিলেন, ব্যবসার এই মন্দা উল্টোরথে পুষিয়ে যাবে। তাও এবার হল না বলে আক্ষেপ মায়াপুরের প্রায় সব দোকানদারের। মহাপ্রভুপাড়ার বাসন ব্যবসায়ী অপু দাস বলেন, এবছর একদম লোকজন নেই। কোনও ব্যবসায়ী ব্যবসা করতে পারেননি। আশা করেছিলাম, উল্টোরথে কিছু বিক্রি হবে। সেই আশাতেও পুরোপুরি জল ঢেলে দিল এই নিম্নচাপ।
এদিন নবদ্বীপেও প্রায় সবারই মুখে একটাই কথা, বাইরের লোকজন আসেননি। তবে, বিকেলে নবদ্বীপের বিভিন্ন মঠ-মন্দিরে মহাসমারোহে উল্টোরথ উদ্যাপন হয়। এদিন নবদ্বীপের প্রাচীন মায়াপুর বালকসাধু আশ্রমের জগন্নাথ মন্দিরের রথ মাসিরবাড়ি গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর জন্মস্থান মন্দির থেকে ফিরে আসে। জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা মাসিরবাড়ি থেকে ন’দিনের মাথায় নিজস্ব মন্দিরে ফিরলেন। মন্দিরে ফিরে আসার আগে নবদ্বীপের অন্যান্য মঠ-মন্দিরের রথগুলির অধিকাংশকেই শহরের প্রাণকেন্দ্র পোড়ামাতলায় আনা হয়। সেখানে চিনি-কলা দিয়ে পুজো দেন ভক্তরা। উল্টোরথকে কেন্দ্র করে পোড়ামাতলায় মেলা বসেছিল।
related_post
অমৃত কথা
-
অভাব
- post_by বর্তমান
- জুলাই 20, 2025
আজকের দিনে
-
ইতিহাসে আজকের দিনে
- post_by Admin
- জুলাই 19, 2025
-
ইতিহাসে আজকের দিনে
- post_by Admin
- জুলাই 20, 2025
এখনকার দর
-
ইউরো
- post_by Admin
- জুলাই 17, 2025
-
পাউন্ড
- post_by Admin
- জুলাই 17, 2025
-
ডলার
- post_by Admin
- জুলাই 17, 2025
-
রুপোর দাম
- post_by Admin
- জুলাই 20, 2025
-
সোনার দাম
- post_by Admin
- জুলাই 20, 2025
-
নিফটি ব্যাঙ্ক
- post_by Admin
- জুলাই 18, 2025
-
নিফটি ৫০
- post_by Admin
- জুলাই 18, 2025