রবিবার, 20 জুলাই 2025
Logo
  • রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫

জল জীবন মিশনেও কেন্দ্রীয় বঞ্চনা, ৫ হাজার কোটি টাকা বকেয়া ঠিকাদারদের

সরকারের ওয়ার্ক অর্ডারে ‘জল জীবন মিশন’ প্রকল্পে কাজ করেছেন তাঁরা। কিন্তু, সেই কাজ করেও গত ন’মাস ধরে কোনও পেমেন্ট পাচ্ছেন না! রাজ্যের জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের (পিএইচই) প্রায় ছ’হাজার ঠিকাদার এই চরম সঙ্কটের মুখে পড়েছেন। 

জল জীবন মিশনেও কেন্দ্রীয় বঞ্চনা, ৫ হাজার কোটি টাকা বকেয়া ঠিকাদারদের

নিজস্ব প্রতিনিধি, বিধাননগর: সরকারের ওয়ার্ক অর্ডারে ‘জল জীবন মিশন’ প্রকল্পে কাজ করেছেন তাঁরা। কিন্তু, সেই কাজ করেও গত ন’মাস ধরে কোনও পেমেন্ট পাচ্ছেন না! রাজ্যের জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের (পিএইচই) প্রায় ছ’হাজার ঠিকাদার এই চরম সঙ্কটের মুখে পড়েছেন। তাঁদের বকেয়া টাকার পরিমাণ প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা! বকেয়া মেটানোর দাবিতে বঞ্চিত ঠিকাদাররা ‘সারা বাংলা পিএইচই ঠিকাদার বাঁচাও সমিতি’ গড়ে একজোট হয়েছেন। শুক্রবার তাঁরা সল্টলেকের বিডি ব্লকে একটি বৈঠক করেন। সেখানে তাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, আগামী ২৬ জুন জনস্বাস্থ্য কারিগরি ভবনে মন্ত্রী পুলক রায়ের সঙ্গে দেখা করে স্মারকলিপি দেবেন তাঁরা। দপ্তর সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় সরকার টাকা না দেওয়ার কারণেই এই সমস্যা। বকেয়া টাকা না মেলায় প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত লেবার ও সাপ্লায়াররাও চরম আর্থিক সঙ্কটে পড়েছেন। বহু ঠিকাদার ব্যাঙ্কঋণ নিয়ে, নিজের বাড়ি-গয়না বন্ধক দিয়ে লেবারদের কিছু পেমেন্ট করেছেন। কয়েকজন ঠিকাদার দুশ্চিন্তায় মারাও গিয়েছেন। ঠিকাদারদের দাবি, সুরাহা না-হলে ‘আত্মহত্যা’ ছাড়া কোনও পথই তাঁদের সামনে নেই! এই দাবি নিয়ে বিভাগীয় মন্ত্রীর দ্বারস্থ হতে চলেছেন তাঁরা। সমীরণ ঘোষ নামে পিএইচই’র এক ঠিকাদার বলেন, ‘২০২২ সাল থেকে আমরা এই জল জীবন মিশন প্রকল্পে কাজ করেছি। কিন্তু, গত সেপ্টেম্বর থেকে কেউই বকেয়া পেমেন্ট পাচ্ছেন না। আমরা এখন অসহায় হয়ে গিয়েছি। এবার আত্মহত্যাই করতে হবে আমাদের।’ তিনি বলেন, ‘দুশ্চিন্তা করতে করতে, ইতিমধ্যে দু’জন ঠিকাদার স্ট্রোকে মারাও গিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে একজনের ১০ কোটির পেমেন্ট আটকে।’

রাশিফল