শনিবার, 19 জুলাই 2025
Logo
  • শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫

ইরানের পরমাণু অস্ত্র ইস্যু: মার্কিন গোয়েন্দা প্রধানের দাবি খারিজ স্বয়ং ট্রাম্পের

 ইরান কি সত্যিই পরমাণু অস্ত্র বানাচ্ছে? মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার এ সংক্রান্ত রিপোর্ট খারিজ করলেন স্বয়ং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।

ইরানের পরমাণু অস্ত্র ইস্যু: মার্কিন গোয়েন্দা প্রধানের দাবি খারিজ স্বয়ং ট্রাম্পের

ওয়াশিংটন: ইরান কি সত্যিই পরমাণু অস্ত্র বানাচ্ছে? মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার এ সংক্রান্ত রিপোর্ট খারিজ করলেন স্বয়ং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। পরমাণু অস্ত্রের জুজু দেখিয়েই ইরানে হামলা চালিয়েছে ইজরায়েল। যদিও সেই দাবির যৌক্তিকতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে মার্কিন গোয়েন্দারা। গত মার্চেই মার্কিন ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের প্রধান তুলসী গাবার্ড জানিয়েছিলেন, ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরি করছে না। সেনেটের ইন্টেলিজেন্স কমিটির সামনে গাবার্ডের সাক্ষের পরেই মার্কিন গোয়েন্দাদের এই সংক্রান্ত রিপোর্ট সামনে এল। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সেই তথ্য মানতে নারাজ। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সুরেই ট্রাম্প বলেই দিয়েছেন, ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরির দোরগোড়ায় দাড়িয়ে আছে। তুলসীর বক্তব্য খণ্ডন করে তিনি সাফ বলেন, উনি কী বলেছেন, সেটা আমি থোড়াই কেয়ার করি। আমি মনে করি ওরা পরমাণু অস্ত্র তৈরির একেবারেই কাছে রয়েছে। ইজরায়েলও দাবি করেছিল, যে হারে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের কাজ শুরু করেছে ইরান, তাতে কয়েক মাসের মধ্যেই পরমাণু অস্ত্র পেয়ে যাবে তারা। তাই আত্মরক্ষার কারণেই তেহরানে হামলা চালানোর দাবি করেছিলেন নেতানিয়াহু।   
ইজরায়েলের ‘অপারেশন রাইজিং লায়নে’ আমেরিকা এখনও সরাসরি শামিল হয়নি। বরং বারবার ইরানকে পরমাণু অস্ত্র থেকে নিবৃত্ত করার উপর জোর দিয়েছে ওয়াশিংটন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বারবার বলেছেন, ইরান পরমাণু অস্ত্র রাখতে পারবে না। বস্তুত আমেরিকার এই অবস্থানকেই সোমবার মান্যতা দিয়েছে জি-৭ গোষ্ঠী। অশান্ত পশ্চিম এশিয়ায় শান্তি ফেরানো নিয়ে আলোচনা করতে কানাডায় বৈঠকে বসেছিল গোষ্ঠীভুক্ত সাতটি দেশ। শেষের আগেই বৈঠক ছেড়ে যান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপর যৌথ বিবৃতিতে জি-৭ জানিয়েছে, ‘ইরান কখনওই পারমাণবিক অস্ত্র রাখতে পারবে না।’ 
এদিকে ইজরায়েল-ইরানের যুদ্ধ মঙ্গলবার পঞ্চম দিনে পড়ল। মার্কিন গোয়েন্দাদের অনুমান, ইজরায়েলের হামলায় ইরানের পরমাণু কর্মসূচিতে বড় কোনও প্রভাব পড়বে না। কেবল কয়েক মাসের জন্য পিছিয়ে যেতে পারে মাত্র। ইজরায়েলি হামলায় বড়সড় ক্ষতি হয়েছে ইরানের নাতাঞ্জ পরমাণু কেন্দ্র। উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়েছে ক্ষতিগ্রস্ত কেন্দ্রের ছবি। এছাড়াও ইস্পাহানে পরমাণু পরীক্ষাকেন্দ্রেরও ক্ষতি হয়েছে। তবে ফরদোতে পরমাণু বিশুদ্ধিকরণ প্রকল্পের কোনও ক্ষতি করতে পারেনি ইজরায়েল। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মার্কিন অস্ত্র এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা ছাড়া ফরদোতে হামলা চালানো ইজরায়েলের পক্ষে অসম্ভব। 

রাশিফল