সোমবার, 19 মে 2025
Logo
  • সোমবার, ১৯ মে ২০২৫

বাবা সব্জি বিক্রি করেন, ৯৩ শতাংশ নম্বর পেয়ে গবেষক হতে চান মেয়ে

বাবা সব্জি বিক্রেতা। ছোট থেকেই অভাব সঙ্গী। কিন্তু ভালো রেজাল্ট করার জেদ চেপে বসেছিল। উচ্চ মাধ্যমিকে তাঁর নজরকাড়া রেজাল্ট সকলের মন ছুঁয়ে গেছে। 

বাবা সব্জি বিক্রি করেন, ৯৩ শতাংশ নম্বর পেয়ে গবেষক হতে চান মেয়ে

নিজস্ব প্রতিনিধি, শালবনী: বাবা সব্জি বিক্রেতা। ছোট থেকেই অভাব সঙ্গী। কিন্তু ভালো রেজাল্ট করার জেদ চেপে বসেছিল। উচ্চ মাধ্যমিকে তাঁর নজরকাড়া রেজাল্ট সকলের মন ছুঁয়ে গেছে। তিনি শালবনী ব্লকের সাতপাটি এলাকার বাসিন্দা সুইটি বেতাল। শালবনীর মৌপাল দেশপ্রাণ বিদ্যাপীঠের ছাত্রী। সুইটির প্রাপ্ত নম্বর ৪৬৩। ব্লকের মধ্যে প্রথম হয়েছেন তিনি। সায়েন্স বিভাগে প্রায় ৯৩ শতাংশ নম্বর পাওয়া সুইটির ইচ্ছে আগামী দিনে গবেষক হওয়া। তাঁর এই সাফল্য দেশের নারীশক্তিকে উৎসর্গ করতে চান সুইটি। স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, ইচ্ছে শক্তির চেয়ে বড় কিছু নেই। সুইটি তার প্রমাণ। একাগ্রতার সঙ্গে পড়াশোনা চালিয়ে গিয়েছেন। সুইটি বলেন, মা - বাবা ও স্কুলের শিক্ষকরা যেভাবে সহযোগিতা করেছে, তা কোনও দিন ভোলার নয়। আগামী দিনে আমাকে আরও বেশি পরিমাণে পরিশ্রম করতে হবে। নিয়মিত পড়াশোনা করায় সাফল্য এসেছে বলে মনে করি। মৌপাল দেশপ্রাণ বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক প্রসূনকুমার পড়িয়া বলেন, শুধু পড়াশোনা নয়, বিভিন্ন সৃজনশীল কাজেও অসামান্য প্রতিভার অধিকারী। সুইটি বিভিন্ন সহযোগিতা পেলে আগামীদিনে অনেক দূর যেতে পারবে। আমরা আশাবাদী ছিলাম, ও পরীক্ষায় ভালো ফল করবেই। সুইটির বাবা সুকুমার বেতাল শালবনীর সাতপাটি এলাকার বাজারে সব্জি বিক্রি করেন। মা ঝুমা বেতাল গৃহবধূ। সুইটির ছোট বোন সুস্মিতা সাতপাটি হাইস্কুলে পড়াশোনা করছে। এই স্কুলে মাধ্যমিক পর্যন্ত পড়েছিলেন তিনি। ৬১৫ নম্বর পেয়ে পাশ করেছিলেন। উচ্চ মাধ্যমিকে সুইটি বাংলায় ৯৭, ইংরেজিতে ৯০, পদার্থ বিদ্যায় ৮৬, অঙ্কে ৯৪, রসায়ন বিদ্যায় ৯১ ও জীবন বিজ্ঞানে ৯১ নম্বর পেয়েছেন। মা ঝুমা বেতাল বলেন, স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা প্রচুর পরিমাণে সহযোগিতা করেছেন। ও নিজের ইচ্ছেতে পড়াশোনা চালিয়ে গিয়েছে। কঠোর পরিশ্রম করত। অবশেষে তার ফল পেয়েছে। সুইটি নার্সিংয়ের পরীক্ষায় বসবে।-নিজস্ব চিত্র