রবিবার, 20 জুলাই 2025
Logo
  • রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫

চা শিল্পের সঙ্কট নিয়ে ২৫ জুন কলকাতায় বৈঠকে সিসিপিএ

উত্তরবঙ্গে চা শিল্পের সঙ্কট নিয়ে ২৫ জুন কলকাতায় জরুরি বৈঠক ডাকল কনসালটেটিভ কমিটি অব প্ল্যান্টেশন অ্যাসোসিয়েশন (সিসিপিএ)। চা বাগানে রোগপোকা দমনে দেদার কীটনাশক ব্যবহারে লাগাম টানা, দেশে চায়ের চাহিদা বৃদ্ধিতে প্রচারে জোর, নেপাল ও কেনিয়া থেকে যেভাবে বিপুল পরিমাণে চা ঢুকছে, কীভাবে তার মোকাবিলা করা সম্ভব, এসবেরই পথ খোঁজা হবে ওই বৈঠকে।

চা শিল্পের সঙ্কট নিয়ে ২৫ জুন কলকাতায় বৈঠকে সিসিপিএ

নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: উত্তরবঙ্গে চা শিল্পের সঙ্কট নিয়ে ২৫ জুন কলকাতায় জরুরি বৈঠক ডাকল কনসালটেটিভ কমিটি অব প্ল্যান্টেশন অ্যাসোসিয়েশন (সিসিপিএ)। চা বাগানে রোগপোকা দমনে দেদার কীটনাশক ব্যবহারে লাগাম টানা, দেশে চায়ের চাহিদা বৃদ্ধিতে প্রচারে জোর, নেপাল ও কেনিয়া থেকে যেভাবে বিপুল পরিমাণে চা ঢুকছে, কীভাবে তার মোকাবিলা করা সম্ভব, এসবেরই পথ খোঁজা হবে ওই বৈঠকে। এদিকে, একপ্রকার চাপে পড়ে চা বাগান মালিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছে টি বোর্ড। চা বাগানের সমস্যা ও তার সমাধান নিয়ে আলোচনা করতে ২৪ জুন শিলিগুড়িতে ওই বৈঠক 
ডেকেছে তারা। 
বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন টি বোর্ডের (টি ডেভেলপমেন্ট) ডিরেক্টর এস সুন্দরাজন। ষষ্ঠদশ অর্থ কমিশনের অধীনে চা শিল্পের জন্য প্রকল্প পেতে বাগান মালিকদের কাছ থেকে প্রস্তাবও শোনা হবে ওই বৈঠকে। যদিও মঙ্গলবার ইন্ডিয়ান টি প্ল্যান্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (আইটিপিএ) মুখ্য উপদেষ্টা অমৃতাংশু চক্রবর্তী বলেন, বৈঠকে টি বোর্ডের কর্তাদের কাছে আমরা সবার আগে জানতে চাইব, প্ল্যান্টেশন সাবসিডি অর্থাৎ বাগানে নতুন চা গাছ রোপণের জন্য বরাদ্দ ভর্তুকির যে বিপুল পরিমাণ টাকা বকেয়া রয়েছে, তা কবে মিলবে? এর সদুত্তর পেলে তবেই বৈঠকে আলোচনা এগতে পারে।   
উত্তরবঙ্গের চা শিল্প এখন জোড়াফলায় বিদ্ধ। খামখেয়ালি আবহাওয়ায় একদিকে যেমন চা পাতা উৎপাদনে প্রভাব পড়ছে। অন্যদিকে, কমছে চায়ের বিক্রি। বাগান মালিকদের দাবি, দেশে চায়ের বাজার এক জায়গায় দাঁড়িয়ে গিয়েছে। চাহিদা বৃদ্ধির বদলে দিন দিন তা কমছে। সমীক্ষা বলছে, দেশে গোটা বছরে একজন ব্যক্তি গড়ে ৮৬৩ গ্রাম চা পান করেন। এটাকে কীভাবে মাথাপিছু এক কেজিতে নিয়ে যাওয়া যায়, সেটাই এখন লক্ষ্য। মূলত এরই পথ খোঁজার চেষ্টা হবে চা বাগান মালিকদের মাদার সংগঠন সিসিপিএ’র বৈঠকে।
বড় বাগানের পাশাপাশি ক্ষুদ্র চা বাগানের সমস্যা নিয়ে আলোচনা হবে দু’টি বৈঠকেই। জলপাইগুড়ি জেলা ক্ষুদ্র চা চাষি সমিতির সম্পাদক বিজয়গোপাল চক্রবর্তী বলেন, আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় চা বাগানে রোগপোকার আক্রমণ বাড়ছে। তা দমন করতে দেদার কীটনাশক ব্যবহার করা হচ্ছে কোনও কোনও বাগানে। ফলে চায়ে তার প্রভাব পড়ছে। এছাড়া কিছু ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, অনেকে চা প্যাকেজিংয়ের সময় চায়ের ওয়েস্ট অর্থাৎ বর্জ্য মিশিয়ে দিচ্ছেন। এতে চায়ের মান কমছে। কীভাবে এগুলি ঠেকানো যেতে পারে, তা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হবে। তাছাড়া কেনিয়া ও নেপাল থেকে যেভাবে বিপুল পরিমাণ চা ঢুকছে, তাতে এরপর আমাদের চা আর বিক্রির জায়গা থাকবে না। আমরা চাই, চা শিল্পের সমস্যা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণে একটাই মঞ্চ গড়া হোক। বড় বাগান, ক্ষুদ্র চা চাষি সবাই থাকুক সেই মঞ্চে।

রাশিফল