ঝাড়গ্রাম হাসপাতালে নিম্নমানের খাবার, ক্ষোভ বনমন্ত্রী বীরবাহার
ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীদের নিম্নমানের খাবার দেওয়ার অভিযোগ উঠছিল বারবার। এই নিয়ে রোগী ও রোগীর পরিবারের সদস্যরা ক্ষোভও প্রকাশ করছিলেন অনেকবার।

বর্তমান ওয়েবডেস্ক
জুলাই ৬, ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঝাড়গ্ৰাম: ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীদের নিম্নমানের খাবার দেওয়ার অভিযোগ উঠছিল বারবার। এই নিয়ে রোগী ও রোগীর পরিবারের সদস্যরা ক্ষোভও প্রকাশ করছিলেন অনেকবার। সেই অভিযোগ পেয়ে শুক্রবার রাতে বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা হাসপাতাল পরিদর্শন এসে খাবারের মান দেখে উষ্মা প্রকাশ করেন। তিনি সমাজমাধ্যমে খাবারের ছবি পোস্ট করে তার মান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। সেই পোস্টে অনেকেই প্রতিক্রিয়া জানান। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
হাসপাতালে ভর্তি রোগীকে দেওয়া খাবারে মাংসের টুকরোর ছবি পোস্ট করে তিনি লেখেন, ‘ঝাড়গ্রাম হাসপাতালে রাতের খাবারের মাংসের পিসের অবস্থা দেখে মুরগিও লজ্জা পাবে’। তিনি আরও লেখেন, যেখানে আমাদের প্রিয় মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণায় মা ক্যান্টিন থেকে ৫ টাকায় পেট ভর্তি ডিম, ভাত সবাই পায়। সেখানে হাসপাতালে গরিব মানুষগুলি এই রকম খাবার পাচ্ছে। সত্যিই খারাপ লাগে। রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান থেকে মন্ত্রী রোগীদের নিম্নমানের খাবার নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। তারপরেও সমস্যার সুরাহা কেন হচ্ছে না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েয়ে, ভর্তি রোগীদের তিনবেলা খাবার দেওয়া হয়। সকালে প্রাতরাশে থাকে দুধ, সেদ্ধ ডিম, কলা, স্যান্ডউইচ ও ১০ গ্ৰাম চিনি। দুপুরে ভাত, ডাল ও সব্জির সঙ্গে একদিন অন্তর মাছ ও মাংস দেওয়া হয়। রাতের বেলা রুটি, ভাত, ডাল, সব্জি ও ডিম থাকে। মাঝে মাঝে মাংস থাকে। কিন্তু হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীদের দেওয়া খাবারের মান নিম্নমানের বলে অভিযোগ।
রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান হয়েই দুলাল মুর্মু হাসপাতাল পরিদর্শনে এসে রোগীদের নিম্নমানের খাবার দেওয়া দেখে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন। দায়িত্বে থাকা ঠিকাদারের সঙ্গে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের যুক্ত করার প্রস্তাবও দেওয়া হয়। আইনি জটিলতা ও প্রশাসনিক সদিচ্ছার অভাবে পদক্ষেপ নেওয়া যায়নি। সমাজমাধ্যমে মন্ত্রীর পোস্ট ঘিরে বিষয়টি নতুন করে সামনে এসেছে। পুকুরিয়ার বাসিন্দা এক রোগী গীতারানি দাস বলেন, খাবারের পরিমাণ একটু বেশি হলে ভালো হয়। যে পরিমাণ খাবার দেয়, তাতে পেট ভরে না। মাছের পিস খুবই ছোট।
হাসপাতালে খাবার সরবরাহকারী সংস্থার কর্তা সুভাষচন্দ্র দাস বলেন, গত ১২ বছর ধরে খাবার সরবরাহ করার জন্য রোগী পিছু ৫৪ টাকা ৬০ পয়সা দেওয়া হয়। প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা বাকি পড়ে আছে। সেই টাকা এখনও পাইনি। হাইকোর্টে ২০২০ সালে রেট বাড়ানোর জন্য মামলা করেছি। সমস্যার সুরাহা হয়নি।
হাসপাতালের এমএসভিপি অনুরুপ পাখিরা বলেন, নিম্নমানের খাবার সরবরাহ করা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীরা অভিযোগ করছেন। রাজ্যে স্বাস্থ্যদপ্তরের কাছে বিষয়টি জানানো হয়েছে। হাসপাতালে খাবার সরবরাহ করা সংস্থাকে ‘ব্ল্যাকলিস্ট’ করার কথাও বলা হয়েছে।
related_post
অমৃত কথা
-
অভাব
- post_by বর্তমান
- জুলাই 20, 2025
আজকের দিনে
-
ইতিহাসে আজকের দিনে
- post_by Admin
- জুলাই 19, 2025
-
ইতিহাসে আজকের দিনে
- post_by Admin
- জুলাই 20, 2025
এখনকার দর
-
ইউরো
- post_by Admin
- জুলাই 17, 2025
-
পাউন্ড
- post_by Admin
- জুলাই 17, 2025
-
ডলার
- post_by Admin
- জুলাই 17, 2025
-
রুপোর দাম
- post_by Admin
- জুলাই 20, 2025
-
সোনার দাম
- post_by Admin
- জুলাই 20, 2025
-
নিফটি ব্যাঙ্ক
- post_by Admin
- জুলাই 18, 2025
-
নিফটি ৫০
- post_by Admin
- জুলাই 18, 2025