রাজ্যের সরকারি হাসপাতালে ডিপিটি টিকার ব্যাপক আকাল, সঙ্কটে শিশুরা, কেন্দ্রীয় সরবরাহে দেরির অভিযোগ
রাজ্যজুড়ে সরকারি হাসপাতালে ডিপিটি টিকার ব্যাপক আকাল। বাংলা সহ সারা দেশে সার্বিক টিকাকরণের ১২টি টিকার মধ্যে অন্যতম এই টিকাটি অত্যন্ত জরুরি। তারই আকাল চলছে রাজ্যজুড়ে।

বর্তমান ওয়েবডেস্ক
জুন ২০, ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: রাজ্যজুড়ে সরকারি হাসপাতালে ডিপিটি টিকার ব্যাপক আকাল। বাংলা সহ সারা দেশে সার্বিক টিকাকরণের ১২টি টিকার মধ্যে অন্যতম এই টিকাটি অত্যন্ত জরুরি। তারই আকাল চলছে রাজ্যজুড়ে।
স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রের খবর, অন্তত ৮-১০ জেলায় এই টিকা নেই বললেই চলে। যেসব জেলায় রয়েছে, তাও প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা কলকাতা লাগোয়া উত্তর ২৪ পরগনায়। সেখানকার গ্রামীণ এলাকা এবং শহরাঞ্চলের স্বাস্থ্যকেন্দ্র, সর্বত্র এই টিকার আকাল। গোটা জেলায় রয়েছে মাত্র চারশো ডোজের কাছাকাছি টিকা! ফলে বিভিন্ন সরকারি হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বাচ্চাদের নিয়ে টিকা দিতে গিয়ে ফিরে আসছেন বাবা-মায়ের। বাচ্চারাও বিপদের সম্মুখীন। কারণ ডিপিটি টিকা সার্বিক টিকাকরণে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে শিশুদের তিনটি বিপজ্জনক রোগ থেকে বাঁচাতে। এগুলি হল ডিপথেরিয়া, পারটুসিস (হুপিং কাশি) এবং টিটেনাস।
কিছুদিন আগেও শিশু জন্মের ৬, ১০, ১৪ সপ্তাহে এবং তারপর দেড় এবং পাঁচ থেকে ৬ বছরের মাথায় এই টিকা এবং তার বুস্টার দেওয়া হতো। কেন্দ্রীয় সরকার পেন্টাভ্যালেন্ট টিকা চালু করার পর এখন ৬, ১০ এবং ১৪ সপ্তাহে ডিপিটি না দিয়ে পাঁচ রোগের টিকা একত্রে দেওয়া হয়। তার মধ্যে ডিপিটি ছাড়াও আছে হেপাটাইটিস বি এবং হিমোফিলাস ইনফ্লুয়েঞ্জির (হিব) টিকা। তবে এক বছরের নীচের বয়সের বাচ্চাদের ক্ষেত্রে এই পেন্টাভ্যালেন্ট টিকা চালু হলেও তাদের দেড় বছর এবং ৫ থেকে ৬ বছরের মাথায় ডিপিটি দেওয়ার সরকারি নিয়ম বলবৎ রয়েছে আজও। শিশু চিকিৎসকরা বলেন, ভবিষ্যতে বাচ্চার বড় বিপদ আটকাতে দু’দফায় ডিপিটি টিকা নেওয়া অপরিহার্য। স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রের খবর, চাহিদা পূরণে প্রায় দুই থেকে আড়াই লক্ষ ডোজ ডিপিটি টিকা রাজ্যের হাতে থাকা জরুরি। বর্তমানে সেখানে রয়েছে অর্ধেকেরও কম। দপ্তরের এক পদস্থ সূত্র জানিয়েছে, সার্বিক টিকাকরণের ১২টি টিকাই সরবরাহ করে কেন্দ্রীয় সরকার। ডিপিটি’র ক্ষেত্রেও তাই। এক্ষেত্রে সরবরাহে দেরি হওয়ায় এই সঙ্কট তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ। রাজ্যে টিকাকরণ অভিযানের শীর্ষকর্তা তথা রাজ্য পরিবার কল্যাণ আধিকারিক ডাঃ অসীম দাস মালাকার এই আকালের কথা স্বীকার করে বলেন, সমস্যা ছিল। বুধবার প্রচুর ডোজ এসেছে। তা দ্রুত বিলিবন্টন করে শীঘ্রই সমস্যা মেটানো হবে।
related_post
অমৃত কথা
-
অবিদ্যা
- post_by বর্তমান
- জুলাই 17, 2025
এখনকার দর
-
ইউরো
- post_by Admin
- জুলাই 17, 2025
-
পাউন্ড
- post_by Admin
- জুলাই 17, 2025
-
ডলার
- post_by Admin
- জুলাই 17, 2025
-
নিফটি ব্যাঙ্ক
- post_by Admin
- জুলাই 16, 2025
-
নিফটি ৫০
- post_by Admin
- জুলাই 16, 2025
-
রুপোর দাম
- post_by Admin
- জুলাই 17, 2025
-
সোনার দাম
- post_by Admin
- জুলাই 17, 2025