শনিবার, 19 জুলাই 2025
Logo
  • শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫

‘জীবনে প্রেম এলে সেলিব্রেট করব’

মুক্তির অপেক্ষায় ‘রবীন্দ্র কাব্য রহস্য’। তার আগে কেরিয়ার ও ব্যক্তিজীবন নিয়ে আড্ডা দিলেন নায়িকা শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়।

‘জীবনে প্রেম এলে  সেলিব্রেট করব’

মুক্তির অপেক্ষায় ‘রবীন্দ্র কাব্য রহস্য’। তার আগে কেরিয়ার ও ব্যক্তিজীবন নিয়ে আড্ডা দিলেন নায়িকা শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আপনার জীবনকে কীভাবে প্রভাবিত করেছেন?
রবীন্দ্রনাথ আসলে আমাদের কাছে আবেগ। আমরা বাঙালি। বাড়িতে, স্কুলে রবীন্দ্রচর্চা হবেই। ছোট থেকেই রবি ঠাকুরের কবিতা, গল্প পড়েছি। রবীন্দ্রনাথের নানা পর্যায়ের গানের সঙ্গে প্রচুর নাচের পারফরম্যান্স করেছি। জীবনের এক এক মুহূর্তে রবীন্দ্রনাথের গান এক একরকম ভাবে ধরা দেয়।
এই থ্রিলারে আপনার কি গায়িকার চরিত্র? 
আমার চরিত্রের নাম হিয়া সেন। সে রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী। লন্ডনে রবীন্দ্রসঙ্গীতের উপর গবেষণা করছে মেয়েটি। ছবির একটা গান মুক্তি পেয়েছে। সেখানে কয়েকটা দৃশ্যে প্রেমের অ্যাঙ্গেলও রয়েছে। আর কিছু বললে সাসপেন্স নষ্ট হবে (হাসি)। এটুকু বলতে পারি, আমার কেরিয়ারে এমন চরিত্র আগে করিনি। 
ব্যক্তি জীবনে নতুন প্রেম এল?
প্রেমের নির্দিষ্ট কোনও সময় তো থাকে না। এখন প্রেম মানে পরিবার, কেরিয়ার। জীবনে প্রেম এলে আমি সেলিব্রেট করব।
পুজোয় ‘দেবী চৌধুরানি’ মুক্তি পাবে, নায়িকাকেন্দ্রিক এমন একটা ছবির জন্য আপনাকে এত বছর অপেক্ষা করতে হল কেন?
আমার কোনও তাড়া নেই। আমি জানি, সঠিক সময়ে সঠিক জিনিসটা হবে। ইন্ডাস্ট্রি আমার পরিবার। সাত, আট বছর বয়স থেকে অভিনয় করছি। আমি শিখেছি, ধৈর্যর থেকে বড় কিছু নেই। যেকোনও অভিনেতার জীবনে মাইলস্টোন হওয়ার মতো এই ছবি। ধৈর্য ধরে সঠিক সময়ের জন্য অপেক্ষা করেছি। অবশেষে সেই সময় এসেছে আমার জীবনে। আমার কোনও আপশোস নেই। পরিচালক শুভ্রজিৎ মিত্র আমাকে এই ছবিটা দিয়েছেন, আমি কৃতজ্ঞ।
এত ছোট বয়স থেকে অভিনয় করার সুবিধে এবং অসুবিধে কী?
আমি শিশুশিল্পী হিসেবে কাজ শুরু করেছি। এখনও পর্যন্ত তো কোনও অসুবিধে চোখে পড়েনি। শুধু অনেক সময় লোকে বলে, ‘তোমাকে সেই ছোটবেলা থেকে দেখছি।’ আমিও বলি, তখন আমি ছোটই ছিলাম (হাসি)। বাকি সবই সুবিধে। 
এত বছর ধরে একইরকম গ্ল্যামারাস থাকার রহস্য কী?
এটা তো বাবা, মায়ের কৃতিত্ব (হা হা হা)। এমন পরিবার পেয়েছি, সেজন্য আমি কৃতজ্ঞ। তাছাড়া আমি সব পরিস্থিতিতে পজিটিভ থাকতে ভালোবাসি। জীবনে ওঠাপড়া আছেই। কোথাও নেগেটিভিটি থাকলে সে জায়গা থেকে আমি বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।
অনেক নায়িকা গ্ল্যামার ধরে রাখতে নানারকম সার্জারি করেন, আপনার প্রয়োজন হয়েছে?
আমার তো এখনও দরকার পড়েনি। ভবিষ্যতে কোনও চরিত্রের ক্ষেত্রে প্রয়োজন হলে করতে পারি। কিন্তু আমার ইনজেকশনে ভয় রয়েছে। রক্তপরীক্ষার সময়ও ভয় পাই। কেউ যদি সার্জারি করান, তাতে আমার কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু এসব সার্জারি করালে মুখের ফ্লেক্সিবিলিটি নষ্ট হয়ে যায়। আমাদের বিভিন্ন ভাবে সংলাপ বলতে হয়। অনেককে দেখেছি, নাম বলব না, সার্জারির পর সংলাপ বলার সময় আড়ষ্টতা চলে আসে। সেটা ভালো লাগে না। 
মায়েদের আট ঘণ্টা শ্যুটিংয়ের দাবিতে নানা আলোচনা হচ্ছে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে, আপনি বিষয়টা কীভাবে ব্যাখ্যা করবেন?
এটা প্রত্যেক নায়িকার ব্যক্তিগত ব্যাপার। আমি ১৭ বছর বয়সে মা হয়েছি। তারপরও পড়াশোনা করেছি। বাবা, মায়ের সাপোর্ট ছাড়া কিছুই হতো না। সেসময় ছেলেকে রেখে টানা ২০-২৫ দিন আউটডোর করেছি। ছেলেও বুঝত, তার মায়ের এটা কাজ। ওর ক্ষেত্রে কিন্তু আমিই বাবা, আমিই মা। দু’জনের কর্তব্যই করতে হতো। ওটা একটা জার্নি ছিল। আমি এনজয় করেছি। এখনও সব কাজ সেরে ওকে সময় দিই। পাশাপাশি ছেলে আমাকে কতটা সময় দিতে পারবে, কখন সময় দেবে, তার জন্য অপেক্ষা করি। কোন অভিনেতার বিপরীতে পারফর্ম করতে টেনশন হয়? ঋত্বিক চক্রবর্তী। দুর্দান্ত অভিনেতা, কখন কী করবে, বলা যায় না।  

স্বরলিপি ভট্টাচার্য

রাশিফল