ঝড়-বৃষ্টিতে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে জল জমে দুর্ভোগ
রবিবার রাতে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কোথাও উঠল ঝড়, কোথাও আবার ঝমঝমিয়ে হল বৃষ্টি। গরমে স্বস্তির বদলে এই বৃষ্টি নিয়ে এল ‘দুর্যোগ’।

বর্তমান ওয়েবডেস্ক
মে ২০, ২০২৫
সংবাদদাতা, বালুরঘাট ও কুমারগঞ্জ: রবিবার রাতে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কোথাও উঠল ঝড়, কোথাও আবার ঝমঝমিয়ে হল বৃষ্টি। গরমে স্বস্তির বদলে এই বৃষ্টি নিয়ে এল ‘দুর্যোগ’। সোমবার সকালে এক ঘণ্টার বৃষ্টিতে বালুরঘাট শহরের জমে গেল জল। জল জমল বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে জরুরি বিভাগের সামনে। জল মাড়িয়েই রোগীকে ভর্তি করলেন আত্মীয় পরিজনেরা। অভিযোগ, সামনের রাস্তার নিকাশিনালা বুজে যাওয়াতেই জল জমেছে।
শুধু হাসপাতাল নয়, বালুরঘাট শহরের ট্যাঙ্ক মোড় সহ নানা জায়গাতেই জল জমেছে। পুরনো হাইস্কুল মাঠে জল জমে যাওয়ায় সোমবার দুপুরে সার্কাসের শো বাতিল হয়েছে। জল-যন্ত্রণা কমাতে তড়িঘড়ি মাঠে নেমেছে বালুরঘাট পুরসভা। পুরকর্মীরা নিকাশিনালা পরিষ্কার করে পরিস্থিতি মোকাবিলার চেষ্টা করেন। ফলে দুপুরের মধ্যেই গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলি থেকে জল নেমে যায়। এদিকে বর্ষার আগেই বিপর্যয় মোকাবিলা টিমকে প্রস্তুত করছে পুরসভা।
পুরসভার এমসিআইসি মহেশ পারেখ বলেন, যে জায়গাগুলিতে জল জমেছিল, ঘণ্টাখানেকের মধ্যে জল নিষ্কাশন করা হয়েছে। পুরসভার টিমকে নিয়ে বিপর্যয় মোকাবিলার বৈঠক হয়েছে। আমরা প্রস্তুত রয়েছি। এদিকে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে থেকেও জল নেমে গিয়েছে দুপুরের মধ্যে। স্থানীয়রা বলছেন, বালুরঘাট শহরের ট্যাঙ্ক মোড় এলাকায় বৃষ্টি হলেই হাঁটু জল জমে যায়। বালুরঘাট শহরের সাহেব কাছারি, নামাবঙ্গী, নেপালিপাড়া, চকভৃগু সহ অন্য জায়গাতেও জল জমে যায়। ফলে সকালে বাজার করতে এবং নিত্য দিনের কাজে বেরিয়ে সমস্যায় পড়েন সাধারণ মানুষ। বালুরঘাট মাঝিয়ান আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র সূত্রে খবর, এদিন ভোরবেলায় এক ঘণ্টায় ৫৩.২ মিমি বৃষ্টি হয়েছে। আরও কয়েকদিন টানা বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে গোটা দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায়। রবিবার রাত থেকেই কুমারগঞ্জ, সাফানগর, এলন্দরি, চাঁদগঞ্জ, কুলহরি সহ বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে ঝড় বৃষ্টি শুরু হয়। ঝড়ে গাছের ডালপালা ভেঙে কিছু জায়গায় বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়ে। কিছুক্ষণের জন্য বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায়। পরে বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার কর্মীদের তত্পরতায় পরিষেবা স্বাভাবিক হয়। কুলিহরির বাসিন্দা জীবিত কুমার রায় বলেন, বৃষ্টি ও ঝড়ে ধান খেতে ক্ষতি হয়েছে। এখন ধান কাটার সময়। এই সময় ধান খেতে জল জমে গেল। এতে ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। কুমারগঞ্জের বিডিও শ্রীবাস বিশ্বাসের আশ্বাস, আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। দুর্যোগ মোকাবিলায় আমাদের টিম তৈরি। দুর্গতদের পাশে দাঁড়াবে ব্লক প্রশাসন।
related_post
রাশিফল
-
আজকের রাশিফল
- post_by Admin
- জুন 19, 2025
অমৃত কথা
-
জগৎ
- post_by বর্তমান
- জুন 19, 2025
আজকের দিনে
-
ইতিহাসে আজকের দিন
- post_by Admin
- জুন 19, 2025
এখনকার দর
-
রুপোর দাম
- post_by Admin
- জুন 19, 2025
-
সোনার দাম
- post_by Admin
- জুন 19, 2025
-
ইউরো
- post_by Admin
- জুন 19, 2025
-
ডলার
- post_by Admin
- জুন 19, 2025
-
পাউন্ড
- post_by Admin
- জুন 19, 2025
-
নিফটি ব্যাঙ্ক
- post_by Admin
- জুন 19, 2025
-
নিফটি ৫০
- post_by Admin
- জুন 19, 2025