বৃহস্পতিবার, 15 মে 2025
Logo
  • বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫

একাধিক স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পে ই-কেওয়াইসি পরিষেবা চালু করল ডাক বিভাগ

 চলতি বছরের গোড়া থেকে ডাকঘরগুলিতে আধার যাচাইকরণের মাধ্যমে আ্যাকাউন্ট খোলা এবং লেনদেন প্রক্রিয়া চালু হয়েছে। 

একাধিক স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পে ই-কেওয়াইসি পরিষেবা চালু করল ডাক বিভাগ

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: চলতি বছরের গোড়া থেকে ডাকঘরগুলিতে আধার যাচাইকরণের মাধ্যমে আ্যাকাউন্ট খোলা এবং লেনদেন প্রক্রিয়া চালু হয়েছে। এবার কয়েকটি স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পের ক্ষেত্রেও সেই সুবিধা চালু করল ডাকবিভাগ। এ বিষয়ে নির্দেশিকা জারির পাশাপাশি সফ্টওয়্যারেও প্রয়োজনীয় বদল এনেছে তারা। 
যেসব গ্রাহক ডাকঘরে টাকা রাখেন, তাঁদের প্রত্যেককেই আধার বা প্যানের মতো নথি ‘নো ইওর কাস্টমার’ বা কেওয়াইসি বাবদ জমা করতে হয়। নতুন করে যাঁরা গ্রাহক হচ্ছেন, তাঁদেরও সেই কাজ করতে হয়। ডাকবিভাগ চায়, কাগুজে নথির ভার কমুক এবং ডাকঘরগুলিতে প্রতারণার হার শূন্যে নেমে আসুক। সেক্ষেত্রে আধার যাচাইকরণ বা বায়োমেট্রিকের মাধ্যমে ই-কেওয়াইসি দিয়েই তা সম্ভব বলে মনে করছে তারা। এই কাজ  এগিয়ে নিয়ে যেতে পাইলট প্রকল্প চালু হয় ২০২৪ সালের গত ২৬ নভেম্বর। তা সফল হওয়ায় গত জানুয়ারি থেকে দেশজুড়ে চালু হেয়েছে আধার যাচাইকরণ ব্যবস্থা। এর ফলে যাঁরা নতুন করে অ্যাকাউন্ট খুলছেন, তাঁদের যেমন বায়োমেট্রিক ব্যবস্থায় ই-কেওয়াইসি দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে, তেমনই চাইলে তাঁরা এই পদ্ধতিতে লেনদনও করতে পারবেন। ডাকবিভাগ জানিয়েছিল, ধাপে ধাপে সব রকমের সঞ্চয় প্রকল্পেই এই পরিষেবা চালু হবে দেশজুড়ে। পূর্ব ঘোষণা মতো চারটি স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পকে ই-কেওয়াইসি’র আওতায় আনা হল এবার। সেগুলি হল মান্থলি ইনকাম স্কিম বা এমআইএস, টাইম ডিপোজিট স্কিম বা মেয়াদি আমানত, কিষাণ বিকাশপত্র এবং ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেট বা এনএসসি (অষ্টম ইস্যু)। যাঁরা নতুন করে এই স্কিমগুলিতে টাকা রাখবেন, তাঁদের জন্য যে কাস্টমার ইনফরমেশন ফাইল বা সিআইএফ তৈরি হবে, সেগুলি ই-কেওয়াইসি’র মাধ্যমে যাচাই করা হবে। এখন সিঙ্গল অ্যাকাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে ওই পরিষেবা মিলবে। যদি কোনও গ্রাহক সরাসরি এই প্রকল্পগুলিতে টাকা রাখতে চান, তাহলে তাঁকে আলাদা করে পে-ইন স্লিপ ভাউচার কাটতে হবে না। সংশ্লিষ্ট ফর্মে যে টাকা লেখা হবে, সেই অঙ্কেরই প্রকল্প চালু হবে। যদি কেউ পোস্ট অফিসের সেভিংস অ্যাকাউন্টে থাকা টাকা থেকে প্রকল্প কিনতে চান, তাহলেও কাগুজে নথির দরকার নেই। ই-কেওয়াইসির মাধ্যমেই তা সম্ভব হবে। যেখানে ই-কেওয়াইসি পরিষেবা দেওয়ায় সমস্যা আছে, সেখানে পুরনো নিয়মে স্কিমগুলিতে টাকা জমা করা যাবে।