হামলার সঙ্গে কোনও যোগ নেই, ‘সাফাই’ পাকিস্তানের
সপ্তাহখানেক আগেই ‘উস্কানি’ দিয়েছিলেন স্বয়ং পাকিস্তানি সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির। সীমান্তের ওপারে বুক ঠুকে জানিয়েছিলেন, ইসলামাবাদের গলার শিরা হল কাশ্মীর।
ইসলামাবাদ: সপ্তাহখানেক আগেই ‘উস্কানি’ দিয়েছিলেন স্বয়ং পাকিস্তানি সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির। সীমান্তের ওপারে বুক ঠুকে জানিয়েছিলেন, ইসলামাবাদের গলার শিরা হল কাশ্মীর। তারপরেই পহেলগাঁওতে ভয়াবহ জঙ্গি হামলা। দায় স্বীকার করেছেন পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তোইবার শাখা ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফোর্স’। তারপরেও পাকিস্তান সাফাই দিয়ে চলেছে, এই হামলার সঙ্গে তাদের কোনও যোগ নেই! যদিও প্রায় একদিন লাগল শাহবাজ শরিফ সরকারের এই বিবৃতি দিতে। তাতে পিঠ বাঁচানোর চেষ্টা প্রকট। বুধবার পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ সেদেশের টিভি চ্যানেলে বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে এর কোনও যোগ নেই। যে কোনও জঙ্গি কার্যকলাপেরই আমরা নিন্দা করি।’ এভাবেই হামলার থেকে দূরত্ব বাড়িয়েছেন শাহবাজ শরিফ মন্ত্রিসভার এই প্রবীণ সদস্য।
যদিও আসিফের কথায় বিশ্বাস করছে না নয়াদিল্লি। কারণ, পাকিস্তানের সঙ্গে হামলার দূরত্ব বাড়াতে গিয়ে ভারতের অভ্যন্তরীণ নানা বিষয়ে মন্তব্য করে ফেলেছেন তিনি। বলেছেন, ‘নাগাল্যান্ড থেকে কাশ্মীর, ছত্তিশগড়, মণিপুর এবং দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলিতে বিদ্রোহ চলছে। তাই মনে হচ্ছে, এই হামলায় কোনও বিদেশি হস্তক্ষেপ নেই, বরং স্থানীয় বিদ্রোহের ফল!’ পাক বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে এক্স হ্যান্ডলে জানানো হয়েছে, ‘অনন্তনাগ জেলায় পর্যটকদের উপর প্রাণঘাতী হামলা নিয়ে আমরা চিন্তিত। প্রিয়জন হারানো মানুষদের আমরা সমবেদনা জানাচ্ছি। জখমদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি।’ তবে কোনও রকম রাখঢাক না রেখে হামলার নিন্দা করেছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার মহম্মদ হাফিজ। সবরকম ফর্ম্যাটে পাকিস্তানের হয়ে ৩৯২টি ম্যাচ খেলা প্রাক্তন টি-২০ অধিনায়ক এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘হৃদয় বিদারক। দুঃখজনক ঘটনা।’
