১০ লক্ষাধিক টাকার সাইবার অপরাধে ই-জিরো এফআইআর, প্রতারিত অর্থ আরও দ্রুত উদ্ধারে নয়া উদ্যোগ মন্ত্রকের
সচেতনতার পাশাপাশি সাইবার অপরাধে প্রতারিত অর্থ আরও দ্রুত উদ্ধারে এবার নয়া উদ্যোগ নেওয়া হল। ১০ লক্ষের বেশি টাকা খোয়া গেলে বিশ্বের যেকোনও প্রান্ত থেকে ই-জিরো এফআইআর রুজু করাতে পারবেন প্রতারিত ব্যক্তি।

বর্তমান ওয়েবডেস্ক
মে ২১, ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: সচেতনতার পাশাপাশি সাইবার অপরাধে প্রতারিত অর্থ আরও দ্রুত উদ্ধারে এবার নয়া উদ্যোগ নেওয়া হল। ১০ লক্ষের বেশি টাকা খোয়া গেলে বিশ্বের যেকোনও প্রান্ত থেকে ই-জিরো এফআইআর রুজু করাতে পারবেন প্রতারিত ব্যক্তি। আনুষ্ঠানিকভাবে ই-জিরো এফআইআর সিস্টেম চালু করেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। ন্যাশনাল সাইবার ক্রাইম রিপোর্টিং পোর্টাল বা ১৯৩০ নম্বরের মাধ্যমে এই জিরো এফআইআর রুজু করা যাবে।
দেশে সাইবার অপরাধের বাড়বাড়ন্ত রুখতে কাজ করে ইন্ডিয়ান সাইবার ক্রাইম কো-অর্ডিনেশন সেন্টার বা আই ফোর সি। দেশজুড়ে বিভিন্ন এলাকায় সংঘটিত ডিজিটাল অপরাধের যাবতীয় ঠিকুজিকোষ্ঠী জমা হয় আই ফোর সি-তে। ওই পোর্টালে এবার নতুন বৈশিষ্ট্য যুক্ত হল। মন্ত্রক সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ন্যাশনাল সাইবার ক্রাইম রিপোর্টিং পোর্টালের মাধ্যমে শুধুমাত্র ডিজিটাল অভিযোগপত্র জমা করা যেত। কিন্তু, তদন্তপ্রক্রিয়া শুরু হতো না। কাজটি ছিল সময়সাপেক্ষ। অভিযোগপত্রের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট ঘটনাস্থলের তদন্তকারী এজেন্সি বা পুলিসকে তদন্তভার দেওয়া হতো। সেই সময়কালের মধ্যেই অনেকসময় প্রতারিত অর্থ ব্লক করানো সম্ভব হতো না। টাকা ব্যাঙ্ক বা এটিএম মারফত হাতিয়ে নিয়ে চম্পট দিতো জালিয়াতরা। অতীতে একাধিক ক্ষেত্রে এমন ঘটনার সাক্ষী হয়েছে ইন্ডিয়ান সাইবার ক্রাইম কো-অর্ডিনেশন সেন্টার। সেই সমস্যা থেকে মুক্তির উপায় বাতলে দিল মন্ত্রক।
জিরো এফআইআর কী? কোনও গুরুতর অভিযোগের ক্ষেত্রে অপরাধীকে দ্রুত পাকড়াও করতে ঘটনাস্থল নির্বিশেষে এফআইআর রুজু করার প্রক্রিয়াই হল জিরো এফআইআর। মূলত, নারী সংক্রান্ত অপরাধ—যেমন শ্লীলতাহানি বা ধর্ষণের ক্ষেত্রে থানা এলাকা নির্বিশেষে অভিযোগপত্র গ্রহণের নির্দেশ রয়েছে। নারী ও শিশুপাচারের ক্ষেত্রেও এমন জিরো এফআইআর রুজু করা হয়। কিন্তু, সাইবার ক্রাইমের ক্ষেত্রে এমন নজির এতদিন পর্যন্ত ছিল না। ই-জিরো এফআইআর হল—স্থান, কাল নির্বিশেষে সাইবার অপরাধ সংক্রান্ত ফার্স্ট ইনফরমেশন রিপোর্ট অনলাইন মাধ্যমেই রুজু করতে হবে পুলিসকে। সংশ্লিষ্ট এফআইআর নম্বরও মিলবে অনলাইনেই। আগে অভিযোগকারীকে থানা বা সাইবার সেল থেকে এটি সংগ্রহ করতে হতো। ভারতীয়দের ক্ষেত্রে অভিযোগ আপাতত নথিবদ্ধ হয়ে যাবে দিল্লি পুলিসের ই-এফআইআর সিস্টেমে। এখানেই শেষ নয়, ২৪ ঘণ্টা সেই অভিযোগপত্র অনলাইনে গ্রহণ এবং তার প্রেক্ষিতে এফআইআর নম্বর ইস্যু করবেন একজন তদন্তকারী অফিসার। সূত্রের খবর, কাজটি ইনসপেক্টর পদমর্যাদার অফিসাররা করবেন। প্রাথমিক তদন্ত দ্রুত সেরে প্রতারিত অর্থ উদ্ধার এবং অপরাধীদের আটক করার কাজও করবেন তদন্তকারীরা। পরবর্তীকালে সংশ্লিষ্ট কেস হস্তান্তর করে দেওয়া যাবে প্রতারণার ঘটনাস্থল চিহ্নিত করে।
related_post
রাশিফল
-
আজকের রাশিফল
- post_by Admin
- জুন 14, 2025
অমৃত কথা
-
ধ্যান
- post_by বর্তমান
- জুন 14, 2025
এখনকার দর
-
রুপোর দাম
- post_by Admin
- জুন 14, 2025
-
সোনার দাম
- post_by Admin
- জুন 14, 2025
-
ইউরো
- post_by Admin
- জুন 14, 2025
-
ডলার
- post_by Admin
- জুন 14, 2025
-
পাউন্ড
- post_by Admin
- জুন 14, 2025
-
নিফটি ব্যাঙ্ক
- post_by Admin
- জুন 13, 2025
-
নিফটি ৫০
- post_by Admin
- জুন 13, 2025