সোমবার, 19 মে 2025
Logo
  • সোমবার, ১৯ মে ২০২৫

দিন কয়েকের বিরতির পর ফের দোকান, টোটো স্ট্যান্ডে জবরদখল মেডিক্যাল ক্যাম্পাস

উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল ক্যাম্পাসজুড়ে জবরদখলের চেনা পরিবেশ ফিরেছে। কলকাতার আর জি কর হাসপাতালে চিকিত্সক তরুণীকে ধর্ষণ ও খুনের পর উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নিরাপত্তার জন্য একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছিল।

দিন কয়েকের বিরতির পর ফের দোকান, টোটো স্ট্যান্ডে জবরদখল মেডিক্যাল ক্যাম্পাস

সংবাদদাতা, শিলিগুড়ি: উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল ক্যাম্পাসজুড়ে জবরদখলের চেনা পরিবেশ ফিরেছে। কলকাতার আর জি কর হাসপাতালে চিকিত্সক তরুণীকে ধর্ষণ ও খুনের পর উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নিরাপত্তার জন্য একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছিল। হাসপাতাল চত্বর থেকে জবরদখল সরিয়ে দেওয়া, টোটো, অটো স্ট্যান্ড বন্ধ করা হয়েছিল। প্রসূতি ওয়ার্ডের গা ঘেঁষে বছরের পর বছর চলা বাজার সরিয়ে ফাঁকা করা হয়েছিল। কিছুদিন পর আবার সেই ব্যবসায়ীরা মেডিক্যাল চত্বরে তাদের দোকান বসিয়েছেন। হাসপাতালে ঢোকার মুখ থেকে শুরু করে আউটডোরের সামনে সারি সারি ফল, নানা খাবারের দোকান, আখের রসের ঠেলাগাড়ি প্রকাশ্যে চলছে। প্রসূতি ওয়ার্ডের সামনে থেকে শুরু করে ক্যাম্পাসের মধ্যে রমরমিয়ে চলছে লটারির টিকিট বিক্রি, চা ও নানা ধরনের খাবারের দোকান। ফিরেছে টোটোর দৌরাত্ম্য। মেডিসিন আউটডোরে ঢোকার মুখে টোটো, স্কুটার বাইক ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকছে। রাস্তার উপর টোটোস্ট্যান্ড গজিয়ে ওঠায়  রোগীরা আউটডোরে ঢুকতে হয়রান হচ্ছেন। স্ট্রেচারে ও হুইল চেয়ারে রোগী নিয়ে যেতে সমস্যায় পড়ছেন পরিবারের লোক। স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠেছে, সব সরিয়ে দেওয়ার পর কোন মদতে ক্যাম্পাসে ফিরল সেই ব্যবসায়ীরা, জবর দখল হলেও কর্তৃপক্ষই বা নীরব কেন?
জবর দখল সরিয়ে দেওয়ার পর কেউ দোকান নিয়ে বসলে হাসপাতালের বেসরকারি সংস্থার নিরাপত্তাকর্মীরা তা উঠিয়ে দিয়েছেন। তবে সেই কর্মীদের অভিযোগ, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নির্দেশে এরকম কিছু দোকান সরাতে গিয়ে উল্টে হুমকির মুখে পড়তে হয়েছে। স্থানীয় এবং কিছু বহিরাগত প্রভাবশালী এখানে দোকান বসাতে চাপ দিয়েছে। শাসিয়ে গিয়েছে। তারপর থেকেই তাঁরা আর দোকানে বসা নিয়ে কোনও বাধা দেন না। হাসপাতালের ডেপুটি সুপার সুদীপ্ত মণ্ডল বলেন, আমাদের হাসপাতালের দায়িত্ব ছিল সব অবৈধ দখল হটিয়ে দেবার। হাসপাতাল থেকে সব অবৈধ দখল দোকানপাট সরিয়ে দিয়েছি। এরপর নতুন করে দোকান বাজার বসছে কি না সেটা দেখার দায়িত্ব পুলিস ও প্রশাসনের। তারাই দেখবে যাতে নতুন করে আর কোনও দোকান বাজার হাসপাতাল চত্বরে গজিয়ে না ওঠে।
এদিকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল ফাঁড়ির পুলিস জানিয়েছে, কিছু দোকানপাট বসতে শুরু করেছে, তা তাদের নজরে এসেছে। শীঘ্রই অভিযানে নামা হবে। হাসপাতালে ঘণ্টার পর ঘণ্টা টোটো দাঁড়িয়ে থাকা, নম্বরহীন ও খালি টোটো ঢোকা বন্ধ করা হবে।  নিজস্ব চিত্র