শুক্রবার, 18 জুলাই 2025
Logo
  • শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫

৭ বছরে দেশে ৬১ বিমান দুর্ঘটনা, ডিজিসিএ-র রিপোর্ট ঘিরে উদ্বেগ, যাত্রী সুরক্ষা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

 আমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার পর এক সপ্তাহেরও বেশি সময় পেরিয়ে গিয়েছে। তা সত্ত্বেও বিমান যাত্রা নিয়ে সাধারণ মানুষের উদ্বেগ এবং আতঙ্ক এখনও পর্যন্ত পুরোপুরি কাটেনি।

৭ বছরে দেশে ৬১ বিমান দুর্ঘটনা, ডিজিসিএ-র রিপোর্ট ঘিরে উদ্বেগ, যাত্রী সুরক্ষা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি:  আমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার পর এক সপ্তাহেরও বেশি সময় পেরিয়ে গিয়েছে। তা সত্ত্বেও বিমান যাত্রা নিয়ে সাধারণ মানুষের উদ্বেগ এবং আতঙ্ক এখনও পর্যন্ত পুরোপুরি কাটেনি। এই পরিস্থিতিতে ফের সামনে এল আরও এক উল্লেখযোগ্য তথ্য। তা থেকে স্পষ্ট যে, আমেদাবাদে বিমান দুর্ঘটনা নিছকই কোনও ব্যতিক্রমী ঘটনা নয়। বরং ২০১৭ থেকে ২০২৩ - মোদি সরকারের আমলে এই সাত বছর সময়কালে দেশে একাধিকবার ছোট-বড় দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে বিভিন্ন বিমান। উল্লিখিত সাত বছরে সারা দেশে এমন ঘটনা ঘটেছে মোট ৬১টি। শুধু তাই নয়। ওই সাত বছরে বিমানে ‘সিরিয়াস ইনসিডেন্ট’ হয়েছে মোট ৯০টি। অর্থাৎ, শেষ মুহূর্তে যা সামলে ওঠা না গেলে বড়সড় দুর্ঘটনাই হতো। 
এই ‘সিরিয়াস ইনসিডেন্ট’ অর্থে, এমার্জেন্সি ল্যান্ডিং, বিমানে পাখির ধাক্কা, বিমানের ল্যাজ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া, ইঞ্জিনে আগুন লেগে যাওয়া, হার্ড ল্যান্ডিং, বিমানে বিদ্যুৎ বিপর্যয় প্রভৃতি। অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের আওতায় থাকা ডিজিসিএ’র (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল অ্যাভিয়েশন) রিপোর্টেই এমন উদ্বেগজনক তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। ডিরেক্টরেট অব এয়ার সেফটি সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতেই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে ডিজিসিএ। এর ফলে আবারও বিমান যাত্রীদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। 
ডিজিসিএ-র ‘হ্যান্ডবুক অন সিভিল অ্যাভিয়েশন স্ট্যাটিসটিকস, ২০২৩-২৪’ শীর্ষক রিপোর্টেই সংশ্লিষ্ট তথ্য সামনে এসেছে। ওই রিপোর্টে ২০১৭ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ছোট-বড় বিভিন্ন বিমান দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, বিভিন্ন বিমান সবথেকে বেশি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে ২০২২ সালে। ২০২০ থেকে ২০২২ পর্যন্ত ক্রমান্বয়ে এহেন দুর্ঘটনার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২০ সালে সাতটি, ২০২১ সালে ন’টি এবং ২০২২ সালে ১২টি এমন ঘটনা ঘটেছে। 
শিডিউলড অপারেটর্স (অর্থাৎ, যেসব বিমান নির্দিষ্ট টাইম-টেবিল মেনে পরিচালিত হয়), নন-শিডিউলড অপারেটর্স, ফ্লায়িং ট্রেনিং ইনস্টিটিউট, গভর্নমেন্ট অপারেটর্স, প্রাইভেট অপারেটর্স এবং ফরেন অপারেটর্স - এই ছ’টি ক্যাটিগরিতে ভাগ করে দুর্ঘটনা এবং ‘সিরিয়াস ইনসিডেন্ট’এর খতিয়ান রিপোর্টে তুলে ধরেছে ডিজিসিএ। ২০২৩ সাল বাদে নির্দিষ্ট সময়সীমার প্রত্যেক বছরই শিডিউলড অপারেটর্সের কোনও না কোনও বিমান দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। অন্যদিকে, বিমানে ‘সিরিয়াস ইনসিডেন্ট’ সবথেকে বেশি হয়েছে ২০১৯ সালে। ২৫টি। ২০১৭ থেকে ২০১৯ - এই তিন বছরে লাগাতার বৃদ্ধি পেয়েছে এমন ঘটনার সংখ্যা। ১২, ১৯ এবং ২৫টি। উদ্বেগজনক বিষয় হল, সংশ্লিষ্ট ছ’টি ক্যাটিগরির মধ্যে ‘সিরিয়াস ইনসিডেন্ট’ সবথেকে বেশি ঘটেছে শিডিউলড অপারেটর্সের বিভিন্ন বিমানেই। অর্থাৎ, যেসব বিমানে চাপে আমজনতা।

রাশিফল