নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: বাঘাযতীনের পর ট্যাংরা। তারপর বেলেঘাটা। এবার তপসিয়া। পরপর শহরজুড়ে হেলে পড়া বহুতলের খবর সামনে আসা শুরু হয়েছে। 
শুক্রবার তপসিয়ার দুই অঞ্চলে দু’টি বাড়ি হেলে পড়ার খবর মিলেছে। এ ঘটনায় ফের শোরগোল পড়ে গিয়েছে শহরে। কলকাতা পুরসভা অবশ্য জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ আসেনি। পরপর বাড়ি হেলে পড়ার ঘটনায় কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘ফ্ল্যাট হেলে পড়েছে বলে কি ভেঙে দেব? তাহলে তো সেখানকার বাসিন্দারা পথে বসবেন।’ পাশাপাশি তিনি এই ধরনের বেআইনি বাড়ি কেনার আগে ক্রেতাকে সতর্ক হতে বলেছেন। একইসঙ্গে বামফ্রন্ট আমলে শহরে যে ক’টি বহুতল বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটেছে তার তালিকা তুলে ধরেন। ভবানীপুরের কুন্দলিয়া থেকে শিবালিক অ্যাপার্টমেন্ট বা বাঙুর কমপ্লেক্স বিপর্যয়ের জেরে বহু প্রাণহানি হয়েছিল। এ প্রসঙ্গ মনে করিয়ে দেন মেয়র। 
তপসিয়ায় ১২ নম্বর লোকনাথ বসু গার্ডেন লেন এবং ১০ ই মহেন্দ্র রায় লেনের দু’টি বাড়ি হেলে রয়েছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা গিয়েছে, তপসিয়ার লিংলং স্কুল সংলগ্ন লোকনাথ বসু গার্ডেন লেনের বহুতলটি প্রায় এক দশক পুরনো। বাড়ির বাসিন্দা রজত চক্রবর্তী বলেন, ‘উম-পুনের সময় বাড়িটি পাশের অন্য একটি বহুতলের গায়ে হেলে পড়েছিল। প্রমোটারকে জানানোর পর তিনি দু’টি বহুতলের মাঝের অংশে লোহার বিম লাগিয়ে ঠেকনা দিয়ে দিয়েছিলেন।’ সমিত মিশ্র নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘কয়েক বছর ধরেই এই অবস্থা। এখন বিভিন্ন জায়গার খবর পাচ্ছি। ভয় বাড়ছে। দু’টি বাড়ির ছাদের অংশ প্রায় ছুঁয়ে যাওয়ায় প্রবল আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।’ অন্যদিকে মহেন্দ্র রায় লেনের বহুতলটিও একইরকম অবস্থায় রয়েছে। দু’টি বাড়ির মাঝে আধ হাত ফাঁক পর্যন্ত নেই। বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ আরও জোরদারভাবে তুলছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ৫৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার জলি বসু জানান, ‘বেআইনি বা আইনি কোনও বাড়ি সম্পর্কেই আমার কাছে কোনও খোঁজ থাকে না। আমিও বিষয়টি সংবাদমাধ্যম থেকে জানতে পেরেছি। পুরসভার বিল্ডিং বিভাগের আধিকারিককে বিষয়টি জানিয়েছি।’