দেশ

রাজধানীর রাস্তায় অটো চালিয়ে
সংসার টানছেন স্বামীহারা সুমন
পাশে পাননি পরিবারকে

দিব্যেন্দু বিশ্বাস, নয়াদিল্লি: কিডনির অসুখে ভুগে ১২ বছর আগে মারা গিয়েছেন স্বামী। সংগ্রামের শুরু প্রায় তখন থেকেই। করোনা মহামারীর মোকাবিলায় বছর তিনেক আগে দেশজুড়ে যে লকডাউন ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাতে আরও বিপর্যস্ত হয়েছে জীবন। পরিকল্পনা করেও নতুনভাবে আর গোছাতে পারেননি হার্ডওয়্যারের ব্যবসা। কিন্তু হাল ছাড়ার পাত্রী নন সুমন গৌতম। রাজধানী দিল্লির রাস্তায় অটো চালিয়ে দুই ছেলেমেয়েকে পড়ানোর গুরুদ্বায়িত্ব একাই কাঁধে তুলে নিয়েছেন তিনি। পাশে পাননি পরিবারকে। কিন্তু পিছু হটতে নারাজ ক্লাস এইট পাস সুমন। বছর চল্লিশের এই মহিলা অটোচালকের আশা, তাঁর ‘স্ট্রাগল’ একদিন ঠিকই বুঝবেন পরিবারের সদস্যরা। সেদিন হয়তো যুদ্ধটা আরেকটু সহজ হবে। আপাতত পুরুষ-প্রধান এই পেশায় নিজের টিকে থাকাকেই চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছেন তিনি।
পরিবারের লোকজন পাশে না থাকলেও যাত্রীদের কাছ থেকে সহযোগিতায় কোনও খামতি নেই বলে জানালেন সুমন।  আইটিওর কাছে কর্মচারী রাজ্য বিমা নিগমের সদর কার্যালয়ের সামনে সবে কালকাজি থেকে যাত্রী নিয়ে এসেছেন। সেখানে কথা বলতে গিয়ে জানালেন, ‘মহিলা চালকের অটোতে উঠতে হচ্ছে বলে যাত্রীদের মধ্যে কখনও কোনওরকম দ্বিধা বা আশঙ্কা লক্ষ্য করিনি। বরং তাঁদের অনেকের কাছ থেকেই উৎসাহ পেয়েছি।’ দু’চোখে ক্লান্তির ছাপ থাকলেও জেদের আগুন স্পষ্ট। ছেলে আইটিআই পড়ছে। মেয়ে বিকমের প্রথম বর্ষের পড়ুয়া। সুমন বললেন, ‘স্বামীর   চিকিৎসা করাতে গিয়ে হাতে প্রায় কিছুই ছিল না। সিআর পার্কের কাছে কালকাজিতে ঘর ভাড়া নিয়ে একটি হার্ডওয়্যারের দোকান ছিল স্বামীর। তাঁর মৃত্যুর পর আমিই কোনওরকমে তা সামলাতাম। কিন্তু মালিক বাড়ি বিক্রি করে বিদেশে চলে গেলেন। তার কিছু পরেই লকডাউন শুরু হয়ে গেল। ভেবেছিলাম, লকডাউন শেষে নিজেই ওই ব্যবসা শুরু করব। ছেলেমেয়েকে তো মানুষ করতে হবে। আর ব্যবসা শুরু করতে পারলাম না।’
এরপরই অটো চালিয়ে সংসারের হাল ধরার সিদ্ধান্ত নেন সুমন। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে দু’জন অটো চালান। তাই ভেবেছিলেন এতে আরও বেশি সহযোগিতা পাবেন। কিন্তু বাধা এল তাঁদের কাছ থেকেই। সুমন গৌতম বললেন, ‘বাড়ির মেয়ে-বউ কেন অটো চালিয়ে বেড়াবে, এই প্রশ্ন তোলা হল। আমি কারও আপত্তি শুনিনি।’ ইলেকট্রিক অটো কিনতে এককালীন দিতে হয়েছে ৫০ হাজার টাকা। চার বছরের কিস্তিতে এখন প্রতি মাসে প্রায় ১১ হাজার টাকা করে মেটাতে হয় সুমনকে। বলেন, ‘সকাল সাড়ে ৮টা থেকে সন্ধে ৭টা-৮টা পর্যন্ত অটো চালাই। দিনে ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকা রোজগার হয়েই যায়। ঋণ শোধ হয়ে যাবে।’ এই আত্মবিশ্বাসেই ক্লান্তিহীন সুমন। নতুন যাত্রীর আশায় রওনা দিলেন দিল্লির আইটিও মোড়ের দিকে।
19Months ago
কলকাতা
রাজ্য
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

কর্মে উন্নতি ও কর্মসূত্রে বিদেশ গমন হতে পারে। বিলাস দ্রব্যের ব্যবসায় বেশি লাভের সম্ভাবনা।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.২৫ টাকা৮৪.৯৯ টাকা
পাউন্ড১০৭.১৯ টাকা১১০.৯৬ টাকা
ইউরো৮৯.৩৫ টাকা৯২.৭৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা