ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ প্রত্যাশিত সাফল্য নাও দিতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি। শ্বাসকষ্ট ও বক্ষপীড়ায় শারীরিক ক্লেশ। ... বিশদ
কয়েকদিন আগে টানা ঘন কুয়াশা ও হাল্কা বৃষ্টির কারণে আলুতে নাবিধসা রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। যা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন আলুচাষিরা। আলুচাষের ক্ষতির আশঙ্কায় নলহাটির হরিপুর গ্রামের ভাগচাষি কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে পরিবারের দাবি। যদিও নাবিধসা রুখতে কৃষি দপ্তরের পক্ষ থেকে আলুচাষিদের সতর্কীকরণ লিফলেট বিলি শুরু হয়েছে। কী কীটনাশক ব্যবহার করলে নাবিধসা রোগ ঠেকানো সম্ভব তা বিস্তারিত জানানো হয়েছে ওই লিফলেটে। এছাড়া চাষিদের নিয়ে প্রশিক্ষণ শিবিরে এনিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। অনেক চাষি সেই নির্দেশিকা মতো জমিতে কীটনাশক প্রয়োগ করে ভালো ফলের আশা করেছিলেন। এই অবস্থায় রবিবার সকালে ফের রামপুরহাটে বৃষ্টি হয়। যার ফলে অধিকাংশ জমিতে জল জমে গিয়েছে। তাতে চাষিদের মাথায় হাত পড়েছে।
রামপুরহাটের আলুচাষি লুৎফার রহমান বলেন, অন্যবছর আমরা এতদিন আগাম আলু তুলে ফেলি। কিন্তু, বৃষ্টির কারণে এবারে চাষ করতে দেরি হয়ে গিয়েছে। তার উপরে কয়েকদিন টানা ঘন কুয়াশা ও হাল্কা বৃষ্টির কারণে নাবিধসা রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছিল। কীটনাশক স্প্রে করা হয়েছে। কিন্তু, এদিনের ফের বৃষ্টিতে সেই কীটনাশক ধুয়েমুছে সাফ। জমিতে জলও জমে গিয়েছে। এবছর ফলন যে কী হবে কে জানে।
আচমকা বৃষ্টিতে বিপাকে পড়েছেন রামপুরহাটের আর এক চাষি সুবল মণ্ডল। তিনি বলেন, নাবিধসা রোগ প্রতিরোধ করতে পেরে ভালো ফলনের আশা করেছিলাম। কিন্তু, এই বৃষ্টি ও মেঘলা আবহাওয়া দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে তুলেছে। তাই ফলন নিয়ে চিন্তায় আছি। নলহাটির পোধরা গ্রামের কল্যাণ মণ্ডল বলেন, বিঘাখানেক জমিতে আলু লাগিয়েছিলাম। তার মধ্যে অর্ধেক জমির আলুতে নাবিধসা দেখা দিয়েছে। কীটনাশক স্প্রে করা হয়েছে। এই সময় রোদ যত ভালো হবে, ততই ভালো। কিন্তু, এদিনের বৃষ্টিতে ফের নাবিধসা রোগের প্রকোপ বাড়বে। ঋণ নিয়ে ভাগের জমিতে চাষ করেছি। ফলন ভালো না হলে ঋণ মেটাব কী করে ভেবে পাচ্ছি না।
শুধু চাষিরাই নন, বিপাকে পড়েছেন ক্রেতারাও। বাজারে নতুন আলুর জোগান কম থাকায় চড়া দামে আলু কিনতে হচ্ছে তাঁদের। রামপুরহাটের বাসিন্দা রবিন চট্টোপাধ্যায়, সিরাজুল শেখ বলেন, গতবছর এই সময় আট-ন’টাকা কেজি দরে আলু কিনেছি। এবার কেজিপ্রতি দর ২০ টাকা। আলু ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, নতুন আলুর অধিকাংশই আসছে বিহার থেকে। ফলে, দাম কিছুটা হলেও চড়া।
রামপুরহাট মহকুমা কৃষি আধিকারিক জগন্নাথ অধিকারী বলেন, এই বৃষ্টি ও মেঘলা আবহাওয়া চার-পাঁচদিন স্থায়ী হলে আলুচাষের ব্যাপক ক্ষতি হবে। নাবিধসা রোগ দেখা দেবে। তবে, একদিনের হাল্কা বৃষ্টিতে ততটা ক্ষতি হবে না।