কর্ম, বিদ্যা ক্ষেত্রে উন্নতির যোগ। আয় ব্যয় ক্ষেত্রে সমতার অভাব। স্বাস্থ্য ভালো থাকলেও আঘাতযোগ থাকায় ... বিশদ
নীলাঙ্কুরের ঝুলিতে এখনও পর্যন্ত মোট পাঁচটি মেগা। তার মধ্যে তিনটিতে তাঁকে দেখা গিয়েছে মুখ্য ভূমিকায়। সম্পূর্ণ ভিন্ন চরিত্র তিনটিই। বললেন, ‘আমি সৌভাগ্যবান তিন ধরনের চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছি।’ এই সুযোগ অবশ্য সহজে আসেনি। অডিশন, তারপর মনোনয়ন। একের পর এক ধাপ পেরিয়েছেন তিনি। চরিত্রের প্রয়োজনে নিজেকে ভেঙেছেন। একসময় ‘রাম কৃষ্ণা’র জন্য ওজন বাড়িয়েছিলেন। আবার এখন ‘রাঙামতি তীরন্দাজ’-এ দশ কিলো ওজন কমিয়েছেন। ‘আমি দেখেছি কম বয়সি পাইলটদের শরীরের গঠন ও ভাষাটা বিরাট ফ্যাক্টর।’
অভিনয় জীবনে আরও একটি ‘ফ্যাক্টর’কে অগ্রাধিকার দিতে চান নীলাঙ্কুর। সেটা প্রথাগত শিক্ষা। অভিনেতা-অভিনেত্রীদের শিক্ষিত হওয়াটা অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করেন তিনি। ‘তুলনামূলক সাহিত্য নিয়ে পড়াশোনাটা অনেকক্ষেত্রে আমার অভিনয়ের সাহায্য করে। চরিত্রে নিজস্ব ইনপুট যোগ করতে, রেফারেন্স হিসেবে কাজে লাগে’, বললেন তিনি। ইদানীং একের পর এক ধারাবাহিকে অভিনয় করছেন নীলাঙ্কুর। কিন্তু সিনেমা দিয়েই তাঁর অভিনয়ে হাতেখড়ি। দেবায়ুশ চৌধুরীর পরিচালনায় একটি ছবিতে অভিনয় করেছিলেন তিনি। সেখানেই সান্নিধ্য পেয়েছিলেন কিংবদন্তি সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের। ‘আমি দেখতাম, কলটাইমের পনেরো মিনিট আগে ঢুকতেন সৌমিত্রবাবু। একজন অভিনেতা টেকনিক্যালি পারফেক্ট হলে শটের মধ্যে কী কী করতে পারেন, দু’-তিনদিন আমি সেগুলো যতটা পেরেছিলাম, শেখার চেষ্টা করেছিলাম। ওই কয়েক ঘণ্টার স্মৃতি, শিক্ষা আমার আজীবনের পাথেয় হয়ে থাকবে,’ নীলাঙ্কুরের দৃষ্টিতে একলব্যর একাগ্রতা।