কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। উপার্জন ভাগ্য ভালো। কর্মে উন্নতির যোগ আছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা মিলবে। ব্যবসা ... বিশদ
‘ভিঞ্চি দা’ ছবিতে আপনার চরিত্র জয়া তোতলা। অভিনয় করাটা কতটা কঠিন ছিল?
অনেকটাই। এই ধরনের চরিত্রের অবয়ব আমার চেনা। কিন্তু তোতলা চরিত্রে অভিনয় করিনি বলে একটু লোভও ছিল। আর বিশেষভাবে সক্ষম কোনও চরিত্রে অভিনয় করাটা যে কোনও অভিনেতার কাছেই চ্যালেঞ্জিং। অভিনেতা হিসেবে নিজেকে চেনা যায়। আর আমি সবসময় দেখেছি ছবিতে তোতলামোর পরিধি অভিনেতা বা দর্শক কেউই ঠিক করতে পারেন না। হয় বলবেন ওভার অ্যাক্টিং বা না হলে বলবেন, আরও একটু ভালো হতে পারত।
সৃজিত কীভাবে সাহায্য করেছেন?
কেউ প্রতি বাক্যে বা কেউ প্রতি শব্দে তোতলায়। রেগে গেলে একটা সময় আমি নিজে স্ট্যামার করতাম। তাই সৃজিতদার সঙ্গে আমার দীর্ঘ সময় কথা হতো। ফলে ও কী চাইছে সেটা আমার কাছে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল।
আপনি বলছিলেন চরিত্রের অবয়বটা চেনা। ‘দুর্গা সহায়’ বা ‘ক্রিসক্রস’ ছবিতেও তো আপনাকে এই ধরনের চরিত্রে দেখা গিয়েছিল।
আসলে যে কোনও উত্তর কলাকাতার নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে আসা মহিলার অবয়ব হয়তো এরকমই। কিন্তু তাঁদের সংগ্রাম বা জীবনবোধ পরস্পরের থেকে আলাদা। তাই প্রত্যেকটা চরিত্রই একে অপরের থেকে আলাদা।
ঋত্বিকের সঙ্গে আগেও আপনি কাজ করেছেন। এই ছবিতে রুদ্রনীলের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা কীরকম?
দু’জনেই আমার সিনিয়র এবং পছন্দের অভিনেতা। ঋত্বিকদার সঙ্গে এই ছবিতে আমি স্ক্রিন শেয়ার করিনি। ‘রাজকাহিনী’তে রুদ্রদার সঙ্গে ছোট্ট অংশ ছিল। ব্যোমকেশে স্ক্রিন শেয়ার করিনি। সেই হিসেবে এই ছবিতেই অনেকটা কাজ করলাম আমরা। ওর কমিক টাইমিংয়ের তুলনা হয় না। শ্যুটিংয়েও প্রচুর সাহায্য করেছে।
অন্য প্রসঙ্গে আসা যাক। ‘ভূমিকন্যা’য় অভিনয় করে আপনি কতটা খুশি?
দেখুন খুশি বা সন্তুষ্ট হওয়াটা আপেক্ষিক। যখন অভিনয় করব ভাবছি তখন সেই সময়ের একটি জনপ্রিয় চ্যানেলের নন ফিকশন প্রোমো শ্যুট করেছিলাম। তখন আমি স্কুলে পড়ি। বিশ্বাস করুন, কাজটা শেষ হওয়ার পর মনে হয়েছিল এই তো জীবনে সব পেয়ে গেলাম। আমি এটাই করতে চেয়েছিলাম। কয়েক মাস পর মনে হয়েছিল, না এটা কিছুই নয়। আমি অভিনয় করতে চাই। অনেকগুলো মানুষের যৌথ প্রয়াস ‘ভূমিকন্যা’। তাই একটা সাক্ষাৎকারে চারটে অভিযোগ করলে তাঁদের অসম্মান করা হবে। কেননা চ্যানেলের কাজ মানে ‘এটা আমার হাতে নেই’ শুনতে হবে। তাই দেখলাম দোষারোপ করতে করতে আমি ক্লান্ত হয়ে পড়ছি।
আর দর্শকের প্রতিক্রিয়া?
কিছু দর্শকের খুবই পছন্দ হয়েছে। শুনে খুশি হয়েছি। আবার কেউ কেউ বলেছেন যে ‘আপনারা তো শেষে গল্পটাই গুলিয়ে ফেলেছিলেন!’ আমি সেটাও মেনে নিয়েছি।
তার মানে গঠনমূলক সমালোচনার জন্য আপনার দরজা সবসময়ই খোলা?
একশোবার। কেউ থিয়েটার করলে সবটা তাঁর নিয়ন্ত্রণে থাকে। সিনেমার শ্যুটিংয়ের আগে চিত্রনাট্য থাকে। কিন্তু টিভিতে তো তা নয়। প্রোজেক্টের সঙ্গে যুক্ত থেকেও আমরা শুধু অভিনয়টুকুই করি।
বিরসা দাশগুপ্তর নতুন ছবি ‘বিবাহ অভিযান’ এ আপনার চরিত্রটা কীরকম?
এখানেও আমি রুদ্রদার বিপরীতে। মেয়েটা সিরিয়ালের ভক্ত। এর বেশি এখন বলা নিষেধ।
‘ভিঞ্চি দা’র সেটের কোনও উল্লেখযোগ্য ঘটনা?
(একটু ভেবে) সেটে নয়। তবে একটা কাণ্ড হয়েছিল। (হেসে) ভুল করে কালী পুজোর দিন শ্যুটিংয়ের ডেট রাখা হয়েছিল। উত্তর কলকাতার শ্যুটিংয়ের বাড়িটা পেতেও সমস্যা হয়েছিল। অগত্যা নতুন লোকেশন। লাইট কমে আসছে। এদিকে রাতে বাড়িতে অতিথি আসার কথা। কিন্তু শ্যুটিং শেষ হল রাত দশটা!
সৃজিতের থেকে ছুটি চাইলেন না কেন?
সৃজিতদার থেকে কে তাড়াতাড়ি ছুটি চায়, সেটা জেনে আমাকে একটু তাঁর নামটা বলবেন তো! (মুচকি হাসি)
সৃজিতের পরের ছবি স্বপ্না বর্মনের বায়োপিক। আপনি নাম ভূমিকায়। প্রস্তুতি কতদূর?
জিম করছি। মেদ কমিয়ে পেশী বাড়াতে হবে। সাতটা ইভেন্টের প্রস্তুতি মুখের কথা নয়। আমার ট্রেনিংয়ে সাহায্য করবেন সুভাষ সরকার। এখনও চিত্রনাট্যর কাজ চলছে। বিরসাদার ছবির পর এই ছবির কাজ শুরু করব।
স্বপ্নার সঙ্গে তো আপনার দেখাও হয়েছিল।
হ্যাঁ। সৃজিতদা নিয়ে গিয়েছিল। ওঁর সঙ্গে কথা বলে অনেক কিছু জানতে পারলাম। একসঙ্গে ছবি তুললাম। একে অপরের ফোন নম্বর নিলাম। বেশ বন্ধুত্ব হয়ে গিয়েছে (হাসি)।
ছবির পাশাপাশি আপনি তো মঞ্চে নাটকও করছেন।
হ্যাঁ। হাওড়া নটধার নাটক ‘মহাভারত’। আমি সেখানে দ্রৌপদীর চরিত্রে (হাসি)।
অভিনন্দন দত্ত