কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। উপার্জন ভাগ্য ভালো। কর্মে উন্নতির যোগ আছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা মিলবে। ব্যবসা ... বিশদ
এখন চারপাশে তো শুধুই আপনার বিয়ের খবর।
আমি এখনই বিয়ে করছি না। আর বিয়ে করলে বাড়ির ছাদে উঠে চিৎকার করে সেটা ঘোষণা করব। আমি তো বিয়ের বিরোধী নই যে লুকিয়ে যাব!
‘কলঙ্ক’ ছবিতে আপনাকে দেখে রণবীর কী বললেন?
খুব খুশি। আর খুব স্বাভাবিক যে রণবীর আমাকে পছন্দ করবে এবং প্রশংসাই করবে।
আপনি এবং রণবীর দু’জনেই প্রতিভাবান। অভিনয় নিয়ে দু’জনের কথা হয়?
এত তাড়াতাড়ি বলা কঠিন। ওর সঙ্গে আবার কাজ করার ইচ্ছে রয়েছে। ওর চোখের মধ্যে একটা সততা লুকিয়ে রয়েছে। আর ভালো অভিনেতার সঙ্গে কাজ করার ফল ‘ব্রহ্মাস্ত্র’। বাবা তো বচ্চন স্যারকে (অমিতাভ বচ্চন) বলেছিলেন সেটে এসে আমাদের অভিনয় দেখবেন। রণবীর ও আমার কেমিস্ট্রির রহস্য নিয়ে আমি বলতে পারব না। সেদিন অ্যাওয়ার্ড ফাংশনে যেটা করেছিলাম সেটা পুরোটাই ওর প্রতি কৃতজ্ঞতা থেকে।
এই ছবিতে আপনার লুকের জন্য কীভাবে প্রস্তুতি নিয়েছিলেন?
আমার কোনও কৃতিত্ব নেই। সবটাই পরিচালক অভিষেক বর্মন ও মণীশ মালহোত্রার কামাল। আমি শুধু সেটে গিয়ে অভিনয় করেছি। ভারী গয়না, ঘাগড়া বা শাল পরতে হয়েছিল। বেশ কঠিন।
আর চরিত্রের জন্য?
অনেক পুরনো ছবি দেখেছিলাম। যেমন ‘সিলসিলা’, ‘মুঘল এ আজম’, ‘উমরাওজান’। আবার ‘জিন্দগি গুলজার হ্যায়’ দেখতে বলেছিলেন পরিচালক। কারণ ছবিতে আমার চরিত্র রূপের সঙ্গে ওই ধারাবাহিকের মূল চরিত্রের মিল রয়েছে।
আর বাবা- মা কী বলছেন?
নিজেকে দেখে প্রথমে নিজেই চমকে গিয়েছিলাম। মা বিশেষ একটা প্রশংসা করেননি। শুধু বলেছিলেন যে ভালো করেছি। বাবা ট্রেলর দেখতে চেয়েছিলেন। আমার এবং আদির (আদিত্য রয় কাপুর) দৃশ্যগুলো। কারণ আগে আদি বাবার সঙ্গে কাজ করেছে। আর দেখার পর বাবা আমাকে লম্বা লম্বা মেসেজ পাঠিয়েছিলেন যেটা তিনি আগে কখনও করেননি। লিখেছিলেন ‘আমি যে মহিলাকে দেখে মুগ্ধ হলাম তিনি কে?’
এখন আলাদা থাকেন। মাকে কতটা মিস করেন?
খুব। প্রতিদিন সকালে দশ মিনিট সারা দিনের কাজ নিয়ে মায়ের সঙ্গে কথা হয়। অন্য সময়ে ভিডিও কলে কথা হয়।
এই ছবি তো চিরকালীন প্রেমের কথা বলে। আপনি এইরকম প্রেম অনুভব করেছেন?
অনুভব করতে পারছি। কিন্তু এই ছবিটার মধ্যে আরও অনেক কিছু লুকিয়ে রয়েছে। ছ’জন মানুষের আলাদা আলাদা গল্প, কিন্তু চলছে সমান্তরালে। মানুষের জীবনের নাটকীয়তা যার মধ্যে থ্রিলার লুকিয়ে রয়েছে।
এই প্রথম মাধুরী দীক্ষিতের মতো অভিনেত্রীর সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা কীরকম?
জীবনের বিশেষ একটা মুহূর্ত। প্রথম দিন তো রাতে ঘুমোতে পারিনি! প্রথম আমরা দু’জন ফ্লোরে। একটা যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে শ্যুট পিছিয়ে গেল। কিন্তু ওরঁ সঙ্গে কী কথা বলব বুঝতে পারছিলাম না। হাত কাঁপছিল। খুবই ঠান্ডা মাথা। অসামান্য সুন্দরী। শ্যুটিংয়ের সময় আমরা একইরকম ডায়েটে ছিলাম। কথা হতো। আমাদের গানের দৃশ্যটায় ভারী পোশাকের জন্য ক্লান্ত হয়ে পড়লে তিনি ‘দেবদাস’-এর সময় তাঁর একইরকম অভিজ্ঞতার কথা শোনাতেন। আমিও সেটা শুনে মণীশকে ডেকে পোশাকের ওজন কমিয়েছিলাম।
মাধুরী নাচবেন না জেনে আপনার টেনশন কমেছিল?
পরিচালক চেয়েছিলেন মাধুরী নাচবেন। কিন্তু আমি বলেছিলাম যে আমার পাশে তিনি নাচলে আমি নার্ভাস হয়ে পড়ব।
এই বছর তো প্রচুর পুরস্কার জিতলেন।
অবিশ্বাস্য ব্যাপার। পরপর ভালো ভালো ছবি সাইন করলাম। ঈশ্বরের কাছে আমার কৃতজ্ঞতার শেষ নেই। দেখুন, সেটে গিয়ে পরিচালকের কথা মতো কাজটা করতে পারলাম কি না সেটা আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। তারপর কে কী বলল বা আমি এক নম্বর না দু’নম্বর সেটা নিয়ে মাথা ঘামাই না। তাই দর্শকের ধন্যবাদ জানানোর একটাই রাস্তা, আরও মন দিয়ে অভিনয় করা। ছবি না চললে নিজের জন্য খারাপ লাগে না। খারাপ লাগে এটা ভেবে যে দর্শককে আমি হতাশ করেছি।
বরুণের সঙ্গে এই নিয়ে চারটে ছবি করলেন।
আগে কখনও করিনি এরকম দুটো চরিত্রে এবার অভিনয় করেছি। নতুন অভিজ্ঞতা। আমি বিশ্বাস করি বরুণের সঙ্গে আমার পূর্বজন্মের কোনও যোগসূত্র আছে (হাসি)। আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে ভালো লাগে। বরুণ দেখা হলেই বলে আমি নাকি বড় অভিনেত্রী হয়ে গিয়েছি। কিন্তু ও জানে যে ওর জন্য আমার দরজা সবসময় খোলা থাকবে।
আপনার ছোটবেলায় সঞ্জয় দত্তর কোনও স্মৃতি মনে রয়েছে?
সঞ্জু স্যার আমার বাবাকে নিয়ে অনেক কথা বলেন। পুরনো গল্প বলতে ভালোবাসেন। খুবই শক্তিশালী অভিনেতা। আমার বোন শাহিন ওঁর ভক্ত। ওঁদের প্রায়ই কথা হয়।