উপস্থিত বুদ্ধি ও সময়োচিত সিদ্ধান্তে শত্রুদমন ও কর্মে সাফল্য, ব্যবসায় গোলোযোগ। প্রিয়জনের শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। উচ্চশিক্ষায় ... বিশদ
অবশ্য, ইতিমধ্যে এপার বাংলায় দু’টি বড় কাজ সেরে ফেলেছেন সুদর্শন। তার একটি ‘মুখোমুখি’। যেটি আজ, শুক্রবার মুক্তি পাচ্ছে। কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায় পরিচালিত এই ছবিতে কনটেম্পরারি ডান্সের অ্যাবস্টাক্ট ফর্ম-এর একটি বিশেষ রূপ ফুটে উঠবে বলে শিল্পী জানালেন। এই ছবিতে তাঁর উপর চিত্রায়িত একটি মিউজিক পিস থাকছে। সেই অংশটি গল্পের তালে তালে বার বার ফিরে আসবে। ছবির গল্পে গানকে যেমন ভাবের বাহন করা হয়, তেমনই ‘মুখোমুখি’তে নাচটাকে ভাব প্রকাশের বাহন হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে সুদর্শনের বক্তব্য, ‘গান ছাড়া শুধুমাত্র যন্ত্রসঙ্গীতের উপর আধারিত কোরিগ্রাফি পিস এর আগে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের নির্বাক বা মৈনাক ভৌমিকের ‘টেক ওয়ান’-এ ব্যবহার করেছি। কমলদার মুখোমুখিতে এই বিষয়টাই আরও একধাপ এগিয়ে ব্যবহার হয়েছে। চিরাচরিত নাচ বলতে আমরা যা বুঝি, তার থেকে বিষয়টা একেবারেই আলাদা।’ এছাড়াও এই ছবিটিতে সুদর্শনের দল স্যাফায়ারের একটা গ্রুপ পারম্যান্সও রয়েছে।
কমলেশ্বরের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে নৃত্যপরিচালক জানালেন, ‘কমলদা একেবারে ঠান্ডা মাথার মানুষ। একদিন সারাদিন কাজের পর জানতে পারলাম, যান্ত্রিক কারণে সেই ফুটেজ একটুও ব্যবহার করা যাবে না। একটা সারাদিনের কাজ নষ্ট হয়ে যাওয়ার যে টেনশন, সেটা কিন্তু কমলদা আমার কাছ পর্যন্ত পৌঁছতে দেননি। শুধু ঠান্ডা মাথায় শান্তভাবে বলে গেলেন, আর একটা দিন শ্যুটিংয়ের সময় দিতে হবে।’
এতকিছুর মধ্যেই পরিচালক অনীক দত্তর সঙ্গে দ্বিতীয় কাজটিও সেরে ফেলেছেন সুদর্শন। ‘আশ্চর্য প্রদীপ’-এর পর এবার ‘ভবিষ্যতের ভূত’। ‘আশ্চর্য প্রদীপ’-এ ক্যামেরার সামনেও তাঁকে দেখা গিয়েছিল। তবে, এবার পুরো ভূমিকাটাই ক্যামেরার পিছনে। ‘ভবিষ্যতের ভূত’-এ চান্দ্রেয়ীর ক্যাবারে ডান্স এবং স্বস্তিকার সোলো ডান্স কোরিওগ্রাফও তাঁর করা। এই নাচ দু’টির জন্য চান্দ্রেয়ী ও স্বস্তিকা যেভাবে পরিশ্রম করেছেন, তার জন্য তাঁদের ভূয়সী প্রশংসা করলেন নৃত্যপরিচালক।
এছাড়াও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত আগামী বিশ্ববঙ্গ সম্মেলনে পারফর্ম করবেন সুদর্শন। এত ব্যস্ততার মধ্যে একটি নাচ প্রধান ছবি তৈরি করার ইচ্ছা রয়েছে তাঁর। নিজে যখন নাচের জগতে এসেছিলেন, তখন অনেক ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ শুনতে হয়েছে। ধরে নেওয়া হতো নাচ মেয়েদের শিল্পকলা। ছেলেরা নাচছে এটা অনেকেই ভালো চোখে দেখত না। অবশ্য, এখন পরিস্থিতি অনেকটা বদলেছে। পুরুষরাও নাচের প্রতি সমানভাবে আকর্ষিত হচ্ছেন, এতে খুশি কোরিওগ্রাফার সুদর্শন।