পুজোপাঠে ও সাধুসঙ্গে মানসিক শান্তিলাভ। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর কর্মোন্নতি ও উপার্জন বৃদ্ধি। ... বিশদ
গভীরভাবে শ্বাস: উত্তেজনার মুহূর্তে আমাদের শ্বাসপ্রশ্বাসের গতি বেড়ে যায়। আপনি বরং চেষ্টা করুন ধীরে ধীরে শ্বাসপ্রশ্বাস চালাতে। স্নায়ু শান্ত হবে।
ভাবনার গতিপথ বদল: অধিকাংশ ক্ষেত্রে আমরা নিতান্ত সামান্য বিষয় নিয়ে তর্কে জড়িয়ে পড়ি। ভেবে দেখুন, এই যে অশান্তির সৃষ্টি হচ্ছে, আগামীকাল বা আগামী সপ্তাহে আপনার জীবনে এর কোনও গুরুত্ব থাকবে কি না। আরও ভেবে দেখুন, আপনি উত্তেজিত অবস্থায় যা বলছেন বা যা করছেন, তা অশোভন হয়ে দাঁড়াচ্ছে কি না, ভবিষ্যতে এ ঘটনার স্মৃতি আপনার লজ্জার কারণ হয়ে দাঁড়াবে কি না। যিনি এ মুহূর্তে আপনার ‘প্রতিপক্ষ’, তাঁর বিষয়েও চিন্তা করুন। আপনি কি এই মানুষটাকে নিজের শান্তিভঙ্গের কারণ হয়ে উঠতে দিতে চান? এভাবে ভাবলে শান্ত হতে পারবেন সহজেই।
বিষোদ্গার সত্য নয়: কেউ কেউ ব্যক্তিগত বা পারিবারিক বিষয়ে সংবেদনশীল মন্তব্য করে বসেন। এমন পরিস্থিতিতেও মাথা ঠান্ডা রাখাই কর্তব্য। কেউ বিরূপ মন্তব্য করলেই কিন্তু তা সত্যি হয়ে যাচ্ছে না। আপনি ভদ্রভাবে তাঁর সঙ্গে কথা বলুন। এমন অসত্য কথার মাধ্যমে বিষোদ্গার করতে নিষেধ করুন। পরে শান্তভাবে তাঁকে বুঝিয়ে বলুন, তাঁর বক্তব্যের কোথায় ভুল ছিল।
নিজেই নিজেকে সাহায্য করুন: কথার পিঠে উত্তর না দিয়ে নিজেকে শান্তরূপে কল্পনা করুন। এভাবে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করাটা সহজ হয়ে উঠবে।
অন্যদিকে মন দিন: তর্কের বিষয় ছাপিয়ে মনকে অন্য কিছুর দিকে নিয়ে যান। ঝগড়ার জায়গা থেকে চলে যেতে পারেন। অল্প সময়ের জন্য হলেও একেবারে ঘরের বাইরে খোলা হাওয়াতে যেতে পারেন। চাইলে মজার কোনো ভিডিও দেখতে পারেন।
লিখে ফেলুন মন যা চায়: কথা বলতে গেলে হয়তো আপনি উত্তেজনাকর কিছু একটা বলে ফেলবেন বলেই মনে হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে একটা কাগজে লিখে ফেলুন মন যা চায়। সম্পূর্ণ বাক্য না হলেও ক্ষতি নেই। খারাপ লাগার বহিঃপ্রকাশ হতে পারে এভাবেই।
কাছের মানুষের সাহায্য নিন: যা নিয়ে খারাপ লাগছে, তা নিয়ে পেশাদার কাউন্সেলরের সাহায্য নিতে পারেন। তাতে ভালোই থাকবেন।