হঠাৎ পাওয়া যোগাযোগের মাধ্যমে কর্ম জটিলতার অবসান ও মানসিক চিন্তামুক্তি। আয় ব্যয়ের ক্ষেত্র ঠিক থাকবে ... বিশদ
‘হরেকরকম হাতের কাজ’ অন্যরকম বিভাগ। এখানে ফেলে দেওয়া অপ্রয়োজনীয় জিনিস কাজে লাগিয়ে কেমন করে ক্রাফ্ট তৈরি করা যায়, থাকছে তারই হদিশ। এবারের বিষয় রঙিন টেবিল ল্যাম্প। এমন হাতের কাজ শেখানো হচ্ছে, যা কিশোর-কিশোরীরা অনায়াসেই বাড়িতে বসে তৈরি করতে পারবে।
তোমাদের সকলের বাড়িতে নিশ্চয়ই টেবিল ল্যাম্প আছে। পড়ার টেবিলে লেখাপড়ার সময় সেটা জ্বালাতে হয় তো? আচ্ছা বাতিটার চেহারা কেমন? রং কী? সাদা বা কালো? কিংবা একরঙা অন্য কোনও রংয়ের, তাই তো? যদি বলি আজ সেই বাতিটিকেই ফুলের ছবিতে সাজানোর আইডিয়া দেওয়া হবে! তাহলে কেমন হবে? কী হল, মনে ধরল ভাবনাটা? এখন মন ছটফট করছে তো এই আইডিয়াটা শেখার জন্য? চল আজ রঙিন টেবিল ল্যাম্প তৈরির কৌশল শিখে নেওয়া যাক।
ডিজাইনারের বাড়িতে একটা সাদা রঙের টেবিল ল্যাম্প ছিল। এলইডি ল্যাম্প। স্যুইচ অন করলেই আলোয় ভরে যায় আশপাশ। কিন্তু বাতির রংটি মোটেও মনে ধরছিল না তাঁর। কী করবেন ভাবতে ভাবতেই মনে হল এর ওপর রঙিন ছবি আঁকলে কেমন হয়? যেমন ভাবনা তেমন কাজ। চটপট রং আর তুলি নিয়ে বসে দারুণ নকশা বানিয়ে ফেললেন তিনি টেবিল বাতির মাথায়। এমন কারুকাজ তোমরাও করতে পার। তার জন্য কী কী লাগবে জেনে নাও।
উপকরণ: টেবিল ল্যাম্প, মোটা পেন্সিল, পছন্দ সই রং, সরু ও মোটা তুলি।
পদ্ধতি: টেবিল ল্যাম্পের মাথার উপর যে ঢাকনা থাকে সেটার গায়ে মোটা পেন্সিল দিয়ে মনের মতো ছবি এঁকে নাও। এবার সেই ছবির লাইন বরাবর সরু তুলি দিয়ে বর্ডার আঁক। শুকতে দাও। তারপর ভেতরে অন্য কোনও রং দিয়ে ভরাট করে দাও নকশাটা। এবার একটু মোটা তুলি দিয়ে ভরাট করার কাজটা কর। দু’ থেকে তিনটে রং ব্যবহার করে আঁকা শেষ করতে হবে, জানালেন ডিজাইনার। অনেক ধরনের রং ব্যবহার করলে দেখতে ভালো লাগবে না। পুরো কাজটা শেষ হলে রং শুকিয়ে নাও। তারপর দেখবে কেমন দারুণ রঙিন একটা টেবিল ল্যাম্প তৈরি করে ফেলেছ তোমরাই।