Bartaman Patrika
হ য ব র ল
 

পৃথিবীর কাছে মহাকাশে ঝুলন্ত শহর! 

একদিনের ছুটিতে স্পেস ট্যাক্সিতে চেপে চট করে ঘুরে এলে পৃথিবীর কাছেই স্পেস সিলিন্ডারে তোমার মামাবাড়ি থেকে...। ভবিষ্যতে কিন্তু এরকম হতেই পারে। জানাচ্ছেন সুপ্রিয় নায়েক।

মঙ্গলে বসতি স্থাপনের চেষ্টা অনেকদিন ধরেই হচ্ছে। তবে এই চেষ্টার সঙ্গে বেশ কিছু প্রশ্নও উঠে আসছে। কেমন প্রশ্ন? প্রথমত মঙ্গলে বাস করতে হলে ওই গ্রহের বায়ুমণ্ডলকে তৈরি করতে হবে পৃথিবীর মতো। অর্থাৎ অক্সিজেনপূর্ণ বায়ুমণ্ডল না হলে মঙ্গলে বাস করা যাবে না! কেউ কেউ দাবি করছেন, অক্সিজেনপূর্ণ বায়ুমণ্ডল পেতে চাইলে মঙ্গলের দুই মেরুতে জমে থাকা শুকনো বরফে পরমাণু বোমা ফেলতে হবে। ফলে মঙ্গল ক্রমশ উষ্ণ হতে থাকবে। বায়ুমণ্ডল পূর্ণ হতে থাকবে কার্বনডাই অক্সাইডে! এরপর এই কার্বনডাই অক্সাইড থেকেই ধীরে ধীরে তৈরি হবে বায়ুমণ্ডল। আর তারও অনেক বছর পরে নানা প্রক্রিয়ার হাত ধরে মঙ্গলের বায়ুমণ্ডল অক্সিজেনে পূর্ণ হয়ে উঠবে! মোট কথা, খুব দ্রুত কিছু করার উপায় নেই।
আবার সমস্যা হল, পৃথিবীতে জনসংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। কমছে থাকার জায়গা। বাড়ছে দূষণ! ফলে কমছে জমির উর্বরতা। দূষণের কারণে জলবায়ুতেও প্রভাব পড়ছে! তাই বসবাস এবং চাষবাসের বিকল্প একটা ব্যবস্থা চট করে না করতে পারলেই নয়।
উপায় কী?
একবার চোখ বন্ধ করে কল্পনা করো, তোমার বামদিকে একটা বিশালাকার সবুজ মাঠ! সবুজ মাঠের মধ্যে রঙিন কতগুলো বাড়ি। মাঠ যেখানে শেষ হয়েছে সেখান থেকেই শুরু হয়েছে ঘন সবুজ জঙ্গল। সেই জঙ্গল ক্রমশ উঠে গিয়ে ঢেকে দিয়েছে একটা ছোট পাহাড়কে! এবার তুমি ডান দিকে তাকালে! দেখলে বিরাট সোনালি ধানের খেত! খেতের পাশে নীল হ্রদ! মাঠ আর ধানের খেতের মধ্যে দিয়ে একটা মাটির রাস্তা। ওই রাস্তার পাশেই রয়েছে তোমার বাড়ি! বাড়ির পাশেই একটা আপেল আর কমলালেবুর গাছ! সারাবছর সেই গাছে ফলছে আপেল আর কমলালেবু। তাদের মিষ্টি স্বাদ তোমার জিভে লেগে আছে এখনও। তোমার বাড়ির পাশে একটা পার্কও রয়েছে। সেখানে তোমার বয়সি ছেলে-মেয়েরা খেলে বেড়াচ্ছে রঙিন জামাকাপড় পরে। পার্কের ভিতরে কত নাম না জানা ফুলের গাছ! সেইসব গাছের পাতা বেঁধে বাসা তৈরি করেছে কতশত পাখি। চোখের সামনে উড়ে বেড়াচ্ছে লাল-সবুজ-কমলা প্রজাপতির দল! ঠিক যেন বসন্ত ঋতু! আর সবচাইতে বড় কথা হল, মাথার উপরে রয়েছে ঝকঝকে পরিষ্কার আকাশ! সাদা মেঘের দল! তবু কিছু একটা যেন অন্যরকম ঠেকছে! আকাশ এত নীল হল কী করে! তাছাড়া দিগন্ত রেখাও যেন বড্ড বেশি বক্রাকার মনে হচ্ছে যেন! এমন মনে হওয়ার কারণ একটাই। তুমি যে জমিতে দাঁড়িয়ে রয়েছ, সেই জমির দৈর্ঘ্য মাত্র ১৬ মাইল! সমগ্র জমিটা আসলে রয়েছে একটা দৈত্যাকার স্বচ্ছ সিলিন্ডারের অন্দরে! আর গোটা সিলিন্ডারটার ব্যাস চার মাইল! সিলিন্ডারটি ভেসে রয়েছে মহাকাশে! পৃথিবীর গা ঘেঁষে!
অবাক লাগছে! মনে হচ্ছে আজগুবি কথা? অথবা কল্পবিজ্ঞানকে সম্বল করে কোনও সিনেমার চিত্রনাট্য লেখা হচ্ছে? মোটেই না। জানলে অবাক হবে, ১৯৭০-এর দশকে আমেরিকান পদার্থবিদ জেরার্ড কে ও’নিল এমনই স্বচ্ছ সিলিন্ডারের মধ্যে বাস করার পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছিলেন! সেই সময় অনেকেই ও’নিলের পরিকল্পনাকে গুরুত্ব না দিলেও, এখন বহু বড় ব্যবসায়ীই চাইছেন ওনিলের সেই পরিকল্পনাকে কাজে লাগিয়ে মহাকাশে এমন বসবাস যোগ্য সিলিন্ডার তৈরি করার!
কীভাবে?
সিলিন্ডার তৈরি করে বসবাস করব বললেই তো আর হল না! অনেকগুলো প্রশ্ন রয়েছে। প্রথমত সিলিন্ডার যখন মহাকাশে ঝুলবে তখন বোঝাই যাচ্ছে তার মধ্যে পৃথিবীর অভিকর্ষ বল কাজ করবে না! তাহলে সেখানে কীভাবে মানুষ থাকবে! গাছপালা, জল সিলিন্ডারের জমি আঁকড়ে থাকবে কী করে! সবই কিন্তু শূন্যে ভাসবে! তাহলে?
প্রযুক্তিবিদ এবং বেশ কিছু বিজ্ঞানী বলছেন, প্রতি ২ মিনিটে মহাকাশের মধ্যে সিলিন্ডারটা একপাক ঘুরে যেতে পারলে সিলিন্ডারের মধ্যে ‘সেন্ট্রিপিটাল ফোর্স’ বা কেন্দ্রমুখী বল তৈরি হবে। এই কেন্দ্রমুখী বলই সিলিন্ডারের ভিতরের গায়ে থাকা বস্তুর জন্য ‘অভিকর্ষ বল’ হিসেবে কাজ করবে। ফলে সিলিন্ডারের ভিতরের গাত্রে থাকা মানুষেরা ভেসে বেড়াবে না! খটমট ঠেকছে! বিষয়টা বোঝার জন্য একটা উদাহরণ দেওয়া যেতে পারে। তুমি একটা বালতিতে জল ভরে তার হাতল ধরে খুব দ্রুত মাথার উপর দিয়ে ঘুরিয়ে নিলেও বালতির জল চলকে পড়ে না! এর কারণ হল মাথার উপরে বালতির জল থাকলেও, ওই অবস্থানে জলের ওজনের চাইতে কেন্দ্রমুখী বলের ক্ষমতা বেশি থাকে। মোটকথা এই কেন্দ্রমুখী বলকে কাজে লাগিয়েই ঘূর্ণায়মান সিলিন্ডারের ভিতরের গাত্রে মানুষ বসবাস করতে পারবে।
তবে এভাবে মহাকাশে সিলিন্ডার ঘুরলে তা ছিটকে চলে যেতে পারে। তাই এই সিলিন্ডারের অবস্থান সঠিক রাখার জন্য পাশাপাশি দু’টি সিলিন্ডার থাকতে হবে। একটি যেদিকে ঘুরবে অন্যটি ঘুরবে তার বিপরীত দিকে!
মজার ব্যাপার হল, সিলিন্ডারে ২৪ ঘণ্টা সূর্যালোক পাওয়া যাবে। ফলে সূর্যের আলো থেকে সহজেই বিদ্যুৎ তৈরি করা যাবে! এককথায় ফ্যান চালানো থেকে শুরু করে মোটরগাড়ি চালানো! সবই হবে সৌরবিদ্যুৎ দ্বারা! প্রশ্ন হল, সারাদিন যদি সূর্যালোক মেলে তাহলে সবাই কি ২৪ ঘণ্টাই জেগে থাকবে? তা নয়। সিলিন্ডারের গায়ে লাগানো থাকবে বিরাট আকারের পাখার মতো সৌরকোষ! এই সৌরকোষগুলি একাধারে সূর্যের আলো থেকে শক্তি সংগ্রহ করবে, তেমনই প্রয়োজনমতো স্বচ্ছ সিলিন্ডারকে চাদরে ঢেকে দিয়ে রাত নামিয়ে আনতে পারবে! এভাবে সিলিন্ডারের মধ্যে ইচ্ছেমতো দিন ও রাত নামিয়ে আনা যাবে!
এমনকী এই সিলিন্ডারগুলির মধ্যে বাতাসের চাপ নিয়ন্ত্রণ করা হবে কৃত্রিম উপায়ে। আবার আবহাওয়া পরিবর্তনের উপায়ও থাকবে মানুষের হাতে। ফলে ইচ্ছে মতো নামানো যাবে বর্ষা। ফসল ফলবে অফুরন্ত! সবচাইতে বড় কথা হল প্রচুর ফসল ফলার কারণে কোথাও আর খাদ্যের অভাব হবে না! এমনকী পৃথিবীতেও খাদ্যের সঙ্কট দেখা গেলে, এই সিলিন্ডারে উৎপাদিত খাদ্য সরবরাহ করা যাবে পৃথিবীতে! বিশালাকায় এই সিলিন্ডার স্থাপন করা হবে পৃথিবী আর চাঁদের ঠিক মাঝখানে। তবে ব্যাপারটা শুনতে যত সহজ লাগছে, বিষয়টা তত সহজ নয়। কেন? দেখা যাক।
সুবিধা আর অসুবিধা!
সূর্য থেকে বেরিয়ে আসা অতিবেগুনি রশ্মি মানব ত্বকের পক্ষে মারাত্মক ক্ষতিকর। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের ওজোন গ্যাসের স্তর সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে আমাদের রক্ষা করে। মহাকাশে ভেসে থাকা সিলিন্ডারে থাকতে হলে এই অতিবেগুনি রশ্মি থেকে বাঁচার উপায় বের করতেই হবে। সিলিন্ডারের যে স্বচ্ছ অংশ দিয়ে সূর্যের আলো ঢুকবে, সেই অংশে এমন কোনও স্তর রাখতে হবে যা অতিবেগুনি রশ্মিকে বাধা দেবে।
এছাড়া, মহাকাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে কতশত গ্রহাণু! সেই গ্রহাণুর সঙ্গে সিলিন্ডারের ধাক্কা লাগার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে! অবশ্য জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, বৃহদাকার গ্রহাণু কয়েক লক্ষ কোটি বছর বাদে বাদে পৃথিবীর আশপাশে আসে। আমাদের বরং চিন্তা করা উচিত ছোট ছোট ঢিলের আকারের গ্রহাণুকে নিয়েই। তাদের সংখ্যা অনেক বেশি!
এছাড়া বিজ্ঞানীরা বলছেন, বেশ কিছু ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া মহাকাশে অতিসক্রিয় হয়ে ওঠে। তাই যাঁরা সিলিন্ডারে থাকবেন, তাঁদের অনেকগুলি টিকা নিতে হবে। এই সব হল সমস্যার কথা। তবে স্পেস সিলিন্ডারে বসবাস করার অন্যান্য সুবিধাও রয়েছে। প্রথমত আমরা নিশ্চিতভাবে জানি না পৃথিবী ছাড়া অন্য কোনও গ্রহে প্রাণ রয়েছে কি না। তাই অনিশ্চিত পথে পা বাড়ানোর তুলনায় নিজের বাড়ির কাছে অন্য একটা থাকার জায়গা গড়ে তোলা অনেকটা সুবিধেজনক। তাছাড়া সূর্যের থেকে একটা নিদির্ষ্ট দূরত্বে রয়েছে পৃথিবী। এই দূরত্বে সূর্যের আলো এবং তাপ প্রাণ রক্ষার পক্ষে সহায়ক। এই কারণেই অন্য গ্রহ নয়, একমাত্র পৃথিবীতেই গড়ে উঠেছে মানবসভ্যতা। সুতরাং পৃথিবীর কাছাকাছি কোনও স্পেস স্টেশন গড়ে তুললে সেখানে নতুন প্রাণের সঞ্চার ঘটানো সহজ হবে। এছাড়া পৃথিবীর কাছাকাছি স্পেস স্টেশন বানিয়ে সেখানে বসবাস করার অন্যান্য সুবিধাও রয়েছে। দূরত্বের কারণে পৃথিবী থেকে অন্য কোনও গ্রহে যেতে হলে সময় লাগতে পারে বেশ কয়েকমাস! সেই জায়গায় পৃথিবী থেকে এইরকম স্পেস সিলিন্ডারে পৌঁছনো যাবে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই! ফলে যে কেউ স্পেস সিলিন্ডারে বসবাস করতে আগ্রহী হবে। আগামী দিনে পৃথিবী থেকে স্পেস সিলিন্ডারে যাওয়ার জন্য ‘স্পেস-ট্যাক্সি’ চালু হলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। সুতরাং ভবিষ্যতে কারও মামার বাড়ি স্পেস স্টেশনে আর পিসির বাড়ি পৃথিবীতে হলে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই! স্পেস ট্যাক্সি ভাড়া করে যে কেউ সারাদিনের মধ্যেই একবার মামার বাড়ি আর একবার পিসির বাড়ি ঘুরে আসতে পারবে!
সিলিন্ডারের কাঠামো ও কিছু প্রশ্ন!
ও’নিল পরিকল্পনা করেছিলেন, একটা ফাঁপা সিলিন্ডারের মধ্যে মানুষের বসবাসের উপযুক্ত জায়গা তৈরি করা হবে। এই সিলিন্ডার তৈরি হবে কাচ এবং অ্যালুমিনিয়ামের মতো ধাতু দিয়ে। সিলিন্ডারের দেওয়ালে থাকবে বড় বড় কাচে ঢাকা জানলা! সেখান দিয়েই ঢুকবে প্রয়োজনীয় আলো! সবচাইতে বড় কথা, এই সিলিন্ডারের মধ্যে থাকবে ‘ওয়াটার সাইকল’! ফলে জলের বাষ্পীভবন হবে। সিলিন্ডারের মধ্যেই ভাসবে মেঘ! হবে বৃষ্টি!
কেউ কেউ বলেন, ও’নিলের এই পরিকল্পনায় কিছু গণ্ডগোল ছিল। কারণ তিনি যখন এই পরিকল্পনা করেছিলেন, তখন এই সিলিন্ডার তৈরির জন্য ১৯৭০ সালের প্রযুক্তির প্রয়োগের কথা ভেবেছিলেন। ভবিষ্যতে যে প্রযুক্তি আরও উন্নত হতে পারে তা তিনি ভেবে দেখেননি।
বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে বিজ্ঞানীরা বলছেন এমন বৃহদাকার কাঠামো তৈরি করতে হলে সবচাইতে উপযুক্ত হল কার্বনের সংমিশ্রণে তৈরি ধাতু! তবে সত্যিকারের সমস্যা একটাই! এই বিশালাকার কাঠামো তৈরির উপাদান বা ধাতু মিলবে কোথা থেকে? কারণ, এমন সিলিন্ডার একটা বা দুটি তৈরি হবে না। তৈরি হবে কয়েক হাজার! এতগুলি সিলিন্ডার তৈরির জন্য পৃথিবীর বুক থেকে এই বিপুল পরিমাণ ধাতু মেলার সম্ভাবনা কম! তাহলে কোথা থেকে সংগ্রহ করা হবে কাঠামো তৈরির ধাতু? এই প্রশ্নের উত্তর হল ‘চাঁদ’। ইতিমধ্যে জানা গিয়েছে, চাঁদের মাটিতে রয়েছে অ্যালুমিনিয়াম, লোহার মতো অসংখ্য ধাতব উপাদান। এমনকী সিলিন্ডারের কাচের জানলা তৈরির জন্য সিলিকনও মিলবে সেখান থেকে। ফলে চাঁদের মাটি খুঁড়ে বিপুল পরিমাণে ধাতু বের করে নিয়ে আসতে পারলেই চলবে। সেই ধাতু দিয়েই তৈরি হবে সিলিন্ডারের কাঠামো। এক্ষেত্রে চাঁদ থেকে ধাতব উপাদান বয়ে নিয়ে আসতে সাহায্য করবে রকেট প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলি। কারণ প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে রকেট প্রস্তুতের খরচও কমেছে অনেকখানি! তাই কম খরচে রকেট তৈরি করে চাঁদে ধাতু বের করে আনার উপযুক্ত যন্ত্রপাতি ও বিশেষজ্ঞদের পাঠানো যাবে। এই ব্যাপারে বিজ্ঞানীরা আশাবাদী। তবে এই দৈত্যাকার সিলিন্ডারের কাঠামো তৈরি হবে কোথায়? মহাকাশে? নাকি পৃথিবীর বুকে? কারও কারও মতে, গোটা কাঠামোটাকে কয়েকটা অংশে ভাগ করে নিতে হবে। তারপর আলাদা আলাদা করে কাঠামোর ওই অংশ তৈরি করতে হবে পৃথিবীর মাটিতেই ও অংশগুলি আলাদা আলাদা করে পাঠাতে হবে মহাকাশে। এরপর মহাকাশেই আলাদা আলাদা অংশগুলি জুড়ে নেওয়ার কাজটি করতে হবে। অবশ্য কেউ কেউ চাঁদের মাটিতেই থ্রিডি প্রিন্টারের সাহায্য নিয়ে কাঠামো তৈরির কথা বলছেন! কারণ চাঁদের মাধ্যাকর্ষণ শক্তি অনেক কম। সেখানে এমন ভারী কাঠামো তৈরি করা সহজ হবে! অবশ্য কারও কারও দাবি, থ্রিডি প্রিন্টারের সাহায্যে মহাকাশেও তৈরি করে নেওয়া যাবে এমন কাঠামো।
খরচ-খরচা?
বেশ! কাঠামোও না হয় তৈরি হয়ে গেল। এখন প্রশ্ন একটাই। এত বড় একটা কাজের জন্য অর্থ মিলবে কোথা থেকে? এক্ষেত্রে বিজ্ঞানীরা বলছেন, মহাকাশে বসবাসের স্বপ্ন পূরণ করতে হলে সারা বিশ্বের রাষ্ট্র নেতাদের একজোট হয়ে কাজ করতে হবে! একটা আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডার তৈরি করে এই কাজ শুরু করা দরকার। এই বিরাট কাজ সফল করতে হলে দরকার সব দেশ থেকেই সব শাখার প্রযুক্তিবিদ ও বিজ্ঞানীদের এগিয়ে আসার। বিশেষ করে একটি কারণেই এই কাজ সফল করে তোলা দরকার, আর তা হল— খাদ্য সঙ্কট দূর করা। এই কাজ সত্যি হলে আর কোনও শিশুকেই অভুক্ত অবস্থায় ঘুমোতে হবে না। কারও কোনও কষ্ট থাকবে না! কমে যাবে হিংসা! অপরাধের মাত্রা। তোমরা কী বলো? আমরা কি একজোট হয়ে এমন একটা মহৎ কাজ করতে পারি না?
তথ্য ও ছবি: সংশ্লিষ্ট সংস্থার সৌজন্যে 
21st  February, 2021
ছোটদের রান্নাঘর 

করোনার দাপটে এখনও অনেকের স্কুল বন্ধ। সুতরাং বাড়ি থেকে বেরিয়ে এটা ওটা খাওয়ারও জো নেই। তাই বলে কী এই সময় কোনও ভালো খাবারই চেখে দেখার সুযোগ হবে না? চিন্তা নেই, ছোটদের রান্নাঘরে শুধু তোমাদের জন্যই দুটি লোভনীয় রেসিপি দিয়েছেন দ্য গ্রেট গ্যাসট্রো রেস্তরাঁ-এর কনসালট্যান্ট শেফ ইন্দ্রনীল ঘোষ। এগুলি আগুনের সাহায্য ছাড়াই তৈরি করা যাবে। তোমরাই করে চমকে দাও বড়দের। 
বিশদ

28th  February, 2021
ওয়্যারড ওয়ান্ডার্স অব দ্য ওয়ার্ল্ড 

পৃথিবী সত্যিই এক অদ্ভুত জায়গা। সেই সঙ্গে প্রকৃতিও বেশ বিস্ময়কর। এমন অনেক অদ্ভুত প্রাণীর অস্তিত্ব রয়েছে এই ব্রহ্মাণ্ডে যার সবটাই আমাদের পক্ষে জানা সম্ভব নয়। আবার কখনও কখনও এমন অনেক আশ্চর্যজনক প্রাকৃতিক ঘটনা ঘটে, যা আমাদের বেশ ভাবিয়ে তোলে। সোনি বিবিসি আর্থ-এর শো ওয়্যারড ওয়ান্ডার্স অব দ্য ওয়ার্ল্ড-এ এরকমই অনেক কিছু প্রাণী ও ঘটনা সম্পর্কে জানা যাবে। আশা করি ওয়্যারড ওয়ান্ডার্স অব দ্য ওয়ার্ল্ড শোটি দেখে তোমাদের বেশ ভালো লাগবে। 
বিশদ

28th  February, 2021
ম্যাজিকে লেখাপড়া 

ম্যাজিক মানে শুধুই খেলা? পড়ার লেশমাত্র নেই? মোটেও না, ম্যাজিকে এবার লেখাপড়ার বিষয়গুলোও ভরে দেওয়া হল। পড়াশোনার বিভিন্ন বিষয়ের ওপর দারুণ ম্যা঩জিক দেখাবেন থিম ম্যাজিশিয়ান সোমনাথ দে। এখন থেকে প্রতি মাসের একটা করে রবিবার তোমাদের জন্য থাকবে ম্যাজিকে লেখাপড়া। এবার ইংরেজি। ম্যাজিশিয়ানের সঙ্গে কথা বলেছেন কমলিনী চক্রবর্তী।  
বিশদ

28th  February, 2021
কালবোশেখির ঝড়
পার্থজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় 

তারকেশ্বর স্টেশন ছাড়িয়ে এখন বেশ ক’বছর ধরেই ট্রেন যাচ্ছে আরামবাগে, আরামবাগ ছাড়িয়ে গোঘাট। গোঘাট পেরিয়ে শিগগিরি যাবে বিষ্ণুপুরে। লাইন পাতার কাজও শেষের দিকে। বাকি কাজ শেষ হলে, গ্রিন সিগন্যাল পেলেই রেলগাড়ি ঝমাঝম, না, পা পিছলে আলুর দম নয়, হাওড়া থেকে ছেড়ে স্টেশনের পর স্টেশন পেরিয়ে শেষে পৌঁছবে বিষ্ণুপুর। পুকুরপাড়ে বসে বসে সৈকত এসবই ভাবছিল।  
বিশদ

28th  February, 2021
মার্কশিট 

তোমাদের জন্য চলছে জনপ্রিয় বিভাগ মার্কশিট। এই বিভাগে থাকছে পরীক্ষায় নম্বর বাড়ানোর সুলুক সন্ধান। এবারের বিষয় জীবন বিজ্ঞান। 
বিশদ

21st  February, 2021
পৃথিবীর বিস্ময়কর
কয়েকটি প্রাণী 

পৃথিবীর বৈচিত্র্যময় প্রাণী হিসেবে ছোট ছোট কীট পতঙ্গও বেশ জনপ্রিয়। বিশ্বে যত প্রকারের প্রাণী আছে তার থেকে অনেক বেশি প্রজাতির কীট পতঙ্গ দেখতে পাওয়া যায়। আশ্চর্যের বিষয়, এরা এতটাই ছোট যে বেশিরভাগ সময় আমরা ওদের বৈচিত্র্যপূর্ণ জীবনযাপনকে চাক্ষুষ করার সুযোগ পাই না।  
বিশদ

21st  February, 2021
ভালোবাসার জোয়ার

১৯৯৭ সাল থেকে সমাজের বিভিন্ন স্তরে পিছিয়ে পড়া ও অনাথ শিশুদের নিয়ে অক্লান্তভাবে কাজ করে চলেছে ‘সম্পর্ক’ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। এবার ‘সম্পর্ক’র সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আর একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘উজান’। বিশদ

14th  February, 2021
চারণকবি মুকুন্দ দাসের ছেলেবেলা

চারণকবি মুকুন্দদাস একদিন নিজের সৃষ্ট এই গান গেয়ে জাগিয়ে তুলেছিলেন পরাধীন ভারতবাসীকে। ১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনকে ঘিরে তখন তোলপাড় সারা দেশ। এই বিপর্যয় মোকাবিলা করতে তখন এগিয়ে এসেছেন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, অশ্বিনীকুমার দত্ত প্রমুখরা। বিশদ

14th  February, 2021
মায়ের চোখে জল
অভীক বসু

আই ডালিয়া কোথায় ছিলি
হঠাৎ এলি একা
আসার পথে তোরকি সাথে
গেঁদার হলো দেখা বিশদ

14th  February, 2021
সরস্বতী বিদ্যাবতী

কয়েকদিন বাদেই সরস্বতী পুজো। তবে অন্যবারের থেকে এবছরটা আলাদা রকম। তোমাদের বন্ধুরা জানাল তাদের এবারের সরস্বতী পুজোর পরিকল্পনা। বিশদ

14th  February, 2021
বিশ্বের কয়েকটি
ভয়ঙ্কর প্রাণী 

বন্য জগতে সবকিছুকে বাঁচিয়ে নিরাপদে পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে চলা বেশ কঠিন ব্যাপার। বনে-জঙ্গলে শক্তিশালী প্রাণীরাও কখনও কখনও দুর্বল হয়ে পড়ে। আবার একে অপরের সঙ্গে লড়াইয়েও মেতে ওঠে। সোনি বিবিসি আর্থ এদের নিয়ে একটি বিশেষ শো-এর আয়োজন করেছে। শো-এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘ডেডলি ৩৬০’।  
বিশদ

07th  February, 2021
ছোটদের রান্নাঘর 

করোনার দাপটে স্কুল বন্ধ। সুতরাং বাড়ি থেকে বেরিয়ে এটা ওটা খাওয়ারও জো নেই। তাই বলে কি লকডাউনে কোনও ভালো খাবারই চেখে দেখার সুযোগ হবে না? চিন্তা নেই, ছোটদের রান্নাঘরে শুধু তোমাদের জন্যই দুটি লোভনীয় রেসিপি দিয়েছেন গ্রেস রেস্তরাঁ-এর প্রধান শেফ ঋতব্রত বিশ্বাস। এগুলি আগুনের সাহায্য ছাড়াই তৈরি করা যাবে। তোমরাই করে চমকে দাও বড়দের। 
বিশদ

07th  February, 2021
মার্কশিট 

তোমাদের জন্য চলছে জনপ্রিয় বিভাগ মার্কশিট। এই বিভাগে থাকছে পরীক্ষায় নম্বর বাড়ানোর সুলুক সন্ধান। এবারের বিষয় বাংলা। 
বিশদ

07th  February, 2021
স্কুল বন্ধ, উন্মুক্ত বইয়ের ভুবন 

করোনা ভাইরাস সংক্রমণের জন্য দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ। এই সুযোগে অবশ্য আমি স্কুলের পড়ার বইয়ের পাশাপাশি ইংরেজি ও বাংলা ভাষায় বেশ কয়েকটি মজাদার বই পড়ে ফেলেছি। আমার পড়া বইগুলি হল —টেনিদা সমগ্র, কাকাবাবু সমগ্র-১, মনোজদের অদ্ভুত বাড়ি, গোঁসাইবাগানের ভূত, ফেলুদা সমগ্র-১ ও ২, সভ্যতার ইতিহাস, অভিযানের কথা, দেশে দেশে সভ্যতা, My first book of Earth and Space, Famous fairy tales, রামায়ণ, মহাভারত, Diary of a wimpy kid -Hard luck আর আমাদের পাখি।  
বিশদ

07th  February, 2021
একনজরে
‘এক প্যাকেট সিগারেট নিয়ে এলে তবেই আপনার কাজ হবে।’— হরিরামপুর ব্লকের এক পদস্থ কর্মীর মুখ থেকে এমন কথা শুনে হতবাক মা-হারা এক অসহায় মহিলা। ...

মহাভারতের চরিত্র অর্জুনপুত্র অভিমন্যু মাতৃগর্ভেই শিখে নিয়েছিলেন চক্রব্যূহ ভেদ করার কৌশল। তবে শুধু মহাকাব্যই নয়, বিজ্ঞানও বলছে, গর্ভাবস্থায় শিশু কেমন থাকে, তার উপরে বাকি জীবনটাও ...

বিজয় হাজারে ট্রফির পরের রাউন্ডে ওঠার আশা আগেই শেষ হয়ে গিয়েছিল। তাই সোমবার হরিয়ানার বিরুদ্ধে সান্ত্বনা জয় চেয়েছিলেন বাংলার সমর্থকরা। ...

আপনি কি অভিযোগকারিণীকে বিয়ে করবেন? ধর্ষণের মামলায় অভিযুক্তকে এমনই প্রশ্ন ছুড়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। মহারাষ্ট্র স্টেট ইলেকট্রিক প্রোডাকশন কোম্পানির টেকনিশিয়ান মোহিত সুভাষ চ্যবনের বিরুদ্ধে এক ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

শিক্ষার জন্য দূরে কোথাও যেতে পারেন। প্রেম-প্রণয়ে নতুন যোগাযোগ হবে। বিবাহের কথাবার্তাও পাকা হতে পারে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৮২: উইন্ডসরে রানি ভিক্টোরিয়াকে খুনের চেষ্টা, লক্ষ্যভ্রষ্ট হল গুলি
১৯৩০: ইংরেজ লেখক ডি এইচ ডি লরেন্সের মৃত্যু
১৯৩৩: মুক্তি পেল বিশ্বজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করা ছবি ‘কিং কং’
১৯৪৬: উত্তর ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্ট হলেন হো চি মিন
১৯৪৯: কবি ও স্বাধীনতা সংগ্রামী সরোজিনী নাইডুর মৃত্যু  



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭২.৮৫ টাকা ৭৪,৫৬ টাকা
পাউন্ড ১০১.৩০ টাকা ১০৪.৮৩ টাকা
ইউরো ৮৭.৪৬ টাকা ৯০.৬৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৬, ৭০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৪, ৩০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৪, ৯৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৮, ৯০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৯, ০০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৮ ফাল্গুন ১৪২৭, মঙ্গলবার, ২ মার্চ ২০২১। চতুর্থী ৫২/২৬ রাত্রি ৩/০। চিত্রা নক্ষত্র ৫৩/৪২ রাত্রি ৩/২৯। সূর্যোদয় ৬/১/৮, সূর্যাস্ত ৫/৩৬/৪৬। অমৃতযোগ দিবা ৮/২১ গতে ১০/৪০ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৮ গতে ২/৩১ মধ্যে পুনঃ ৩/১৭ গতে ৪/৪৯ মধ্যে। রাত্রি ৬/২৬ মধ্যে পুনঃ ৮/৫৫ গতে ১১/২৪ মধ্যে পুনঃ ১/৫৩ গতে ৩/৩৩ মধ্যে। বারবেলা ৭/২৮ গতে ৮/৫৪ মধ্যে পুনঃ ১/১৫ গতে ২/৪২ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৯ গতে ৮/৪৩ মধ্যে।  
১৭ ফাল্গুন ১৪২৭, মঙ্গলবার, ২ মার্চ ২০২১। তৃতীয়া দিবা ৮/৫৬। হস্তা নক্ষত্র দিবা ৮/৪৪। সূর্যোদয় ৬/৪, সূর্যাস্ত ৫/৩৬। অমৃতযোগ দিবা ৮/৮ গতে ১০/৩১ মধ্যে ও ১২/৫৫ গতে ২/৩১ মধ্যে ও ৩/১৯ গতে ৪/৫৫ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৩১ মধ্যে ও ৮/৫৫ গতে ১১/১৯ মধ্যে ও ১/৪৩ গতে ৩/২৫ মধ্যে। বারবেলা ৭/৩০ গতে ৮/৫৭ মধ্যে ও ১/১৬ গতে ২/৪৩ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/১০ গতে ৮/৪৩ মধ্যে। 
১৭ রজব। 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
বিজেপিতে যোগ দিলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি 

07:30:00 PM

গরু পাচার কাণ্ডে ফের আইপিএস অফিসার কল্লোল গণাইকে তলব করল সিবিআই

05:46:51 PM

নিমতিতা বিস্ফোরণ কাণ্ডে তদন্ত শুরু করল এনআইএ 

05:33:00 PM

হরিয়ানার একটি স্কুলে ৫৪ জন পড়ুয়া করোনা আক্রান্ত 

05:06:46 PM

মমতাকে সমর্থন জানিয়ে কালনার সমুদ্রগড়ে তৃণমূলের দেওয়াল লিখনে মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ

04:23:39 PM

নির্বাচন কমিশনে শুরু হল বৈঠক

04:10:13 PM