শিক্ষার জন্য দূরে কোথাও যেতে পারেন। প্রেম-প্রণয়ে নতুন যোগাযোগ হবে। বিবাহের কথাবার্তাও পাকা হতে পারে। ... বিশদ
জেলায় করোনা সংক্রমণ কমে এলেও মাস্ক পরার ক্ষেত্রে কোনও ছাড় দেওয়া যাবে না বলে সাফ জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। কারণ, করোনা কমে এলেও তা একেবারে মুছে গিয়েছে, বলার সময় আসেনি। বিশেষত দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্যে নতুন করে যেভাবে ছড়াচ্ছে করোনা, তাতে সামান্য ঢিলেঢালা ভাব দেখা দিলে বিপদ ফিরে আসতে পারে। এদিকে, একই সঙ্গে চলছে করোনার টিকাকরণ। ভোটকর্মীদের সবাইকে করোনা টিকা নিতে হবে বলে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে। সেইমতো যাঁদের ভোটের ডিউটি রয়েছে, তাঁদের করোনা টিকা দেওয়ার জন্য একাধিক হাসপাতালে শিবির করা হবে। তবে টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যকর্মী সহ সাধারণ মানুষের আগ্রহ এতটাই কম যে তা চিন্তা বাড়াচ্ছে স্বাস্থ্যকর্তাদের। তাঁদের তরফে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত মোট ৯০ হাজার ৬৪৯ জনকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও মাত্র ৩৪ হাজার ৫৪৫ জন টিকা নিয়েছেন। শতাংশের বিচারে যা লক্ষ্যমাত্রার মাত্র ৩৮ শতাংশ। স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে প্রায় ৪৬ শতাংশ টিকা নিয়েছেন। তবে তারপর করোনার যেসব ‘সামনের সারির যোদ্ধা’র টিকাকরণের প্রক্রিয়া চলছিল, তাঁদের মাত্র ৩৪ শতাংশ নিয়েছেন টিকা। এই পরিস্থিতিতে ভোটকর্মীরা কতজতন টিকা নিতে আগ্রহ দেখাবেন, তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন স্বয়ং স্বাস্থ্যকর্তারাই। এক পদস্থ স্বাস্থ্যকর্তা বলেন, একদিকে টিকা নেওয়ার পর অসুস্থতা নিয়ে সত্যি-মিথ্যা মিলিয়ে নানা ধরনের প্রচারের একটা প্রভাব রয়েছে। পাশাপাশি এখন করোনা হলেও তা নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছে না কেউ তেমন। ভাইরাসও অনেকটাই দুর্বল হয়েছে। সব মিলিয়ে মানুষ ততটা আগ্রহ দেখাচ্ছে না বলে মত ওই স্বাস্থ্যকর্তার। তবে আগামী দিনে নিশ্চিন্ত থাকার জন্য টিকা সবারই নেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।