Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

আদালতগুলি স্বাধীনতার ঘণ্টাধ্বনি দিচ্ছে
পি চিদম্বরম

ঠিক যখন আমরা আশা ছেড়ে দিচ্ছি, তখনই ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে যে ব্যক্তি স্বাধীনতার বর্মটা হারিয়ে যায়নি। 
আমেরিকার স্বাধীনতার ঘোষণা সম্পর্কিত স্বাক্ষর হয়েছিল ১৭৭৬-এর ৪ জুলাই। এই কথাটি মাথায় রাখলে বলা যায় যে, যাদের ‘অধিকার’ নেই সেই বিদেশিরা ভারতকে শাসন করেছে অথবা দেরিতে আসা স্বাধীনতা থেকে ভারতীয়দের তারা বঞ্চিত করেছে।
তার শতাধিক বছর বাদে একটি সার্বভৌম ভারত রাষ্ট্রের স্বাধীনতার ধারণাটি ভারতের মাটিতে অঙ্কুরিত হয়। ১৯০৬ সালে কলকাতা কংগ্রেসে দাদাভাই নৌরজি ‘স্বরাজ’-এর দাবি উত্থাপন করেন, কিন্তু সেটি ছিল সীমিত পরিসরে স্বশাসনের (লিমিটেড সেলফ-গভর্নমেন্ট) চাহিদা। ১৯১৬ সালে বাল গঙ্গাধর তিলক এবং অ্যানি বেসান্ত ‘হোম রুল’-এর দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন এবং ব্রিটিশ রাজতন্ত্রের অধীনে ভারতবাসীর জন্য ‘ডোমিনিয়ান’ স্টেটাস চাইলেন। একমাত্র ১৯২৯-এ অনুষ্ঠিত লাহোর কংগ্রেসে ‘পূর্ণ স্বরাজ’ বা সম্পূর্ণ স্বাধীনতার দাবি তুলেছিল কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি। 
স্বাধীনতা অর্জনের পথে ভারত বিশেষভাবে গ্রহণ করেছে ফ্রান্স এবং আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় ধারণাকে। ফরাসি বিপ্লবের রণধ্বনি—‘স্বাধীনতা, সাম্য এবং সৌভ্রাত্র’ আমাদের ভীষণভাবে প্রভাবিত করেছিল। ভারতীয় মনকে আরও নাড়িয়ে দিয়েছিল আমেরিকার স্বাধীনতার ঘোষণা বিষয়ক বিবৃতিটি—‘সব মানুষকে সমান করে সৃষ্টি করা হয়েছে, সৃষ্টিকর্তা তাদেরকে একান্ত কিছু অধিকারেও সমৃদ্ধ করেছে, সেগুলির মধ্যে রয়েছে—জীবন, স্বাধীনতা (লিবার্টি) এবং সুখের সাধনা।’ এর মধ্যে সবচেয়ে প্রার্থিত শব্দটি হল ‘স্বাধীনতা’ (লিবার্টি)।
স্বাধীনতার উপর আক্রমণ
ভিন্নমত অথবা প্রতিবাদ কিংবা অমান্য করার প্রতিটি কণ্ঠ রুদ্ধ করার জন্য স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাকে অতীতে কখনও এতটা নির্দয়ভাবে ব্যবহার করা হয়নি। জরুরি অবস্থার সময় (১৯৭৫-৭৭) ‘রাজনৈতিক’ বিরোধীরাই শুধু টার্গেট বা লক্ষ্য ছিল। কিন্তু এখন টার্গেট তো সমস্তরকম ভিন্নমতের কণ্ঠ—সে হতে পরে রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, শৈল্পিক অথবা শিক্ষা সংক্রান্ত ভিন্নমত। সিংঘু এবং টিকরির কৃষকরা জনবিরোধী কৃষি আইনগুলির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছেন, তাঁদের প্রতিবাদটি রাজনৈতিক দল হিসেবে বিজেপির বিরুদ্ধে কিন্তু নয়। তবু সরকারি তদন্তকারী এজেন্সিগুলির মাধ্যমে কৃষকদেরকে টার্গেট করা হয়েছে। দলিতদের উপর সংঘটিত অপরাধ, বৈষম্য সৃষ্টি, জিনিসের দাম বৃদ্ধি, তথ্য দিতে অস্বীকার, দূষণসৃষ্টিকারী, পুলিসের বাড়াবাড়ি, একচেটিয়া কারবার, স্বজনপোষণ (ক্রোনিইজম), শ্রমিকদের অধিকার নস্যাৎ, সর্বনাশা অর্থনীতি এবং এই ধরনের অন্য অন্যায়গুলির বিরুদ্ধেও প্রতিবাদী কণ্ঠ জাগ্রত রয়েছে। প্রতিটি ভিন্নমত অথবা প্রতিবাদী কণ্ঠকে বিজেপি সরকারের বিরোধী বলে গণ্য করা হয় এবং সেগুলি দমন করার চেষ্টা হয়।
কৃষকদের প্রতিবাদ আন্দোলনকে সমর্থন করছিলেন দিশা রবি। কিন্তু তিনি কোনও রাজনীতির গোঁড়া সমর্থক নন। তবু তাঁকে রাষ্ট্রের শত্রু দেগে দেওয়া হয়েছে। দিশার আগে সিধিক কাপ্পান নামে এক সাংবাদিক সরকারের রোষে পড়েছিলেন। হাতরাসে ধর্ষণের পর নিহত মেয়েটির উপর একটি প্রতিবেদন লিখতে শুরু করেছিলেন তিনি। প্রতিষ্ঠিত সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে তাঁকে দেগে দেওয়া হয়েছিল। যেসব ছাত্রছাত্রী এবং মহিলা নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের (সিএএ) বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন তাঁদের ‘টুকরে টুকরে’ গ্যাং বলা হয়েছিল। এই বলে অভিযোগ তোলা হয়েছিল যে, তাঁরা ভারতের সার্বভৌমত্ব এবং ঐক্য বিপন্ন করার চেষ্টায় আছেন। নিজেদের অধিকার রক্ষার দাবিতে লড়াই করছিলেন একদল শ্রমিক। তাঁদের সমর্থন করেছিলেন নোদীপ কাউর নামে এক মহিলা। তাঁকে জেলে ভরে দেওয়া হয়েছিল। তাঁর বিরুদ্ধে দাঙ্গা এবং খুনের চেষ্টার চার্জ আনা হয়েছে। যে জোকটা করাই ‘হয়নি’ তার জন্য মুনাবার ফারুকি নামে এক কমেডিয়ানকে জেলে ভরে দেওয়া হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত হানার চার্জ আনা হয়েছে। স্বাধীনতার প্রতিটি দিকের উপর আঘাত হানা সম্পূর্ণ হয়েছে এবং সেগুলি বেশ স্পষ্ট।
নির্বিকার দর্শক
আদালত—বিশেষত নিম্ন আদালত নির্বিকার দর্শক, তারা রুটিনমাফিক গ্রেপ্তারে অনুমোদন দিচ্ছে এবং বুদ্ধির প্রয়োগ ছাড়াই ধৃতদের পুলিস হেফাজত অথবা বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়ে দিচ্ছে। দেশের অপরিবর্তনীয় আইন (সেটেলড ল’) অনুসরণ করা হয়নি। রাজস্থান রাজ্য বনাম বালচাঁদ মামলায় বিচারপতি কৃষ্ণ আয়ার ঘোষণা করেছিলেন যে, ‘সাধারণ নিয়ম সম্ভবত এটা হতে পারে যে জেল নয়, মার্জিতভাবে জামিন মঞ্জুর করা...’। মনুভাই রতিলাল প্যাটেল মামলায় সুপ্রিম কোর্ট ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্বের উপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেছে, ‘তিনি তাঁর বুদ্ধি খাটিয়ে ঠিক করবেন—পুলিস হেফাজতে পাঠানোর যৌক্তিকতা কিছু আছে কি না অথবা বিচার বিভাগীয় হেফাজতে গ্রহণের কোনও যৌক্তিকতা আছে কি না কিংবা কোনও ধরনের হেফাজতে গ্রহণের প্রয়োজন আদৌ নেই।’ এই রুলিংগুলি থাকা সত্ত্বেও আদালতগুলি মানুষকে সানন্দে জেলে পাঠিয়ে দিচ্ছে।
হেফাজতে গৃহীত (আন্ডার-রিমান্ড) এবং বিচারাধীন (আন্ডার-ট্রায়াল) বন্দিদের কাহিনিটা হল নির্লজ্জভাবে স্বাধীনতা লঙ্ঘনের। মাসে একবার কী দু’বার বন্দিদের আদালতে হাজিরার দিন পড়ে। অন্যথা হবে না, নিম্নোক্ত ব্যাপারগুলির মধ্যে একটি ঘটবেই: তদন্তকারী অফিসার গরহাজির থাকবেন অথবা সরকারি আইনজীবী গরহাজির হবেন অথবা বাদীর (মামলাকারী) সাক্ষী আদালতে এসে পৌঁছতে পারবেন না অথবা মেডিক্যাল রিপোর্ট প্রস্তুত হয়ে উঠবে না কিংবা বিচারক সময় দিতে পারবেন না অথবা বিচারক সেইসময় ছুটিতে থাকবেন। আর একটি ‘ডেট’ নিয়ে বন্দি ফিরে যাবে জেলে এবং তার বিচারের আশা ফিকে হয়ে আসবে। উচ্চ আদালতগুলিতে এই সমস্যা যে খুব কম তেমন নয়: হাইকোর্টগুলিতে ও সুপ্রিম কোর্টে জামিনের হাজার হাজার আবেদন ঝুলে রয়েছে এবং একবারের শুনানিতে আবেদনের নিষ্পত্তি বিশেষ একটা হয়ও না। আমি দেখেছি, জামিনের প্রতিটি আবেদনের ক্ষেত্রে এসব হয়ে থাকে তদন্তকারী সংস্থাগুলির (পুলিস, সিবিআই, ইডি, এনআইএ প্রভৃতি) একগুঁয়ে মনোভাবের কারণে।
আশ্বস্ত করার রায়
একজন অর্ণব গোস্বামী তাঁর শিক্ষা পেয়েছেন। সুপ্রিম কোর্ট (বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়) আমাদের স্মরণ করিয়ে দিয়েছে যে ‘স্বাধীনতার বঞ্চনা একদিনের জন্যে হলেও, ওই একটি দিনই অনেকখানি।’ আমি খুশি যে আরও অনেক বিচারপতি গোঁয়ার-গোবিন্দ তদন্তকারী সংস্থাগুলির বিরোধিতাকে আর রেয়াত করছেন না এবং তাঁদের বিবেচনা থাকছে স্বাধীনতার পক্ষে। ভারভারা রাও মামলায় বম্বে হাইকোর্ট ৮২ বছর বয়সি কবিকে মেডিক্যাল গ্রাউন্ডে জামিন মঞ্জুর করেছে। দিশা রবি মামলায় বিচারক রানা গণতন্ত্রের মর্মবস্তুর উপরেই গুরুত্ব আরোপ করেছেন: ‘মতের অমিল, বৈসাদৃশ্য, ভিন্নতা, ভিন্নমত পোষণ অথবা তার জ঩ন্যে অননুমোদনও, রাষ্ট্রীয় নীতিতে বস্তুনিষ্ঠতা সঞ্চার করার পক্ষে এক স্বীকৃত আইনি উপায়।’
যেহেতু আদালতগুলি স্বাধীনতা বা মুক্তি (লিবার্টি) বজায় রাখার পক্ষে, আমি অনুভব করছি যেন দ্বিতীয় স্বাধীনতার লড়াই শুরু হয়েছে, এবং কারান্তরালে যাঁরা মনোকষ্টে কাটাচ্ছেন, হতে পারে তাঁরা মুক্তির নিশ্বাস নিতে পারবেন।
 লেখক সংসদ সদস্য এবং ভারতের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। মতামত ব্যক্তিগত 
01st  March, 2021
৮ দফার পর নিশ্চয়ই রিগিংয়ের
অভিযোগ উঠবে না!
শান্তনু দত্তগুপ্ত

সেশন সাহেব, বড্ড মিস করছি আপনাকে। আপনি বলতেন, ‘গণতন্ত্র হল এমন একটা ব্যবস্থা, যেখানে আইনের শাসন সবার জন্য সমানভাবে বলবৎ থাকবে।’ সব মানুষের জন্য। সব রাজনৈতিক দলের জন্য। আপনি প্রমাণ করেছেন, এটা ছেলে ভুলানো গল্প নয়।  
বিশদ

কে প্রধান শত্রু, আজ ব্রিগেডে
পরিষ্কার করুক সিপিএম 
হিমাংশু সিংহ

প্রয়াত সলিল চৌধুরী আজ বেঁচে থাকলে ‘টুম্পা সোনা’ শুনে কী বলতেন জানি না। তবে তাঁর ‘ও আলোর পথযাত্রী’ কিংবা ‘ঢেউ উঠছে কারা টুটছে’ যে এত তাড়াতাড়ি ব্রাত্য হয়ে যাবে কে ভেবেছিল! অভাবে স্বভাব নষ্ট আর দুর্দিনে চরিত্র। তাই আর ঘোমটার তলায় খ্যামটা নাচ নয়। 
বিশদ

28th  February, 2021
মমতাকে ঠেকাতে শেষে ‘রামধনু’ জোট
তন্ময় মল্লিক

‘এই বাংলা যতটা আব্বাস সিদ্দিকির ততটাই দিলীপ ঘোষের। দক্ষিণ ভারত থেকে এসেছেন ওয়াইসি, তাঁরও ততটাই অধিকার।’এখানে শেষ হলে মনে হতো, এটি কোনও ধর্মনিরপেক্ষ মানুষের বক্তব্য। উদ্দেশ্য স্পষ্ট হয়েছে এর পরের কথায়, ‘ওয়াইসি এসে এখানে মিম তৈরি করলে দিদিমণির টেনশন হচ্ছে কেন? 
বিশদ

27th  February, 2021
বাংলা নয়, আগে যোগী-রাজ্য নিয়ে কথা বলুন
মৃণালকান্তি দাস

‘ঠোক দিয়ে যায়েঙ্গে’! এটাই নাকি উত্তরপ্রদেশ থুড়ি উত্তমপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের মন্ত্র। যোগী নিজের রাজ্যকে ‘উত্তমপ্রদেশ’ বলতেই ভালোবাসেন। তিনি স্বপ্ন ফেরি করেন, এই রাজ্য নাকি সবেতেই ‘উত্তম’। কেমন সেই রাজ্য? 
বিশদ

26th  February, 2021
কর্পোরেট তোষণের ফলেই তেল অগ্নিমূল্য
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় 

সরকার যদি নিজেই দাম বাড়ায়, তাহলে পেট্রল ডিজেলের দাম কমবে কী করে? জ্বালানির দাম নিত্য বাড়ছে। স্বাধীন ভারতে এটা রেকর্ড যে পরপর নয়দিন দাম বাড়ল। গত দেড় মাসে ২১ বার দাম বাড়ল পেট্রল ও ডিজেলের, এবং একমাসের মধ্যে দু’বার গ্যাসের 
বিশদ

25th  February, 2021
ঘরের মেয়েই সেরা বাজি
হারাধন চৌধুরী 

নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ, জগৎপ্রকাশ নাড্ডা প্রমুখ যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘বহিরাগত’ তত্ত্ব খারিজ করার দাবি করেন, তখন ছোটবেলায় পড়া একটি কথা মাথায় খুব ঘুর ঘুর করে। একবার মাঘোৎসবে চুঁচুড়ায় রবীন্দ্রনাথ তাঁর পিতার সামনে ‘নয়ন তোমারে পায় না দেখিতে, রয়েছ নয়নে নয়নে’ গানটি গেয়েছিলেন। 
বিশদ

24th  February, 2021
পেট্রল-ডিজেল-গ্যাস এবং পরিবর্তনের ডাক
শান্তনু দত্তগুপ্ত

পরিবর্তন সব সময় ভালো হবেই, এমনটা কিন্তু নয়। ধূর্জটিবাবু বলতেন, ‘আমাদের রামায়ণ-মহাভারতই দেখুন না। বলছে ইতিহাস, কিন্তু আসলে আজগুবি গপ্পোর ডিপো। রাবণের দশটা মাথা, হনুমান ল্যাজে আগুন দিয়ে লঙ্কা পুড়োচ্ছে, ভীমের অ্যাপিটাইট, ঘটোৎকচ, হিড়িম্বা, পুষ্পক রথ, কুম্ভকর্ণ—এগুলোর চেয়ে বেশি ননসেন্স আর কী আছে?’  
বিশদ

23rd  February, 2021
সংখ্যা মিথ্যে বলে না 
পি চিদম্বরম

১২ ফেব্রুয়ারি রাজ্যসভায় এবং ১৩ ফেব্রুয়ারি লোকসভায়, অর্থমন্ত্রী শ্রীমতী নির্মলা সীতারামন যে বাজেট ভাষণ দিয়েছিলেন সেটি ছিল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপ্রবণ। লোকসভায় তিনি আক্রমণাত্মক না-হয়ে এক ডজন বার আমার আগের দিনের বক্তব্যের উল্লেখ করেন, যেটা আমার কাছে সংসদীয় বিতর্কের চাপানউতোর বলে মনে হয়েছে। 
বিশদ

22nd  February, 2021
মাতৃভাষার ব্যবহার ভারতের
বৈচিত্র্যকে শক্তিশালী করবে
এম বেঙ্কাইয়া নাইডু 

আমাদের প্রাচীন ভূমি চিরকাল ভাষাগত এবং সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের আধার। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে ভারত বহু শত ভাষা এবং উপভাষার সহাবস্থানের সাক্ষী, যা আমাদের বর্ণময় সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রাণপ্রাচুর্য ও সজীবতা জুগিয়েছে।  
বিশদ

21st  February, 2021
সোনার ত্রিপুরা হয়নি,
আবার সোনার বাংলা!
হিমাংশু সিংহ 

বিখ্যাত কবি সুনীল গাঙ্গুলির কথা খুব মনে পড়ছে। এই বাংলায় দোকানে, অফিসে সাইনবোর্ড কেন মাতৃভাষা ছাড়া ভিনদেশি ভাষায় লেখা হবে তার বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছিলেন। ঘুরে ঘুরে বাংলা ভাষার ব্যবহার বাড়াতে সচেতনতা তৈরির আপ্রাণ চেষ্টাও করেছিলেন। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত। 
বিশদ

21st  February, 2021
জনগণের দমবন্ধ হলেও জাগে না যাঁদের অন্তরাত্মা 
তন্ময় মল্লিক

যাঁরা নিজেদের ‘দমবন্ধ’ হওয়ার কথা বলে বিজেপিতে যাচ্ছেন, তাঁরা কি বুঝতে পারছেন না, গোটা দেশের মানুষের দমবন্ধ হয়ে আসছে। মূল্যবৃদ্ধি কাকে বলে, মানুষ হাড়ে হাড়ে বুঝছে। তাই নেতাদের নয়, জনগণের ‘দমবন্ধ’ হওয়ার অবস্থা। সেদিক থেকে নজর ঘোরাতেই কি একযোগে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ‘দমবন্ধ’ হওয়ার অভিযোগ? বিশদ

20th  February, 2021
বাঙালির ধর্ম ও সংস্কৃতিতে
রাজনীতির প্রয়োজন নেই
সমৃদ্ধ দত্ত

বাঙালি জাতির ধর্ম ও সংস্কৃতির কোনও সাজেশন পেপার হয় না! ওটা দীর্ঘ ইতিহাসের এক অন্তহীন রচনাসমগ্র! তাই রাজনীতিতে কোনও জাতির আবেগকে ব্যবহার না করাই ভালো! বাঙালির ধর্ম ও সংস্কৃতির ভবিষ্যৎ বাঙালি জাতিই স্থির করবে। মনীষীরা আছেন পথ দেখাতে। নতুন রাজনৈতিক অভিভাবকের প্রয়োজন নেই।
বিশদ

19th  February, 2021
একনজরে
এআইএমআইএম (মিম) সুপ্রিমো আসাউদ্দিন ওয়াইসি পশ্চিমবঙ্গের ভোটে তাঁর রণকৌশল নিয়ে রহস্য ঩জিইয়ে রাখলেন। সম্প্রতি ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকির সঙ্গে তাঁর আলোচনা নিয়ে রাজ্য রাজনীতি সরগরম হয়েছিল।  ...

আপনি কি অভিযোগকারিণীকে বিয়ে করবেন? ধর্ষণের মামলায় অভিযুক্তকে এমনই প্রশ্ন ছুড়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। মহারাষ্ট্র স্টেট ইলেকট্রিক প্রোডাকশন কোম্পানির টেকনিশিয়ান মোহিত সুভাষ চ্যবনের বিরুদ্ধে এক ...

বিজয় হাজারে ট্রফির পরের রাউন্ডে ওঠার আশা আগেই শেষ হয়ে গিয়েছিল। তাই সোমবার হরিয়ানার বিরুদ্ধে সান্ত্বনা জয় চেয়েছিলেন বাংলার সমর্থকরা। ...

‘এক প্যাকেট সিগারেট নিয়ে এলে তবেই আপনার কাজ হবে।’— হরিরামপুর ব্লকের এক পদস্থ কর্মীর মুখ থেকে এমন কথা শুনে হতবাক মা-হারা এক অসহায় মহিলা। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

শিক্ষার জন্য দূরে কোথাও যেতে পারেন। প্রেম-প্রণয়ে নতুন যোগাযোগ হবে। বিবাহের কথাবার্তাও পাকা হতে পারে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৮২: উইন্ডসরে রানি ভিক্টোরিয়াকে খুনের চেষ্টা, লক্ষ্যভ্রষ্ট হল গুলি
১৯৩০: ইংরেজ লেখক ডি এইচ ডি লরেন্সের মৃত্যু
১৯৩৩: মুক্তি পেল বিশ্বজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করা ছবি ‘কিং কং’
১৯৪৬: উত্তর ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্ট হলেন হো চি মিন
১৯৪৯: কবি ও স্বাধীনতা সংগ্রামী সরোজিনী নাইডুর মৃত্যু  



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭২.৮৫ টাকা ৭৪,৫৬ টাকা
পাউন্ড ১০১.৩০ টাকা ১০৪.৮৩ টাকা
ইউরো ৮৭.৪৬ টাকা ৯০.৬৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৬, ৭০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৪, ৩০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৪, ৯৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৮, ৯০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৯, ০০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৮ ফাল্গুন ১৪২৭, মঙ্গলবার, ২ মার্চ ২০২১। চতুর্থী ৫২/২৬ রাত্রি ৩/০। চিত্রা নক্ষত্র ৫৩/৪২ রাত্রি ৩/২৯। সূর্যোদয় ৬/১/৮, সূর্যাস্ত ৫/৩৬/৪৬। অমৃতযোগ দিবা ৮/২১ গতে ১০/৪০ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৮ গতে ২/৩১ মধ্যে পুনঃ ৩/১৭ গতে ৪/৪৯ মধ্যে। রাত্রি ৬/২৬ মধ্যে পুনঃ ৮/৫৫ গতে ১১/২৪ মধ্যে পুনঃ ১/৫৩ গতে ৩/৩৩ মধ্যে। বারবেলা ৭/২৮ গতে ৮/৫৪ মধ্যে পুনঃ ১/১৫ গতে ২/৪২ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৯ গতে ৮/৪৩ মধ্যে।  
১৭ ফাল্গুন ১৪২৭, মঙ্গলবার, ২ মার্চ ২০২১। তৃতীয়া দিবা ৮/৫৬। হস্তা নক্ষত্র দিবা ৮/৪৪। সূর্যোদয় ৬/৪, সূর্যাস্ত ৫/৩৬। অমৃতযোগ দিবা ৮/৮ গতে ১০/৩১ মধ্যে ও ১২/৫৫ গতে ২/৩১ মধ্যে ও ৩/১৯ গতে ৪/৫৫ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৩১ মধ্যে ও ৮/৫৫ গতে ১১/১৯ মধ্যে ও ১/৪৩ গতে ৩/২৫ মধ্যে। বারবেলা ৭/৩০ গতে ৮/৫৭ মধ্যে ও ১/১৬ গতে ২/৪৩ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/১০ গতে ৮/৪৩ মধ্যে। 
১৭ রজব। 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
বিজেপিতে যোগ দিলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি 

07:30:00 PM

গরু পাচার কাণ্ডে ফের আইপিএস অফিসার কল্লোল গণাইকে তলব করল সিবিআই

05:46:51 PM

নিমতিতা বিস্ফোরণ কাণ্ডে তদন্ত শুরু করল এনআইএ 

05:33:00 PM

হরিয়ানার একটি স্কুলে ৫৪ জন পড়ুয়া করোনা আক্রান্ত 

05:06:46 PM

মমতাকে সমর্থন জানিয়ে কালনার সমুদ্রগড়ে তৃণমূলের দেওয়াল লিখনে মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ

04:23:39 PM

নির্বাচন কমিশনে শুরু হল বৈঠক

04:10:13 PM