শিক্ষার জন্য দূরে কোথাও যেতে পারেন। প্রেম-প্রণয়ে নতুন যোগাযোগ হবে। বিবাহের কথাবার্তাও পাকা হতে পারে। ... বিশদ
জাহ্নবী কাপুরকে ফুলকপি দিয়ে প্রেম নিবেদন করছেন! দৃশ্যটা তো ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।
(হাসতে হাসতে) খুবই মজার দৃশ্য। সঙ্গের সংলাপগুলোও দারুণ মজাদার। তাই হয়তো দর্শকদের পছন্দ হয়েছে।
‘লুডো’ আর ‘দ্য হোয়াইট টাইগার’-এর মতো দুটো ছবির পর এখন আপনার কনফিডেন্স নিশ্চয়ই খুব বেড়ে গিয়েছে?
(হেসে) একদমই সেরকম নয়। দর্শক এই দুটো ছবিতে আমার অভিনয় পছন্দ করেছেন বলে আমি খুব খুশি। শুধু তাই নয়, এর সঙ্গে ‘ছলাং’ও ছিল। গত বছরটা তো আমাদের প্রত্যেকের জন্যই খুব কঠিন ছিল। সেখানে এই ছবিগুলোর মাধ্যমে দর্শকদের মনোরঞ্জন করতে পেরেছি ভেবেই ভালো লাগছে। তাঁদের থেকে যেটুকু ভালোবাসা পেয়েছি সেটা আমার কাছে অমূল্য।
পরপর তিনটে ছবি ওটিটিতে মুক্তি পাওয়ার পর, এই প্রথম আপনার একটা ছবি সিনেমা হলে আসছে। আপনি কতটা উত্তেজিত?
প্রচণ্ড উত্তেজিত। কারণ প্রায় এক বছর ধরে দর্শক সিনেমা হলে একটা ভালো ছবি দেখার অপেক্ষায় রয়েছেন। তার থেকেও বড় কথা ‘রুহি’র মতো ছবি কিন্তু হলে গিয়েই উপভোগ করা উচিত। আর ভাগ্যক্রমে আমরা সেই সুযোগ পেয়েছি।
কিন্তু মানুষ তো এখনও সেইভাবে সিনেমা হলেই যাচ্ছেন না।
তার জন্য ভালো ছবি চাই। এখন দেশের সমস্ত সিনেমা হল করোনা বিষয়ক সতর্কবিধি কড়াভাবে মেনে চলছেন। তাই দর্শকদের অনুরোধ করব, অযথা ভয় পাবেন না। দেখুন, এক না একদিন তো আমাদের আবার আগের মতো জীবনযাত্রায় ফিরতেই হবে।
এই ছবিটা চলতি বছরে বলিউডের প্রথম বড় ছবিও বটে। ভয় করছে না?
প্রযোজকদের জন্য ছবিটা এই সময় রিলিজ করাটা খুবই সাহসী পদক্ষেপ। তাঁরা নিশ্চয়ই তাঁদের মতো হিসেবনিকেশ করেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আমিও ছবিটাকে নিয়ে বেশ কনফিডেন্ট। এবার বাকিটা তো দর্শকদের হাতে।
ইদানীং বলিউডে একটা নতুন ধারা শুরু করেছে ‘হরর কমেডি’। অন্যদিকে ভিকি কৌশল অভিনীত ‘ভূত: দ্য হন্টেড শিপ’ বা অক্ষয়কুমার অভিনীত ‘লক্ষ্মী’র মতো সিরিয়াস ভূতের ছবি কেন সেই অর্থে সফল হচ্ছে না বলে মনে হয়?
(একটু ভেবে) না, এর কারণটা আমার জানা নেই। বিষয়টা নিয়ে সেইভাবে আমি ভাবিওনি। আমার মতে, প্রত্যেকটা ছবির ভাগ্য এক একরকমের। সেটা মেনে নেওয়া ছাড়া উপায় নেই।
হার্দিক মেহতা ‘ট্র্যাপড’ এর সহ-চিত্রনাট্যকার। এবারে ওঁর পরিচালনায় কাজের অভিজ্ঞতা কীরকম?
ওকে তো আমি দীর্ঘদিন চিনি। ‘কুইন’ ছবিতেও ইউনিটের অংশ ছিল হার্দিক। সেখান থেকে আজকে ও অনেকটা পথ পেরিয়ে এল। খুব ভালো কাজ করেছে।
গত এক বছর ধরে বলিউড স্বজনপোষণ বিতর্কে জেরবার। সেখানে দাঁড়িয়ে জাহ্নবী কাপুরের সঙ্গে কাজ করে কী মনে হল?
প্রত্যেকটা ছবির সঙ্গে ও আরও নতুনভাবে নিজেকে হাজির করছে। শক্তিশালী অভিনেত্রী। ওর ভবিষ্যৎ খুবই উজ্জ্বল।
এখন তো চাপের মুখে পড়ে মাঝেমধ্যেই নির্মাতারা সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের শিরোনাম বদল করতে বাধ্য হচ্ছেন। ‘রুহি’ও তার ব্যতিক্রম নয়। এইভাবে শিল্পের কণ্ঠরোধ আপনাকে কতটা ভাবায়?
ছবির নাম কেন পরিবর্তন করা হল বা কী রাখা হল সেটা নিয়ে ছবির নির্মাতারাই আমার থেকে ভালো উত্তর দিতে পারবেন। আমি এই নামটা নিয়েই খুশি। আমার তো ছোট ছোট টাইটেল খুব পছন্দ। আগেরবার ‘স্ত্রী’, এবারে ‘রুহি’।
ইন্ডাস্ট্রিতে দেখতে দেখতে দশ বছর সম্পূর্ণ করলেন। খুব কঠিন লড়াইয়ের সাক্ষী আপনি। আজকে আপনার এই জার্নিকে কীভাবে দেখেন?
এক কথায় বলতে গেলে অসাধারণ। অভিনেতা হতেই তো চেয়েছিলাম। সেই স্বপ্নপূরণ করতে পেরেছি। অবশ্য সেই পথ চলাটা খুব মসৃণ ছিল না। তার জন্য আমাকে মারাত্মক স্ট্রাগল করতে হয়েছে। তবে এখানেই থেমে গেলে চলবে না। একজন অভিনেতা হিসেবে নিজেকে আরও বেশি চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন করতে চাই। চেষ্টা করব, যেন এক জায়গায় থেমে না যাই।
স্ট্রাগলের কথা বলছিলেন। ছবির সাফল্য ও ব্যর্থতাকে কীভাবে দেখেন?
দু’টোর কোনওটাকেই বিশেষ পাত্তা দিই না। আমার কাজ তো অভিনয় করা। তার জন্য পরিশ্রম করতে ভালোবাসি। ছবির ভবিষ্যৎ কী হতে পারে সেটা আমার হাতে নেই।
এখন তো সেলিব্রিটিদের অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সাহসী। আপনি সোশ্যাল মিডিয়ায় থেকেও তেমন সক্রিয় নন। কেন?
আমি সোশ্যাল মিডিয়ার খুব একটা বড় ভক্ত নই। আমার কাজকে মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্যই শুধু সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করি।
‘আমি সায়রা বানো’ বাংলা ছবিতে আপনি রূপান্তরকামীর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন।
হ্যাঁ, আমার কেরিয়ারের অন্যতম একটা কঠিন চরিত্র ছিল। খারাপ লাগে ছবিটা আমরা শেষ করতে পারিনি। বাংলা ছবির খুব বড় ভক্ত আমি। আমার প্রেমিকা পত্রলেখা বাঙালি। সেদিক থেকে আমি বাংলার জামাই। তাই বাংলা থেকে আগামী দিনে আরও ভালো অফারের অপেক্ষায় রয়েছি।
বাঙালি পরিচালকের মধ্যে কার কার ছবি পছন্দ করেন।
অনেকেই রয়েছেন। তবে ঋতুপর্ণ ঘোষ, অপর্ণা সেন, সুমন ঘোষ— এঁদের কাজ খুব ভালো লেগেছে।
‘বধাই দো’র শ্যুটিং শেষ করলেন। এরপর হাতে কী কী কাজ রয়েছে?
খুব তাড়াতাড়ি হৃষীকেশ মুখোপাধ্যায়ের ‘চুপকে চুপকে’র রিমেকের শ্যুটিং শুরু করব।