শিক্ষার জন্য দূরে কোথাও যেতে পারেন। প্রেম-প্রণয়ে নতুন যোগাযোগ হবে। বিবাহের কথাবার্তাও পাকা হতে পারে। ... বিশদ
শিয়ালদহ ডিভিশনের জনসংযোগ আধিকারিক এইচএন গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, প্রতিটি স্টেশনে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা বসানো হবে। ইতিমধ্যে শিয়ালদহ, কলকাতা, দমদম স্টেশনে সেই কাজ হয়েছে। সোনারপুর স্টেশনে বর্তমানে কাজ চলছে। আগামী দিনে ধাপে ধাপে রানাঘাট, শান্তিপুর,কল্যাণী, কৃষ্ণনগর প্রভৃতি স্টেশনে ক্যামেরা বসানো হবে। যদিও রানাঘাট স্টেশনের এক কর্তা বলেন, ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা স্টেশনে কবে বসবে তা নিয়ে এখনও নির্দিষ্ট কোনও তথ্য আমাদের কাছে নেই।
জেলার পূর্বদিকে বাংলাদেশ সীমান্ত রয়েছে। গেদে ও বনগাঁ আন্তর্জাতিক চেকপোস্টও রয়েছে। দুই এলাকার স্টেশনের সঙ্গে রেলপথে রানাঘাট যুক্ত রয়েছে। সেকারণে নিমতিতায় বিস্ফোরণের পর রেলের তরফে রানাঘাটে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, নিমতিতা স্টেশনে সিসি ক্যামেরা না থাকায় দুষ্কৃতীদের চিহ্নিতকরণ ও তদন্তের কাজ শেষ করতে গোয়েন্দাদের বেগ পেতে হচ্ছে। এদিকে শিয়ালদহ ডিভিশনের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন রানাঘাট। কিন্তু তারপরও এই স্টেশনে সিসি ক্যামেরা না থাকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
রেল সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, রানাঘাট স্টেশন দিয়ে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৩৫হাজারের বেশি যাত্রী যাতায়াত করেন। ছুটির দিন হোক কিংবা সপ্তাহের অন্যান্য দিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত স্টেশন ভিড়ে ঠাসা থাকে। একই চিত্র জেলা সদর কৃষ্ণনগর রেল স্টেশনেও। তাছাড়া করিমপুর, তেহট্ট, চাপড়া এলাকায় সরাসরি রেল যোগাযোগ নেই। তাই ওই এলাকার বাসিন্দাদের বাসে চেপে কৃষ্ণনগর শহরে এসে তারপর ট্রেনে চাপতে হয়।
নিমতিতা বিস্ফোরণকাণ্ডে বাংলাদেশি দুষ্কৃতীদের যোগ থাকার ব্যাপারে সন্দেহ জোরালো হয়। ফলে মুর্শিদাবাদের পার্শ্ববর্তী এই জেলায় বাংলাদেশ সীমান্তে আগেই ‘হাই অ্যালার্ট’ জারি করেছে প্রশাসন। জেলা পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় প্রায় ২০কিলোমিটার এলাকায় সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নেই। তার মধ্যে আবার পাঁচ কিলোমিটার নদীপথ রয়েছে। তাই স্বাভাবিকভাবেই সীমান্তে দুষ্কৃতী ও অপরাধের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা এদেশে অপরাধ করে সহজেই বাংলাদেশ গা-ঢাকা দিতে পারে। তাছাড়া বিগত দিনে বাংলাদেশ থেকেও দাগী অপরাধীরা এদেশে এসে খুন, অপহরণের মতো অপরাধ করে সহজেই আবার বাংলাদেশ চলে যাওয়ার উদাহরণও রয়েছে।
রানাঘাটের বাসিন্দা রেলযাত্রী দীপঙ্কর হালদার বলেন, রানাঘাট স্টেশন অপরাধীদের যাতায়াতের ক্ষেত্রে মুক্তাঞ্চলে পরিণত হয়েছে। ফুটব্রিজ, সাবওয়ে ছাড়াও রেল লাইন ধরে স্টেশনের উত্তর ও দক্ষিণ দিক দিয়ে সরাসরি প্ল্যাটফর্মে চলাচল করা যায়। সাধারণ যাত্রী সেজে দুষ্কৃতীদের যাতায়াত করা কঠিন কিছু নয়। তাছাড়া স্টেশনে মেটাল ডিটেক্টর সিস্টেমে যাত্রীদের চেকিং করা হয় না। এর আগেও একাধিক বাংলাদেশি অবৈধভাবে এদেশে আসায় রেল পুলিসের হাতে ধরা পড়েছে।