Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

চলার পথে
ব্যাক বেঞ্চারস

জীবনের প্রধান ও মুখ্য ঘটনাগুলিই কেবল মনে থাকার কথা। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় স্মৃতির অতলে অনেক তুচ্ছ ক্ষুদ্র ঘটনাও কেমন করে বেশ বড় হয়ে জাঁকিয়ে বসে রয়েছে। সাহিত্যিকদের ‘ভবঘুরে’ জীবনের তেমনই নানা ঘটনা উঠে এল কলমের আঁচড়ে। আজ লিখছেন তন্ময় চক্রবর্তী।

হুড়মুড় করে ক্লাসে ঢুকতেই চোখ আটকে গেল ফার্স্ট বেঞ্চে। ঠিক দেখছি তো! আমাদের ধারণা, ফিজিক্স নিয়ে সাধারণত হাই-পাওয়ার চশমা পরা গম্ভীর মেয়েরাই পড়তে আসে। অথচ সেখানে ক্লাসরুম আলো করে বসে আছে এক পরমাসুন্দরী। একঝলক তার দিকে তাকিয়েই আমরা তিনমূর্তি মানে আমি ও আরও দুই ব্যাকবেঞ্চার হুড়মুড় করে উঠে গেলাম গ্যালারির শেষে। ওটাই আমাদের জায়গা। তিনজন। পাশাপাশি। ব্যাক বেঞ্চের সুবিধা অনেক। অন্য স্টুডেন্টদের আড়ালে কথা বলা যায়। গল্প করা যায়। ক্লাসের অনেকেই আড়ালে আমাদের বখাটে বললেও আমরা আদতে আঁতেলমার্কা। সবকিছুতেই একটা বিপ্লব-বিপ্লব ভাব। সবকিছুতেই একটা মানছি না মানব না গোছের হিরোইজম আর কী। পড়াশোনায় যে আমরা নেহাত খারাপ তা নয়। মফস্‌সল থেকে এসেছি। কাজেই মেয়েদের সঙ্গে কথা বলার কমফোর্ট বা সু্যোগ বড় একটা ছিল না। অস্বস্তি হতো। আর সেটাকেই আমরা নিজেদের পার্সোনালিটি বলে ভাবতাম। ক্লাস বাঙ্ক করে ক্যান্টিন, স্টুডেন্টস ইউনিয়নরুম, টিটি, ক্যারাম এসবের মধ্যেই কেমন একটা বোহেমিয়ান জীবনযাপন করার আনন্দ ছিল। কিন্তু এই মেয়েটিকে আজকে হঠাৎ দেখেই, তিনজনেরই কেমন যেন কিছু একটা ঘটে গেল। আগে ক্লাসের শেষে দুদ্দাড় করে ক্যাম্পাসের বাইরে যাওয়াই ছিল দস্তুর। মাঝেমধ্যে ক্লাস কেটে সিনেমা-নাটক। বৃষ্টির দিনে পরোটা কষা মাংস অভিযান। চায়ের আড্ডায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা। এই ছিল জীবন। কিন্তু আশ্চর্য ভাবে এই মেয়েটি আসার পরে আমরা তিনজনেই যেন ক্লাসে একটু অতিরিক্ত মনোযোগী হয়ে পড়লাম। ভারী সুন্দর সেজে আসত মেয়েটি। ঠিক যেন গল্পে পড়া নায়িকা।
পুজোর ছুটির পরেই অবশ্য একটা ঘটনা ঘটল। আমাদের ক্লাসের একটি ছেলে, যার নাম ধরা যাক অতনু, সম্ভবত মেয়েটির ভালোবাসায় পড়ল। সম্ভবত বলছি এই কারণে যে, আশ্চর্য মেল-ইগোতে আমাদের কেউই প্রায় ভালোবাসা স্বীকার করতাম না। আর নিজের ক্লাসের কোনও মেয়ের বিষয়ে তো নয়ই। যা হোক, একদিন মুখ ফস্কে বলে ফেলেছিল অতনু। আমরা কান খাড়া করে শুনলাম ওই মেয়েটিকে নিয়ে ওর দুর্বলতার কথা। শুনে যা হওয়ার তাই-ই হল। ওই সুন্দরীর সঙ্গে অতনুর মতো ভোদাই প্রেম করবে, এ কথা তিনজনের কেউই মন থেকে মেনে নিতে পারলাম না। শুধু তাই নয়, অতনুকে নিরীহ গোবেচারা লুঙ্গি পরা ন্যাকা বলে অবজ্ঞা তাচ্ছিল্যও করলাম। আমাদের ব্যবহারে অতনুর মন যে ভেঙে গেল তা বিলক্ষণ টের পেয়েছিলাম। যদিও অনেক সাহস দেখিয়ে অতনু কদিন খুব চেষ্টা চালিয়েছিল সেই মেয়েটির সঙ্গে কথা বলার। জমাতে যে পারেনি, বলাই বাহুল্য। তাতে আমরাও দেঁতো হাসি হেসেছি। ব্যর্থ হয়ে আবার ক্যান্টিনের আড্ডায় ফিরে এল সে। এইসময় হঠাৎ একদিন আমাদের তিনজনের মাথায় একটা প্ল্যান এল। বাংলা ভাষায় যাকে বলে প্রেম-ভাঙানোর ব্লু-প্রিন্ট। এখন ঠিক মনে নেই। কী একটা অছিলায় ক্লাসের অন্য একটি মেয়েকে দিয়ে ওই সুন্দরীকে সাদা কাগজে নাম সই করালাম। একে ঠিক সই বলা চলে না। সাদা কাগজের নীচে মেয়েটি নিজের নাম পুরোটাই লিখল। বাকি খেলা আমাদের তিনজনের। সেই সই করা, কাগজের ওপরের ফাঁকা সাদা অংশে অতনুর সঙ্গে দেখা করার প্রস্তাব লিখলাম জম্পেশ করে। খামে ভরে সে অলৌকিক প্রস্তাব অন্য একটি মেয়ের মারফত সোজা চলে গেল অতনুর কাছে। প্রেমের গন্ধ পেলে সে ডাকে বুদ্ধিমান মানুষও অন্ধ হয়ে যায়। সেই সন্ধ্যায় আমাদের হাতে লেখা প্রেমপত্র পড়ে আকুল প্রেমিকের মতো ইঞ্জিনিয়ারিং বিল্ডিংয়ের নীচে চাঁপাগাছের তলায় অস্থিরভাবে একলা দাঁড়িয়ে রইল অতনু। আর আমরা দূর থেকে মুচকি হেসে দেখতে লাগলাম ওর অস্থির পায়চারি। মেয়েটি যখন এল না, ম্লান মুখে মাথা নিচু করে অন্ধকারে মিলিয়ে গেল অতনু। ক্লাসে দিনকতক চুপচাপ ছিল অতনু। ক্রমশ সুন্দরী মেয়েটির চলন-বলন আমাদের কাছে হয়ে উঠল স্বাভাবিক। শুধু ক্লাসের কেউ মেয়েটির সঙ্গে প্রেম করছে কি না তা দেখা ছাড়া, খোঁজ নেওয়া ছাড়া, মেয়েটিকে খুব একটা গুরুত্ব দিতাম না।
দুদ্দাড় করে এসে গেল পরীক্ষা। তার ঠিক দিন কতক আগে লাইব্রেরির কোণায় বসে আমাদের তিনমূর্তিকে সেই চিঠি খুলে দেখাল অতনু। প্রায় কাঁদো কাঁদো অবস্থা। আমরাও দক্ষ অভিনেতা। যেন কিছুই বুঝিনি এমন ভাব করে নিজেদের তৈরি করা চিঠিকেই অপরিচিতের মতো দেখতে দেখতে ওকে সমবেদনা জানালাম। গড়িয়ে গেল দিন। পরীক্ষা হয়ে গেল। রেজাল্ট বেরনোর পর দিন থেকে বোমা ফেটে স্প্লিন্টারের মতো আমরা ছড়িয়ে পড়লাম যে যার পৃথিবীতে। তখন মোবাইল ছিল না। যে টেলিফোনের ঠিকানা এখন জাদুঘর, সেই ফোনে ডায়াল ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে নম্বর পাওয়া দুষ্কর। চিঠি লেখার অভ্যাস নেই। লিখে পোস্ট করাও বিরক্তিকর। চাকরি পাওয়ার চাপ চেপে বসেছে মাথায়। যে বন্ধুদের ছাড়া একটা সন্ধেও শ্মশান মনে হতো, তাদের খোঁজখবর নেওয়াও ভুলে গেলাম একদিন। মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে। চাকরি জোটানোই হয়ে উঠল একমাত্র লক্ষ্য।
সবার ভাগ্য খারাপ থাকে না। শুরুতেই যা হোক একটা চাকরি জুটে গেল। অন্য দুই বন্ধুও ঢুকে পড়েছে গবেষণায়। ছড়িয়ে-ছিটিয়ে তিনজন বড় হচ্ছি। এমন সময় একদিন হঠাৎ আমাদের একমূর্তির ফোন, ‘কী রে, শনিবার রাতে ফ্রি আছিস? আমি কলকাতায় এসেছি।’ যেন এক জীবনের কথা জমে ছিল। ন্যানো সেকেন্ডে পৌঁছে গেলাম সেই ক্লাসরুমে। হাইজেনবার্গস আনসারটেনিটি প্রিন্সিপাল, স্রোয়েডিংগার ইকুয়েকশন। আর অবশ্যই সেই হারিয়ে যাওয়া সুন্দরী। যে আমাদের কোনও চৌহদ্দিতেই এখন আর নেই।
...‘দেখা হচ্ছে তবে।’ রেখে দিলাম ফোন। এখন শুধু শনিবারের সন্ধের অপেক্ষা।
শনিবারের সকাল। তখনও ভালো করে ঘুম ভাঙেনি। বেজে উঠল টেলিফোন। অপর প্রান্তে আরেক মূর্তির গলা। ‘আসছিস তো। চটপট আসিস। সেই অতনুও আসবে।’ অতনুর নাম শুনতেই দু’জনে একসঙ্গে হেসে উঠলাম। ফোনও কেটে গেল, হুট করে।
যদিও এসব ক্যাফেট্যাফেতে আমি বড় একটা যাই না। কাচের ফাঁক দিয়ে দেখতে পাচ্ছি সেই দুই মূর্তি অলরেডি এসে গিয়েছে। নিষ্পলক তাকিয়ে আবেগে কেঁদে ফেললাম তিনজনেই। আগের চেয়ে অনেক স্মার্ট হয়েছে ওরা। কিন্তু আমাদের তিনজনেরই এক জায়গায় ভীষণ মিল। আমাদের এখনও কোনও প্রেমিকা বা বান্ধবী নেই। কফির অর্ডার দিলাম। বাইরে হালকা বৃষ্টি নেমেছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই ছাতা হাতে হাজির অতনু। আমরা তিনজন ওকে দেখেই একে অপরের দিকে তাকিয়ে হেসে উঠলাম। নিমেষে আড্ডা জমে উঠল পুরনো দিনের কথায়। শুরুতেই মুখ কাঁচুমাচু করে অতনু বলল, ‘শোন, তোদের একটা কথা বলা হয়নি। আমি বিয়ে করেছি।’
আমরা ফিক করে হেসে উঠলাম। অতনু বলল, ‘যাক গে তোদের আজ আমি খাওয়াব।’
আমরা তিনজনেই সমস্বর, ‘তা কেন। আমরাই তোকে খাওয়াব। তুই বরঞ্চ একদিন তোর বাড়িতে আমাদের ডেকে তোর বউয়ের হাতের রান্না খাওয়াস।’
এক সেকেন্ড পজ নিয়ে অতনু বলল, ‘বউ এখানে আসছে একটু বাদেই। ওর সঙ্গে কথা বলেই না হয় দিন ঠিক করা যাবে।’
আড্ডার, হালকা কথাবার্তার ফাঁকে খুলে গিয়েছে ক্যাফের দরজা। আমরা তিনজনেই বিস্ফারিত চোখে তাকালাম সেইদিকে। দরজা ঠেলে আমাদের দিকেই পায়ে পায়ে এগিয়ে আসছে ফিজিক্স ক্লাসরুমের সেই সুন্দরী। পার্থক্য একটাই। কপালে একটা আগুনে লাল টিপ। মুচকি হেসে, এসে বসল অতনুর ঠিক পাশেই। বাকিটা পাঠক নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন। ‘হৃদয় খুঁড়ে কেই বা আর বেদনা জাগাতে চায়।’
27th  September, 2020
কালাদা 

জীবনের প্রধান ও মুখ্য ঘটনাগুলিই কেবল মনে থাকার কথা। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় স্মৃতির অতলে অনেক তুচ্ছ ক্ষুদ্র ঘটনাও কেমন করে বেশ বড় হয়ে জাঁকিয়ে বসে রয়েছে। সাহিত্যিকদের ‘ভবঘুরে’ জীবনের তেমনই নানা ঘটনা উঠে এল কলমের আঁচড়ে। আজ লিখছেন বুদ্ধদেব গুহ। 
বিশদ

18th  October, 2020
আজও তারা জ্বলে 

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তারই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ ছায়া দেবী- সপ্তম কিস্তি। 
বিশদ

18th  October, 2020
খিদে
তপন বন্দ্যোপাধ্যায় 

ক্লাস ফাইভে পড়াতে ঢুকেই সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়ে মিলিতা। কারও বয়স দশ, কারও এগারো। অধিকাংশই গরিব ঘরের, অনেকেরই সব বই কেনা হয়নি এখনও। কেউ কেউ একটা-দুটো বই হয়তো হাতে পাবেই না, অথচ অ্যানুয়াল পরীক্ষা দিতে বসবে। গার্জেনদের কাকুতি-মিনতি, অনুরোধে তুলে দিতে হয় পরের ক্লাসে। আজ পড়াতে পড়াতে হঠাৎ চোখ পড়ল ইমনের দিকে।  
বিশদ

18th  October, 2020
সেই মুখ

জীবনের প্রধান ও মুখ্য ঘটনাগুলিই কেবল মনে থাকার কথা। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় স্মৃতির অতলে অনেক তুচ্ছ ক্ষুদ্র ঘটনাও কেমন করে বেশ বড় হয়ে জাঁকিয়ে বসে রয়েছে। সাহিত্যিকদের ‘ভবঘুরে’ জীবনের তেমনই নানা ঘটনা উঠে এল কলমের আঁচড়ে। আজ লিখছেন অনিতা অগ্নিহোত্রী। 
বিশদ

11th  October, 2020
আজও তারা জ্বলে 

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তারই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ ছায়া দেবী- ষষ্ঠ কিস্তি। 
বিশদ

11th  October, 2020
যোগিনী হইয়া

 জীবনের প্রধান ও মুখ্য ঘটনাগুলিই কেবল মনে থাকার কথা। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় স্মৃতির অতলে অনেক তুচ্ছ ক্ষুদ্র ঘটনাও কেমন করে বেশ বড় হয়ে জাঁকিয়ে বসে রয়েছে। সাহিত্যিকদের ‘ভবঘুরে’ জীবনের তেমনই নানা ঘটনা উঠে এল কলমের আঁচড়ে। আজ লিখছেন এষা দে। বিশদ

04th  October, 2020
 আজও তারা জ্বলে

 বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তারই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ ছায়া দেবী- পঞ্চম কিস্তি। বিশদ

04th  October, 2020
আজও তারা জ্বলে

 বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তারই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ ছায়া দেবী- চতুর্থ কিস্তি।
বিশদ

27th  September, 2020
চলার পথে 

জীবনের প্রধান ও মুখ্য ঘটনাগুলিই কেবল মনে থাকার কথা। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় স্মৃতির অতলে অনেক তুচ্ছ ক্ষুদ্র ঘটনাও কেমন করে বেশ বড় হয়ে জাঁকিয়ে বসে রয়েছে। সাহিত্যিকদের ‘ভবঘুরে’ জীবনের তেমনই নানা ঘটনা উঠে এল কলমের আঁচড়ে। আজ লিখছেন বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়।  বিশদ

20th  September, 2020
আজও তারা জ্বলে 

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তাঁরই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ ছায়া দেবী- তৃতীয় কিস্তি। 
বিশদ

20th  September, 2020
রেলগাড়ি ঝমা ঝম
কাকলি দেবনাথ 

পিয়ানোর সুরেলা টুং টাং আওয়াজ। রান্না ছেড়ে দৌড়ে গিয়ে মোবাইলটা দেখলাম।
তিতাসের মেসেজ— তা হলে আমি অনলাইনে টিকিট কেটে নিচ্ছি?  বিশদ

20th  September, 2020
তর্পণ
ধ্রুব মুখোপাধ্যায়

 এখন আমার বিরানব্বই। সেই ছেলেবেলা থেকেই আমি ভীষণ সেয়ানা। যদিও এই জিনিসটা, আমি সারা জীবন উপভোগই করেছি। সেই যেবার রাতের অন্ধকারে মা, বাবার সঙ্গে পদ্মা পেরিয়ে এপারে এলাম সেবারও, সবাই যখন বহরমপুরে মাথা গোঁজার ঠাঁই খুঁজছে আমি তখন চুপচাপ খবর লাগিয়েছিলাম, শিয়ালদা স্টেশনের।
বিশদ

13th  September, 2020
আজও তারা জ্বলে
পর্ব- ৩৯

 বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তাঁরই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ ছায়া দেবী- দ্বিতীয় কিস্তি।
বিশদ

13th  September, 2020
মুনকুদি

 জীবনের প্রধান ও মুখ্য ঘটনাগুলিই কেবল মনে থাকার কথা। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় স্মৃতির অতলে অনেক তুচ্ছ ক্ষুদ্র ঘটনাও কেমন করে বেশ বড় হয়ে জাঁকিয়ে বসে রয়েছে। সাহিত্যিকদের ‘ভবঘুরে’ জীবনের তেমনই নানা ঘটনা উঠে এল কলমের আঁচড়ে। আজ লিখছেন নলিনী বেরা। বিশদ

13th  September, 2020
একনজরে
শুক্রবার ভোরে পাঁচ দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করল সোনারপুর থানার পুলিস। সুভাষগ্রাম রেলগেটের কাছ থেকে তাদের ধরা হয়। তদন্তে পুলিস জানতে পেরেছে, দুষ্কৃতীরা এলাকায় চুরি করার উদ্দেশ্যে জড়ো হয়েছিল। ...

ঘোষিত হল সপ্তম আইএসএলের প্রথম এগারো রাউন্ডের ক্রীড়াসূচি। ২০ নভেম্বর উদ্বোধনী ম্যাচে গতবারের চ্যাম্পিয়ন এটিকে মোহন বাগান মুখোমুখি হবে কেরল ব্লাস্টার্সের। দ্বিতীয় ম্যাচে নর্থ-ইস্ট ইউনাইটেড মাঠে নামবে মুম্বই সিটি এফসি’র বিরুদ্ধে। ...

পবিত্র মিলাদ-উন-নবির দিন নামাজে বাধা দেওয়া হল জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাকে। এমনকী বাড়ির বাইরে অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করে তাঁর বাড়ি থেকে বেরনো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ...

সংবাদদাতা, ইসলামপুর: উত্তর দিনাজপুর জেলার প্রাথমিক শিক্ষকদের এরিয়ারের বিল আটকে প্রায় এক বছর ধরে। যার পরিমাণ প্রায় ২ কোটি টাকা। জেলা শিক্ষাদপ্তরের তরফে অবশ্য জানানো হয়েছে, বকেয়া এরিয়ারের এস্টিমেট পাঠানো হয়েছে বিকাশ ভবনে।   ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনাচিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব মিতব্যয়িতা দিবস
১৭৯৫ - ইংরেজি সাহিত্যের রোম্যান্টিক কবি জন কিটসের জন্ম
১৮৭৫- লৌহমানব সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের জন্ম
১৮৮৩: ধর্মীয় গুরু স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতীর জন্ম
১৯৬৬- পানামা খাল অতিক্রম করেন বিশিষ্ট সাঁতারু মিহির সেন
১৯৭৫- সংগীতশিল্পী শচীন দেব বর্মনের মৃত্যু
১৯৮৪- আততায়ীর গুলিতে খুন হলেন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী
২০০০- নতুন রাজ্য হল ছত্তিশগড়
২০০৮- দাবায় বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হলেন বিশ্বনাথন আনন্দ  



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৩.২৪ টাকা ৭৪.৯৫ টাকা
পাউন্ড ৯৪.৭০ টাকা ৯৮.০৩ টাকা
ইউরো ৮৫.৫৪ টাকা ৮৮.৬৭ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
30th  October, 2020
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫১, ৪৯০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৮, ৮৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৯, ৫৮০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬০, ৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬০, ৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
30th  October, 2020

দিন পঞ্জিকা

১৪ কার্তিক, ১৪২৭, শনিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২০, পূর্ণিমা ৩৬/২৭ রাত্রি ৮/১৯। অশ্বিনী নক্ষত্র ৩০/৩৪ সন্ধ্যা ৫/৫৮। সূর্যোদয় ৫/৪৪/২০, সূর্যাস্ত ৪/৫৬/১৮। অমৃতযোগ দিবা ৬/২৮ মধ্যে পুনঃ ৭/১৩ গতে ৯/২৮ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৩ গতে ২/৪২ মধ্যে পুনঃ ৩/২৭ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ১২/৩৭ গতে ২/১৯ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ২/১৯ গতে ৩/১০ মধ্যে। বারবেলা ৭/৮ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৪ গতে ২/৮ মধ্যে পুনঃ ৩/৩২ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৬/৩৩ মধ্যে পুনঃ ৪/৯ গতে উদয়াবধি।
প্রাচীন পঞ্জিকা: ১৪ কার্তিক, ১৪২৭, শনিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২০, পূর্ণিমা রাত্রি ৭/২৮। অশ্বিনী নক্ষত্র রাত্রি ৬/১৬। সূর্যোদয় ৫/৪৫, সূর্যাস্ত ৪/৫৭। অমৃতযোগ দিবা ৬/৩৫ মধ্যে ও ৭/১৯ গতে ৯/৩১ মধ্যে ও ১১/৪৩ গতে ২/৩৮ মধ্যে ও ৩/২২ গতে ৪/৫৭ মধ্যে এবং রাত্রি ১২/৩৯ গতে ২/২৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ২/২৩ গতে ৩/১৫ মধ্যে। কালবেলা ৭/৯ মধ্যে ও ১২/৪৫ গতে ২/৯ মধ্যে ও ৩/৩৩ গতে ৪/৫৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৩৩ মধ্যে ও ৪/৯ গতে ৫/৪৬ মধ্যে।
১৩ রবিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের দিনটি কেমন যাবে?  
মেষ: সৎ পরামর্শ মতো চললে ভালো হবে। বৃষ: বুঝেশুনে বিনিয়োগ করলে শুভ ...বিশদ

04:29:40 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
বিশ্ব মিতব্যয়িতা দিবস১৭৯৫ - ইংরেজি সাহিত্যের রোম্যান্টিক কবি জন কিটসের ...বিশদ

04:28:18 PM

 আইপিএল: বেঙ্গালুরুকে ৫ উইকেটে হারাল হায়দরাবাদ

10:58:29 PM

আইপিএল: হায়দরাবাদ ৬৪/২ (৮ ওভার)

10:11:15 PM

 আইপিএল: হায়দরাবাদকে ১২১ রানের টার্গেট দিল বেঙ্গালুরু

09:35:00 PM

 আইপিএল: আরসিবি ৭১/৩ (১১ ওভার)

08:25:27 PM