Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

চলার পথে 

জীবনের প্রধান ও মুখ্য ঘটনাগুলিই কেবল মনে থাকার কথা। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় স্মৃতির অতলে অনেক তুচ্ছ ক্ষুদ্র ঘটনাও কেমন করে বেশ বড় হয়ে জাঁকিয়ে বসে রয়েছে। সাহিত্যিকদের ‘ভবঘুরে’ জীবনের তেমনই নানা ঘটনা উঠে এল কলমের আঁচড়ে। আজ লিখছেন বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখে মাস্ক বেঁধে চলাফেরা করতে করতে আমরা তো এখন প্রায় ভুলে যেতে বসেছি যে, এমন দিনও ছিল যখন আমরা ইতিউতি অজস্র ঘটনায় হো হো করে হেসে উঠতাম। আমাদের হাসির ছররা চলকে গিয়ে লাগত পাশের মানুষগুলোর গায়ে আর হাসির ভিতর দিয়ে এমন একটা সেতু তৈরি হতো, যেখানে আত্মীয়তা-অনাত্মীয়তার ভেদটাই যেত অস্পষ্ট হয়ে। হ্যাঁ, এমনটাও হয়েছে যে সব হাসি সবসময় সঠিক কারণে উৎসারিত হয়নি। কোনও-কোনওটার পিছনে এমন কিছু কারণ ছিল, যেগুলো না-থাকাই উচিত। কিন্তু হাসির ধর্ম যেহেতু কলুষ ধুয়ে দেওয়া। তাই সেই বাইরের খোলসগুলো গুরুত্বহীন হয়ে মিলিয়ে গিয়েছে একটা সময়। হাসি-মজার আবহটাই সানাইয়ের মতো বাজতে থেকেছে।
সানাই যখন এল বিয়ের কথাই বা আসবে না কেন? ছোটবেলায় দেখেছি, কৃষ্ণকমল দাদুকে দু’-চারজন লোক ভাড়া করত, পাত্রীপক্ষের লোকের সঙ্গে কথা বলার জন্য। উদ্দেশ্যটা অত্যন্ত খারাপ ছিল, নগদ টাকা এবং গয়নাগাটির ব্যাপারে চাপ সৃষ্টি করা। কিন্তু দাদু যেভাবে কথাটা পাড়তেন তাতে উপস্থিত সকলেই হেসে ফেলত। পেশায় কীর্তনীয়া দাদুর স্টাইল ছিল কথা বলতে বলতে হঠাৎ উচ্চমার্গের একটা বিষয় এনে ফেলা। একদিনের কথা বলি। আমার এক বন্ধুর বাড়িতে বসে দাদু বললেন, ‘মাইয়ারে যখন শ্বশুরবাড়ি পাঠাইতাসেন, তখন মনে রাখবেন যে, মা লক্ষ্মীরে পাঠাইতাসেন, গৌরাঙ্গরে নয়।’ কথার নিহিতার্থ বুঝতে না পেরে যখন এ-ওর মুখের দিকে তাকাচ্ছে, দাদু আবার মুখ খুললেন, ‘গৌরাঙ্গরে খালি পায়ে, খালি গায়ে চাদর জড়াইয়া সংকীর্তন করতে করতে পাঠাইয়া দেওন যায়, যেখানে খুশি। কিন্তু লক্ষ্মীরে কোথাও দিয়া আইতে গেলে খেয়াল রাখতে হয়, তার গা-ভর্তি গয়না যেন থাকে। নইলে লক্ষ্মীরও অসম্মান আর যারা পাঠাইতাসে তাদেরও অসম্মান।’
কৃষ্ণকমল দাদুর ব্যাখ্যা শুনে হাসির ফোয়ারা বয়ে যাওয়ায় ওইসব দাবিদাওয়া আদায় খানিক সহজ হয়ে গিয়েছিল হয়তো। কিন্তু শহরতলির প্রত্যন্তে একটা অপরিকল্পিত উদ্বাস্তু কলোনির ভাঙাচোরা দুটো ঘরে থাকা কৃষ্ণকমল যখন নিজের মেয়ের বিয়ের জন্য সাহায্যের আশায় আমাদের পাড়ার বাড়ি-বাড়ি ঘুরছিলেন, তখন নিশ্চয়ই ছিনাথ বহুরূপীর গা থেকে খসে পড়া বাঘছালের মতো ওই ইয়ার্কিগুলোও খসে পড়ে গিয়েছিল কিংবা পেরেকের মতো বিঁধছিল ওঁর নিজেরই গায়ে।
তবে দুঃখ-টুঃখকে পাত্তা না দিয়ে শব্দ তার খুশি তৈরি করার ক্ষমতা নিয়ে সবসময়ই জেগে থাকে আমাদের চারপাশে। পরীক্ষার হলে গার্ড দিতে গিয়ে আমার নিজেরই তেমন এক অভিজ্ঞতা হয়েছিল। আবার প্রশ্নের টানে প্রশ্ন আসে। একটি পরীক্ষার খাতার কথা শুনেছিলাম যেখানে ‘জাহাজ কেন জলে ভাসে’র উত্তরে পরীক্ষার্থী লিখেছিল, ‘নিশ্চয়ই কোনও কারণ আছে।’ বলুন, কোথায় এর নম্বর কাটা যায়? কারণ ছাড়া কিছু কি হয় দুনিয়ায়?
আমি যেমন একবার এক অ্যামেচার নাটকের দলের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছিলাম। সেই দলের নাম ছিল ‘মৃগশিরা’। দলের সর্বময় পরিচালিকার কাছে জানতে চেয়েছিলাম, এরকম অদ্ভুত নাম কেন দলের। তিনি উত্তরে জানিয়েছিলেন যে, তাঁর যেহেতু ‘মৃগশিরা’ নক্ষত্রে জন্ম তাই নিজের দলের ওইরকম নামকরণ করেছেন।
‘আপনি পৃথিবীতে জন্মাননি আমাদের মতো? নক্ষত্রে জন্মেছেন? কই দেখলে বোঝা যায় না তো যে আপনি ইটি!’ আর একটু হলেই বলে ফেলেছিলাম ।
পরিচালিকা কিছু আন্দাজ করে আমায় দিকে তাকালেন খর চোখে।
আমি আমতা আমতা করে বলে ফেললাম, ‘আমি পৃথিবীতেই জন্মেছি।’
‘ধ্যাত্তেরি, ওটা আমার জন্মকালীন নক্ষত্র। মানুষের ছকে যেমন রাশি, লগ্ন থাকে, তেমন নক্ষত্রও থাকে একটা, বুঝলেন?’ নায়িকা জবাব দিলেন।
মৃগশিরা আমাদের পরিচালিকাকে নক্ষত্র বানায়নি অবশ্য। তবে নক্ষত্র হলেই যে তাকে নিয়ে মজা করতে পারবে না কেউ, তেমনও নয়। বাংলা চলচ্চিত্রের এক সুপ্রাচীন নক্ষত্রকে নিয়েই যেমন মজা হতে দেখেছিলাম একদিন।
আমার তখন চিত্রনাট্য লেখার সুবাদে অল্পস্বল্প যাতায়াত স্টুডিও-পাড়ায়। একজন তরুণ এবং আর একজন অতি-তরুণ অভিনেতা একদিন সেই নক্ষত্রের গলায় রজনীগন্ধার মালা পরিয়ে দিয়েছিলেন টালিগঞ্জের এক স্টুডিওর একটি ফ্লোরে। নক্ষত্র খানিকটা আপ্লুত হয়েই বলেছিলেন, ‘আরে এসবের আবার কী দরকার, শ্রদ্ধা করো সে তো জানিই। তাছাড়া আজ তো আমার জন্মদিনও নয়!’
অতি-তরুণ অভিনেতাটি উত্তরে একগাল হাসি হেসে বললেন, ‘জন্মদিন-টন্মদিন বলে নয়, আপনার গলায় মালা পরালাম আমরা, কারণ আজ আপনার অন্যের পয়সায় মদ্যপানের পঞ্চাশ বছর পূর্ণ হল।’
কথাটা শেষ হতেই একটা পিন-পতনের নিস্তব্ধতা সারা ঘরে কিন্তু সে আর কতক্ষণ? মুহূর্তেই একটা সিলিং-ফাটানো হাসি শ্যুটিং ফ্লোরের দেওয়াল থেকে দেওয়ালে পাক খেতে থাকল।
আর নক্ষত্র কেমন এক চুপসে যাওয়া চেহারায় বসে রইলেন।
সকলে অবশ্য চুপসে যাওয়ার বান্দা নন। এক রিটায়ার্ড গেজেটেড অফিসারকে নিয়ে একটি গল্প লিখেছিলাম একদা, যিনি প্রায় প্রতিমাসে ক্যুরিয়ার মারফত অন্তত দুটো চিঠি পাঠাতেন কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের জনৈক পাণ্ডার নামে। সেই পাণ্ডা নাকি এই অবসরপ্রাপ্ত ভদ্রলোকের থেকে কড়কড়ে দেড় হাজার টাকা নিয়ে রেখেছিলেন প্রসাদী প্যাঁড়া পাঠাবেন বলে। কিন্তু মাস পেরিয়ে বছর গড়ালেও সেই প্যাঁড়া আর কলকাতা এসে পৌঁছয়নি। এদিকে প্যাঁড়া কলকাতায় এসে না পৌঁছলে ভদ্রলোক আবার ছাদনাতলায় যেতেও পারছিলেন না। কারণ এবার যে ভদ্রমহিলাকে পছন্দ করেছেন তিনি কাশীর প্রসাদ না আসা পর্যন্ত এক-পা এগতেও অনিচ্ছুক। এমতাবস্থায় এই রিটায়ার্ড ভদ্রলোকের কাশীর ওই পাণ্ডাকে পরের পর চিঠি পাঠানো ছাড়া উপায় কী? সেই চিঠিগুলির একটির কিয়দংশ শুনিয়েই এই লেখা শেষ করব।
‘ ...আমি তাই প্রতিমাকে ঘুরাইতে শুরু করিলাম। আর নিজেও ওর সঙ্গে ঘুরিতে শুরু করিলাম। একদিন শিয়ালদহ স্টেশন হইতে কলেজ স্ট্রিটের দিকে হাঁটিতে হাঁটিতে প্রতিমার দৃষ্টি আকর্ষণ করিলাম, বাঁদিকের বিবাহের কার্ডের দোকানগুলির দিকে। সেই নয়-দশ বৎসর পূর্বে আমার একমাত্র কন্যার বিবাহের সময় (এখন সে পুত্র-কন্যা লইয়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আরকানসাস মহকুমায় স্বামীর সহিত সুখে কালাতিপাত করিতেছে) এইসব দোকানের একটিতে ঢুকিয়া যে প্রশ্ন করিয়াছিলাম, আজও সেই একই প্রশ্ন মুখ হইতে নির্গত হইল, যদিদং কত করে? দোকানি উত্তর দিবার পূর্বেই প্রতিমা দোকান হইতে বাহির হইয়া গিয়াছিল। আমি উহাকে ভিতরে আনিবার নিমিত্ত বাহিরে যাইতেই ও নাকিসুরে যাহা বলিল তাহার মর্মার্থ, একজন বিধবার এসবের মধ্যে থাকা উচিত নহে। আচ্ছা, মেসি খেলিলেও আর্জেন্তিনা গোল খাইতে পারে, বিরাট কোহলি ব্যাট করিলেও হারিতে পারে ভারত। কিন্তু আমি যখন জীবিত, তখন প্রতিমা বিধবা থাকিতে পারে কী করিয়া? সেই মাহেন্দ্রক্ষণেই উহাকে বিবাহ প্রস্তাব দিই। কিন্তু সেই আচারনিষ্ঠ বাল্যবিধবা আমাকে কাশী হইতে ফাঁড়া কাটাইয়া আসিতে বলিল।’
ফাঁড়া কাটুক না কাটুক, এই দুঃসময়েও এরকম চিঠি পড়লে মুখ আর মনের মেঘ কেটে যায় কি না বলুন? 
20th  September, 2020
কালাদা 

জীবনের প্রধান ও মুখ্য ঘটনাগুলিই কেবল মনে থাকার কথা। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় স্মৃতির অতলে অনেক তুচ্ছ ক্ষুদ্র ঘটনাও কেমন করে বেশ বড় হয়ে জাঁকিয়ে বসে রয়েছে। সাহিত্যিকদের ‘ভবঘুরে’ জীবনের তেমনই নানা ঘটনা উঠে এল কলমের আঁচড়ে। আজ লিখছেন বুদ্ধদেব গুহ। 
বিশদ

18th  October, 2020
আজও তারা জ্বলে 

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তারই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ ছায়া দেবী- সপ্তম কিস্তি। 
বিশদ

18th  October, 2020
খিদে
তপন বন্দ্যোপাধ্যায় 

ক্লাস ফাইভে পড়াতে ঢুকেই সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়ে মিলিতা। কারও বয়স দশ, কারও এগারো। অধিকাংশই গরিব ঘরের, অনেকেরই সব বই কেনা হয়নি এখনও। কেউ কেউ একটা-দুটো বই হয়তো হাতে পাবেই না, অথচ অ্যানুয়াল পরীক্ষা দিতে বসবে। গার্জেনদের কাকুতি-মিনতি, অনুরোধে তুলে দিতে হয় পরের ক্লাসে। আজ পড়াতে পড়াতে হঠাৎ চোখ পড়ল ইমনের দিকে।  
বিশদ

18th  October, 2020
সেই মুখ

জীবনের প্রধান ও মুখ্য ঘটনাগুলিই কেবল মনে থাকার কথা। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় স্মৃতির অতলে অনেক তুচ্ছ ক্ষুদ্র ঘটনাও কেমন করে বেশ বড় হয়ে জাঁকিয়ে বসে রয়েছে। সাহিত্যিকদের ‘ভবঘুরে’ জীবনের তেমনই নানা ঘটনা উঠে এল কলমের আঁচড়ে। আজ লিখছেন অনিতা অগ্নিহোত্রী। 
বিশদ

11th  October, 2020
আজও তারা জ্বলে 

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তারই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ ছায়া দেবী- ষষ্ঠ কিস্তি। 
বিশদ

11th  October, 2020
যোগিনী হইয়া

 জীবনের প্রধান ও মুখ্য ঘটনাগুলিই কেবল মনে থাকার কথা। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় স্মৃতির অতলে অনেক তুচ্ছ ক্ষুদ্র ঘটনাও কেমন করে বেশ বড় হয়ে জাঁকিয়ে বসে রয়েছে। সাহিত্যিকদের ‘ভবঘুরে’ জীবনের তেমনই নানা ঘটনা উঠে এল কলমের আঁচড়ে। আজ লিখছেন এষা দে। বিশদ

04th  October, 2020
 আজও তারা জ্বলে

 বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তারই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ ছায়া দেবী- পঞ্চম কিস্তি। বিশদ

04th  October, 2020
চলার পথে
ব্যাক বেঞ্চারস

জীবনের প্রধান ও মুখ্য ঘটনাগুলিই কেবল মনে থাকার কথা। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় স্মৃতির অতলে অনেক তুচ্ছ ক্ষুদ্র ঘটনাও কেমন করে বেশ বড় হয়ে জাঁকিয়ে বসে রয়েছে। সাহিত্যিকদের ‘ভবঘুরে’ জীবনের তেমনই নানা ঘটনা উঠে এল কলমের আঁচড়ে। আজ লিখছেন তন্ময় চক্রবর্তী। বিশদ

27th  September, 2020
আজও তারা জ্বলে

 বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তারই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ ছায়া দেবী- চতুর্থ কিস্তি।
বিশদ

27th  September, 2020
আজও তারা জ্বলে 

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তাঁরই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ ছায়া দেবী- তৃতীয় কিস্তি। 
বিশদ

20th  September, 2020
রেলগাড়ি ঝমা ঝম
কাকলি দেবনাথ 

পিয়ানোর সুরেলা টুং টাং আওয়াজ। রান্না ছেড়ে দৌড়ে গিয়ে মোবাইলটা দেখলাম।
তিতাসের মেসেজ— তা হলে আমি অনলাইনে টিকিট কেটে নিচ্ছি?  বিশদ

20th  September, 2020
তর্পণ
ধ্রুব মুখোপাধ্যায়

 এখন আমার বিরানব্বই। সেই ছেলেবেলা থেকেই আমি ভীষণ সেয়ানা। যদিও এই জিনিসটা, আমি সারা জীবন উপভোগই করেছি। সেই যেবার রাতের অন্ধকারে মা, বাবার সঙ্গে পদ্মা পেরিয়ে এপারে এলাম সেবারও, সবাই যখন বহরমপুরে মাথা গোঁজার ঠাঁই খুঁজছে আমি তখন চুপচাপ খবর লাগিয়েছিলাম, শিয়ালদা স্টেশনের।
বিশদ

13th  September, 2020
আজও তারা জ্বলে
পর্ব- ৩৯

 বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তাঁরই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ ছায়া দেবী- দ্বিতীয় কিস্তি।
বিশদ

13th  September, 2020
মুনকুদি

 জীবনের প্রধান ও মুখ্য ঘটনাগুলিই কেবল মনে থাকার কথা। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় স্মৃতির অতলে অনেক তুচ্ছ ক্ষুদ্র ঘটনাও কেমন করে বেশ বড় হয়ে জাঁকিয়ে বসে রয়েছে। সাহিত্যিকদের ‘ভবঘুরে’ জীবনের তেমনই নানা ঘটনা উঠে এল কলমের আঁচড়ে। আজ লিখছেন নলিনী বেরা। বিশদ

13th  September, 2020
একনজরে
দেশের সবক’টি শোরুমে সোনার দাম একটাই রাখা হবে, ঘোষণা করল মালাবার গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ডস। তাদের বক্তব্য, বিভিন্ন রাজ্যে সোনার দাম বিভিন্ন রকম নেওয়া হয়। অথচ স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা ব্যাঙ্কের থেকে একটি নির্দিষ্ট ও স্বচ্ছ দামে সোনা কেনেন। ...

শুক্রবার ভোরে পাঁচ দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করল সোনারপুর থানার পুলিস। সুভাষগ্রাম রেলগেটের কাছ থেকে তাদের ধরা হয়। তদন্তে পুলিস জানতে পেরেছে, দুষ্কৃতীরা এলাকায় চুরি করার উদ্দেশ্যে জড়ো হয়েছিল। ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, বাঁকুড়া: জঙ্গলঘেরা গ্রাম। হাতির তাণ্ডব এখানে লেগেই থাকত। তা থেকে মুক্তির জন্য গজলক্ষ্মীর পুজো শুরু করেছিলেন বেলিয়াতোড় থানার রামকানালি গ্রামের বাসিন্দারা। গত ২৫০ বছর ধরে সেই রীতিই চলে আসছে।  ...

সংবাদদাতা, ইসলামপুর: উত্তর দিনাজপুর জেলার প্রাথমিক শিক্ষকদের এরিয়ারের বিল আটকে প্রায় এক বছর ধরে। যার পরিমাণ প্রায় ২ কোটি টাকা। জেলা শিক্ষাদপ্তরের তরফে অবশ্য জানানো হয়েছে, বকেয়া এরিয়ারের এস্টিমেট পাঠানো হয়েছে বিকাশ ভবনে।   ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনাচিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব মিতব্যয়িতা দিবস
১৭৯৫ - ইংরেজি সাহিত্যের রোম্যান্টিক কবি জন কিটসের জন্ম
১৮৭৫- লৌহমানব সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের জন্ম
১৮৮৩: ধর্মীয় গুরু স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতীর জন্ম
১৯৬৬- পানামা খাল অতিক্রম করেন বিশিষ্ট সাঁতারু মিহির সেন
১৯৭৫- সংগীতশিল্পী শচীন দেব বর্মনের মৃত্যু
১৯৮৪- আততায়ীর গুলিতে খুন হলেন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী
২০০০- নতুন রাজ্য হল ছত্তিশগড়
২০০৮- দাবায় বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হলেন বিশ্বনাথন আনন্দ  



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৩.২৪ টাকা ৭৪.৯৫ টাকা
পাউন্ড ৯৪.৭০ টাকা ৯৮.০৩ টাকা
ইউরো ৮৫.৫৪ টাকা ৮৮.৬৭ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
30th  October, 2020
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫১, ৪৯০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৮, ৮৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৯, ৫৮০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬০, ৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬০, ৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
30th  October, 2020

দিন পঞ্জিকা

১৪ কার্তিক, ১৪২৭, শনিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২০, পূর্ণিমা ৩৬/২৭ রাত্রি ৮/১৯। অশ্বিনী নক্ষত্র ৩০/৩৪ সন্ধ্যা ৫/৫৮। সূর্যোদয় ৫/৪৪/২০, সূর্যাস্ত ৪/৫৬/১৮। অমৃতযোগ দিবা ৬/২৮ মধ্যে পুনঃ ৭/১৩ গতে ৯/২৮ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৩ গতে ২/৪২ মধ্যে পুনঃ ৩/২৭ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ১২/৩৭ গতে ২/১৯ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ২/১৯ গতে ৩/১০ মধ্যে। বারবেলা ৭/৮ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৪ গতে ২/৮ মধ্যে পুনঃ ৩/৩২ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৬/৩৩ মধ্যে পুনঃ ৪/৯ গতে উদয়াবধি।
প্রাচীন পঞ্জিকা: ১৪ কার্তিক, ১৪২৭, শনিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২০, পূর্ণিমা রাত্রি ৭/২৮। অশ্বিনী নক্ষত্র রাত্রি ৬/১৬। সূর্যোদয় ৫/৪৫, সূর্যাস্ত ৪/৫৭। অমৃতযোগ দিবা ৬/৩৫ মধ্যে ও ৭/১৯ গতে ৯/৩১ মধ্যে ও ১১/৪৩ গতে ২/৩৮ মধ্যে ও ৩/২২ গতে ৪/৫৭ মধ্যে এবং রাত্রি ১২/৩৯ গতে ২/২৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ২/২৩ গতে ৩/১৫ মধ্যে। কালবেলা ৭/৯ মধ্যে ও ১২/৪৫ গতে ২/৯ মধ্যে ও ৩/৩৩ গতে ৪/৫৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৩৩ মধ্যে ও ৪/৯ গতে ৫/৪৬ মধ্যে।
১৩ রবিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের দিনটি কেমন যাবে?  
মেষ: সৎ পরামর্শ মতো চললে ভালো হবে। বৃষ: বুঝেশুনে বিনিয়োগ করলে শুভ ...বিশদ

04:29:40 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
বিশ্ব মিতব্যয়িতা দিবস১৭৯৫ - ইংরেজি সাহিত্যের রোম্যান্টিক কবি জন কিটসের ...বিশদ

04:28:18 PM

 আইপিএল: বেঙ্গালুরুকে ৫ উইকেটে হারাল হায়দরাবাদ

10:58:29 PM

আইপিএল: হায়দরাবাদ ৬৪/২ (৮ ওভার)

10:11:15 PM

 আইপিএল: হায়দরাবাদকে ১২১ রানের টার্গেট দিল বেঙ্গালুরু

09:35:00 PM

 আইপিএল: আরসিবি ৭১/৩ (১১ ওভার)

08:25:27 PM