Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

জামাইবাবু জিন্দাবাদ
কৌশিক মজুমদার

সে অনেককাল আগের কথা। এক পরিবারে দুই বউ ছিল। ছোট বউটি ছিল খুব লোভী। বাড়িতে মাছ কিংবা অন্য ভালো খাবার রান্না হলেই সে লুকিয়ে লুকিয়ে খেয়ে নিত আর শাশুড়ির কাছে গিয়ে বলত ‘সব ওই কালো বেড়ালটা খেয়ে নিয়েছে।’ বিড়াল মা-ষষ্ঠীর বাহন। তাই একদিন সে বিড়াল মা-ষষ্ঠীর কাছে অভিযোগ জানাল। মা-ষষ্ঠী গেলেন রেগে। যার জেরে ছোট বউয়ের একটি করে সন্তান হয় আর মা-ষষ্ঠী তার প্রাণহরণ করেন। এইভাবে ছোট বউয়ের সাত ছেলে আর এক মেয়েকে মা-ষষ্ঠী ফিরিয়ে নিলেন। স্বামী, শাশুড়ি ও অন্যান্যরা মিলে তাঁকে ‘অলক্ষণা’ বলে গালিগালাজ করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিল। ছোট বউ মনের দুঃখে বনে চলে গিয়ে হাউমাউ করে কাঁদতে লাগল। তা দেখে মা-ষষ্ঠীর দয়া হল। তিনি এক বৃদ্ধার ছদ্মবেশে তাঁর কাছে এসে কান্নার কারণ জানতে চাইল। ছোট বউ বললেন তাঁর দুঃখের কথা। তখন মা-ষষ্ঠীও বললেন, ‘বাছা, তুমিও বা কেন আমার বিড়ালের নামে অযথা দোষ দিয়েছ? ক্ষমা চাও।’ তিনি মাফ চাইলে মা-ষষ্ঠী তাঁকে ক্ষমা করেন। বলেন, ‘ভক্তিভরে আমার পুজো করলে তুমি তোমার সাত পুত্র ও এক কন্যার জীবন ফিরে পাবে।’ তখন ছোট বউ সংসারে ফিরে এসে ঘটা করে মা-ষষ্ঠীর পুজো করেন ও ক্রমে ক্রমে তাঁর ছেলেমেয়েদের ফিরে পেলেন। তা থেকেই দিকে দিকে ষষ্ঠীপুজোর মাহাত্ম্য ছড়িয়ে পড়ে।
এদিকে ছোট বউয়ের শ্বশুর-শাশুড়ি তাঁর বাপের বাড়ি যাওয়া বন্ধ করে দিলেন। মা-বাপ দিনের পর দিন মেয়ের মুখ দেখতে পান না। শেষে মেয়েকে দেখতে উন্মুখ মা-বাবা এক ষষ্ঠীপুজোর দিন শ্বশুরবাড়িতে আসার জন্য জামাইকে সাদরে আমন্ত্রণ জানালেন। এ নিমন্ত্রণ উপেক্ষা করার সাধ্যি জামাইয়ের ছিল না। ষষ্ঠী পুজোর দিন শ্বশুরবাড়িতে জামাই সস্ত্রীক উপস্থিত হতেই আনন্দের বন্যা বয়ে গেল। আর এই ষষ্ঠীপুজোই কালে কালে রূপান্তরিত হল জামাইষষ্ঠীতে।
পণ্ডিতরা বলেন, আসল ঘটনা নাকি একটু অন্যরকম। ভারতবর্ষ তথা দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে একসময় সংস্কার ছিল, কন্যা যতদিন না পুত্রবতী হয় ততদিন কন্যার পিতা বা মাতা কন্যাগৃহে পদার্পণ করবেন না। এই ব্যবস্থায় সমস্যা দেখা দিল। সন্তানধারণে সমস্যা হলে বা সন্তান মৃত্যুর (শিশুমৃত্যু তখন প্রচুর হতো) ফলে কন্যার পিতামাতাকে দীর্ঘদিন অপেক্ষা করতে হতো কন্যার বাড়ি যাওয়ার জন্য। সেক্ষেত্রে বিবাহিত কন্যার মুখদর্শন কীভাবে ঘটে? তাই সমাজের বিধানদাতা জৈষ্ঠ্য মাসের শুক্লা ষষ্ঠীকে বেছে নিলেন জামাইষষ্ঠী হিসেবে। যেখানে মেয়ে-জামাইকে নিমন্ত্রণ করে সমাদর করা হবে ও কন্যার মুখ দর্শনও করা যাবে। পুরুষতান্ত্রিক সমাজের এই নিয়ম একটু এদিক-ওদিক করে এখনও চলছে একইভাবে।
দ্বারকানাথ বিদ্যারত্ন তাঁর কবিতাকুসুমাঞ্জলি বইয়ের প্রথম খণ্ডে লিখেছেন, বিয়েতে কে কী চায়? তাতে বলা হচ্ছে, কন্যা চায় বরের রূপ, মাতা চান জামাইয়ের ধন, পিতা চান পাত্রের জ্ঞান, বান্ধবরা দেখেন পাত্রের কুল আর জনগণ মিষ্টি পেয়েই খুশি, মিষ্টান্নমিতরে জনাঃ। আর এই মিষ্টির সঙ্গে জামাইদের বহুকালের সম্পর্ক। সূর্য মোদকের জলভরা সন্দেশের গল্প অনেকে জানেন। তবু একবার বলেই দিই—তখন ১৮১৮ সাল। বাংলায় ইংরেজ শাসন চালু হলেও আনাচেকানাচে দু-চারটে জমিদারি তখনও টিকে আছে বহাল তবিয়তে। আয় যেমনই হোক, আদবকায়দায়, ঠাটেবাটে একে অপরকে টেক্কা দেওয়ার চেষ্টা পুরোপুরি বর্তমান। এমনই এক জমিদার ছিলেন ভদ্রেশ্বরের তেলিনীপাড়ার বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবার। বাড়ির মেয়ের বিয়ে দেওয়ার পরে মেয়ে এসেছে বাপের বাড়ি। জামাই নিয়ে জামাইষষ্ঠী উপলক্ষ্যে। তখন আবার জামাইঠকানো বা বউঠকানোর মতো বহু প্রথা চালু ছিল। এখন সেগুলি বোকা বোকা মনে হলেও তখন এইসব প্রথা রমরমিয়ে চলত। সে যাই হোক, জামাইকে ঠকাতে হবে। কী করা যায়? ঠকানোও হল আবার জামাই বাবাজীবন রাগও করতে পারলেন না, এমন কিছু ব্যবস্থা করতে হবে। 
অনেক ভেবে তেলিনীপাড়ার জমিদারবাড়িতে তলব হল এলাকার নামকরা ময়রা সূর্যকুমার মোদকের। নির্দেশ দেওয়া হল, এমন একটা মিষ্টি বানাতে হবে যা দিয়ে জামাই ঠকানো যাবে অথচ তাঁর মানসম্মান যেন কোনওভাবেই ক্ষুণ্ণ না হয়। বহু ভাবনাচিন্তা করার পর মোদক মহাশয় একটা বিশাল আকারের মিষ্টি বানালেন, যার ভেতরে জল ভরা থাকে, অথচ বাইরে খটখটে শুকনো। সেই মিষ্টি দেওয়া হল জামাইয়ের পাতে। জামাই সেই মিষ্টি হাতে নিয়ে দিলেন বিশাল এক কামড়। আর যেই না কামড়ানো, মিষ্টির ভেতরের লুকনো গোলাপজল বেরিয়ে এসে ভিজিয়ে দিল জামাইয়ের সাধের গরদের পাঞ্জাবি। জামাই অপ্রস্তুত। হো হো করে হেসে উঠলেন শালা-শালিদের দল। ঘোমটার আড়ালে হাসিতে ভরে উঠল শাশুড়িদের মুখ আর জমিদারবাবু গোঁফে দিলেন তা। জন্ম হল জলভরা সন্দেশের। 
ধর্মচর্চার পীঠস্থান হওয়ার জন্য গুপ্তিপাড়াকে ‘গুপ্ত বৃন্দাবন’ বলা হতো। ক্রমে ‘গুপ্ত বৃন্দাবন পল্লী’, তার থেকে ‘গুপ্ত পল্লী’ এবং পরিশেষে নাম হয় ‘গুপ্তিপাড়া’। কথিত আছে, গুপ্তিপাড়াতেই প্রথম তৈরি হয় সন্দেশের মিশ্রণ, যা মাখা সন্দেশ নামে পরিচিত। পরে সেই মাখা সন্দেশকে আকার দিয়ে তৈরি হয় জামাইদের প্রিয় ‘গুপো সন্দেশ।’ এই সন্দেশ জনপ্রিয় হলে তা ‘গুপ্তিপাড়ার সন্দেশ’ বা সংক্ষেপে ‘গুপো সন্দেশ’ বলে পরিচিতি লাভ করে। অপর মতে অবশ্য সন্দেশটি খাওয়ার সময় গোঁফে লেগে যায় বলে তার নাম হয়েছে ‘গুঁফো সন্দেশ।’
জামাইদের এই আদর কতটা মন থেকে আর কতটা লোক দেখানো, তা নিয়ে বিস্তর গবেষণা করা যায়। বাংলায় জামাইদের নিয়ে যে ক’টা প্রবাদ-প্রবচন আছে, খেয়াল করে দেখুন, একটাও সুখকর নয়। সুখকর কি বলি, রীতিমতো অপমানজনক। শুরুতেই ‘যম, জামাই ভাগ্না/ তিন না হয় আপনা।’ ভাবুন, জামাইয়ের সঙ্গে যমের তুলনা! যমদুয়ারে তাও কাঁটা বিছানোর মন্ত্র আছে, কিন্তু জামাই ঠেকাই কি দিয়ে? কেউ কেউ যমকে আবার ‘জন’-ও বলেন। কিন্তু জামাই অনড়। একই ঘরাণার আর একটা প্রবাদ আছে ‘মামা ভাগনে জামাই শালা, আর পোষ্য পুত / ঘরে ঘরে বিরাজ করে, এই পাঁচটি ভূত।’ পরেরটা আরও খতরনাক—‘জামাই হারামখোর, আর বেড়াল হারামখোর।’ কি আর বলি। এসবের ব্যাখ্যা হয় না। আসি চার নম্বরে। এটি বাংলা না, সংস্কৃত শ্লোক। তাতে বলা হচ্ছে, ‘জামাত্রর্থং স্রপিতস্য সূপাদেরতিথ্যুপকারকত্বম।’ সোজা বাংলায় ‘জামাইয়ের জন্য মারে হাঁস, গুষ্টিশুদ্ধ খায় মাস।’ মানে এক জামাইষষ্ঠীর যা খরচ, তাতে গোটা পরিবারের একমাস চলে যায়। এতেই শেষ নয়। আরও একটা শুনুন, ‘সদা বক্রঃ সদা ক্রূরঃ সদা মানধনাপহঃ। কন্যারাশিস্থিতো নিত্যং জামাতা দশমো গ্রহঃ।’ মানে কুটিল, বক্র, ধন মান সব হরণকারী জামাতা নবগ্রহের পর দশম গ্রহ। এবং সেই গ্রহ অবশ্যই কুগ্রহ। এই কুগ্রহকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি খুব একটা চিন্তাও করেন না। না হলে ‘খেয়ে বাঁচলে কামাই / মেয়ে বাঁচলে জামাই’ প্রবাদটাই বা আসবে কেন? এমনকী কখনও কখনও দেখি জামাইয়ের উপরে উপকারের সামান্য আশাটুকুও নেই ‘গতর কুশলে থাক, করে খাব কামাই / বিস্তর করলে পেটের পুত, কি করবে জামাই?’ সোজা কথা, জামাই আর তার খাই মেটানো প্রায় অসম্ভব। জামাই তো খুব উচ্চাকাঙ্ক্ষী। কোনও জিনিসেই মন ভরেনা তাঁর। তাই বলা হয় ‘পাঁচ ব্যঞ্জন দুধ-রুটি / তবু জামাইয়ের ভিরকুটি।’
জামাইদের আত্মসম্মান কত কম, তা ভেবে দেখুন। এত কথার পরেও যেই না জামাইষষ্ঠী এল, জামাই চললেন হাতে আম-কাঁঠালের ব্যাগ নিয়ে। ‘খাওয়া দাওয়ার গন্ধে / জামাই আসে আনন্দে।’ তখন তাঁর যত্ন আত্তি না করে উপায় কী! ‘জামাই এল কামাই ক’রে, বসতে দাও গো পিঁড়ে / জলপান করতে দাও গো সরু ধানের চিঁড়ে।’ আর এতেই শেষ নয়, ‘রুইয়ের মুড়ো, কেটো মুড়ো, দাও আমার পাতে / আড়ের মুড়ো, ঘিয়ের মুড়ো, দাও জামাইয়ের পাতে।’ এই উপলক্ষে ‘জামাই গেলে শ্বশুরবাড়ি, তিনদিন আদর বাড়াবাড়ি।’ আর তাতে জামাইয়ের পাতে ‘জামাই ভুলাইন্যা / ছাওয়াল কাঁদাইন্যা’ ইলিশ ছাড়া জমবে না।
এ তো গেল নর্মাল জামাই। ঘরজামাইদের নিয়ে যা যা লেখা আছে, তা যত কম বলা যায়, ততই ভালো। একটাই বলি। এতেই ঘরজামাইয়ের উপর শ্রদ্ধাটা বোঝা যাবে। ‘দূর জামাইয়ের কাঁধে ছাতি / ঘর জামাইয়ের মুখে লাথি।’
লেখার শেষে একটা ঐতিহাসিক গল্প বলি, যার ফল আজও আমরা উপভোগ করছি। ১৯০৯ সাল। অখিলচন্দ্র সেন জামাইষষ্ঠী উপলক্ষে সাহেবগঞ্জে শ্বশুরবাড়িতে গিয়েছেন। সেখানে আম কাঁঠালের একেবারে ছড়াছড়ি অবস্থা। মোটা মানুষ অখিলচন্দ্র খেতেনও খুব। মুশকিল হল বাড়ি ফেরার সময়। আহমেদপুর আসতে না আসতে তাঁর পেট জানান দিল, ‘ঠাঁই নাই ঠাঁই নাই ছোট এ তরী / তোমার কাঁঠাল রসে গিয়াছে ভরি।’ অতএব ধুতির খুঁট আর লোটা হাতে প্ল্যাটফর্মে নামতেই হল। এদিকে গাড়ি দিল ছেড়ে। হুইসেলের আওয়াজে চেতনা পেয়ে অখিলবাবু সেই অবস্থাতেই বেরোতে গিয়ে... যা হয় আর কি। রাগে তিনি এক চিঠি ঠুকে দিলেন রেল কোম্পানিকে। অনবদ্য সে চিঠি। অননুকরণীয় তাঁর ভাষা। একবার পড়েই দেখুন— 
Dear Sir,
I am arrive by passenger train at Abmedpur station and my belly is too much swelling with jackfruit. I am therefore went to privy. Just I doing the nuisance the guard making whistle blow for train to go off and I am running with lota in one hand and dhoti in the next. When I am fall over and expose all my shockings to man and woman on platform. I am got leaved at Abmedpur station. This too much bad, if passengers go to make dung, the damn guard not wait train five minutes for him? I am therefore pray your honour to make big fine on that guard for public sake otherwise I am making big report to papers.
Yours faithfull servant,
Okhil Ch Sen
কী আশ্চর্য! রেল শুধু তাঁর কথাই শুনল না, বরং আরও বড় এক যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিল। দূরপাল্লার ট্রেনে আবশ্যিকভাবে তৈরি হল শৌচালয়। আসলে অখিলবাবুর এই চিঠি তাদের চোখ খুলে দিয়েছিল। দিল্লি রেল মিউজিয়ামে আজও মূল চিঠিটা যত্ন করে রাখা। আজ এই যে বায়ো টয়লেটের রমরমা, ভাবতে ভাল লাগে এর পিছনে রয়ে গিয়েছেন অখিল সেনের ক্ষোভে ভরা সেই চিঠি। ভাষা যাই হোক, অন্তরের ভাব বোঝাতে তাঁর বিন্দুমাত্র অসুবিধা হয়নি। আর সবকিছুর পিছনে আছে এক জামাইষষ্ঠী। তাই জামাইদের বলি, যুগে যুগে নানারকম বাঁকা কথা অগ্রাহ্য করে যেভাবে আপনারা পদের পর পদ সাঁটিয়েছেন, সেই ধারা অক্ষুন্ন থাক। জামাইষষ্ঠী দীর্ঘজীবী হোক।
 
কার্টুন : সেন্টু
09th  June, 2024
বিস্মৃত বিপ্লবীর সন্ধানে

স্বাধীনতা সংগ্রামের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে বিপ্লবগুরু যতীন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ওরফে নিরালম্ব স্বামী ও তাঁর চান্না আশ্রম। ইতিহাসের সেই অধ্যায় ছুঁয়ে এসে স্মৃতি উজাড় করলেন সৈকত নিয়োগী। বিশদ

16th  June, 2024
কোথায় বিপ্লব? কখন বিপ্লব?

পাথরের দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ সন্ন্যাসীর। খড়ের ছাউনি দেওয়া মাটির ঘরে বসে আনমনা হয়ে মেঝেতে একটা বুলেট ঠুকছেন। পাশে ইতস্তত ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রিভলভারের যন্ত্রাংশ। উল্টোদিকে মোড়ায় বসে এক যুবক ক্রমাগত তাঁকে প্রশ্নবাণে জর্জরিত করছেন। বিশদ

16th  June, 2024
আদরের অত্যাচার
কলহার মুখোপাধ্যায়

মাছের মুড়ো মনে হচ্ছে হাঁ করে গিলতে আসছে। পাক্কা সাড়ে তিন কেজির কাতলা। জল থেকে তোলার পরও দু’মিনিট ছটফট করেছিল। এক-একটি পিস প্রায় ২৫০ গ্রামের। তেল গড়গড়ে কালিয়া হয়েছে। পাশে কাঁসার জামবাটিতে খাসির মাংস। সব পিসে চর্বি থকথক করছে। বিশদ

09th  June, 2024
ঝড়ের  ঠিকানা

কখনও আইলার মতো সরাসরি, কখনও বা রেমালের ‘লেজের ঝাপ্টা’—প্রায় প্রতি বছরই বর্ষার আগে বাংলায় আঘাত হানছে একের পর এক শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়। একটার ক্ষত শুকোতে না শুকোতে আবার একটার তাণ্ডব। ব্যস, যাবতীয় বিপর্যয় মোকাবিলার ব্যবস্থাপনা, পুনর্বাসন ও উন্নয়ন ধুয়েমুছে সাফ! শুধু জেগে থাকছে আতঙ্ক জাগানো একটা শব্দ, ‘সাইক্লোন’।
বিশদ

02nd  June, 2024
সবহারাদের কথা

সালটা ২০০৯। ২৬ মে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় আইলা। তছনছ হয়ে গিয়েছিল পাথরপ্রতিমা ব্লকের উত্তর গোপালনগর গ্রাম। গোবোদিয়া নদীবাঁধ ভেঙে সুন্দরবনের মধ্যে প্রথম প্লাবিত হয়েছিল এই গ্রামই। কোমরসমান জলের মধ্যে দাঁড়িয়েই শুরু হয় জীবনের লড়াই। সেই কথা মনে পড়লে আঁতকে ওঠেন স্থানীয়রা।
বিশদ

02nd  June, 2024
বাস্তবের সাইবর্গরা
কল্যাণ কুমার দে

মেরিন কর্পে কাজ করতেন ক্লডিয়া মিশেল। মোটরবাইক দুর্ঘটনায় একটি হাত হারিয়ে ফেলেন। সেখানে স্থাপন করা হয় একটি বায়োনিক হাত। সেটিকে যুক্ত করা হয় শরীরের নার্ভাস সিস্টেম বা স্নায়ুতন্ত্রের সঙ্গে। এখন এই যান্ত্রিক হাতে তিনি এতটাই সাবলীল যে ফলের খোসা ছাড়াতেও কোনও অসুবিধা হয় না। বিশদ

26th  May, 2024
টেলিপ্যাথির ১০০ দিন

টেলিপ্যাথির দাম নাকি ৮ লক্ষ ৭২ হাজার টাকা! ইলন মাস্ক অবশ্য এখনও প্রাইসট্যাগ লাগাননি। কিন্তু তাঁর সংস্থার যুগান্তকারী আবিষ্কার নিউরালিঙ্ক বা এনওয়ান চিপ মস্তিষ্কে বসাতে এতটাই খরচ হতে পারে বলে সংবাদমাধ্যমের দাবি। সঙ্গে রয়েছে আনুষঙ্গিক বিমা, ৩৩ লক্ষ ২৪ হাজার টাকার। বিশদ

26th  May, 2024
এসো কালবৈশাখী

বৈশাখ শেষের তামাটে বিকেলেই ধেয়ে আসে সর্বনাশী মেঘ। সব লন্ডভন্ড করে দেওয়া সেই ঝড়ের স্মৃতি ও একটুকরো ইতিহাস লিখলেন কৌশিক মজুমদার বিশদ

19th  May, 2024
সেকালের কলকাতার ঝড়বৃষ্টি

‘মনে হচ্ছে দুনিয়া ভাসিয়ে দেবার জন্য স্বর্গের জানলাগুলো খুলে গেছে। ভয়ানক বাজ আর তীব্র বিদ্যুৎ। ইউরোপে এমন বাজের আওয়াজ কোনওদিন শুনিনি। সেখানে বৃষ্টি মানে নেহাত আনন্দ। ঝড় আর বাজের এমন রূপ কেউ চিন্তাও করতে পারে না!’ লিখেছিলেন ফ্যানি পার্কস। বিশদ

19th  May, 2024
রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দের সংগ্রাম
পূর্বা সেনগুপ্ত

বুদ্ধের সেবা আর খ্রিস্টান মিশনারীদের সেবা—দুই সঙ্ঘবদ্ধ সন্ন্যাসীদের অভিজ্ঞতা মিশিয়ে স্থাপিত হয় রামকৃষ্ণ মিশন। বিশদ

12th  May, 2024
বরানগর মঠ: প্রতিষ্ঠা কাহিনি

শ্রীরামকৃষ্ণের দেহাবসানের ১৫ দিনের মাথায় ছেড়ে আসতে হয়েছিল কাশীপুর উদ্যানবাটী। সারদা দেবী গৃহীভক্ত বলরাম বসুর পরিবারের সঙ্গে তীর্থে চললেন। গুরুভাইদের নিয়ে পথে নেমে এসেছিলেন নরেন্দ্রনাথ দত্ত। সব ছেড়ে নবীন সন্ন্যাসীদের মঠে যাওয়ার ডাক দিতেন। বিশদ

12th  May, 2024
রবীন্দ্রনাথ ও সত্যজিৎ

শান্তিনিকেতনের লাইব্রেরি তাঁকে সিনেমা সম্পর্কে কৌতূহলী করে তুলেছিল। প্রকৃতি ও জগৎকে দেখার চোখ খুলে দিয়েছিলেন বিনোদবিহারী মুখোপাধ্যায় ও নন্দলাল বসু। শান্তিনিকেতন তথা রবীন্দ্র-সাহচর্যেই সত্যজিৎ রায় হয়ে উঠেছিলেন বিশ্বজয়ী চলচ্চিত্র পরিচালক। লিখেছেন সুখেন বিশ্বাস বিশদ

05th  May, 2024
জনমত
সমৃদ্ধ দত্ত

গোরুর গায়ে ‘ভোট দিন’ লিখেছিল কংগ্রেস। বিমান থেকে টারম্যাকে লাফ দেন ইন্দিরা। বাজপেয়ির প্রচারে খরচ ৭০০ কোটি। কিন্তু কী ছিল ভোটের ইস্যু? নেহরু থেকে মোদি... আজ তারই একঝলক। বিশদ

28th  April, 2024
চারুলতার অন্দরমহল

‘আশ্বিনের ‘পরিচয়’ খুলে দেখলুম রুদ্রমশাই আবার আমার পিছনে লেগেছেন।... রুদ্রমশাই সাহিত্য বোঝেন কিনা জানি না; সিনেমা তিনি একেবারেই বোঝেন না। শুধু বোঝেন না নয়; বোঝালেও বোঝেন না।’ পরিচয় পত্রিকায় সত্যজিৎ রায়-অশোক রুদ্রের এই চাপানউতোরের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে ‘চারুলতা’।
বিশদ

21st  April, 2024
একনজরে
মালদহ জেলার সরকার পোষিত স্কুল ও মাদ্রাসায় দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা পাঠ্যবই এখনও আসেনি। গরমের ছুটির পর ১০ জুন থেকে পঠনপাঠন শুরু হয়েছে। স্কুল খোলার পর এক সপ্তাহ কেটে গেলেও পাঠ্যবই না থাকায় পঠনপাঠনে সমস্যা হচ্ছে বলে শিক্ষকরা জানিয়েছেন ...

রেলের উচ্ছেদ নোটিসে ভিটেছাড়া হওয়ার আতঙ্কে হৃদরোগে বৃদ্ধের মৃত্যু঩ হল। তা সত্ত্বেও অনড় রেল। মঙ্গলবার সকালে কাটোয়া স্টেশন লাগোয়া একের পর এক ঝুপড়ি ভেঙে দিল তারা। ...

কৃষিক্ষেত্রে বাংলাই মডেল। রাজ্যের নিজস্ব প্রকল্পের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় প্রকল্পের কাজও রাজ্যে ভালোভাবে রূপায়িত হয়েছে। ...

তার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর অন্য সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন প্রাক্তন। এই সন্দেহের বশবর্তী হয়ে ব্যস্ত রাস্তায় প্রাক্তন প্রেমিকার মাথায় রেঞ্জ দিয়ে ১৫ বার আঘাত করে খুন ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কাজকর্মে প্রতিকূলতা কেটে ক্রমোন্নতি। সন্তানের আচরণে ও মতিগতি নিয়ে চিন্তা। অর্থাগম হবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৪৬৪- ফ্রান্সের রাজা একাদশ লুই ডাক ব্যবস্থা চালু করেন
১৫৯৫- ষষ্ঠ শিখ গুরু গুরু হরগোবিন্দের জন্ম
১৮৭৭- ভূমি থেকে আকাশে উলম্বভাবে ওড়ার, আকাশ থেকে ভূমিতে অবতরণের এবং আকাশে স্থির থাকার যান তথা আদি যুগের হেলিকপ্টার পরীক্ষা করা হয়
১৯০৭- শিক্ষাবিদ ও নারী শিক্ষা প্রচারক উমেশচন্দ্র দত্তের মৃত্যু
১৯৪৭- লেখক সলমন রুশদির জন্ম
১৯৫৫- অভিনেত্রী মিঠু মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৫৮- অভিনেতা মুকেশ খান্নার জন্ম
১৯৬২- অভিনেতা আশিষ বিদ্যার্থীর জন্ম
১৯৬৪- যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের জন্ম
১৯৭০- রাজনীতিক রাহুল গান্ধীর জন্ম
১৯৮১- ভারতে টেস্ট টিউব বেবির জনক সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৮৫- অভিনেত্রী কাজল আগরওয়ালের জন্ম
২০০৮- বর্তমানের প্রতিষ্ঠাতা-সম্পাদক বরুণ সেনগুপ্তের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৭০ টাকা ৮৪.৪৪ টাকা
পাউন্ড ১০৪.৩৬ টাকা ১০৭.৮৩ টাকা
ইউরো ৮৮.০৪ টাকা ৯১.১৭ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭১,৯০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,২৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৮,৭০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৮,০০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৮,১০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৪ আষাঢ়, ১৪৩১, বুধবার, ১৯ জুন, ২০২৪। দ্বাদশী ৫/৫৮ দিবা ৭/২৯। বিশাখা নক্ষত্র ৩১/৮ অপরাহ্ন ৫/২৩। সূর্যোদয় ৪/৫৬/১৭, সূর্যাস্ত ৬/১৯/২২। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৭ গতে ১১/১১ মধ্যে পুনঃ ১/৫১ গতে ৫/২৫ মধ্যে রাত্রি ৯/৫২ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৯ গতে ১/২৪ মধ্যে। বারবেলা ৮/১৭ গতে ৯/৫৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৩৮ গতে ১/১৯ মধ্যে। কালরাত্রি ২/১৮ গতে ৩/৩৭ মধ্যে। 
৪ আষাঢ়, ১৪৩১, বুধবার, ১৯ জুন, ২০২৪। দ্বাদশী প্রাতঃ ৫/৫২। বিশাখা নক্ষত্র অপরাহ্ন ৪/৩৬। সূর্যোদয় ৪/৫৫, সূর্যাস্ত ৬/২২। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪২ গতে ১১/১৫ মধ্যে ও ১/৫৫ গতে ৫/২৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/৫৫ মধ্যে ও ১২/৩ গতে ১/২৯ মধ্যে। কালবেলা ৮/১৭ গতে ৯/৫৮ মধ্যে ও ১১/৩৯ গতে ১/১৯ মধ্যে। কালরাত্রি ২/১৭ গতে ৩/৩৬ মধ্যে। 
১২ জেলহজ্জ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ইউরো কাপ: হাঙ্গেরিকে ২-০ গোলে হারাল জার্মানি

11:28:58 PM

টি২০ বিশ্বকাপ: আমেরিকাকে ১৮ রানে হারাল দঃ আফ্রিকা

11:26:30 PM

ইউরো কাপ: জার্মানি ২ : হাঙ্গেরি ০ (৭৫ মিনিট)

11:10:45 PM

 ইউরো কাপ: জার্মানি ১-হাঙ্গেরি ০ (হাফটাইম)

10:24:30 PM

ইউরো কাপ: জার্মানি ১-হাঙ্গেরি ০ (২৩ মিনিট)

09:59:45 PM

ইউরো কাপ: জার্মানি ০ : হাঙ্গেরি ০ (৫ মিনিট)

09:41:41 PM