Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

অচেনা তারা 

অন্বেষা দত্ত: আপনাকে ব্যক্তিগতভাবে চিনি না। কখনও আলাপ হওয়ার সুযোগ হয়নি। সেই আক্ষেপটা আজীবন রয়েই যাবে। তবে সে কথা এখন থাক। আপনি এখন এ পৃথিবীর কেউ নন। কোনওদিন ছিলেন কি?
তবে যেদিন আপনি চলে গিয়েছেন, হয়তো বা আপনার প্রিয় মহাশূন্যে... তারপর থেকে বহু মানুষ আপন করে ফেলেছে আপনাকে। তাঁদের অনেকে আমার মতো আপনাকে আগে তেমন জানতেন না। বা ধরুন, ওই বড় জোর গোটা দুই ছবি দেখেছেন আপনার। অভিনয় মন্দ লাগেনি। তবে তার বেশি কিছু নয়। ভক্ত হয়ে ওঠা একেবারেই হয়নি তাঁদের...। সেই আমরা রাতারাতি আপনার খুব কাছে চলে এসেছি।
আপনি অকালে চলে যাওয়ার পর যেটা হল, তাবড় মিডিয়া হামলে পড়ল হইহই করে। নাম-যশ-প্রতিপত্তিকে হেলায় ঠেলে দিয়ে আপনি কেন মৃত্যুকে এভাবে বেছে নিলেন, আপনি কেন অবসাদে ভুগছিলেন, আপনি কেন সুইসাইড নোট লিখলেন না, আপনি কেন ফলের রস খেয়ে আত্মহত্যার কথা ভাবলেন, আপনার সর্বশেষ প্রেমিকা কেন আপনাকে ছেড়ে চলে গেলেন, আপনার বান্দ্রার ফ্ল্যাটে পোষ্য কুকুর ফাজ কতটা দুঃখ পেল... ইত্যাদি ইত্যাদি আরও নানা তথ্য-তত্ত্ব জনসমক্ষে হাজির করল তারা। তবে এই তথ্যের ভিড়ে যেটা হল, বাইরে চলে এল আরও এমন অনেক কিছু, যা এতদিন সাধারণ মানুষের গোচরে ছিল না। অল ইন্ডিয়া ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রবেশিকায় সপ্তম স্থান, ফিজিক্স অলিম্পিয়াড জেতা—এগুলো ছেড়েই দিলাম। এসব তো প্রথাগত পড়াশোনা। প্রতি বছর কেউ না কেউ এমন র‌্যাঙ্ক পান। তাঁদের এত খোঁজ আমরা রাখি না, কারণ তাঁরা কেউ বলিউডে ছবির হিরো হয়ে নাচ-গানে মাতিয়ে রাখতে আসেন না। আপনি এসেছিলেন। এবং এসেও শুধু নম্বরে জীবনটাকে আটকে ফেলতে চাননি। কারণটা কী? আপনি নিজেই বলে গিয়েছেন একের পর এক ইন্টারভিউয়ে।
নিজেকে নিয়ে আপনার বিড়ম্বনা এতটাই যে, নানা চরিত্রের পিছনে লুকোতে ভালবাসতেন আপনি। চরিত্রটা মানুষের সামনে এলে আর চিন্তা থাকত না আপনার। মনে মনে স্বস্তি পেতেন, ‘যাক বাবাঃ, আমায় তো এবার কেউ চিনে ফেলছে না!’ কিন্তু ওই একটাই তো ‘আপনি’ ছিলেন না! আপনি ছিলেন আরও ‘অনেকগুলো।’ আপনার সেই অনেকগুলো সত্ত্বা এখন মুকুটের পালক হিসেবে দেখিয়ে অনেকে বড়াই করছেন। বলছেন, আহা লাজুক, অন্তর্মুখী ছেলেটা এভাবে চলে গেল! হোয়াট আ মিস। ইশ ছেলেটা যে বলত, ‘ফিল্মে আর সুযোগ না পেলে কোনও দুঃখ নেই। থিয়েটার করব।’ বলেছিল, ‘কিছু না হলে ফাইভ-ডি ক্যামেরায় শ্যুট করে ছবি বানাব, নিজেই হিরো হব।’ এসব কেন বলত, তাই নিয়ে কাটাছেঁড়া করে তাঁরা পৌঁছে গিয়েছেন বলিউডের স্বজনপোষণে। শুধু ‘নেপোটিজম’ নামক শব্দের পরোক্ষ শিকার হয়েই আপনি চলে গেলেন ভেবে অশ্রুমোচন করছেন তাঁরা। এখন আপনার মনের অন্তরমহলের গহীন অবসাদের কারণগুলোও গুছিয়ে বলে দিচ্ছেন কেউ কেউ। অবসাদ বলতে যদিও আমাদের অনেকেরই দৌড় এখনও ওই ‘মন খারাপ হলেই কুয়াশা হয়...’ পর্যন্ত।
আচ্ছা একবারও তো ভাবছি না... যে ছেলেটি পদার্থবিদ্যা গুলে খেয়েও আরও অগণিত বিষয় জানার আগ্রহ উত্তরোত্তর বাড়িয়ে গিয়েছে, মহাকাশবিজ্ঞান থেকে নাসা নিয়ে পাগল হয়েছে, সে কেন স্বজনপোষণের ক্ষুদ্র রাজনীতিতে থমকে যাবে? সে তো নিজেই বলে গিয়েছিল, ‘হ্যাঁ স্বজনপোষণ আছে। আলবাত আছে। কিন্তু তাতে কী? তাতে কিছু আটকায় না। প্রতিভা থাকলে নতুন মুখ ঠিক জায়গা করে নেয়। স্বজনপোষণ থাকলেও তার পাশাপাশি সৃষ্টিশীল জায়গাটা যদি বেঁচেবর্তে থাকে, তাহলে দু’টোই চলতে পারে। সমান্তরালে।’ এ কথাগুলো আপনার ভক্তরা কি ভুলে গিয়েছেন? তবে কেন আপনার মৃত্যুর পরে শুধু সেই বিতর্কটাই মুখ্য হয়ে উঠল?
আপনার পড়াশোনা, আপনার মনন, আপনার জানার অদম্য কৌতূহল—এগুলো কেন চর্চার বিষয় হয়ে উঠল না? কৌতূহলের ততটুকুই কেন প্রচার পেল, যতটুকু আমাদের কাছে চমক? আমরা সবাই আপনার বহুমূল্য টেলিস্কোপ আর চাঁদে কেনা জমির কথা শুনেই অভিভূত। রিসাইকেল করা নানারকম জিনিস দিয়ে তৈরি সাধারণ আসবাবে সাজানো আপনার ঘর বিজ্ঞাপনী ভিডিওয় দেখে উল্লসিত। বলিউডের অনেক বিতর্কের কথাও উঠে এল। কিন্তু একবারও তো বলা হল না যে, আপনার পাণ্ডিত্যটা বলিউডের একটা বড় অংশের ঠিক হজম হয়নি? না হলে বিভিন্ন সময় সাক্ষাৎকারে আপনার কথা, সোশ্যাল মিডিয়ায় আপনার মন্তব্য বা ক্যাপশন তাদের এত দুর্বোধ্য ঠেকত কেন!
আর শুধু বলিউডকেই বা দোষ দিই কেন? আমরা, সাধারণ দু’-চারটে পাশ দেওয়া পাবলিক কতটুকু আর জ্ঞানগর্ভ কথা শুনতে চাই? কেউ বলতে এলেই তো নিজেদের অজ্ঞানতার ভয়ে তাকে চুপ করিয়ে দিই। ঝাল মেটাই সংখ্যাগুরু হওয়ার। তাকে বুঝিয়ে দিই, সে বড় বেশি জ্ঞান দিতে আসে। বড় বেশি পণ্ডিতি ফলায়। তার সঙ্গে বেশিক্ষণ কথা বলা যায় না। আপনার ক্ষেত্রেও তা-ই হয়েছে। বলিউড আপনাকে ঠিক একই ছকে দেখেছে। আপনি নিজে যতই বলেছেন আপনি প্যারাডক্স, তারা ততই সেটা নিয়ে ঠাট্টা করেছে। আপনি কেন অন্যদের থেকে আলাদা, সেটাই হয়ে গিয়েছে আপনার অপরাধ।
শুধু বলিউড নয়, মূল স্রোতের সংবাদমাধ্যমও। কখনও তাদের মধ্যে কেউ বলেছে, আপনার মাথায় ভিন গ্রহের জীব বাস করে, কখনও বা বলেছে আপনার চিন্তাশক্তি নিয়ে প্রশ্ন তোলা উচিত। ফলে আপনার চারপাশের আম আদমি-র হাতে সেটা ছাড়া আর কোনও অস্ত্র ছিল না। তারা হিরোদের ঠাঁটবাট, পার্টি-হুল্লোড়, আয়েশ আরাম, আভিজাত্য, দেখনদারি দেখেই অভ্যস্ত। হিরো সার্নে যান, নাসায় যান! হিরো এয়ারপোর্ট থেকে বেরলেই হাতে বই থাকে। হিরো আবার ফিজিক্স, নক্ষত্র আর চাঁদেই আটকে নেই! নিটশে, সার্ত্রে, মাসলো, কুন্দেরা, মুরাকামি... আরও না জানি কত কী পড়েন। মানে দর্শন, মনস্তত্ত্ব, সাহিত্য... এ-ত-স-ব একসঙ্গে! ধুস, এত ‘আঁতেল’ বলিউডি হিরো পোষায় নাকি।
ছোট থেকে কোনও বিষয়ে বেশি প্রশ্ন করলে আমাদের থামিয়ে দেওয়া হয়। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা শুধু নম্বর তুলতে শেখায়। আপনি যেমন র‌্যাঙ্ক করেছিলেন, ওইটুকুই শুধু আমাদের দরকার। তার বাইরেও যে পড়াশোনাটা আপনি চালিয়ে যেতেন, তা নিয়ে আমাদের মধ্যে অনেকেরই বিশেষ মাথাব্যথা নেই। আপনি বেঁচে থাকতে জানতে পারিনি। পাত্তাও দিইনি। কিন্তু এখন কি একটু ভাবতে পারি? আপনার থেকে এইটুকু অন্তত শেখা যায়... যদি নিজেদের জানার পরিধিটা আমরা একটু বাড়ানোর চেষ্টা করি... কোনও কৌতূহলী মনের সন্ধান পাওয়ার পর যদি তাকে নিয়ে তামাশা না করে তার আগ্রহ বাড়ানোর চেষ্টা করি... সেটাই হয়তো হবে আপনার প্রতি যথাযথ শ্রদ্ধা।
তবে আপনাকে সেভাবে বুঝতে-জানতে আমাদের আরও অনেক আলোকবর্ষ পেরতে হবে। যে ছোটখাট গণ্ডির মধ্যে আপনার অন্য সত্ত্বাটি পরিচিত ছিল, তার মধ্যে আমরা কখনওই পড়ি না। তাই ফ্রান্সের ইন্টারন্যাশনাল স্পেস ইউনিভার্সিটি আপনার মৃত্যুতে শোকবার্তা দিলে আমরা চমকে উঠি। বলিউডি-কেচ্ছার বাইরেও কিছু ছিল তাহলে!
আমাদের এই চেনা ছকের শব্দজব্দে আপনাকে বেঁধে ফেলার চেষ্টা তাই ব্যর্থ। আমাদের জ্ঞানের ক্ষুদ্র পরিসরে আপনাকে বর্ণনা বা বিশ্লেষণের ক্ষমতা আমাদের নেই। আপনি তো এভাবেই আমাদের তৈরি করা মধ্যমেধার উল্লাসকে উড়িয়ে চলে যেতে পারেন... ঠিক এভাবেই!
মনের কাছে রয়ে যান শুধু আপনার মা। টেলিস্কোপে চোখ রেখে চাঁদ-তারাদের দেখতে দেখতে খুঁজে বেড়াতেন যাঁকে। ট্যুইটার, ইনস্টাগ্রামে ঘুরে ফিরে আসত তাঁর কথাই। তাঁর মৃত্যুদিন ১৩ ডিসেম্বর। বছর দুই আগে ওই দিনে আপনি ট্যুইট করেছিলেন, ‘কত বছর আগে এই দিনটায় তোমায় হারিয়েছিলাম। তারপর থেকে এমন একটা দিনও মনে করতে পারি না, যেদিন তোমার কথা ভাবিনি। সবাই বলে, তুমি তারা হয়ে গিয়েছ। হয়তো উজ্জ্বল লাল রঙেরটা তুমি। অথবা হয়তো মিটমিট করে জ্বলতে থাকা ওই নীল তারাটাই তুমি, যাকে আমি আজ রাতে চোখ মেলে দেখব। আকাশের দিকে তাকিয়ে প্রায়ই তোমার কথা ভাবি। শুধু জানাতে চাই, থ্যাঙ্ক ইউ। তুমি হয়তো ঠিকই বলতে মা, মনে হয় আমি তারাদের মধ্যেই এসে পড়েছি... তোমায় মিস করি মা, খুউব।”
আপনিও যে এখন ‘ধূসর নীলাভ এক তারা’...আমাদের খুঁজে ফেরা তার রংটুকুই।
........................................................
 গ্রাফিক্স : সোমনাথ পাল
 সহযোগিতায় : চিন্ময় গড়গড়ি 
05th  July, 2020
মন্বন্তর ২৫০
সমৃদ্ধ দত্ত

পেটে ভাত নেই... কিন্তু রাজস্ব যে দিতেই হবে! কোম্পানির কোষাগার ভরতে না পারলে গাছে ঝুলিয়ে ফাঁসি। একদিকে দুর্ভিক্ষে, কলেরায় উজাড় হয়েছে গ্রামের পর গ্রাম। তখনই ফুলেফেঁপে উঠেছে বণিকের ঝুলি। তাদের মানদণ্ডের আঘাতে বাংলার নিয়তি ছিল একটাই... মৃত্যু। ফিরে দেখা ২৫০ বছর আগের সেই অভিশপ্ত মন্বন্তরকে।
বিশদ

12th  July, 2020
খড়্গপুর প্ল্যাটফর্মে আর নেই সুশান্ত... 

সোহম কর: সুশান্ত সিং রাজপুতকে তখনও মানব নামেই বেশি চেনে খড়্গপুর... সৌজন্যে ‘পবিত্র রিস্তা’। সেই মানব টিকিট কালেক্টরের পোশাকে খড়্গপুর স্টেশনে। সবাই তো অবাক! তারপর বোঝা গেল, মহেন্দ্র সিং ধোনির বায়োপিকের শ্যুটিংয়ে এই মফস্সল শহরে এসেছেন সুশান্ত। 
বিশদ

05th  July, 2020
ভালো থেকো সুশ 

কৃতী শ্যানন: সুশ, জানতাম মেধাবী মন ছিল তোমার সবচেয়ে ভালো বন্ধু, আর সবচেয়ে বড় শত্রুও... কিন্তু একটাই কথা ভেবে আমার ভেতরটা চুরমার হয়ে যাচ্ছে... এমন একটা মুহূর্ত তোমার জীবনে কীভাবে এল যে, বেঁচে থাকার বদলে মৃত্যুটাই সহজ বলে মনে হল! বারবার মনে হচ্ছে ‘ওই মুহূর্তে’ যদি তোমার পাশে কয়েকজন ভালো মানুষ থাকত... যদি তুমি তোমার ভালোবাসার লোকগুলোকে দূরে না সরিয়ে দিতে...  
বিশদ

05th  July, 2020
তোমাকে মিস করব 

শ্রদ্ধা কাপুর: যা ঘটেছে মেনে নিতে পারছি না। এক গভীর শূন্যতা... সুশান্ত! প্রিয় সুশ...! নম্রতা, বুদ্ধিমত্তা... জীবন সম্পর্কে অদম্য কৌতূহল। সবখানে খুঁজে নিত সুন্দরকে। সেটে ওর সঙ্গে দেখা হওয়ার অপেক্ষায় থাকতাম, ভাবতাম আজ না জানি নতুন কী চমক আছে!
বিশদ

05th  July, 2020
স্বামীজির শেষদিন
শংকর

স্বামীজি বলতেন, ‘শরীরটা কিছু নয়, কিন্তু এই শরীরের দ্বারাই তাঁকে লাভ করতে হবে।’ কর্মই ছিল তাঁর ঈশ্বরলাভের পথ। আর কর্মকাণ্ডের বারিধারায় মহাবিশ্বকে সজল করে আচমকা সেই শরীরই ত্যাগ করেছিলেন তিনি। ৪ জুলাই, ১৯০২... ফিরে দেখা স্বামী বিবেকানন্দের শেষের সেদিন।
বিশদ

28th  June, 2020
 নরেনের ঘুড়ি
সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়

 স্বামীজি যখন প্রথম দক্ষিণেশ্বরে শ্রীরামকৃষ্ণের কাছে এলেন, তার অনেক আগে থেকেই তিনি ইউরোপীয় দর্শনশাস্ত্র ঘাঁটাঘাঁটি শুরু করেছেন। উদ্দেশ্য— তিনি খুঁজছেন, এই পৃথিবী ও পৃথিবীর মানুষ এবং জীব জগৎ এল কোথা থেকে। এই জগতের স্রষ্টা কে! আরও কৌতূহল— সাধারণ মানুষ যে ভগবানের কথা বলে, সেই ভগবান কে? তাঁর দর্শন কি পাওয়া যায়! বিশদ

28th  June, 2020
নব নীলাচল মাহেশ 

এবার মন্দিরের ধ্যানঘরে মাসির বাড়ি তৈরি করে জগন্নাথদেবকে নিয়ে যাওয়া হবে। লিখেছেন গুঞ্জন ঘোষ।  বিশদ

21st  June, 2020
অনলাইনে ইসকনের রথোৎসব 

এই প্রথমবার কলকাতার রাজপথ পরিক্রমণ করবে না ইসকনের রথ। করোনার সংক্রমণের জন্য এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসকন কর্তৃপক্ষ। খবরে স্নেহাশিস সাউ।  
বিশদ

21st  June, 2020
জয় প্রভু জগন্নাথ 

তিনি জগন্নাথ। জগতের নাথ। জগতের শুভ অশুভ, দুঃখ সুখ, প্রলয় শান্তি, বিপর্যয় সৃষ্টি সব কিছুর নিয়ন্তা তিনি। তিনি চাইলে নিমেষে বদলে যায় জীবন। তাঁর ইচ্ছেতেই মহামারী শেষে ফিরে আসবে নতুন ভুবন। সেই বিশ্বাস আঁকড়ে ধরেই আসন্ন রথযাত্রার পুণ্যলগ্নে প্রভু জগন্নাথকে বন্দনার আয়োজন। 
বিশদ

21st  June, 2020
শত হেমন্ত সুরে

পথ হারাবেন বলেই হয়তো তিনি সুরের পথে নেমেছিলেন। কিন্তু তাঁর গায়কী ও সুরসৃষ্টিতে বাঙালি মাত্রই খুঁজে পান পথের সন্ধান— তিনি হেমন্ত মুখোপাধ্যায়। আর দু’দিন পর অর্থাৎ ১৬ জুন তাঁর জন্মশতবর্ষ। সেই বিশেষ দিনটিকে স্মরণে রেখে আরবসাগরের পার থেকে সঙ্গীত জগতের এই দুরন্ত ঘূর্ণির স্মৃতিচারণা করলেন নায়ক বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায় এবং অভিনেত্রী তথা এই কিংবদন্তি শিল্পীর পুত্রবধূ মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়। শুনলেন অয়নকুমার দত্ত।
বিশদ

14th  June, 2020
আমজনতার মহাকাশযাত্রা
উপাসনা দাশগুপ্ত

দিনটা শনিবার। বিকেল ৩টে ২২ মিনিট। কম্পিউটারে ইউটিউব খুলে স্পেস এক্সের লঞ্চ দেখছি। টানটান উত্তেজনা। লঞ্চ সফল হবে তো! মহাকাশ যাত্রায় এবার যেহেতু দু’জন মহাকাশচারী রয়েছেন, তাই ব্যাপারটা যেমন রোমাঞ্চকর, তেমনই খারাপ কিছু ঘটলে ভয়ানকও বটে। 
বিশদ

07th  June, 2020
এক নজরে স্পেস এক্স 

মঙ্গলগ্রহে চাষাবাদ করার লক্ষ্য নিয়ে ২০০১ সালে যাত্রা শুরু করেছিল পৃথিবীর প্রথম সবথেকে সফল বেসরকারি মহাকাশ সংস্থা। নাম ছিল ‘মার্স ওয়েসিস’। কিন্তু, একবছরের মধ্যেই সংস্থার প্রধান এলন মাস্ক বুঝতে পারেন এই কাজ করার সময় এখনও আসেনি।  
বিশদ

07th  June, 2020
 লক্ষ্য লাদাখ

  ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি...। দশকের পর দশক ধরে চলতে থাকা সীমান্ত টেনশন মাথাচাড়া দিয়েছে। ফের আগ্রাসী চীন। পিছু হটবে না ভারতও...। বিশদ

31st  May, 2020
লকডাউনের দিনগুলি
ডাঃ শ্যামল চক্রবর্তী

মুখ্যমন্ত্রী দাঁড়িয়ে আছেন গাইনি বাড়ির উল্টোদিকে কার্ডিওলজি বিল্ডিংয়ের সামনে। পাশে পুলিস কমিশনার। খবর পেয়ে দ্রুত ওখানে চলে এলেন হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপারিন্টেন্ডেন্ট ও ডেপুটি সুপার। মিটার দেড়েক দূরত্ব, করজোড়ে মুখ্যমন্ত্রী... ‘খুব ভালো কাজ করছেন আপনারা।
বিশদ

24th  May, 2020
একনজরে
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: কথা রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বদলির পর বাড়ির কাছেই কাজের সুযোগ পেলেন চারশোর বেশি স্বাস্থ্যকর্মী। শুক্রবার ৪১৫ জন মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টকে রাজ্যের বিভিন্ন ...

মাদ্রিদ: রিয়াল মাদ্রিদের লিগ জয় কার্যত নিশ্চিত। অঘটন না ঘটলে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই খেতাব জিতবে জিনেদিন জিদান-ব্রিগেড। লিগ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা বার্সেলোনার চেয়ে ...

  ওয়াশিংটন: ভুয়ো লাইসেন্সধারী পাইলটদের উপর বিশ্বাস নেই। ইউরোপের পর এবার আমেরিকাতেও নিষিদ্ধ হল পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স (পিআইএ)। ...

সংবাদদাতা, মালদহ: প্রাকৃতিক বিপর্যয় ও লকডাউনের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত মালদহের আম ব্যবসাকে চাঙ্গা করতে ইতিমধ্যেই উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্যের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও উদ্যানপালন দপ্তর। দিল্লিতে নিযুক্ত ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মপ্রার্থীরা বেশ কিছু সুযোগের সংবাদে আনন্দিত হবেন। বিদ্যার্থীরা পরিশ্রমের সুফল নিশ্চয় পাবে। ভুল সিদ্ধান্ত থেকে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৩০: কলকাতায় দ্য জেনারেল অ্যাসেম্বলিজ ইনস্টিটিউশন, অধুনা স্কটিশ চার্চ কলেজ প্রতিষ্ঠা করলেন আলেকজান্ডার ডাফ এবং রাজা রামমোহন রায়
১৯০০: অভিনেতা ছবি বিশ্বাসের জন্ম
১৯৪২: মার্কিন অভিনেতা হ্যারিসন ফোর্ডের জন্ম
১৯৫৫: সাহিত্যিক আশাপূর্ণা দেবীর মৃত্যু
২০১১: মুম্বইয়ে ধারাবাহিক তিনটি বিস্ফোরণে হত ২৬, জখম ১৩০
২০১৩: বোফর্স কান্ডে অভিযুক্ত ইতালীয় ব্যবসায়ী অত্তাভিও কাত্রোচ্চির মৃত্যু।



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৪.৩১ টাকা ৭৬.০৩ টাকা
পাউন্ড ৯৩.০০ টাকা ৯৬.২৯ টাকা
ইউরো ৮৩.২৩ টাকা ৮৬.২৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
11th  July, 2020
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৯,৯৪০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৭,৩৮০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৮,০৯০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৫২,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৫২,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৯ আষাঢ় ১৪২৭, ১৩ জুলাই ২০২০, সোমবার, অষ্টমী ৩২/৪৫ অপঃ ৬/১০। রেবতী ১৫/২৫ দিবা ১১/১৪। সূর্যোদয় ৫/৩/৫২, সূর্যাস্ত ৬/২০/৩৮। অমৃতযোগ দিবা ৮/৩৬ গতে ১০/২২ মধ্যে। রাত্রি ৯/১২ গতে ১২/৪ মধ্যে পুনঃ ১/৩০ গতে ২/৫৫ মধ্যে। বারবেলা ৬/৪৩ গতে ৮/২২ মধ্যে পুনঃ ৩/১ গতে ৪/৪১ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/২১ গতে ১১/৪২ মধ্যে।
২৮ আষাঢ় ১৪২৭, ১৩ জুলাই ২০২০, সোমবার, অষ্টমী অপরাহ্ন ৫/০। রেবতী নক্ষত্র দিবা ১১/৮। সূযোদয় ৫/৩, সূর্যাস্ত ৬/২৩। অমৃতযোগ দিবা ৮/৩৬ গতে ১০/২৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/১৩ গতে ১২/৪ মধ্যে ও ১/২৯ গতে ২/৫৫ মধ্যে। কালবেলা ৬/৪৩ গতে ৮/২৩ মধ্যে ও ৩/৩ গতে ৪/৪৩ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/২৩ গতে ১১/৪৩ মধ্যে।
২১ জেল্কদ

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ: কর্মপ্রার্থীরা বেশ কিছু সুযোগের সংবাদে আনন্দিত হবেন। বৃষ: কোনও সম্পদ লাভে ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে

১৮৩০: কলকাতায় দ্য জেনারেল অ্যাসেম্বলিজ ইনস্টিটিউশন, অধুনা স্কটিশ চার্চ কলেজ ...বিশদ

07:03:20 PM

গুজরাটে একদিনে করোনা আক্রান্ত ৯০২ 
গুজরাটে গত ২৪ ঘণ্টায় ৯০২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু ...বিশদ

08:06:12 PM

মহারাষ্ট্রে একদিনে করোনা আক্রান্ত ৬,৪৯৭ 
মহারাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় ৬ হাজার ৪৯৭ জন করোনায় আক্রান্ত ...বিশদ

07:52:00 PM

উত্তর প্রদেশে একদিনে করোনা আক্রান্ত ১,৬৬৪ 
উত্তর প্রদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৬৬৪ জন করোনায় ...বিশদ

07:47:39 PM

২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্ত ১,৪৩৫
গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১,৪৩৫ জন। ...বিশদ

07:47:36 PM