Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

লকডাউনের দিনগুলি
ডাঃ শ্যামল চক্রবর্তী

মুখ্যমন্ত্রী দাঁড়িয়ে আছেন গাইনি বাড়ির উল্টোদিকে কার্ডিওলজি বিল্ডিংয়ের সামনে। পাশে পুলিস কমিশনার। খবর পেয়ে দ্রুত ওখানে চলে এলেন হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপারিন্টেন্ডেন্ট ও ডেপুটি সুপার। মিটার দেড়েক দূরত্ব, করজোড়ে মুখ্যমন্ত্রী... ‘খুব ভালো কাজ করছেন আপনারা। চালিয়ে যান। পাশে আছি।’ সিপি অনুজ শর্মা কলকাতা পুলিসের গাড়ি থেকে কয়েকটা মাস্কের বাক্স তুলে দিলেন আমাদের স্টোর কিপারদের হাতে।
—‘ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য বাস আসছে। হোটেল গেস্ট হাউসও ঠিক করা আছে। ওঁদের খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা আমাদের। একটু দেখে নেবেন, ওদের যেন কোনো সমস্যা না হয়।’
—‘অবশ্যই দেখব ম্যাডাম, আপনি সুস্থ থাকুন।’
—‘আপনারা সুস্থ থাকলেই আমরা ভালো থাকব। সবাই খুব সাবধানে কাজ করুন।’
দ্রুতলয়ে হেঁটে গাড়িতে উঠে এনআরএস হাসপাতালের দিকে রওনা হলেন মুখ্যমন্ত্রী।
সবে শুরু হয়েছে লকডাউন। অনেকেই বিভ্রান্ত। বাড়ি ফিরব কীভাবে, সব ক্যান্টিন প্রায় বন্ধ, বন্ধ হোম সার্ভিস... খাব কোথায়? মুখ্যমন্ত্রী এসে উদ্বুদ্ধ করে যেতেই বোঝা গেল, লড়াইটা কঠিন। তবু জিততেই হবে আমাদের। গেস্ট হাউস, বাসরুট ঠিক করলেন ডেপুটি সুপার। পুরোদমে চালু হয়ে গেল ফিভার ক্লিনিক। ওয়ার্ডগুলোতে সন্দেহজনক কোভিড রোগীদের জন্য চালু হল আইসোলেশন ওয়ার্ড। মাস্ক, পিপিই কিটের অভাব অনেকটাই মিটে গেল।
জীবন বাজি রেখে লড়ে যাচ্ছি আমরা। সুপার, ডেপুটি বাড়ি ফিরছেন মধ্যরাতে। ওদিকে ইতালি, ইংল্যান্ড থেকে এসে পৌঁছচ্ছে একের পর এক ডাক্তারের মৃত্যুর খবর। একদিকে জনগণ তালি বাজিয়ে অভিনন্দন জানাচ্ছেন। অন্যদিকে, ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়িছাড়া হচ্ছেন! একদিকে কুর্নিশ , অন্যত্র বাড়িতে ঢোকামাত্র সবাই যেন ভূত দেখছে, দৌড়ে পালাচ্ছে! এত কাজের চাপ, যখন তখন আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা, রাতে বাড়ি ফিরে মনে চোরা ভয়, কখন কে বলে বসে... আপনি আর এই আবাসনে না ফিরলেই ভালো!
চেন্নাইয়ে কোভিডে মৃত চিকিসকের শববাহী গাড়ি তাড়া করছে উন্মত্ত জনতা, কোনওরকমে প্রাণ হাতে করে দেহ কবর দিচ্ছেন সঙ্গী ডাক্তার। শেষকৃত্যে থাকতে পারলেন না চিকিৎসকের বাড়ির লোকজন। অসহ্য লাগত, দম বন্ধ হয়ে আসত আমাদের, মনে হতো, এই আমাদের জন্মভূমি? এ দেশেই আমাদের জন্য দিয়া জ্বালান কোটি কোটি ভারতবাসী! এখন কোভিডে আমি মরে গেলে স্ত্রী-পুত্র-কন্যাও থাকতে পারবে না শেষ দেখাটুকু দেখতে! মাঝরাতে ঘুম ভেঙে যায়, তীব্র বিষাদে জুড়োতে চায় না চোখ, এ কোন পেশায় এলাম? জানপ্রাণ দিয়ে করোনার সঙ্গে লড়ে যাওয়া আমাদের ছেলেমেয়েদের জন্য কী ভবিতব্য অপেক্ষায় আছে! জুনিয়র ডাক্তাররা সন্তানসম, ওদের জন্য বুক ভেঙে যায়।
কেউ হাসি না আর, ক্যাপমাস্কের আড়ালে শুধু যোদ্ধার জোড়া জোড়া চোখ। কাজের ফাঁকে আড্ডা কবে চুকেবুকে গেছে। সকাল থেকে রাত, শুধু রোগী দেখা আর অপেরেশন। জ্বর হয়েছে রোগীর? শ্বাসকষ্ট আছে? বাইরে থেকে এসেছেন? বাইরের দেশ থেকে কেউ এসেছে বাড়িতে? রুটিন প্রশ্ন করতে শিখছি সবাই। ভুল হলেই বিপন্ন হব। পড়াশোনা করতে হচ্ছে, জেনে নিতে হচ্ছে গাইডলাইন। সাবধান হতে হচ্ছে রোগী দেখায়, অপারেশন টেবিলে। আলাদা ওটি হচ্ছে আইসোলেশন ওয়ার্ডে। জুনিয়ররা বাঁচাতে চাইছে আমাদের... ‘আপনি সাবধান স্যার, আমি নামছি ওটিতে’, নন্দিনীর কথা শুনে মনে হয়, এখনও সব আলো যায়নি নিভে।
দিনগুলো মেঘাচ্ছন্ন তবু, মৃত্যুর খবর দিচ্ছে। একের পর এক ডাক্তার, সিস্টার, স্বাস্থ্যকর্মী চলে যাচ্ছেন কোয়ারেন্টাইনে। চারদিক থেকে আসছে ডাক্তারদের আক্রান্ত হওয়ার খবর। না, ভয় পাইনি আমরা... এতটুকু না। যখন যেমন দরকার, নিজেদের কাজ করে গিয়েছি। ওটিতে ফিরে আসছে রসিকতা। সিজারে সদ্যোজাতকে হাতে নিয়ে নাম দিচ্ছি লকডাউন সিং! পিপিই কিট পরা পিজিটি পৌলমীকে ডাকছি ‘ফ্রন্টলাইন’ বলে। মানুষ যে আজকাল আমাদের ‘ফ্রন্টলাইন ওয়ারিয়র’ নামে ডাকে!
প্রকৃতি আহ্লাদে আছে, গাছের সবুজ পাতায় পিছলে পড়া আলো। জারুল কৃষ্ণচূড়া রাধাচূড়া দেখে খুশির তুফান ওঠে প্রাণে। হাসপাতালের বাগানে মাদক কামিনীর ফুটফুটে সাদা পাপড়ি ঝরে পড়ে করতলে। কনকচাঁপার গন্ধে মনে পড়ে হারিয়ে যাওয়া মাকে। চড়াই, শালিক, টিয়া, দোয়েল, ঘুঘু, কাঠবিড়ালি লকডাউনের বন্ধু হয়ে যায়। পুলিসকে জানিয়ে সন্ধ্যায় চলে যাই নদীর কিনারে। দূষণহীন বাতাস, নিঃশব্দ পথ, গান গাইছে নদী। গঙ্গায় স্ফটিকস্বচ্ছ জল বহুযুগ বাদে। মনে হয় আঁজলা করে তুলে খাই। গঙ্গায় শুশুক নাকি আসছে আবার। নদীর পশ্চিম তীরে অপার্থিব সূর্যাস্ত ওই। রঙের উৎসব দেখে হারিয়ে যায় মনখারাপের চিঠি।
লকডাউন কত কী শিখিয়ে দিয়ে যায়! উর্দির আড়ালের পুলিসকে চেনা হল নতুন করে। দেখলাম পুলিসের এতকাল লুকিয়ে থাকা মানবিক মুখ। দেখলাম, আমাদের চাঙ্গা রাখতে আপ্রাণ চেষ্টা করছেন ওরা। হয়তো ডাক্তার আর পুলিস খেটেছে, মানুষের দুঃখ দেখেছে সবচাইতে বেশি। দু’জনেই সমব্যথী তাই। নতুন করে চিনছি আমাদের স্বাস্থ্যকর্মী, সাফাইকর্মীদের। মানুষ ভয়ে কাঁপছে ঠকঠক করে। ওঁদের মাইনে কম, তবু দায়িত্ব নিয়ে করে যাচ্ছেন কাজ। মেন বিল্ডিংয়ের এক লিফটম্যানের কোভিড ইনফেকশন হল, ভর্তি হলেন আইডি হাসপাতালে। তবু কাজ করে গেলেন অন্য লিফটম্যানেরা।
একটা ভাইরাস এসে কেড়ে নিল কত কত মানুষের কাজ। কত মানুষ কাল কী খাবেন, ভেবে হলেন নিদ্রাহারা। বাস নেই, নেই ট্রেন, অটো। রোগীর বাড়ির লোক হাসপাতালে রাত কাটাবেন ভুখা পেটে? এগিয়ে এল পাড়ার ছেলেদের দল। সাধ্য মতো খাবার দিল দু’বেলা ওদের। হাজার হাজার বেসরকারি সংস্থা রাজ্যজুড়ে, দেশজুড়ে নিরন্ন অভুক্ত মানুষকে জোগাল রেশন, দু’বেলার খাবার। যাদবপুর আর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা জোট বেঁধে আজও কলকাতা ও কলকাতার বাইরে প্রত্যন্ত জেলায় একটানা চালিয়ে যাচ্ছে কমিউনিটি কিচেন। মন্মথর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিল লকডাউন, আরও কত তরুণের সঙ্গে। মাঠে, গাছতলায়, পাড়ার পার্কে উনান জ্বালিয়ে খাবার রান্না করছেন যাঁরা, নিরন্নকে জোগাচ্ছেন অন্ন, তাঁদের দিকে তাকাতেই সব বিষাদ কেটে গিয়েছে গত ষাট দিনে।
তবু বুক ভেঙে যায়। লক্ষ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক হেঁটে চলেছে নিরন্তর। টাকা নেই, খাদ্য নেই, নেই যানবাহন। নো পলিটিক্স প্লিজ! তত্ত্ব ভুলতে শেখাল লকডাউন। ডাক্তার হলেও নাগরিক তো বটে! প্রশ্নটা কুড়ে খায়, বলার সময় এসেছে। দেশজুড়ে লকডাউন শুরু করতে এত তাড়াহুড়ো কেন? কয়েকটা দিন সময় নিয়ে, পরিকল্পনা করে সবাইকে ঘরে ফিরিয়ে দুয়ার আটকানো যেত না কি?
শরীরের দক্ষ মিস্ত্রি আমরা, জানি ছোঁয়াচে রোগ, ভাইরাস, সংসর্গ এড়িয়ে চলার বিধি ব্যাকরণ। লকডাউন অবশ্য দরকারি, একমাত্র পথ কিন্তু নয়। রাতারাতি সব বন্ধ করে দেওয়া মানে সমাজে গভীর ক্ষত। হয় তুক, নয় তাক করে কোভিডের রোগী হয়তো কমে, ঢাকা যায় না দেশে জনস্বাস্থ্যের গভীর বিবর।
তবু বাজারই শেষ কথা নয়, শেষ কথা বলে না যুদ্ধবিমান-মিসাইল-সাবমেরিন। শেষ কথা ভালোবাসা, আরোগ্যের রাষ্ট্রীয় আশ্বাস। শেষ কথা কর্মহীনতার প্রতিষেধক বটিকা। স্বাস্থ্য মানে শুধু রোগের চিকিৎসা নয়, স্বাস্থ্যের জন্য চাই গরিবের, প্রান্তিক মানুষের সুষম আহার। দায় শুধু স্বেচ্ছাসেবীদের? নাকি রাষ্ট্রেরও?
আত্মঘাতী বাঙালির দ্বিচারিতার কোনও শেষ হয়তো নেই। লকডাউন তবু প্রশ্ন রেখে যায়...।
 লেখক: আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক
24th  May, 2020
মন্বন্তর ২৫০
সমৃদ্ধ দত্ত

পেটে ভাত নেই... কিন্তু রাজস্ব যে দিতেই হবে! কোম্পানির কোষাগার ভরতে না পারলে গাছে ঝুলিয়ে ফাঁসি। একদিকে দুর্ভিক্ষে, কলেরায় উজাড় হয়েছে গ্রামের পর গ্রাম। তখনই ফুলেফেঁপে উঠেছে বণিকের ঝুলি। তাদের মানদণ্ডের আঘাতে বাংলার নিয়তি ছিল একটাই... মৃত্যু। ফিরে দেখা ২৫০ বছর আগের সেই অভিশপ্ত মন্বন্তরকে।
বিশদ

12th  July, 2020
খড়্গপুর প্ল্যাটফর্মে আর নেই সুশান্ত... 

সোহম কর: সুশান্ত সিং রাজপুতকে তখনও মানব নামেই বেশি চেনে খড়্গপুর... সৌজন্যে ‘পবিত্র রিস্তা’। সেই মানব টিকিট কালেক্টরের পোশাকে খড়্গপুর স্টেশনে। সবাই তো অবাক! তারপর বোঝা গেল, মহেন্দ্র সিং ধোনির বায়োপিকের শ্যুটিংয়ে এই মফস্সল শহরে এসেছেন সুশান্ত। 
বিশদ

05th  July, 2020
ভালো থেকো সুশ 

কৃতী শ্যানন: সুশ, জানতাম মেধাবী মন ছিল তোমার সবচেয়ে ভালো বন্ধু, আর সবচেয়ে বড় শত্রুও... কিন্তু একটাই কথা ভেবে আমার ভেতরটা চুরমার হয়ে যাচ্ছে... এমন একটা মুহূর্ত তোমার জীবনে কীভাবে এল যে, বেঁচে থাকার বদলে মৃত্যুটাই সহজ বলে মনে হল! বারবার মনে হচ্ছে ‘ওই মুহূর্তে’ যদি তোমার পাশে কয়েকজন ভালো মানুষ থাকত... যদি তুমি তোমার ভালোবাসার লোকগুলোকে দূরে না সরিয়ে দিতে...  
বিশদ

05th  July, 2020
তোমাকে মিস করব 

শ্রদ্ধা কাপুর: যা ঘটেছে মেনে নিতে পারছি না। এক গভীর শূন্যতা... সুশান্ত! প্রিয় সুশ...! নম্রতা, বুদ্ধিমত্তা... জীবন সম্পর্কে অদম্য কৌতূহল। সবখানে খুঁজে নিত সুন্দরকে। সেটে ওর সঙ্গে দেখা হওয়ার অপেক্ষায় থাকতাম, ভাবতাম আজ না জানি নতুন কী চমক আছে!
বিশদ

05th  July, 2020
অচেনা তারা 

অন্বেষা দত্ত: আপনাকে ব্যক্তিগতভাবে চিনি না। কখনও আলাপ হওয়ার সুযোগ হয়নি। সেই আক্ষেপটা আজীবন রয়েই যাবে। তবে সে কথা এখন থাক। আপনি এখন এ পৃথিবীর কেউ নন। কোনওদিন ছিলেন কি?  
বিশদ

05th  July, 2020
স্বামীজির শেষদিন
শংকর

স্বামীজি বলতেন, ‘শরীরটা কিছু নয়, কিন্তু এই শরীরের দ্বারাই তাঁকে লাভ করতে হবে।’ কর্মই ছিল তাঁর ঈশ্বরলাভের পথ। আর কর্মকাণ্ডের বারিধারায় মহাবিশ্বকে সজল করে আচমকা সেই শরীরই ত্যাগ করেছিলেন তিনি। ৪ জুলাই, ১৯০২... ফিরে দেখা স্বামী বিবেকানন্দের শেষের সেদিন।
বিশদ

28th  June, 2020
 নরেনের ঘুড়ি
সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়

 স্বামীজি যখন প্রথম দক্ষিণেশ্বরে শ্রীরামকৃষ্ণের কাছে এলেন, তার অনেক আগে থেকেই তিনি ইউরোপীয় দর্শনশাস্ত্র ঘাঁটাঘাঁটি শুরু করেছেন। উদ্দেশ্য— তিনি খুঁজছেন, এই পৃথিবী ও পৃথিবীর মানুষ এবং জীব জগৎ এল কোথা থেকে। এই জগতের স্রষ্টা কে! আরও কৌতূহল— সাধারণ মানুষ যে ভগবানের কথা বলে, সেই ভগবান কে? তাঁর দর্শন কি পাওয়া যায়! বিশদ

28th  June, 2020
নব নীলাচল মাহেশ 

এবার মন্দিরের ধ্যানঘরে মাসির বাড়ি তৈরি করে জগন্নাথদেবকে নিয়ে যাওয়া হবে। লিখেছেন গুঞ্জন ঘোষ।  বিশদ

21st  June, 2020
অনলাইনে ইসকনের রথোৎসব 

এই প্রথমবার কলকাতার রাজপথ পরিক্রমণ করবে না ইসকনের রথ। করোনার সংক্রমণের জন্য এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসকন কর্তৃপক্ষ। খবরে স্নেহাশিস সাউ।  
বিশদ

21st  June, 2020
জয় প্রভু জগন্নাথ 

তিনি জগন্নাথ। জগতের নাথ। জগতের শুভ অশুভ, দুঃখ সুখ, প্রলয় শান্তি, বিপর্যয় সৃষ্টি সব কিছুর নিয়ন্তা তিনি। তিনি চাইলে নিমেষে বদলে যায় জীবন। তাঁর ইচ্ছেতেই মহামারী শেষে ফিরে আসবে নতুন ভুবন। সেই বিশ্বাস আঁকড়ে ধরেই আসন্ন রথযাত্রার পুণ্যলগ্নে প্রভু জগন্নাথকে বন্দনার আয়োজন। 
বিশদ

21st  June, 2020
শত হেমন্ত সুরে

পথ হারাবেন বলেই হয়তো তিনি সুরের পথে নেমেছিলেন। কিন্তু তাঁর গায়কী ও সুরসৃষ্টিতে বাঙালি মাত্রই খুঁজে পান পথের সন্ধান— তিনি হেমন্ত মুখোপাধ্যায়। আর দু’দিন পর অর্থাৎ ১৬ জুন তাঁর জন্মশতবর্ষ। সেই বিশেষ দিনটিকে স্মরণে রেখে আরবসাগরের পার থেকে সঙ্গীত জগতের এই দুরন্ত ঘূর্ণির স্মৃতিচারণা করলেন নায়ক বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায় এবং অভিনেত্রী তথা এই কিংবদন্তি শিল্পীর পুত্রবধূ মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়। শুনলেন অয়নকুমার দত্ত।
বিশদ

14th  June, 2020
আমজনতার মহাকাশযাত্রা
উপাসনা দাশগুপ্ত

দিনটা শনিবার। বিকেল ৩টে ২২ মিনিট। কম্পিউটারে ইউটিউব খুলে স্পেস এক্সের লঞ্চ দেখছি। টানটান উত্তেজনা। লঞ্চ সফল হবে তো! মহাকাশ যাত্রায় এবার যেহেতু দু’জন মহাকাশচারী রয়েছেন, তাই ব্যাপারটা যেমন রোমাঞ্চকর, তেমনই খারাপ কিছু ঘটলে ভয়ানকও বটে। 
বিশদ

07th  June, 2020
এক নজরে স্পেস এক্স 

মঙ্গলগ্রহে চাষাবাদ করার লক্ষ্য নিয়ে ২০০১ সালে যাত্রা শুরু করেছিল পৃথিবীর প্রথম সবথেকে সফল বেসরকারি মহাকাশ সংস্থা। নাম ছিল ‘মার্স ওয়েসিস’। কিন্তু, একবছরের মধ্যেই সংস্থার প্রধান এলন মাস্ক বুঝতে পারেন এই কাজ করার সময় এখনও আসেনি।  
বিশদ

07th  June, 2020
 লক্ষ্য লাদাখ

  ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি...। দশকের পর দশক ধরে চলতে থাকা সীমান্ত টেনশন মাথাচাড়া দিয়েছে। ফের আগ্রাসী চীন। পিছু হটবে না ভারতও...। বিশদ

31st  May, 2020
একনজরে
  ওয়াশিংটন: ভুয়ো লাইসেন্সধারী পাইলটদের উপর বিশ্বাস নেই। ইউরোপের পর এবার আমেরিকাতেও নিষিদ্ধ হল পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স (পিআইএ)। ...

মাদ্রিদ: রিয়াল মাদ্রিদের লিগ জয় কার্যত নিশ্চিত। অঘটন না ঘটলে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই খেতাব জিতবে জিনেদিন জিদান-ব্রিগেড। লিগ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা বার্সেলোনার চেয়ে ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: উম-পুনে ক্ষতিগ্রস্ত প্রান্তিক মানুষ ও স্বসহায়ক দলগুলিকে নিজের পায়ে দাঁড়াতে হাঁস ও মুরগির বাচ্চা দেওয়ার পাশাপাশি তাদের এক মাসের খাবারও কিনে দেবে ...

সংবাদদাতা, মালদহ: প্রাকৃতিক বিপর্যয় ও লকডাউনের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত মালদহের আম ব্যবসাকে চাঙ্গা করতে ইতিমধ্যেই উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্যের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও উদ্যানপালন দপ্তর। দিল্লিতে নিযুক্ত ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মপ্রার্থীরা বেশ কিছু সুযোগের সংবাদে আনন্দিত হবেন। বিদ্যার্থীরা পরিশ্রমের সুফল নিশ্চয় পাবে। ভুল সিদ্ধান্ত থেকে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৩০: কলকাতায় দ্য জেনারেল অ্যাসেম্বলিজ ইনস্টিটিউশন, অধুনা স্কটিশ চার্চ কলেজ প্রতিষ্ঠা করলেন আলেকজান্ডার ডাফ এবং রাজা রামমোহন রায়
১৯০০: অভিনেতা ছবি বিশ্বাসের জন্ম
১৯৪২: মার্কিন অভিনেতা হ্যারিসন ফোর্ডের জন্ম
১৯৫৫: সাহিত্যিক আশাপূর্ণা দেবীর মৃত্যু
২০১১: মুম্বইয়ে ধারাবাহিক তিনটি বিস্ফোরণে হত ২৬, জখম ১৩০
২০১৩: বোফর্স কান্ডে অভিযুক্ত ইতালীয় ব্যবসায়ী অত্তাভিও কাত্রোচ্চির মৃত্যু।



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৪.৩১ টাকা ৭৬.০৩ টাকা
পাউন্ড ৯৩.০০ টাকা ৯৬.২৯ টাকা
ইউরো ৮৩.২৩ টাকা ৮৬.২৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
11th  July, 2020
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৯,৯৪০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৭,৩৮০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৮,০৯০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৫২,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৫২,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৯ আষাঢ় ১৪২৭, ১৩ জুলাই ২০২০, সোমবার, অষ্টমী ৩২/৪৫ অপঃ ৬/১০। রেবতী ১৫/২৫ দিবা ১১/১৪। সূর্যোদয় ৫/৩/৫২, সূর্যাস্ত ৬/২০/৩৮। অমৃতযোগ দিবা ৮/৩৬ গতে ১০/২২ মধ্যে। রাত্রি ৯/১২ গতে ১২/৪ মধ্যে পুনঃ ১/৩০ গতে ২/৫৫ মধ্যে। বারবেলা ৬/৪৩ গতে ৮/২২ মধ্যে পুনঃ ৩/১ গতে ৪/৪১ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/২১ গতে ১১/৪২ মধ্যে।
২৮ আষাঢ় ১৪২৭, ১৩ জুলাই ২০২০, সোমবার, অষ্টমী অপরাহ্ন ৫/০। রেবতী নক্ষত্র দিবা ১১/৮। সূযোদয় ৫/৩, সূর্যাস্ত ৬/২৩। অমৃতযোগ দিবা ৮/৩৬ গতে ১০/২৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/১৩ গতে ১২/৪ মধ্যে ও ১/২৯ গতে ২/৫৫ মধ্যে। কালবেলা ৬/৪৩ গতে ৮/২৩ মধ্যে ও ৩/৩ গতে ৪/৪৩ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/২৩ গতে ১১/৪৩ মধ্যে।
২১ জেল্কদ

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ: কর্মপ্রার্থীরা বেশ কিছু সুযোগের সংবাদে আনন্দিত হবেন। বৃষ: কোনও সম্পদ লাভে ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে

১৮৩০: কলকাতায় দ্য জেনারেল অ্যাসেম্বলিজ ইনস্টিটিউশন, অধুনা স্কটিশ চার্চ কলেজ ...বিশদ

07:03:20 PM

গুজরাটে একদিনে করোনা আক্রান্ত ৯০২ 
গুজরাটে গত ২৪ ঘণ্টায় ৯০২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু ...বিশদ

08:06:12 PM

মহারাষ্ট্রে একদিনে করোনা আক্রান্ত ৬,৪৯৭ 
মহারাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় ৬ হাজার ৪৯৭ জন করোনায় আক্রান্ত ...বিশদ

07:52:00 PM

উত্তর প্রদেশে একদিনে করোনা আক্রান্ত ১,৬৬৪ 
উত্তর প্রদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৬৬৪ জন করোনায় ...বিশদ

07:47:39 PM

২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্ত ১,৪৩৫
গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১,৪৩৫ জন। ...বিশদ

07:47:36 PM