হঠাৎ জেদ বা রাগের বশে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়াই শ্রেয়। প্রেম-প্রীতির যোগ বর্তমান। প্রীতির বন্ধন ... বিশদ
১৮৭৯ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি হায়দ্রাবাদ শহরে জন্মগ্রহণ করেন সরোজিনী চট্টোপাধ্যায়। পিতা অঘোরনাথ চট্টোপাধ্যায় ছিলেন পাশ্চাত্য শিক্ষায় প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত সুপণ্ডিত। সরোজিনীর মায়ের নাম বরদাসুন্দরী। তিনিও ছিলেন সুগায়িকা। কবিতাও লিখতেন। ফলে বাড়ির সাংস্কৃতিক পরিবেশের মধ্যেই বেড়ে উঠেছিলেন সরোজিনী। তাঁর আদি বাড়ি ছিল বাংলাদেশের ঢাকার ব্রাহ্মণগাঁতে।
সরোজিনী মাত্র বারো বছর বয়সে প্রবেশিকা পাশ করেন। তিনি ইংরাজিতে দু’হাজার লাইনের একটি নাটিকা রচনা করে সকলকে চমকে দেন। পাশাপাশি মাত্র ছয় দিনেই তেরশো লাইনের এক কাব্য লিখে ফেলেছিলেন। তাঁর এই অভাবনীয় কীর্তি দেখে চমৎকৃত হন পিতা অঘোরনাথ। এরপর সেই ঘটনা জানতে পেরে হায়দ্রাবাদ নিজাম বাহাদুরের কাছ থেকেও প্রশংসিত হন। এই সরোজিনী পরবর্তী সময়ে নিজাম বাহাদুরের কাছ থেকে বিদেশে শিক্ষার জন্য বার্ষিক ৩০০ পাউন্ড বৃত্তি পান। ১৮৯৮ সালে সরোজিনী অসুস্থ হয়ে পড়লে বিদেশ থেকে ফিরে আসেন হায়দ্রাবাদে। সুস্থ হলে তিন মাস পর ডাঃ মোতিয়ালা গোবিন্দ রাজুলু নাইডুকে বিয়ে করেন। ইংরেজি কবিতা রচনার জন্যে তিনি ‘প্রাচ্যের নাইটেঙ্গল’ নামে পরিচিতি পান। ১৯১৫ সালে সক্রিয়ভাবে রাজনীতিতে যোগ দেন। ১৯১৯ সালে ভারতীয় নারীর অধিকার সাব্যস্ত করার জন্যে ইংল্যান্ডে যান সরোজিনী। তিনিই ছিলেন দেশে প্রথম মহিলা রাজ্যপাল। ১৯৪৯ সালের ১ মার্চ সত্তর বছর বয়সে সরোজিনী নাইডুর জীবনাবসান ঘটলেও তাঁর মুক্ত চিন্তা, সংগ্রাম ও রাজনৈতিক জীবনের বহুমুখী কর্মপন্থা অনুপ্রেরণা জোগাবে নব প্রজন্মকে।
অরূপকুমার ভৌমিক