হঠাৎ জেদ বা রাগের বশে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়াই শ্রেয়। প্রেম-প্রীতির যোগ বর্তমান। প্রীতির বন্ধন ... বিশদ
এদিন সৌরভবাবু দাবি করেন, বিজেপির নেতারা যেভাবে বন্যার সময় মানুষ আশ্রয়, আহার ও জল খোঁজে সে রকমভাবে আমাদের খুঁজে বেড়াচ্ছে। বলছে দাদা কবে তৃণমূল কংগ্রেসে জয়েনিং করাবেন। আমরা দেখে, রেখে জয়েনিং করাবো। পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির যে ক’জন জনপ্রতিনিধি জিতেছিলেন, লোকসভার নির্বাচনের আগে সবাই তৃণমূল কংগ্রেসে জয়েন করে যাচ্ছেন। যারা নেওয়ার যোগ্য তাদের নিচ্ছি, সবাইকে নিচ্ছি না। আমাদের পর্যবেক্ষক আসবেন। আমরা র্যা লি করবো, সিপিএম কংগ্রেসের বহু নেতারা ঘোরাফেরা করছেন, সবাইকে আমরা নিচ্ছি না। বাসে পাথর মারছে, পুলিসকে ঢিল ছুঁড়েছে তাদেরকে আমরা নিচ্ছি না। তারাও বিহার, রাজস্থান কোথায় কোথায় পালিয়ে আমাদের ফোন করছে, আমরা কবে যোগদান করবো। আমরা এসব লোকদের নিচ্ছি না। কিন্তু যে লোকগুলোকে ভুল বুঝিয়ে নিয়ে গিয়েছিল, তারা আমাদের কাছে অনেকেই আবেদন জমা দিয়েছেন, অনেকে যোগদান করবে।
জেলা সভাপতির দাবি, আমরা সব ব্লকের সভাপতিদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলাম। বুথ ওয়ারি আমরা রিপোর্ট নিয়েছি, তাতে পরিস্কার কিছুদিন আগে প্রধানমন্ত্রীর সভায় উত্তরবঙ্গের জেলাগুলি থেকে লোক হয়নি। লোকটা আনা হয়েছিল মূলত ঝাড়খন্ড, অসমের কয়েকটি জেলা থেকে কিছু লোক এসেছিল, কিন্তু আমাদের জেলার মানুষের মনে কিন্তু নরেন্দর মোদি সেভাবে দাগ কাটতে পারেননি, বরং প্রধানমন্ত্রী চা বাগান নিয়ে যেসব কথা বলে গিয়েছেন, চা বাগানের মানুষ সেটা কিন্তু বুঝতে পেরেছেন। বরঞ্চ রাজ্য সরকার চা বাগান নিয়ে যে উদ্যোগ নিয়েছে বাগানের মানুষের কাছে তা গ্রহণযোগ্য হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সার্কিট বেঞ্চের উদ্বোধন করলেন, অথচ সেখানে তালা ঝুলছে। আমরা চাই সার্কিট বেঞ্চ চালু হোক। ৯ মার্চ সার্কিট বেঞ্চের উদ্বোধন হবে। যদিও বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক বাপি গোস্বামী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সভায় জেলার মানুষের ঢল দেখে তৃণমূল নেতারা আতঙ্কিত। আমাদের দলের কোনও জনপ্রতিনিধিই দলত্যাগ করবেন না। এসব অপপ্রচার চালাচ্ছে ওরা। তৃণমূল কংগ্রেসের অনেকে জেলা ব্লক স্তরের নেতারা বিজেপিতে যোগ দিতে যোগাযোগ করছেন বলে তিনি পাল্টা দাবি করেন।