হঠাৎ জেদ বা রাগের বশে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়াই শ্রেয়। প্রেম-প্রীতির যোগ বর্তমান। প্রীতির বন্ধন ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, শিল্পাঞ্চলে জাল নোটের একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরেই কাজ করছে। এর আগেও জাল নোট শিল্পাঞ্চলে ঢুকেছিল। খনি অঞ্চলে একাধিক অবৈধ কাজে প্রতিদিনই কোটি কোটি টাকা লেনদেন হয়। সেই কাজেই আসল নোটের সঙ্গে জালনোটগুলি মিশিয়ে দেওয়া হয়। উদ্ধার হওয়া জালনোটগুলি অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি। এক ঝলক দেখে আসল নোটের সঙ্গে এর পার্থক্য খুঁজে পাওয়া অত্যন্ত কঠিন বলে পুলিসের দাবি। এক পুলিস আধিকারিক বলেন, জাল নোটের চক্রটি আসানসোল শিল্পাঞ্চলের পাশাপাশি ধানবাদেও ছড়িয়ে রয়েছে। ধৃত দুই দুষ্কৃতী রোহিত ও রোশন জেরায় বেশ কয়েকজনের নাম জানিয়েছে। বিহারের পাশাপাশি সেই তালিকায় খনি অঞ্চলেরও কয়েকজনের নাম রয়েছে। এই দু’জনের কাজ ছিল নির্দিষ্ট ঠিকানায় জাল টাকা পৌঁছে দেওয়া। তারা বুধবার রাতেই চিত্তরঞ্জনে নেমেছিল। সেখান থেকে অটো ধরে এক জায়গায় যাওয়ার কথা ছিল। যাতে কারও কোনও সন্দেহ না হয়, সেকারণে স্কুল ব্যাগের মতোই পিঠে ব্যাগ নিয়েছিল। ধৃতদের কাছ থেকে আটটি ৫০০ টাকার নোটের বান্ডিল পাওয়া গিয়েছে। এছাড়া সাতটি ১০০ টাকা এবং চারটি ৫০টাকার নোটের বান্ডিল পাওয়া গিয়েছে। তবে নোটগুলি বিহারে তৈরি হয়েছিল, না এর সঙ্গে অন্য কোনও লিঙ্ক রয়েছে তা পুলিস তদন্ত করে দেখছে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ধরনের জাল নোট বিহারে তৈরি হলেও তা আধিকারিকদের কাছে যথেষ্টই চিন্তার কারণ। এর আগে মুর্শিদাবাদ এবং মালদহ থেকে জাল নোট শিল্পাঞ্চলে ঢুকত। কিন্তু এখন পুলিস প্রাথমিক জেরা করে জানতে পেরেছে, ধৃতরা হিন্দি বলয় থেকেই জাল নোটগুলি পাচার করছিল। এই চক্রের জাল অনেক দূর বিস্তৃত রয়েছে। মূল চক্রীর কাছে পৌঁছনো পুলিসের কাছে অত্যন্ত কঠিন বলেই তদন্তকারীরা মনে করছেন। ধৃতদের কাজ ছিল নির্দিষ্ট ঠিকানায় জাল টাকা পৌঁছনো। ফলে তাদের কাছ থেকে পুলিস কতটা তথ্য জানতে পারবে, তা নিয়েও আধিকারিকদের অনেকে ধন্দে রয়েছেন।