হঠাৎ জেদ বা রাগের বশে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়াই শ্রেয়। প্রেম-প্রীতির যোগ বর্তমান। প্রীতির বন্ধন ... বিশদ
স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, কৃষি ফার্মের জমিতে মেডিক্যাল কলেজ তৈরির কাজ চলছে। আপাতত যুব আবাসে ক্লাস নেওয়া হবে। তবে অনুমোদন সংক্রান্ত কিছু সমস্যা এখনও রয়েছে। কিন্তু এনিয়ে স্বাস্থ্যদপ্তরের কর্তারা কোনও মন্তব্য করতে চাননি। অন্যদিকে কোচবিহার এমজেএন হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকাতেই চাইল্ড কেয়ার হাব তৈরি হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী এই হাবের ‘মাতৃমা’ নামকরণ করেছেন। কোচবিহার এমজেএন হাসপাতালের মর্গের বিপরীতেই এই চাইল্ড কেয়ার হাবটি তৈরি হয়েছে। অত্যাধুনিক শিশু চিকিৎসার যাবতীয় পরিকাঠামো এখানে তৈরি করা হয়েছে। মা ও শিশু চিকিৎসার যাবতীয় ব্যবস্থা যাতে একই ছাদের তলায় করার জন্য এই হাবকে বহুতল করার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু তাতে হাবের উচ্চতা মদনমোহন মন্দিরের তুলনায় বেশি হয়ে যাচ্ছিল। তাতে এখানকার চিকিৎসা বর্জ্য মন্দিরে যেতে পারে এই আশঙ্কা থেকে বহুতল করা নিয়ে আপত্তি উঠেছিল। তার জেরেই এটির উচ্চতা চারতলার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা হয়েছে। সেকারণে এমজেএনের শিশু বিভাগটিকে এখানে পুরোপুরি স্থানান্তরিত করা যাবে না। চাইল্ড কেয়ার হাব তৈরির জন্য প্রায় ১৮ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই চাইল্ড কেয়ার হাবটিতে মোট ২৯২টি বেড থাকবে। গর্ভবতী মা ও শিশুদের উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা এখানে থাকবে। এখানে পৃথক ইউনিটগুলিতে শিশুদের উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা থাকবে। এখানে নিওনেটাল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট, পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট, সিক নিউবর্ন কেয়ার ইউনিট এখানে তৈরি করা হয়েছে। প্রসূতি মা, নবজাতক, শিশুদের চিকিৎসা এখানে করা হবে। প্রথম পর্যায়ে ন’জন স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ, পাঁচজন শিশু চিকিৎসক ও ৫০জন নার্সকে এখানে নিয়োগ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই চাইল্ড কেয়ার হাবের জন্য প্রয়োজনীয় বেড, হুইল চেয়ার সহ আধুনিক চিকিৎসার নানা যন্ত্রপাতি এসে গিয়েছে। মেডিক্যাল কলেজ ও চাইল্ড কেয়ার হাবটি পুরোপুরি চালুর ক্ষেত্রে কিছু কাজ এখনও বাকি রয়েছে। কিন্তু নির্বাচন বিধি লাগু হওয়ার আগে এটি চালু করতে না পারলে পরে দেরি হয়ে যেতে পারে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সেকারণেই তড়িঘড়ি এগুলি উদ্বোধন করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।