Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

জঙ্গি হানার পর
সমৃদ্ধ দত্ত

সেনাপ্রধান স্যাম মানেকশকে ডেকে ইন্দিরা গান্ধী বললেন, জেনারেল, আমার মনে হয় ইস্ট পাকিস্তানি (পরবর্তী বাংলাদেশ) বেঙ্গলিদের রক্ষা করতে আমাদের মিলিটারি অ্যাকশনে যেতে হবে। ইস্ট পাকিস্তান থেকে স্বৈরাচারী আর্মি রুলকে সরাতে হবে। সেটা ইন্ডিয়ার সুরক্ষার জন্যও খুব দরকার। আমরা কতটা প্রিপেয়ার? ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ। তার আগের রাতেই পূর্ব পাকিস্তানে পাকিস্তান সেনারা গণহত্যা চালিয়েছে। জেনারেল মানেকশ একটু ভেবে বলেছিলেন, আসলে আমাদের দেশের পলিটিক্যাল অবস্থান বরাবরই ছিল আমরা নিজেদের যেন কঠোরভাবে ডিফেন্স করার জন্য তৈরি থাকি। আমরা আক্রমণ করেছি প্রথমেই এরকম হয়নি। তাই সেরকম অপারেশনের জন্য একটু সময় আর ট্রেনিং দরকার। কতদিন? ইন্দিরা গান্ধী জানতে চাইলেন। মানেকশ বললেন, সবথেকে ভালো হয় যদি ৬ মাস পাওয়া যায়। ইন্দিরা গান্ধী বললেন, ঠিক আছে। আপনি আমাকে বলবেন যখন সব রেডি হয়ে যাবে। পাশেই থাকা র(RAW) গুপ্তচর সংস্থার প্রধান আর এন কাওকে ইন্দিরা বললেন, আর এর মধ্যে আপনি আপনার কাজ শুরু করুন। সবুজ সংকেত পেয়েই র (RAW) কাজ শুরু করল। বেশ কিছু সীমান্তে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খোলা হল। সীমান্ত পেরিয়ে বাঙালি মুক্তিবাহিনীর বীর যুবাদের বিএসএফ এবং সেনা অফিসাররা ট্রেনিং দেওয়া শুরু করল গোপনে। এরপর একের পর এক আক্রমণ। কখনও পাকিস্তানি সেনার অয়েল ট্যাঙ্কার, বার্জ, স্টিমার, ডুবিয়ে দিচ্ছে মুক্তিবাহিনী। কখনও অ্যামবুশ অ্যাটাক করে পালাচ্ছে। অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি জেনারেল মানেকশ ইন্দিরা গান্ধীকে বললেন, ম্যাডাম আমরা রেডি! ইন্দিরা গান্ধী বলেছিলেন, ফাইন! রেডি থাকুন। আমি ফরেন ট্যুর থেকে ফিরেই...। বিদেশে ইন্দিরা গেলেন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সর্বসম্মত একটা আন্তর্জাতিক সহমত তৈরি করতে। এবং পাকিস্তান কাজটা অনেক সহজ করে দিল। কারণ ৩ ডিসেম্বর তারা ভারতের পশ্চিম প্রান্তে একের পর এক বোমা বর্ষণ শুরু করল স্রেফ নার্ভ ফেল করে। তারপর আর মাত্র ১৪ দিন। ১৪ দিনে পাকিস্তানকে আত্মসমর্পণ করতে হয়েছিল। স্বাধীন ভারতে এক ও একমাত্র আজও যদি কেউ পাকিস্তানকে সবথেকে উচিত শিক্ষা দিয়ে থাকে তিনি ইন্দিরা গান্ধী। কারণ শুধু যুদ্ধে পরাজিত করা নয়, তিনি পাকিস্তান দেশটাকেই ভেঙে দিয়েছিলেন। পূর্ব পাকিস্তান ছিন্ন হয়ে জন্ম হয়েছিল সম্পূর্ণ নতুন দেশ। বাংলাদেশ।
নরেন্দ্র মোদি যতই পাকিস্তানকে হুংকার দিন ইন্দিরা গান্ধীর ওই রেকর্ড স্পর্শ করা অত্যন্ত কঠিন। অবশেষে লোকসভা ভোটের আগে একটা বড়সড় সুযোগ এসেছে। তাঁকে এমন কিছু করতেই হবে যাতে পাকিস্তানকে শিক্ষা দেওয়ার ইতিহাসে তাঁর নামও থেকে যায়। ঠিক সেই কারণেই তাঁর দল ও কট্টর সংঘ পরিবার প্রবলভাবে চাপ দিচ্ছে কিছু একটা করার। পুলওয়ামার আক্রমণের পর প্রধানমন্ত্রী নিয়ম করে প্রায় প্রতিদিন ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে সভা সমাবেশে ঘোষণা করছেন, যে ভারত চুপ করে বসে থাকবে না। মুখের মতো জবাব দেওয়া হবে। সুতরাং সময়ের অপেক্ষা। নরেন্দ্র মোদি যে আজ নয় কাল কিছু একটা জবাব দেবেনই সেটা নিয়ে সংশয় নেই। সেটি সার্জিকাল স্ট্রাইক? নাকি প্রত্যক্ষ যুদ্ধ? তার উত্তর যথাসময়েই পাওয়া যাবে। কিন্তু মোদির উপর একদিকে যেমন দেশবাসীর প্রবল চাপ রয়েছে একটা কিছু কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণের, তেমনই আবার বিরোধী দলগুলিকে লোকসভা ভোটের প্রাক্কালে সম্পূর্ণ ইস্যুশূন্য করে দিতেও এটাই বিরাট সুযোগ এসেছে মোদির কাছে। লক্ষ্য করা যাচ্ছে বিরোধীরা আচমকাই যথেষ্ট স্তিমিত হয়ে পড়েছে পুলওয়ামার ঘটনার পর। সেটাই স্বাভাবিক ও প্রত্যাশিত। কারণ এরকম একটি সময়ে অবশ্যই অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক লড়াইকে পিছনের সারিতে সরিয়ে রেখে দেশের সুরক্ষার প্রশ্নে গোটা দেশ একজোট—এই বার্তা দেওয়াই পরিণতমনস্কতা। কিন্তু বিরোধীদের কাছে অন্যতম প্রধান সঙ্কট হল রাত পোহালেই লোকসভা ভোট। এখন যদি হঠাৎ হাত থেকে তীব্র মোদি বিরোধিতার অস্ত্রগুলি নরম হয়ে যায়, তাহলে ভোটের প্রচারে কীভাবে মোকাবিলা করা হবে মোদিকে? ফলে তাদের অবস্থা শাঁখের করাতের মতো।
বিগত মাসগুলিতে লক্ষ্য করা গিয়েছে অবশ্যই মোদির ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তা ও ক্যারিশমা অনেক কমে গিয়েছে। মোদি সরকারের বিরুদ্ধেও মানুষের ক্ষোভবিক্ষোভের প্রতিফলন পাওয়া গিয়েছে বিধানসভা ভোট ও বিভিন্ন উপনির্বাচনগুলিতে। ফলে যথেষ্ট ব্যাকফুটেই দেখা গিয়েছে বিজেপিকে। কিন্তু আচমকা পুলওয়ামার জঙ্গি আক্রমণের পর গোটা দেশেই অত্যন্ত স্বাভাবিকভাবেই এসেছে এক প্রবল ক্রোধ। আর পাকিস্তানের প্রতি তীব্র আক্রমণাত্মক মনোভাব। ‘শত্রু দেশকে উচিত শিক্ষা দেবে আমার দেশ’ এই প্রবল দেশপ্রেমের আকাঙ্ক্ষার জোয়ারে অত্যন্ত প্রত্যাশিতভাবেই পরোক্ষে সেইসব মনোভাব কেন্দ্রীয় সরকারের পাশে এসে দাঁড়ায়। প্রধানমন্ত্রী থেকে সেনাপ্রধান সকলের মুখেই হুংকার, হুঁশিয়ারি শুনতে চাইছে ওইসব ক্রুদ্ধ মন। আর সেটাই হচ্ছে। সরকার এবং দেশবাসী একসুরে পাকিস্তানকে তোপ দাগছে। ঠিক এরকমই এক মুহূর্তে বিরোধী দলগুলি দ্বিধান্বিত হয়ে পড়েছে যে এখন সরকারকে রাজনৈতিকভাবে আক্রমণ করা আদৌ কতটা সুপ্রযুক্ত। তাই তুলনামূলকভাবে রাফাল কিংবা কৃষক অথবা কর্মসংস্থান ইত্যাদি ইস্যুতে সরাসরি নরেন্দ্র মোদিকে আক্রমণ করা স্তিমিত হয়ে গিয়েছে। কারণ আক্রমণ করলেই আশংকা করা হচ্ছে যে পাল্টা সরকারপক্ষ বলতেই পারে বিরোধীরা ক্ষুদ্র রাজনৈতিক স্বার্থে দেশের ঐক্যবদ্ধ চেহারা দেখাতেও অপারগ। সাধারণ মানুষও এই সময় সরকারকে একইভাবে আক্রমণ করাকে কী চোখে দেখবে সেটা নিয়েও যথেষ্ট বিভ্রান্ত বিরোধীরা। তাই সবদিক থেকেই একটা অ্যাডভান্টেজ সিচুয়েশন এসেছে মোদির কাছে। সরকারের কাছে। এবং অবশ্যই বিজেপির কাছে। কারণ এভাবে চললে লোকসভা ভোটে যথেষ্ট এগিয়ে থাকা যাবে। আর বিরোধীদের কাছে সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে মোদিকে কীভাবে আক্রমণ করা হবে সেই ইস্যু স্থির করা। যে মোমেন্টাম নিয়ে গোটা মোদি বিরোধিতা চলছিল সেটা যথেষ্ট ধাক্কা খেয়েছে এই যুদ্ধ যুদ্ধ আবহে। সুতরাং আপাতত বিরোধীদের কাছে রাজনৈতিক কুশলতার একটি চরম পরীক্ষা উপস্থিত যে এমনভাবে মোদি ও বিজেপিকে আক্রমণ করতে হবে, যাতে তাদের গায়ে দেশদ্রোহীর তকমা দেওয়া না যায়, আবার তাদের আক্রমণগুলিও বিশ্বাসযোগ্য হয়ে মানুষের কাছে পৌঁছয়। এই ব্যালান্স করাই অত্যন্ত কঠিন আপাতত। কারণ দেশপ্রেমের আবেগের সামনে সাময়িক সব বিরুদ্ধ যুক্তিই অপ্রতুল হয়ে যায়। সেই সুবিধাটা বিজেপি পেয়ে যেতে পারে। সেই সুযোগও তারা অবশ্যই পুরোদস্তুর নিচ্ছে।
বিরোধীদের যেমন কিছুটা ব্যাকফুটে ঠেলে দিতে সক্ষম হয়েছেন মোদি, তেমন তাঁরও টেনশন কিছু কম নয়। কারণ এই প্রবল প্রত্যাশার চাপ তাঁকে সামলাতে হবে। পাকিস্তান বিরোধিতাকে উত্তুঙ্গ অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার পর নিছক অর্থনৈতিকভাবে কিছু কঠোব ব্যবস্থা গ্রহণ, কূটনৈতিকভাবে পাকিস্তানকে কোণঠাসা করা, গোটা বিশ্ব পাকিস্তানের নিন্দা করছে, ক্রিকেট ম্যাচ বন্ধ করে দেওয়া, পাকিস্তানি শিল্পীদের বয়কট...শুধু এসব করে এই আকাশচুম্বী প্রত্যাশা কিন্তু পূরণ হবে না। সকলেই ধরে নিয়েছে উরি সেনা শিবিরে হামলার পর যে নরেন্দ্র মোদি ওরকম একটি সার্জিকাল স্ট্রাইক করেছেন, এবার তার থেকে দ্বিগুণ কিছু হবে! আর লোকসভা ভোটের প্রাক্কালে জনমতকে নিজের পাশে রাখতেও ব্যবস্থা গ্রহণের চাপ তাঁর উপর স্বাভাবিকভাবেই বেশি। সুতরাং মোদি অবশ্যই একটা এসপার ওসপার করবেন। এটা তাঁর নিজেকে প্রমাণ করারও একটা সময়। সেই সুযোগ তিনি ছাড়বেন বলে মনে হয় না। কিন্তু সেটা কী? যুদ্ধ? সেক্ষেত্রেও হয়তো নরেন্দ্র মোদির উপর চাপ আছে। কারণ সরাসরি একবার যুদ্ধ হলে অথবা পাকিস্তানকে আক্রমণ করলে সত্যিই আন্তর্জাতিক মহলের কটা দেশ ভারতের পাশে থাকবে সেটা নিশ্চিত হওয়া দরকার। আমেরিকা মুখে অনেক মিত্রতার বার্তা দেয়। তাদের আসল স্বার্থ হল এই ১৩০ কোটির দেশের এই আকর্ষণীয় কর্পোরেট বাজারটিকে ধরে রাখা। অথচ তারা কোনওদিন আজ পর্যন্ত ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের যুদ্ধে ভারতের পাশে থাকেনি। আবার চীন সরাসরি পাকিস্তানকে সহায়তা করতে পারে। রাশিয়া কী অবস্থান নেবে এখন? সেটাও চিন্তা। ভারতকে আক্রমণকারী হিসেবে তকমা দিয়ে রাষ্ট্রসংঘে পাকিস্তান কোনও সুযোগ পেয়ে যাবে না তো? একজন রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে তাই এসব সমীকরণও মাথায় রাখতে হচ্ছে নরেন্দ্র মোদিকে। সাধারণ মানুষের ক্রোধ তিনি উপলব্ধি করেন। লোকসভা ভোটের বাধ্যবাধকতাও তিনি অবগত। কিন্তু তা সত্ত্বেও তাঁকে অনেক ভেবেচিন্তেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে সেটা নিয়ে সংশয় নেই। কোনও সন্দেহ নেই হয়তো সেই চিন্তাভাবনাই চলছে প্রস্তুতির পাশাপাশি। বস্তুত সরকার বনাম বিরোধীদের মধ্যে একটি নতুন রণকৌশল নির্মাণের প্রতিযোগিতাও চলছে আমাদের অলক্ষ্যে। বিরোধীদের ভাবতে হবে এবার তারা কীভাবে ঠেকাবেন মোদিহাওয়াকে। আর বিজেপিকে ভাবতে হচ্ছে ঠিক কীভাবে সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে নিজেদের ভোটব্যাঙ্ককে সংহত করা যায়। কারণ যুদ্ধ হোক না হোক সামনেই লোকসভা ভোট। সেই লড়াই জিততে মরিয়া উভয় পক্ষ।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে রাগ অবশ্যই প্রকাশ করব। তবে ফেসবুক, হোয়াটস অ্যাপ, টুইটার আর সামাজিক আলাপচারিতায় আজকাল যে হাইপার দেশপ্রেমের নামে একপ্রকার গৃহযুদ্ধ পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে সেটা কিন্তু আদতে পাকিস্তানেরই কাম্য। কাশ্মীরবাসীদের যদি আমরা বয়কট করি, তাঁদের হেনস্তা করি, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মারধর করে কাশ্মীরে পাঠিয়ে দিই, সেটা দেখে কিন্তু সবথেকে বেশি খুশি হবে পাকিস্তান। কারণ পাকিস্তান তো ঠিক এটাই চাইছে যে ভারতবাসী নিজেরাই কাশ্মীরকে ‘অন্য দেশ’ বানিয়ে দিক। তাহলে পাকিস্তানের এত বছরের কাজটা সহজ হয়ে যাবে। কাশ্মীরে যারা ভারতপন্থী, ভারতকে নিজের দেশ ভেবেই থাকেন, ব্যবসা করেন, তারাও বাকি ভারতের এই কাশ্মীর বিরোধিতায় হতাশ হয়ে মুখ ফিরিয়ে নেবে। এভাবে গোটা কাশ্মীরই যদি ভারতবিরোধী হয়ে যায় সেটায় কার লাভ? পাকিস্তানের। কাশ্মীরকে ভারত বয়কট করছে এরকম ভাবনা পাকিস্তানকে উল্লসিত করবে।
ঠিক সেরকমই যুদ্ধ যুদ্ধ আবহে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, হিন্দু মুসলিম হানাহানির উস্কানি দিলেও কিন্তু আদতে সবথেকে বেশি লাভ পাকিস্তানের। কারণ পাকিস্তান সর্বদাই আনন্দ পাবে যদি তারা দেখে ভারতে গৃহযুদ্ধ, দাঙ্গা হচ্ছে। সোজা কথায় অস্থিরতা চলছে। কিন্তু পাকিস্তান যদি দেখে এরকম চরম টেনশনের সময়ও ভারতে হিন্দু মুসলিম বেশ একসাথে শান্তিতেই থাকছে, ম্যাচিওরিটি দেখাচ্ছে, পাকিস্তানের শত চেষ্টাতেও কোনও হিংসা ছড়াচ্ছে না, তাহলে সেটাই বরং পাকিস্তানি শাসক ও জঙ্গি সংগঠনগুলিকে চরম হতাশ করবে। তাদের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়বে। তারা ভাববে ভারতকে বাইরে থেকে আক্রমণ করেও ভাঙা যাচ্ছে না, আবার ভিতর থেকে প্ররোচনা দিয়েও গৃহযুদ্ধ বাধানো যাচ্ছে না। মনে রাখতে হবে, ভারতবাসীকে একে অন্যের বিরুদ্ধে লড়িয়ে দেওয়াও কিন্তু পাকিস্তানের এক প্রকার প্রক্সি ওয়ার।
তাই কেন্দ্রীয় সরকারকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধনীতি নিয়ে ভাবতে দিন। মোদি সরকার যা করবে নিশ্চয়ই সবদিক বিবেচনাব করে‌ ঩সিদ্ধান্ত নেবে। আমরা অপেক্ষা করি। কিন্তু তার পাশাপাশি আসুন আমরা বরং সামাজিক কূটনীতিতে সবার আগে পাকিস্তানের প্ল্যানকে হারিয়ে দিই। দেশবাসী হিসেবে একজোট থেকে। যতই হেট মেসেজ, ফেক নিউজ মোবাইলে আসুক। আমরা ফরওয়ার্ড করব না! ফাঁদে পা দেব না। পাকিস্তান বুঝে যাক ভারত শুধুমাত্র অর্থনীতি, প্রযুক্তি, জিডিপি আর গণতন্ত্রেই তাদের থেকে শক্তিশালী এমন নয়, ভারত অনেক বেশি ম্যাচিওরড আর বুদ্ধিমানও! সেটাও হবে পাকিস্তানের বৃহৎ মানসিক পরাজয়!
শিশুদের বাজেট
শুভময় মৈত্র

 একশো ত্রিশ কোটির দেশে আশি কোটি প্রাপ্তবয়স্ক ভোটার, বাকি পঞ্চাশ কোটি বয়সে ছোট। যার ভোট নেই তার জন্যে লোকসভা নির্বাচনের মাস তিনেক আগে ভাবার সময় থাকে না শাসকদলের। সেই জন্যেই বাজেট বক্তৃতায় শিশুদের কথা খুঁজতে গেলে দূরবিন প্রয়োজন। তবে চশমা ছাড়াই দেখতে পাওয়া যাচ্ছে এবারের বাজেটের বিশালাকার অক্ষরের ভীষণ চমক ‘ভিশন ২০৩০’। আজ থেকে এগারো বছর পর দেশ ঠিক কোথায় পৌঁছবে তার চালচিত্র। কোথাও কিন্তু আজকের শিশুদের কথা নেই।
বিশদ

আর একটি ৮ ফাগুনের প্রতীক্ষায়...
অতনু বিশ্বাস

ওদিকে বাংলাভাষার তৃতীয় ভুবনে অসমের বারাক উপত্যকায় বাংলাভাষার অধিকার রক্ষার সত্যাগ্রহীদের উপরে পুলিসের নির্বিচার গুলিতে ১৯৬১-র ১৯ মে, রবীন্দ্র শতবর্ষের কবিপক্ষের মাঝেই, জন্ম হল একাদশ শহিদের।
বিশদ

21st  February, 2019
যুগজাগরণে যুগাচার্য স্বামী প্রণবানন্দজি মহারাজ
স্বামী নীলেশ্বরানন্দ

যুগজাগরণ এক যুগাচার্যের সাধনসিদ্ধির প্রাক্কালীন শ্রীমুখ নিঃসৃত যুগমহাবাণী। এ জাগরণ মানব জীবনের উন্নয়ন উদ্বোধনের আকাশবার্তা। ১৯১৬ সনের পুণ্যময়ী মাঘী পূর্ণিমার শুভ লগ্নে এক সাধক সাধন সমাহিত অবস্থা থেকে উত্থিত হয়েই জগৎবাসীর কল্যাণে উৎসর্গ করলেন এক মহাআশ্বাস বাণী—এ যুগ মহাজাগরণের তথা মহাসমন্বয়ের।
বিশদ

19th  February, 2019
ইসলামাবাদের ইসলামি ঐক্যের ফাঁদে কাশ্মীর
হারাধন চৌধুরী

ঘটনাটিকে বাসি বলার সময় এখনও হয়নি। বলিউডের নামজাদা অভিনেতা নাসিরউদ্দিন শাহের এক সংকীর্ণ মন্তব‌্যে উৎসাহিত হয়ে পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান দাবি করে বসলেন, ‘‘সংখ‌্যালঘুদের সঙ্গে কেমন আচরণ করতে হয় তা মোদি সরকারকে দেখিয়ে দেবে পাকিস্তান।’’
বিশদ

19th  February, 2019
বধ্যভূমি কাশ্মীর: আমরা কি
কেবল মার খেতেই থাকব!

শুভা দত্ত

 গত বৃহস্পতিবার আবার জঙ্গি তাণ্ডবে কেঁপে উঠল ভূস্বর্গ, দেশপ্রেমিক জওয়ানদের রক্তে ভিজে গেল কাশ্মীর উপত্যকার মাটি। পুলওয়ামার অবন্তীপোরায় জয়েশ জঙ্গিদের আত্মঘাতী হামলায় সিআরপিএফের ৪৪ জন জওয়ান শহিদ হলেন।
বিশদ

17th  February, 2019
মার্কিন মুলুকে (-) ৬০,
সন্ধিক্ষণ কিন্তু পরিবর্তনেরই
শান্তনু দত্তগুপ্ত

পোলার ভর্টেক্সের প্রভাব কি ভারতেও পড়েছে? এবার উত্তর ভারতের দীর্ঘস্থায়ী ঠান্ডার জন্য আবহাওয়াবিদরা কিছুটা হলেও পোলার ভর্টেক্সকে দায়ী করছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পোলার ভর্টেক্স দুর্বল হয়ে ঠান্ডাটাকে আমেরিকা ও ইউরোপের উত্তরভাগে প্রবেশ করিয়ে দিয়েছে। আর তার ধাক্কায় দক্ষিণের দিকে চলে এসেছে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। এমনিতে বছরে চার থেকে ছ’টি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ভারতীয় উপমহাদেশে এসে ধাক্কা খায়। চলতি বছর সেই সংখ্যাটা সাত। যার জন্য শীতের প্রকোপ বেড়েছে ভারতে। মূলত হিমালয় এবং তার সংলগ্ন রাজ্যগুলিতে।
বিশদ

16th  February, 2019
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন এগিয়ে?
সমৃদ্ধ দত্ত

গত পাঁচ বছরে সিপিএম একবারও কি রেলমন্ত্রীর ইস্তফা দাবি করে রাস্তায় নেমেছে? পশ্চিমবঙ্গ কেন বঞ্চিত হচ্ছে, এই প্রশ্ন তুলে কখনও সিপিএমকে প্রেস কনফারেন্স করতে দেখেছে কেউ? কেন কিছু করেনি সিপিএম? কারণ এখন আর রেলমন্ত্রীর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নয়। বিশদ

15th  February, 2019
রাফাল না সিবিআই, মোদি-বিরোধিতায় সবচেয়ে শক্তিশালী ইস্যু কোনটি?
বিশ্বনাথ চক্রবর্তী

 রাফাল ইস্যুকে সামনে রেখে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে নরেন্দ্র মোদির ভাবমূর্তির ওপর প্রশ্ন তুলে দিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। ধারাবাহিকভাবে রাফাল ইস্যু প্রচারের কেন্দ্রে রাখতে পেরেছিলেন রাহুল। হিন্দি বলয়ে তিন রাজ্য—মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান ও ছত্তিশগড়-এ বিজেপি’র পরাজয়ের পিছনে অন্য সমস্ত কারণের মধ্যে রাহুল গান্ধীর তোলা রাফাল যুদ্ধ বিমান দুর্নীতির প্রচার বিজেপি’র বিরুদ্ধে গিয়েছিল বলে অনেকে মনে করেন।
বিশদ

14th  February, 2019
স্মার্ট সিটি এবং সুশাসন
রঞ্জন সেন

স্মার্ট হওয়া ভালো, কিন্তু আরও ভালো হল সুশাসিত হওয়া। আর এটা হয় না বলেই রাতারাতি স্মার্ট বলে দেগে দেশের স্মার্ট সিটিগুলিতে হঠাৎ প্রয়োজনে জরুরি পরিষেবা পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। অন্যদিকে তার প্রশস্ত রাজপথে চরে বেড়ায় গোরু। তার পরিণতিতে মানুষের প্রাণও যায়।
বিশদ

12th  February, 2019
ভোটের কৈফিয়ত
পি চিদম্বরম

একটা আত্মবিশ্বাসী সরকার স্বাভাবিক অন্তর্বর্তী বাজেট পেশ করত আর এটাই করা উচিত, কিন্তু আত্মবিশ্বাসের মতো জিনিসটার ঘাটতি রয়েছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারের মধ্যে। শুধু বিজেপি এমপিদের বিষণ্ণ মুখগুলোর দিকে তাকান বিশেষত যাঁরা রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড় ও উত্তরপ্রদেশ থেকে এসেছেন এবং আপনি আমার সঙ্গে একমত হবেন।
বিশদ

11th  February, 2019
ফাঁকা অভিযোগ করে বা সিবিআই জুজু দেখিয়ে কি মমতার গতিরোধ করা যাবে?
শুভা দত্ত

২০১৯ যুদ্ধের দামামা বেশ ভালোমতোই বেজে উঠেছে। বোঝাই যাচ্ছে লোকসভা ভোট আর দূরে নেই। মাঝে বড়জোর মাস দুই-আড়াই। তারপরই এসে পড়বে সেই বহু প্রতীক্ষিত মহাসংগ্রামের দিন। দেশের শাসনক্ষমতার মসনদ দখলের যুদ্ধে মুখোমুখি হবে শাসক এবং বিরোধী শিবিরের রথী-মহারথীবৃন্দ।
বিশদ

10th  February, 2019
হৃদয় গিয়েছে চুরি
অতনু বিশ্বাস

আচ্ছা, হৃদয়টাকে (হৃদপিণ্ড মানে হৃদয় ধরে নিয়ে) সত্যি সত্যিই কি কোথাও ফেলে আসা যায় না? যদি সত্যিই না যায়, কুমিরটা সেটা বিশ্বাস করল কী করে? উপকথার কুমিররা হয়তো বোকা হয়, তবে তার তথাকথিত বোকামিকে অনেক ক্ষেত্রেই আমার নেহাতই সরলতা বলে মনে হয়েছে।
বিশদ

09th  February, 2019
একনজরে
 ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জে যেসব সংস্থার শেয়ার গতকাল লেনদেন হয়েছে শুধু সেগুলির বাজার বন্ধকালীন দরই নীচে দেওয়া হল। ...

ব্রিজটাউন, ২১ ফেব্রুয়ারি: জ্যাসন রয় ও জো রুটের সেঞ্চুরির সুবাদে রেকর্ড রান তাড়া করে প্রথম একদিনের ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৬ উইকেটে হারাল ইংল্যান্ড। সেই সঙ্গে ...

 বার্লিন, ২১ ফেব্রুয়ারি (এপি): জার্মানির মিউনিখে গুলিতে প্রাণ গেল দু’জনের। পুলিস বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, এখন ‘পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে’। মিউনিখের সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, শহরের এক বহুতলে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। ...

নয়াদিল্লি, ২১ ফেব্রুয়ারি: বিহারে প্রশ্নপত্র ফাঁসের মামলায় অভিযুক্ত। এরকম এক নেতাকে দলীয় সম্পাদকের পদে বসিয়ে পূর্ব উত্তরপ্রদেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর দলের সদস্য করায় বিস্তর সমালোচনা ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

হঠাৎ জেদ বা রাগের বশে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়াই শ্রেয়। প্রেম-প্রীতির যোগ বর্তমান। প্রীতির বন্ধন ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক ভাষা দিবস
১৮৯৪: ডাঃ শান্তিস্বরূপ ভাটনগরের জন্ম
১৯৩৭: অভিনেত্রী সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৫২: পূর্ব পাকিস্তানে (বর্তমানে বাংলাদেশ) ভাষা আন্দোলনে প্রাণ দিলেন চারজন
১৯৯১: অভিনেত্রী নূতনের মৃত্যু
২০১৩: হায়দরাবাদে জোড়া বোমা বিস্ফোরণে ১৭জনের মৃত্যু

21st  February, 2019


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.২৯ টাকা ৭১.৯৯ টাকা
পাউন্ড ৯১.২০ টাকা ৯৪.৪৯ টাকা
ইউরো ৭৯.২৫ টাকা ৮২.২৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৪,০৪৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩২,৩০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩২,৭৮৫ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪০,৪৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪০,৫৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৯ ফাল্গুন ১৪২৫, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, শুক্রবার, তৃতীয়া ১১/৪৬ দিবা ১০/৫০। হস্তা ৪৫/২৪ রাত্রি ১২/১৭। সূ উ ৬/৭/৫৪, অ ৫/৩২/৪৪, অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৮ মধ্যে পুনঃ ৮/২৪ গতে ১০/৪২ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৮ গতে ২/২৯ মধ্যে পুনঃ ৪/১ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/১৩ গতে ৮/৫৪ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৬ গতে ৪/২৬ মধ্যে, বারবেলা ৮/৫৯ গতে ১১/৫০ মধ্যে, কালরাত্রি ৮/৪১ গতে ১০/১৫ মধ্যে।
৯ ফাল্গুন ১৪২৫, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, শুক্রবার, তৃতীয়া ৩/১১/২৬। উত্তরফাল্গুনী নক্ষত্র প্রাতঃ ৬/১৯/১৫ পরে হস্তা নক্ষত্র রাত্রিশেষ ৫/৭/০, সূ উ ৬/৯/২৪, অ ৫/৩০/৪৯, অমৃতযোগ দিবা ৭/৪০/১৫ মধ্যে ও ৮/২৫/৪১ থেকে ১০/৪১/৫৮ মধ্যে ও ১২/৫৮/১৫ থেকে ২/২৯/৬ মধ্যে ও ৩/৫৯/৫৮ থেকে ৫/৩০/৪৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/১১/৩৮ থেকে ৮/৪২/৫৬ মধ্যে ও ৩/৩৭/২১ থেকে ৪/২৭/৫৫ মধ্যে, বারবেলা ৮/৫৯/৪৫ থেকে ১০/২৪/৫৬ মধ্যে, কালবেলা ১০/২৪/৫৬ থেকে ১১/৫০/৭ মধ্যে, কালরাত্রি ৮/৪০/২৮ থেকে ১০/১৫/৩ মধ্যে।
১৬ জমাদিয়স সানি
এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ: প্রীতির বন্ধন দৃঢ় হবে। বৃষ: শৌখিন দ্রব্যের ব্যবসা শুভ হবে। মিথুন:ভ্রাতা-ভগিনী ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
১৭৩২: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম রাষ্ট্রপতি জর্জ ওয়াশিংটনের জন্ম১৯০৬: অভিনেতা ...বিশদ

07:03:20 PM

পেরু-ইকুয়েডর সীমান্তে ভূমিকম্প, মাত্রা ৭.৫ 

06:11:00 PM

নাম না করে কেন্দ্রকে তোপ, গেরুয়ার অমর্যাদা করবেন না: মুখ্যমন্ত্রী

04:28:00 PM

মাটি উৎসবের জয় হোক, সকলে ভাল থাকুন: মুখ্যমন্ত্রী 

04:27:00 PM

গুজব ছড়াচ্ছে আরএসএস: মুখ্যমন্ত্রী

04:26:14 PM