হঠাৎ জেদ বা রাগের বশে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়াই শ্রেয়। প্রেম-প্রীতির যোগ বর্তমান। প্রীতির বন্ধন ... বিশদ
তৃণমূল কংগ্রেসের মালদহ জেলার কার্যকরী সভাপতি দুলাল সরকার (বাবলা) বলেন, মৌসম নুরকে তাঁর এলাকার নির্বাচন পরিচালনার জন্যে পূর্ণাঙ্গ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি উত্তর মালদহ এলাকার সাংগঠনিক কাঠামো দলের জয়ের প্রয়োজনে এককভাবে ব্যবহার করতে পারবেন। দক্ষিণ মালদহের ক্ষেত্রে আমাদের প্রার্থী নিয়ে একটি চর্চা শুরু হয়েছে। ৫ মার্চ শুভেন্দুবাবুর উপস্থিতিতে সুজাপুরে দলীয় সভা করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। জেলার বিভিন্ন ব্লকের পরিদর্শকদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। দলের নবনিযুক্ত জেলা সাধারণ সম্পাদক হেমন্ত শর্মা বলেন, হবিবপুর, বামনগোলা ব্লকের অতিরিক্ত দায়িত্ব শুভেন্দুবাবু আমাকে দিয়েছেন। একইভাবে কালিয়াচক-২ ব্লকের অতিরিক্ত দায়িত্ব সাবিনা ইয়াসমিন, পুরাতন মালদহে সমর মুখোপাধ্যায়, মালতীপুরে রহিম বক্সিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। মুখ্যত, আগামী লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখেই যাবতীয় সাংগঠনিক রদবদল করা হয়েছে। লোকসভা নির্বাচন ঘোষণা হোক বা না হোক আমাদের কাজের গতি বাড়াতে তিনি পরামর্শ দিয়েছেন।
মূলত লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে সাংগঠনিক কাঠামোকে কীভাবে কাজে লাগানো যায়, কোনও পরিবর্তন প্রয়োজন কি না এনিয়েই শুভেন্দুবাবু কলকাতায় বৈঠক ডেকেছিলেন। দলের বিভিন্ন ব্লকের পরিদর্শক সহ কিছু পদাধিকারিকে ওই বৈঠকে ডাকা হয়েছিল। সেই বৈঠকেই একাধিক বিষয়ে দলের নেতৃত্বের সঙ্গে শুভেন্দুবাবু আলোচনা করেন। বৈঠক সূত্রে জানা গিয়েছে, সেখানেই তিনি স্পষ্ট করে দেন যে, দলনেত্রী উত্তর মালদহে লোকসভার প্রার্থী করে দিয়েছেন মৌসম নুরকে। ফলে সেখানকার সাংগঠনিক কাঠামো নিয়ে শেষকথা মৌসম নুরই বলবেন। সংগঠনের যে কোনও স্তরের উত্তর মালদহ কেন্দ্রিক সিদ্ধান্ত তাঁর পরামর্শ মোতাবেকই নিতে হবে। দলের অন্দরমহল সূত্রে জানা গিয়েছে, দলের ব্লকস্তরের পরিদর্শক থেকে ব্লক সভাপতি, শাখা সংগঠনের নেতারা বিচ্ছিন্নভাবে কাজ করলে সমস্যা তৈরি হতে পারে। এই সম্ভাবনাকে মাথায় রেখেই সমস্ত রাশ একজনের হাতে তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা রাজ্য নেতৃত্ব করেছে। দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ও প্রার্থী হওয়ার সুবাদে উত্তর মালদহে তাই মৌসম নুরকেই সমস্ত দলীয় কাঠামোর মাথার উপরে বসিয়ে দেওয়া হল। দলের তরফে রাজ্য নেতা তথা জেলা পরিদর্শক নিজেই নেতাদের কাছে বিষয়টি স্পষ্ট করে দেওয়ায় কাজের ক্ষেত্রে পরিবর্তন আসবে বলে বলেই দলের নেতৃত্ব মনে করছে।
এদিকে, আগেই ইঙ্গিত মিলেছিল যে, সাংগঠনিক কাঠামোয় কিছু পরিবর্তন আনা হতে পারে। সেই পথে হেঁটেই শুভেন্দুবাবু বেশ কিছু ব্লকে একাধিক পরিদর্শক বসিয়ে দিয়েছেন। মোথাবাড়ি, পুরাতন মালদহ, চাঁচল-২, হবিবপুর ও বামনগোলা ব্লকে অতিরিক্ত পরিদর্শক বসানো হয়েছে। আগামীতে ওই সবক্ষেত্রে আরও পরিবর্তনের ইঙ্গিত শুভেন্দুবাবু দিয়ে রেখেছেন। একাধিক পদাধিকারী নিয়ে বৈঠকে একাংশ নেতৃত্ব প্রশ্ন তুললেও তা গুরুত্ব পায়নি। বৈঠক থেকে পুরাতন মালদহ পুরসভার নেতৃত্বের উপরে শুভেন্দুবাবু ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বলে জানা গিয়েছে। বৈঠক সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরসভার চেয়ারম্যান প্রাক্তন চেয়ারম্যানদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, দলের ফল খারাপ হলে পুরসভায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ হাতছাড়া হতে পারে।