হঠাৎ জেদ বা রাগের বশে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়াই শ্রেয়। প্রেম-প্রীতির যোগ বর্তমান। প্রীতির বন্ধন ... বিশদ
এদিন দিলীপবাবু নিজের কারাদণ্ড নিয়ে বিশেষ কিছু বলতে চাননি। তিনি জানান, যা করার আইনজীবীর সঙ্গে আলোচনা করেই করব। তবে আদালতে নিজের শারীরিক অসুস্থতা ও বার্ধক্যজনিত সমস্যাকে তুলে ধরে যতটা সম্ভব কম সাজা দেওয়ার আবেদন করেন প্রাক্তন উপাচার্য ও রেজিস্ট্রার দু’জনই।
বিশেষ সরকারি আইনজীবী নবকুমার ঘোষ ও বোলপুর আদালতের সরকারি আইনজীবী ফিরোজ পাল বলেন, তিনজনই ৪৬৯ ধারায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার জন্য দু’বছরের জেল ও এক হাজার টাকা জরিমানা হয়েছে। অনাদায়ে আরও একমাসের জেল হবে। জালিয়াতি, ষড়যন্ত্র সহ বাকি ধারায় প্রত্যেকের পাঁচবছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও এক হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক মাসের জেল হয়েছে। যদিও দু’টি সাজাই একসঙ্গে চলবে।
বিশ্বভারতীর প্রাক্তন উপাচার্য ও রেজিস্ট্রার নিয়োগ সংক্রান্ত জালিয়াতিতে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় শিক্ষামহলে আলোড়ন পড়েছে। এদিন সবার নজর ছিল বোলপুর আদালত চত্বরে। তাঁদের কী সাজা হয় তা নিয়ে কৌতুহলের অন্ত ছিল না। সকাল ১০টার সময় আদালত চত্বরে তাঁদের আনা হয়। তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে বিশ্বভারতীর কর্মী, আধিকারিক ও অধ্যাপকদের ভিড় করতে দেখা যায়। অনেকে তাঁদের সমবেদনাও জানান। সাধারণ মানুষও ভিড় দেখে উঁকিঝুঁকি মারেন। বিশ্বভারতীর ওই দুই প্রাক্তন পদাধিকারী ও ভুয়ো অধ্যাপিকাকে আদালত কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয় সাড়ে ১২টা নাগাদ। কিন্তু, কিছুক্ষণের মধ্যে বেরিয়ে এসে ফের বেঞ্চে বসে পড়েন তাঁরা। এরপর প্রায় ৩টে নাগদ এসিজেএম অরবিন্দ মিশ্রর এজলাসে তোলা হয় তাঁদের। বিচারক প্রতিটি ধারায় কী কী সাজা হতে পারে তা দোষীদের জানান। এরপর একে একে রায় নিয়ে তাঁদের অভিমত জানতে চান।
প্রাক্তন উপাচার্য দিলীপকুমার সিনহা বলেন, আমি নানা রোগে ভুগছি। বয়সের সমস্যাও রয়েছে। যতটা সম্ভব কম সাজা দেওয়া হোক। একই দাবি করেন রেজিস্ট্রারও। নিজেদের নিরপরাধ বলেও তাঁরা দাবি করেন। যদিও এর উল্টো দাবি করেন মুক্তি দেব। তিনি বলেন, স্বামী মারা গিয়েছে। পেনশনও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। যা সাজা দেবেন দিন। শারীরিক অসুস্থতাকে হাতিয়ার করে উচ্চ আদালতে আবেদন করার জন্য এদিনও অভিযুক্তদের জামিন চান আইনজীবীরা।
বিশ্বভারতীর অধ্যাপক সভার সম্পাদক গৌতম সাহা বলেন, দিলীপবাবু অত্যন্ত গুণী মানুষ। তবে আমরা বিচার ব্যবস্থাকে সম্মান করি। ওঁনার প্রতি সমবেদনা রয়েছে বলেই আমরা সবাই আদালতে গিয়েছিলাম।