হঠাৎ জেদ বা রাগের বশে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়াই শ্রেয়। প্রেম-প্রীতির যোগ বর্তমান। প্রীতির বন্ধন ... বিশদ
বুধবার রাত ১০টা নাগাদ যে বাড়িতে প্রথমে আগুন লাগে সেটি সাততলা। নাম ওয়াহিদ ম্যানশন। সেই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে পাশের ওয়াহিদ মঞ্জিল, আমিনিয়া হোটেল, রাজ হোটেল এবং উল্টোদিকের চারটি বাড়িতে। তড়িঘড়ি নীচে নেমে আসেন আবাসিকরা। খবর দেওয়া হয় দমকলে। ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় দমকলের ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছতে বেশ কিছুটা সময় লেগে যায়। প্রাথমিক পর্যায়ে স্থানীয়রাই আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান। এরপর একে একে দমকলের ৩৭টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। রাতভর আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন দমকলকর্মীরা। প্রথমে ঘটনাস্থল থেকে দমকলকর্মীরা পাঁচটি দেহ উদ্ধার করলেও সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে মৃতের সংখ্যাও। রাত ২টোর পরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সইদ খোকন ও সংসদ সদস্য হাজি সেলিম।
ঢাকার চকবাজারের ওয়াহিদ ম্যানশনে আবাসন রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে রাসায়নিকের গুদাম। বুধবার রাত ১০.১০ মিনিট নাগাদ আচমকাই ওই বহুতলের নীচতলায় রাসায়নিকের গুদাম থেকে ধোঁয়া বেরতে দেখেন স্থানীয়রা। সেখানে মজুত করা দাহ্য পদার্থ এবং গ্যাস সিলিন্ডারে বিস্ফোরণের জেরে আগুন মুহূর্তেই ভয়াবহ রূপ নেয়। যদিও কীভাবে ওই রাসায়নিক গুদামে আগুন লাগল, সে বিষয়ে স্পষ্ট করে দমকলের তরফে কিছু জানানো হয়নি। যদিও অনেকের দাবি, ওই গুদামের পাশের ট্রান্সফর্মার থেকে শর্ট সার্কিটের জেরেই আগুন লেগেছে। আবার এক প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, রাজ হোটেলের সামনে একটি পিকআপ ভ্যান দাঁড়িয়ে ছিল। হঠাৎ ভ্যানটিতে আগুন লেগে বিস্ফোরণ ঘটে হয়। সেটির পাশে থাকা সিএনজি অটোরিক্সাটিও আগুনে পুড়ে যায়। সেই বিস্ফোরণের থেকেই রাজ হোটেলে আগুন ছড়ায়। হোটেলের সামনে সিলিন্ডার গ্যাস ছিল। সেগুলো বিষ্ফোরিত হয়। তাছাড়া আশপাশে বডি-স্প্রের দোকান ও প্লাস্টিকদানার দোকানও ছিল। এক পর্যায়ে ওয়াহিদ ম্যানশনের সংলগ্ন জামাল কমিউনিটি সেন্টার ও রাস্তার উল্টোদিকে থাকা দু’টি ভবনের চার ও পাঁচতলায় আগুন ধরে। ভেঙে পড়ে আরিফ ম্যানশন নামে একটি বাড়িও।
এর আগে ২০১০ সালের জুনে বাংলাদেশের নিমতলীতে একটি রাসায়নিকের গুদামে আগুন লেগেছিল। তাতে প্রাণ হারান ১২৪ জন।