হঠাৎ জেদ বা রাগের বশে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়াই শ্রেয়। প্রেম-প্রীতির যোগ বর্তমান। প্রীতির বন্ধন ... বিশদ
ভারতীয় বায়ুসেনার চিফ অব এয়ার স্টাফ বীরেন্দ্র সিং ধানোয়ার হাতে ওই সার্টিফিকেট তুলে দেওয়া হয়। প্রতিরক্ষা সচিব অজয় কুমারের সঙ্গে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ধানোয়া জানান, চূড়ান্ত ছাড়পত্র পাওয়াটা এলসিএ তেজসের কাছে একটা বড় মাইলস্টোন। এই যুদ্ধবিমানের কার্যকারিতা অপরিসীম। নির্ভুল নিশানায় লক্ষ্যবস্তুর উপর আঘাত হানার পরীক্ষাতে একাধিকবার সফলভাবে উত্তীর্ণ হয়েছে তেজস। তিনি আরও জানান, শেষবার গত ১৬ ফেব্রুয়ারি রাজস্থানের পোখরানে একটি মহড়ায় আকাশ থেকে মাটিতে থাকা লক্ষ্যবস্তুকে ধ্বংস করা এবং উড়ন্ত অবস্থায় মাঝ-আকাশে জ্বালানি ভরার পরীক্ষায় পাশ করে তেজস।
এদিকে, এদিন দেশের সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াত স্বয়ং তেজসে সওয়ার হন। দুই আসনবিশিষ্ট এই যুদ্ধবিমানে চালকের পিছনের আসনে বসেছিলেন তিনি। সেনাপ্রধানকে নিয়ে আকাশে আধ ঘণ্টা চক্কর মেরে সম্পূর্ণ নিরাপদে মাটিতে নেমে আসে তেজস। সেনাপ্রধানের কথায়, ‘এলসিএ-তে সওয়ার হওয়াটাই একটা অসাধারণ অভিজ্ঞতা।’ যুদ্ধবিমানের প্রশংসা করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘লক্ষ্যবস্তুকে চিহ্নিত করার প্রযুক্তি খুবই উন্নত তেজসের। দেশের সমরাস্ত্রের তালিকায় একে যুক্ত করা হলে ভারতের বায়ুশক্তি কয়েক গুণ বেড়ে যাবে।’ অন্যদিকে, বেঙ্গালুরুর ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ডিআরডিও’র চেয়ারম্যান তথা প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের আর অ্যান্ড ডি সচিব জি সতীশ রেড্ডি বলেন, ‘এলসিএফ তেজসের এই চূড়ান্ত ছাড়পত্র পাওয়াটা ভারতীয় ইঞ্জিনিয়ার, বিজ্ঞানী, বায়ুসেনা, প্রতিরক্ষা শিল্প এবং তার সঙ্গে যুক্ত ছোট ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে একটা মাইলস্টোন হিসেবে থেকে যাবে।’
সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তেজসকে তৈরি করেছে হিন্দুস্তান এরোনটিক্স লিমিটেড বা হ্যাল। সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর আর মাধবন বলেন, ‘ভারতীয় বায়ুসেনা ৮৩টি এলসিএ তেজস এমকে-১ নেওয়ার যে প্রস্তাব দিয়েছিল, তাতে আমরা ইতিমধ্যেই সম্মতি দিয়েছি।’