যে কোনও ব্যবসায়িক কর্মে অতিরিক্ত অর্থলাভের প্রবল সম্ভাবনা। শিল্পীদের পক্ষে শুভদিন। ... বিশদ
আমার মাকে দেখতাম রোজ সকালে ঘুম থেকে উঠে ঘর ঝাড় দিয়ে, বাসি কাপড় কেচে-ধুয়ে উঠোনের দড়িতে টানটান করে মেলে দিতেন। তারপর এক কাপ চা নিয়ে খুব আয়েশ করে বসতেন। সাথে নিতেন এক মুঠো শুকনো মুড়ি। মুড়ির টিনের আওয়াজ শুনে বাড়ির মেনি বেড়ালটা আড়মোড়া ভেঙে দৌঁড়ে আসত। পোষ্যকে পাশে নিয়ে দিনের প্রথম চা খাওয়াটা মায়ের কাছে ছিল অত্যন্ত প্রিয় একটা মুহূর্ত। এই সময় কেউ কিছু চাইলে বা করতে বললে মা ভীষণ বিরক্ত হতেন। পেটে চা পড়তেই অদ্ভুত এক এনার্জি ভর করত শরীরে। তারপর কোমর বেঁধে লেগে পড়তেন সংসারের কাজে। ফাঁকে ফাঁকে চলত চা পান। কেটলিতে সবসময় জল ভরে রেডি করা থাকত। দিনের মধ্যে কতবার যে চা হতো তার হিসেব নিকেশ নেই। শীতের মখমলি রোদ্দুর গায়ে মেখে বারান্দায় বসে চা পান অথবা চা খেতে খেতে পরিবারের সবার সাথে গল্পগুজব করা এ তো গেরস্ত বাড়ির এক অতি পরিচিত দৃশ্য।
দিন বদলের সাথে সাথে চায়েরও অনেক রকমফের এসেছে। যেমন- মালাই চা, চকোলেট চা, তন্দুরী চা ইত্যাদি। চা অবশ্য যাদের নেশা এসব তাঁদের জন্য নয়। এক আধ দিন শখ করে খাওয়া গেলেও তাঁদের প্রথম পছন্দ দুধ চা কিংবা লিকার চা।