Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

ফাঁসি হল না কেন?
তন্ময় মল্লিক

অভয়া কি জাস্টিস পেলেন, নাকি বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদল? আর জি কর কাণ্ডের মামলার তথ্যপ্রমাণ ও যুক্তিতর্কের লড়াই শেষে বিচারক যে রায় দিয়েছেন তা লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি। আর তাতেই উঠেছে প্রশ্ন, ফাঁসি ও আমৃত্যু কারাবাসের মধ্যে যে দুস্তর ব্যবধান তৈরি হল, তারজন্য দায়ী কে? ঘাটতি কোথায়? অভয়ার নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সাজা ঘোষণার পর এটাই রাজ্যের সর্বাধিক চর্চিত বিষয়। আদালতের রায়কে ঘিরে তোলপাড় চলছে। কোনও রাজনৈতিক অঙ্ক, নাকি পরিকল্পিত বিভ্রান্তি সৃষ্টিই ফাঁসি না হওয়ার জন্য দায়ী? বিতর্ক সরিয়ে একটা কথা বলাই যায়, খুনি এক না একাধিক, তা নিয়ে হাওয়া গরম করায় রাজনীতির জল কিঞ্চিৎ ঘোলা হলেও অ্যাডভান্টেজ পেয়ে গিয়েছে অপরাধীই।
অভয়ার ধর্ষণ ও খুন কাণ্ডের রায় দিতে গিয়ে বিচারক জানিয়েছেন, এই ঘটনা বিরলের মধ্যে বিরলতম নয়। তাই তিনি সঞ্জয় রায়কে দোষী সাব্যস্ত করলেও ফাঁসির সাজার বদলে দিয়েছেন আমৃত্যু কারাদণ্ড। বিচারক মনে করেছেন, সিবিআই যে তথ্যপ্রমাণ দাখিল করেছে তাতে সঞ্জয়ই একমাত্র অপরাধী। কিন্তু তার অপরাধের মাত্রা সুপ্রিম কোর্টের গাইডলাইন মোতাবেক বিরলের মধ্যে বিরলতমের পর্যায়ে পড়ে না। তাতেই তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। খোদ নির্যাতিতার বাবা, মা সিবিআই তদন্ত নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। মা বলেছেন, ‘আমার মেয়েটা বিচার পেল না। সিবিআইয়ের ব্যর্থতায় ন্যায়বিচার পেলাম না। ফাঁসি হওয়া উচিত ছিল। আর কিছু বলার নেই।’
এই হতাশা শুধু অভয়ার বাবা, মায়ের নয়। সিবিআইয়ের ব্যর্থতা নিয়ে ক্ষোভ প্রায় সর্বস্তরেই। তার কারণও আছে। আর জি করের ঘটনার পর এ রাজ্যের দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর, 
মুর্শিদাবাদ জেলার জঙ্গিপুর এবং হুগলি জেলার গুড়াপে তিনটি ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা ঘটে। রাজ্যের পুলিস তদন্ত করেছে। তিনটির তদন্ত এবং বিচার শেষ হয়েছে আড়াই মাসের মধ্যে। প্রতিটি ঘটনার মূল আসামিরই ফাঁসির সাজা হয়েছে। সেই তুলনায় আর জি করের ঘটনা অনেক বেশি মানুষকে আলোড়িত করেছিল। তারপরেও সিবিআইয়ের তদন্ত নিয়ে এমন অভিযোগ উঠছে কেন?
এর আগেও বহুবার সিবিআইয়ের তদন্ত ও পদক্ষেপ প্রশ্নের মুখে পড়েছে। কেন্দ্রীয় এজেন্সির তদন্ত নিয়ে দেশের সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত বারবার প্রশ্ন তুলেছে। এমনকী, সিবিআইকে ‘খাঁচায় বন্দি তোতাপাখি’ বলে কটাক্ষ করে সুপ্রিম কোর্ট বুঝিয়ে দিয়েছে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি নিরপেক্ষ নয়। সিবিআই তদেন্তর উপর কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণ ছিল, আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। মানুষ সন্দেহ করছে, আর জি করের তদন্ত নিয়েও কি তাহলে তেমনই কিছু ঘটেছে?
আদালতে সিবিআইয়ের আইনজীবী দাবি করেছেন, ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা ঘটিয়েছে সঞ্জয় রায়। তাকে ফাঁসি দেওয়া হোক। তারপরেও কেন সিবিআইয়ের দিকেই আঙুল উঠছে? আর জি কর কাণ্ডের রায় কারও পছন্দ না হতেই পারে। 
কিন্তু যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ থাকা সত্ত্বেও বিচারক অপরাধীকে ফাঁসি দেননি, এমন অভিযোগ কেউ তোলেননি। সেই জায়গাও নেই। কারণ মামলার ফয়সালা হয় তথ্যপ্রমাণ ও সাক্ষীর উপর ভিত্তি করেই। ফলে ফাঁসি দিতে না পারার দায় গিয়ে চেপেছে সিবিআইয়ের উপরেই।
সিবিআই তদন্তে রাজনৈতিক অভিসন্ধির গন্ধ অনেকেই পান। কিন্তু অফিসারদের দক্ষতা নিয়ে কারও কোনও সংশয় নেই। তারপরেও এমন একটা স্পর্শকাতর ঘটনার তদন্ত নিয়ে সিবিআইকে কেন প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে?
এবার একটা রাজনৈতিক অঙ্ক কষা যাক। সঞ্জয়ের সর্বোচ্চ সাজা অর্থাৎ ফাঁসি হলে কী হতো? আর জি কর আর রাজনৈতিক ইস্যু থাকত না। তখন বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে সঞ্জয়ের সঙ্গে ধনঞ্জয়ের অপরাধের তুলনা টেনে নানা আলোচনা হতো। ধনঞ্জয়কে ফাঁসি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, তা ফের মাথাচাড়া দিত। কাউকে চরম শাস্তি দিলে তার পক্ষে কিছু মানুষের সহানুভূতি তৈরি হয়। তখন সঞ্জয় কী করছে, কী খাচ্ছে, কী বলছে, তার পরিবারের লোকজন কী বলছেন, সেসব নিয়েই হতো আলোচনা। 
কিন্তু এখন কী নিয়ে চর্চা হচ্ছে? ফের ঘুরে ঘিরে আসছে তথ্যপ্রমাণ লোপাট, সেটিং তত্ত্ব। নতুন করে দেওয়া হচ্ছে লড়াইয়ের ডাক। চিকিৎসকরা ন্যায় বিচারের দাবিতে রাস্তায় নামছেন। রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা অভয়ার মা-বাবার সঙ্গে দেখা করছেন। পাশে থাকার আশ্বাস দিচ্ছেন। পুলিস তথ্য নষ্ট করে দেওয়ার জন্যই সিবিআই ঠিকমতো তদন্ত করতে পারল না, এমনটাও বোঝানো হচ্ছে। অভয়ার জাস্টিসের দাবিতে ঘোষিত হচ্ছে নানান কর্মসূচি। কেউ কেউ আবার রাত দখল, ভোর দখলের মতো আন্দোলন করার স্বপ্নও দেখছেন। সঞ্জয়ের ফাঁসির সাজা হলে এসব কিছুই হতো না। তাই কি ছাব্বিশ পর্যন্ত আর জি কর ইস্যুকে জিইয়ে রাখার এটাও কোনও কৌশল? প্রশ্নটা তোলা থাকল।
তবে, সঞ্জয়ের অপরাধ বিরলের মধ্যে বিরলতম প্রমাণের ব্যর্থতার পিছনে আরও একটি কারণ উঠে আসছে। সেটা হল, ধর্ষণ এবং খুন নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি। ঘটনার পর থেকেই বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন কিছু সূত্র ঘুরে বেরিয়েছে, যা তদন্ত প্রক্রিয়াকে ঘেঁটে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। ঘটনার কয়েক দিনের মধ্যেই ‘এই আমি সোমা বলছি’ অডিও ভাইরাল হয়েছিল। ওই মহিলা এমনভাবে চাপা গলায় বাংলার চিকিৎসক-কন্যার ধর্ষণ এবং খুনের বিবরণ দিয়েছিলেন, যা 
একমাত্র ‘আই উইটনেসে’র পক্ষেই দেওয়া সম্ভব। নিজের নাম বলার পর এমন নাটক করেছিলেন, যেন তিনি আবেগতাড়িত হয়ে সব বলে ফেলেছেন। বিষয়টি পাঁচকান হলে তাঁর ভয়ঙ্কর ক্ষতি হয়ে যাবে, এমন আশঙ্কাও করেছিলেন। এখন বোঝা যাচ্ছে, সবটাই ‘স্ক্রিপ্টেড’।
সেই ‘সোমা’র সন্ধান রাজ্য পুলিস তো বটেই, সিবিআইও পায়নি। তবে একথা হলফ করে বলা যায়, সোমাদেবীর সন্ধান পেলে সিবিআইয়ের তদন্ত কিছুতেই ১৬৫দিন গড়াত না। আর জি করের মর্মান্তিক ও পৈশাচিক ঘটনার সঙ্গে এভাবেই রং ও মশলা মেশানো হয়েছে। উদ্দেশ্য? যে কোনও মূল্যে মাথায় পৌঁছতে হবে। তাই এমন সব গল্প ফাঁদা হয়েছিল, যাতে চিকিৎসককে খুনের সঙ্গে লতায়পাতায় মুখ্যমন্ত্রীর একটা যোগসূত্র তৈরি করা যায়। মুখ্যমন্ত্রী না হলেও নিদেন পক্ষে সিএমও-র।
এ রাজ্যে কিছু ঘটলেই বিরোধীরা ‘মাথা’ পর্যন্ত পৌঁছতে হবে বলে চিৎকার জুড়ে দেয়। তাই আর জি কর কাণ্ডে স্লোগান তোলা হয়েছিল, ‘দফা এক দাবি এক, মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ।’ বিরোধীরা বুঝে গিয়েছে, এ রাজ্যের ‘মাথা’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই তাদের মাথাব্যথার কারণ। যে কোনও কঠিন পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার দক্ষতা তাঁর মজ্জাগত। খাদের কিনারা থেকেও দল এবং সরকারকে তুলে ধরার ক্ষমতা তাঁর আছে। আর সেটা পরীক্ষিত। তাই রাজ্যে খারাপ কিছু ঘটলেই চেষ্টা হয় তাঁকে জড়িয়ে দেওয়ার।
অনেকে মনে করেন, এ রাজ্যে বিরোধীদের খেলতে হচ্ছে মেসির বিরুদ্ধে। ‘ম্যান মার্কিং’ করেও ‘গোল’ আটকাতে পারছে না। তাই খেলে নয়, ‘মেসি’কে জখম করে ম্যাচ জিততে চাইছে। সেই কারণে ফুটবলের দখল নয়, মেসির পায়ে আঘাত করাই তাদের লক্ষ্য। আর জি করের ঘটনাতেও তারা একই ভুল করেছে। অভয়ার নির্মম হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতকে চিহ্নিত করে তার সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার চেয়ে ‘মাথা’কে জড়াতেই মরিয়া হয়ে উঠেছিল। তারজন্য তারা নানান বিভ্রান্তিমূলক তথ্যও প্রচার করেছে। তার প্রভাবমুক্ত হয়ে তদন্ত করার ক্ষমতা কি গোয়েন্দাদেরও ছিল না? তাঁরাও কি ‘মাথা’ খুঁজতে গিয়ে কানাগলিতে ঘুরে সময় নষ্ট করেছেন? সেই কারণেই কি পর্যাপ্ত তথ্যপ্রমাণ, নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট এবং সিসি টিভির ফুটেজ হাতে থাকা সত্ত্বেও সিবিআই আর জি করের ঘটনাকে ‘বিরলের মধ্যে বিরলতম’ প্রমাণে ব্যর্থ হল?
সিবিআইয়ের ‘ব্যর্থতা’র কারণ নিয়ে আরও চর্চা হবে। চুলচেরা বিশ্লেষণে হয়তো অনেক তথ্য উঠে আসবে। রাজনীতির ময়দান সরগরম হবে। রাজনীতির কারবারিরা হয়তো তাদের অস্ত্রে নতুন করে শান দিতে পারবে, কিন্তু সন্তান হারানোর যন্ত্রণা তাতে একটুও কমবে না। এই মুহূর্তে অভয়ার বাবা-মায়ের বুকের জ্বালা মেটানোর ক্ষমতা একমাত্র আছে সিবিআইয়ের। সেই দায়িত্ব নিতে হবে তাদেরই।
25th  January, 2025
বৃদ্ধি, পরিকাঠামো ও কর্মসংস্থানই মূল লক্ষ্য
সিদ্ধার্থ সান্যাল

যে সময় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করতে চলেছেন, তা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জের। কারণ, বিশ্বের ভূ-রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক জটিলতা দেশীয় অর্থনীতিতেও প্রভাব ফেলছে। দেশের জিডিপি বৃদ্ধির হার ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে কমবে বলে মনে করা হচ্ছে।​​​​​ 
বিশদ

মেরুকরণের জাতীয়তাবাদ!
শান্তনু দত্তগুপ্ত

কানায় কানায় ভরা স্টেডিয়ামে ব্যাট করতে নামছে ভারত। দুই ওপেনার ড্রেসিং রুম ছেড়ে বাউন্ডারি লাইনের দিকে এগচ্ছেন। সবার নজর ওই ডাগ আউটের দিকে। এই এলেন বলে...। 
বিশদ

বাজেটের আগে অর্থনীতির হাল কেমন
পি চিদম্বরম

বর্তমান সরকারের একটি যুক্তিসঙ্গত এবং সামঞ্জস্যপূর্ণ অর্থনৈতিক দর্শন থাকলে আসন্ন বাজেটের মূল বৈশিষ্ট্যগুলি নিয়ে কিছু ভবিষ্যদ্বাণী করা যেত, যেখানে চমকের প্যাকেজের কোনও জায়গা থাকত না। দুর্ভাগ্যবশত, তা হবে না।
বিশদ

26th  January, 2025
শেষ হাসি হাসবে সংবিধানই
হিমাংশু সিংহ

বীর নেতাজি সুভাষ দেশে ফেরেননি কার চক্রান্তে এবং কোন অভিমানে, তা সবারই জানা। নেতাজি দেশের জন্য জীবন সঁপে দিয়েছিলেন, গদিতে বসে ক্ষমতা ভোগের জন্য লালায়িত হননি। ব্রিটিশ শাসকের হাত থেকে দেশ বাঁচাতে রাতের অন্ধকারে বাড়ি ছেড়েছিলেন।
বিশদ

26th  January, 2025
সব মতবাদকে হারিয়ে জিতছে আর্থিক ভাতা
সমৃদ্ধ দত্ত

ঠিক যখন মনে করা হচ্ছিল হিন্দুত্ব তথা ধর্মের রাজনীতি অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলেছে, ঠিক তখনই অপ্রত্যাশিত একটি প্রতিপক্ষের সম্মুখীন হয়ে ধর্মীয় আগ্রাসনের এই রাজনীতি পিছু হটতে শুরু করেছে।
বিশদ

24th  January, 2025
নেতাজিকে আত্মসাৎ করা সহজ নয়!
মৃণালকান্তি দাস

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু এবং আরএসএসের প্রতিষ্ঠাতা ডাঃ কেশব বলিরাম হেডগেওয়ার— উভয়েরই মধ্যেই ‘গভীর সম্পর্ক ছিল’। এমনই দাবি করেছিলেন সঙ্ঘ নেতা অজয় নন্দী। তাঁর দাবি, হেডগেওয়ার এবং নেতাজি, দু’জনেই দেশের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছেন।
বিশদ

23rd  January, 2025
একদা বিরুদ্ধরাই আজ নেতাজির স্তুতিগানে সরব
সন্দীপন বিশ্বাস

এক ঘৃণ্য মানসিকতার প্রত্যক্ষদর্শী হয়ে উঠছি আমরা। দেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করার চেষ্টা চলছে। অবাক কাণ্ড! একই সময়ে আমাদের পাশের রাষ্ট্র বাংলাদেশ সরকারও সে দেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করছে।
বিশদ

22nd  January, 2025
রাজনীতির অধীনত্বে স্বাধীনতা মেলে না
শান্তনু দত্তগুপ্ত

দুর্বলের অস্ত্র ভিক্ষা। সে শুধু চায়। আর সবলের হাতিয়ার ভক্তি। ত্যাগ। দুর্বলের চাহিদা নিজের জন্য। আর সবলের... জাতির জন্য। সমাজের জন্য। মানুষের জন্য। তাই সনাতনী ধর্মের ধ্বজা তুলে নরেন্দ্রনাথ দত্ত নামে এক পরিব্রাজক যখন পথে নামেন, তিনি তামাম বিশ্বকে নিজের করে নিতে পারেন।
বিশদ

21st  January, 2025
নারায়ণমূর্তি, সুব্রহ্মণ্যনের মন্তব্য বিতর্কিত নয়
পি চিদম্বরম

আমি সেই ব্যক্তিদের গুণমুগ্ধ, যাঁরা আমাকে ভাবতে প্রাণিত করেন। তাঁদের কিছু মতামতের সঙ্গে আমি একমত নাও হতে পারি কিন্তু খুশি যে তাঁরা আমাকে থামতে, চিন্তা এবং পুনরায় চিন্তা করতেও বাধ্য করেন। আমাদের চারপাশে এমন মানুষ খুব বেশি নেই।​​​​​​ 
বিশদ

20th  January, 2025
দিল্লি এবারও ফাঁকি দেবে মোদিকে?
হিমাংশু সিংহ

ইস্তাহারই বলে দিচ্ছে বিজেপি ভয় পেয়েছে। এবারও পরাজয়ই দেওয়াল লিখন দিল্লিতে। নাহলে অন্তঃসত্ত্বা হলেই ২১ হাজার টাকা। প্রথম সন্তান হলে ৫ হাজার আর দ্বিতীয়টির ক্ষেত্রে ৬ হাজার দেওয়ার টোপ দিতে হয় সাংবাদিক সম্মেলন করে! বিশদ

19th  January, 2025
আর জি কর: সত্যি-মিথ্যের ফয়সালা আজই
তন্ময় মল্লিক

আজ বাংলার চিকিৎসক কন্যার নির্মম হত্যাকাণ্ডের রায় ঘোষণা। সেদিকেই গোটা দেশের নজর। অভয়ার নারকীয় হত্যাকাণ্ড নড়িয়ে দিয়েছিল প্রতিটি মানুষের হৃদয়। জাস্টিসের দাবিতে উত্তাল হয়েছিল কলকাতা। বিশদ

18th  January, 2025
ভোটে ত্রিমুখী লড়াইয়ের দিন শেষ
সমৃদ্ধ দত্ত

২০২৪ সাল ভারতীয় রাজনীতির ক্ষেত্রে কী কী ভবিষ্যদ্বাণী করে দিয়ে গেল? একঝাঁক। আগামী দিনের রাজনীতি কেমন চলবে তার স্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। প্রথমত, যা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই, সেটি হল, আবার কেন্দ্রে জোট রাজনীতি ফিরে এল। এবং এটাই চলবে। বিশদ

17th  January, 2025
একনজরে
এক মাসেরও বেশি সময় ধরে কোচবিহারে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা নেতৃত্ব যেভাবে চলছে তাতে দলের নিচুতলার কর্মীরা বিভ্রান্ত হয়ে পড়ছেন। রবীন্দ্রভবনে দলের বর্ধিত সভায় বর্ষীয়ান নেতা রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, প্রাক্তন সাংসদ পার্থপ্রতিম রায়কে না ডাকার অভিযোগ দিয়ে দলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে এসেছিল। ...

দল সাফল্য পেলে ক্যাপ্টেনের অনেক ভুলত্রুটি ধামাচাপা পড়ে যায়। সূর্যকুমার যাদব সেরকমই ভাগ্যবান ক্যাপ্টেন। টি-২০ ফরম্যাটে তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর অশ্বমেধের ঘোড়ার মতো ছুটছে টিম ...

বাঁদরের ধাক্কায় ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু হল দশম শ্রেণির ছাত্রীর। বিহারের সিওয়ান জেলার ঘটনা। মৃত কিশোরীর নাম প্রিয়া কুমারী।  ...

বহু প্রতীক্ষিত সোয়াদিঘি খাল সংস্কারের কাজ শুরুতেই বড়সড় ধাক্কা খেল। শনিবার শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের কাঁকটিয়া এলাকায় ওই খাল খননের সময় দক্ষিণ পাড়ে ধস নামে। খালপাড়ে অবস্থিত কংক্রিটের টয়লেট, গাছপালা হুড়মুড়িয়ে ধসে পড়ে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

দীর্ঘদিনের আটকে থাকা  কর্মে সফলতা। ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগের প্রচেষ্টায় সফলতা। ভ্রমণ যোগ আছে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫৫৬: দ্বিতীয় মোঘল সম্রাট হুমায়ুনের মৃত্যু
১৮৩১: ঈশ্বরগুপ্তের সম্পাদনায় প্রথম বাংলা সাপ্তাহিক সংবাদ প্রভাকর প্রকাশিত
১৮৩৫: কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা
১৮৬৫: স্বাধীনতা সংগ্রামী পাঞ্জাব কেশরী লালা লাজপত রাইয়ের জন্ম
১৮৮২: কলকাতা-বোম্বাই টেলিফোন (দুরালাপনি) চালু হয়। কলকাতার প্রথম এক্সচেন্জ সেন্ট্রাল এক্সচেন্জ উদ্বোধন করেন ই বারিং
১৮৯৮: ভারতের মাটিতে পা রাখলেন ভগিনী নিবেদিতা
১৯১১: বিশিষ্ট নট ও নাট্যকার মহেন্দ্র গুপ্তর জন্ম
১৯২৫: সুরকার তথা সঙ্গীত পরিচালক নচিকেতা ঘোষের জন্ম
১৯২৫: বিজ্ঞানী রাজা রামান্নার জন্ম
১৯৩০: সঙ্গীতশিল্পী যশরাজের জন্ম
১৯৩৩: বলিউড অভিনেতা মনমোহনের জন্ম
১৯৩৭: সঙ্গীতশিল্পী সুমন কল্যাণপুরের জন্ম
১৯৮৬: অভিনেত্রী শ্রুতি হাসানের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৫.৫৩ টাকা ৮৭.২৭ টাকা
পাউন্ড ১০৫.৭৫ টাকা ১০৯.৪৯ টাকা
ইউরো ৮৮.৭৯ টাকা ৯২.১৭ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৮০,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৮০,৭৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৬,৭৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,০৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯০,১৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৪ মাঘ ১৪৩১, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারি ২০২৫। চতুর্দ্দশী ৩৩/২০ রাত্রি ৭/৩৭। পূর্বষাঢ়া নক্ষত্র ৬/৩৫ দিবা ৮/৫৯। সূর্যোদয় ৬/২১/৯, সূর্যাস্ত ৫/১৮/৭। অমৃতযোগ দিবা ৮/৩২ গতে ১০/৪৪ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৬ গতে ২/২৩ মধ্যে পুনঃ ৩/৭ গতে ৪/৩৫ মধ্যে। রাত্রি ৬/১১ মধ্যে পুনঃ ৮/৪৮ গতে ১১/২৪ মধ্যে পুনঃ ২/০ গতে ৩/৪৪ মধ্যে। বারবেলা ৭/৪৩ গতে ৯/৫ মধ্যে পুনঃ ১/১২ গতে ২/৩৪ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৫৬ গতে ৮/৩৪ মধ্যে।  
১৪ মাঘ ১৪৩১, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারি ২০২৫। চতুর্দ্দশী রাত্রি ৭/৩১। পূর্বাষাঢ়া নক্ষত্র দিবা ৯/১। সূর্যোদয় ৬/২৪, সূর্যাস্ত ৫/১৭। অমৃতযোগ দিবা ৮/২৫ গতে ১০/৪১ মধ্যে ও ১২/৫৭ গতে ২/২৮ মধ্যে ও ৩/১৩ গতে ৪/৪৪ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/২০ মধ্যে ও ৮/৫২ গতে ১১/২৪ মধ্যে ও ১/৫৬ গতে ৩/৩৭ মধ্যে। বারবেলা ৭/৪৬ গতে ৯/৭ মধ্যে ও ১/১২ গতে ২/৩৪ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৫৬ গতে ৮/৩৪ মধ্যে।  
২৭ রজব।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
তৃতীয় টি২০: ভারতের বিরুদ্ধে ২৬ রানে জয়ী ইংল্যান্ড

11:39:25 PM

তৃতীয় টি২০: ২ রানে আউট জুরেল, ভারত ১৪০/৯ (১৯.১ ওভার), টার্গেট ১৭২

10:24:00 PM

তৃতীয় টি২০: ৭ রানে আউট সামি, ভারত ১৪০/৮ (১৯ ওভার), টার্গেট ১৭২

10:23:00 PM

তৃতীয় টি২০: ৪০ রানে আউট হার্দিক, ভারত ১৩১/৭ (১৮.১ ওভার), টার্গেট ১৭২

10:19:00 PM

তৃতীয় টি২০: ৬ রানে আউট ওয়াশিংটন, ভারত ৮৫/৫ (১২.১ ওভার), টার্গেট ১৭২

09:48:00 PM

মুম্বইতে মাদকসহ পাকড়াও উগান্ডার ৩ নাগরিক

09:45:00 PM