দীর্ঘদিনের আটকে থাকা কর্মে সফলতা। ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগের প্রচেষ্টায় সফলতা। ভ্রমণ যোগ আছে। ... বিশদ
মায়াপুর-বামুনপুকুর এক নম্বর পঞ্চায়েত সদস্য তথা নবদ্বীপ ফেরিঘাট জলপথ পরিবহন সমবায় সমিতির সম্পাদক সুশান্ত হালদার বলেন, মায়াপুর ট্যাকের ঘাটের এই জেটিটি প্রায় তিন বছর আগে তৈরি হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ পরিবহন দপ্তর এই জেটিটি তৈরি করেছিল। কিন্তু আজ পর্যন্ত সেই জেটিটি চালু করা যায়নি। আমরাও চাইছি এত টাকা খরচ করে জেটিটা যখন করা হয়েছে তখন জেটিটি অবিলম্বে চালু করা হোক। নদীর জল বেড়ে বা কমে গেলে বাঁশের মাচা পরিবর্তন করতে হয়। সেজন্য প্রতিমাসে খরচ পড়ে যায় প্রায় ২ লক্ষ টাকা। তিনি বলেন, এই জেটিটি চালু করা যায়নি তার প্রধান কারণ জেটিতে যাতায়াতের রাস্তাটি ওয়ান ওয়ে।
এই ফেরিঘাট দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ মায়াপুর ও নবদ্বীপের মধ্যে নৌকা পথে অনেকেই যাতায়াত করেন। মন্দির দর্শনে কেউ মায়াপুর থেকে নবদ্বীপ, কেউবা নবদ্বীপ থেকে মায়াপুর যান। দোল পূর্ণিমা, ঝুলন পূর্ণিমা, রাস যাত্রা, জন্মাষ্টমী উৎসবের দিনগুলিতে লক্ষাধিক লোকের সমাগম হয় নবদ্বীপ ও মায়াপুরে। এক্ষেত্রে পরিবহনের মূল মাধ্যম নবদ্বীপ থেকে মায়াপুরে লঞ্চ ও নৌকা চলাচল। বিপদজনকভাবে বাঁশের মাচা দিয়ে স্কুটি ,মোটরসাইকেল পারাপার করা হচ্ছে।
নবদ্বীপ ষষ্ঠীতলার বাসিন্দা শিক্ষক সুরজিৎ সাহা বলেন, বাঁশের মাচা দিয়ে বিশেষ করে বয়স্ক মানুষ এবং ছোট ছোট ছাত্র ছাত্রীদের খুব অসুবিধা হয়।
নবম শ্রেণীর ছাত্রী ইশা মিস্ত্রি জানায় প্রতিদিনই আমরা মায়াপুর থেকে নবদ্বীপের স্কুলে পড়াশোনা করতে যাই। বাঁশের মাচা দিয়ে আমাদের সাইকেল নিয়ে নৌকায় উঠতে হয়।
উল্লেখ্য, প্রায় তিন বছর আগেই এখানে জেটি তৈরি হয়েছিল।পশ্চিমবঙ্গ পরিবহন দপ্তর মায়াপুরের এই ফেরিঘাটে জেটিটি তৈরি করেছিল। কিন্তু সেটি পড়েই আছে। -নিজস্ব চিত্র