দীর্ঘদিনের আটকে থাকা কর্মে সফলতা। ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগের প্রচেষ্টায় সফলতা। ভ্রমণ যোগ আছে। ... বিশদ
নতুন বিতর্কে জড়াল উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগ। চিকিৎসায় গাফিলতির বা বিতর্কিত স্যালাইন ব্যবহারের অভিযোগ নয়। এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে নার্সদের উদ্দেশে অপমানজনক মন্তব্য করায় প্রসূতি বিভাগে বিতর্ক ছড়িয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, কলবুকে এক রোগিণীর ক্যাথিটার লাগানো নিয়ে নার্সদের সম্পর্কে কোনও চিকিৎসক ‘ইডিয়ট’ লিখেছেন। সোমবার সকাল থেকে এ ঘটনা নিয়ে তোলপাড় হয় মেডিক্যাল ক্যাম্পাস।
সোমবার প্রসূতি বিভাগের নার্সদের একাংশ কলবুক নিয়ে গিয়ে অ্যাডিশনাল সুপার ডাঃ নন্দন বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে অভিযোগ জানান। এমন ঘটনায় তাঁরা অপমানবোধ করছেন বলে জানান। সেসময় সুপার অফিসে প্রসূতি বিভাগের সিনিয়র চিকিৎসক ডাঃ নীলরতন দাস বসেছিলেন। অ্যাডিশনাল সুপার বিষয়টি তাঁকে দেখান। তিনিও এ ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন।
প্রসূতি বিভাগে কোন ডাক্তার এ কাজ করেছেন তা নিয়ে সোমবার সকাল থেকে খোঁজ শুরু হয়। সুপার ডাঃ সঞ্জয় মল্লিক গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখে দোষী চিকিৎসককে খুঁজে বের করার নির্দেশ দেন প্রসূতি বিভাগের প্রধানকে। এভাবে নার্সের উদ্দেশ্যে কলবুকে চিকিৎসকের ‘ইডিয়ট’ মন্তব্য করায় সকলেই নিন্দায় মুখর হয়েছেন।
এক প্রসূতির ক্যাথিটার লাগানো নিয়ে বিতর্ক দেখা দেয়। তারজন্য চিকিৎসক কেন ইডিয়ট লিখবেন নার্সদের সম্পর্কে? এই প্রশ্নে প্রসূতি বিভাগ সরগরম। প্রসূতি বিভাগের এক চিকিৎসক বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে কোনও ইন্টার্ন এই কাজ করে থাকতে পারে। অনেক সময় বিভিন্ন শিফ্টে ইন্টার্নদের মধ্যে বদল হয়ে থাকে। তাই এই কাজ কে করেছেন শনাক্ত করা একটু কঠিন। কারণ কেউই এদিন এর দায় স্বীকার করেননি।
হাসপাতাল সুপার বলেন, এদিন নার্সরা অভিযোগ জানিয়েছেন। ওই কলবুক দেখেছি। ঘটনাটি অত্যন্ত নিন্দনীয়। কে এমন কাজ করেছেন তা খুঁজে বের করার জন্য বিভাগীয় প্রধানকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যেই করুন তাঁকে শাস্তি পেতেই হবে।