দীর্ঘদিনের আটকে থাকা কর্মে সফলতা। ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগের প্রচেষ্টায় সফলতা। ভ্রমণ যোগ আছে। ... বিশদ
বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, ‘অনিয়ন্ত্রিতভাবে ভূগর্ভস্থ জল উত্তোলনের জেরে ‘ওয়াটার টেবিল’এর ভারসাম্য নষ্ট হয়েছে। ফলে মাটির নীচে ‘লো প্রেসার’ তৈরি হয়ে নানাভাবে দূষিত হয়েছে জল। অবিলম্বে এই প্রবণতা রোধ করা না গেলে আগামী দিনে বড় প্রভাব পড়বে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘স্কুল অব ওয়াটার রিসোর্স ইঞ্জিনিয়ারিং’এর অধ্যাপক পঙ্কজ রায়ের বক্তব্য, ‘বেশ উদ্বেগের বিষয়। জল দূষিত হয়ে যাওয়ায় তা পান করা ঠিক না। এর প্রতিকার দরকার। তার জন্য ফিল্টার বসিয়ে জল শোধন করে সরবরাহ করা উচিত। ফ্লোরাইড ও আর্সেনিক মিশ্রিত জল পান যেমন ক্ষতিকর তেমনই চাষের কাজে ব্যবহার করাও বিপজ্জনক।’
কেন্দ্রীয় রিপোর্ট অনুযায়ী, এ রাজ্যের পুরুলিয়ায় সবথেকে বেশি ব্লকে ফ্লোরাইডের অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছে। এছাড়াও বাঁকুড়ার শালতোড়া, ছাতনা, বড়জোড়া প্রভৃতি ব্লকে জলের নমুনা পরীক্ষা করে এই রাসায়নিকের অস্তিত্ব টের পেয়েছেন গবেষকরা। তবে বীরভূম, পশ্চিম বর্ধমান, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার জলে ফ্লোরাইডের মাত্রা বেশি। সমীক্ষকদের মতে, ‘এখানে প্রতি লিটার জলে ১.৫ মিলিগ্রাম এই ক্ষতিকর রাসায়নিক পাওয়া গিয়েছে। এই পরিমাণ অত্যন্ত উদ্বেগের। অন্যদিকে মুর্শিদাবাদে সবথেকে বেশি ব্লকে আর্সেনিকের খোঁজ মিলেছে। নদীয়া ও উত্তর ২৪ পরগনাতেও প্রায় বেশিরভাগ অঞ্চলে এই রাসায়নিক মিশ্রিত জল রয়েছে।’